‘মামলা মোকাবেলার ভয়ে দেশ ছেড়েছেন বিএনপি নেত্রী’

ফরিদপুর প্রতিনিধি : স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘বিএনপি নেত্রী মামলা মোকাবেলার ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তাঁর ছেলে তারেক জিয়ার সাত বছরের জেল হয়েছে। তিনিও জেল খাটার ভয়ে ফেরারি হয়ে বিদেশে পালিয়ে রয়েছেন।’

শুক্রবার (২১ জুলাই) ফরিদপুরে দুঃস্থ, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের মধ্যে ভাতা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দুপুরে শহরের কবি জসীম উদ্দীন হল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘তারেক জিয়া দেশ ছেড়ে পালিয়ে বিদেশে গিয়ে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার কাজে লিপ্ত রয়েছে। যারা দেশকে ভালবাসে না তারা কিভাবে এই দেশের মানুষের সমর্থন পাবে?’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অল্প সময়ের মধ্যে উন্নত দেশের মর্যাদায় পৌঁছে যাবে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষ না খেয়ে মারা যায়না, সারের জন্য কৃষকের উপর গুলি চালানো হয় না।’

দেশে এখন সুষমভাবে উন্নয়ন হচ্ছে উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত নেত্রী বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দেশে উন্নয়নের নামে লুটপাট করা হয়েছে। যার কারণে দেশ অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে গিয়েছিলো। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর দেশকে পিছিয়ে পড়া থেকে এখন উন্নয়নের মহাসড়কে তুলেছেন।’

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার রাজনৈতিকভাবে শক্ত অবস্থানে রয়েছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন এবং বর্তমান সরকারকে পুনরায় নির্বাচিত করুন।’

খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া ‘লেবেল ফিল্ড প্লেইং’ এর কথা বলছেন। তাঁর (খালেদা) এ কথার মানে আমি বুঝি না। বিএনপি নেত্রী এ কথা দিয়ে কি বুঝাতে চান? লেবেল ফিল্ডে তো চোর বাটপার থাকবে না। আপনারা চুরি বাটপারী ত্যাগ করুন, ফিল্ড লেবেল হয়ে যাবে।

নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নির্বাচন পরিচালনা করা। বর্তমান নির্বাচন কমিশন সে দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করবে।’

জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে অুনষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতাসেম হোসেন বাবর, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ এস এম আলী আহসান।

পরে মন্ত্রী সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ধীন সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত তহবিল থেকে ফরিদপুর সদরের ১১ টি ইউনিয়নের ৮৬৬ জন বষস্ক, বিধবা ও অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান করেন।

(দ্য রিপোর্ট/এজে/জুলাই ২১, ২০১৭)