হবিগঞ্জে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ডাকাত নিহত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : জেলার বানিয়াচং উপজেলার আলোচিত ডাকাত সর্দার সাইফুল ইসলাম ঝিলকী পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় ৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি পাইপ গান, ৩ রাউন্ড কার্তুজ, ৮টি গুলির খোসা ও ৪টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) ভোরে উপজেলার বানিয়াচং-শিবপাশা রোডের আঞ্জন বিল এলাকায় এই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ কাগাপাশা ইউনিয়নের ইউসুফপুর গ্রামের ইছমত মিয়ার নির্জন বাড়ি থেকে ডাকাত সাইফুল ইসলাম ঝিলকী (৩২) ও তার সহযোগী যাত্রাপাশা গ্রামের আ. কুদ্দুছের ছেলে মন্তাজ মিয়াকে আটক করে। পরবর্তীতে সাইফুল ইসলাম ঝিলকীর দেওয়া তথ্যমতে সাইফুলকে সঙ্গে নিয়ে বানিয়াচং থানার ওসি মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ রাতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সহযোগী ডাকাতদের গ্রেফতার করার জন্য বানিয়াচং শিবপাশা রোডের আঞ্জন বিল এলাকায় অভিযানে যায়। এ সময় আঞ্জন বিল পাড় সংলগ্ন ব্রিজের উপর পৌঁছামাত্র রাস্তার দুইপাশ থেকে ঝিলকীর সহযোগীরা রাস্তা ব্যারিকেড দেয় এবং ঝিলকীকে ছিনিয়ে নিতে এলোপাথাড়ি গুলি করে। এ সময় পুলিশও পাল্টা জবাবে ১৫ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ ফায়ার করে।

এক পর্যায়ে সহযোগী ডাকাতদের গুলিতে ঝিলকী গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। আহত ঝিলকীকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ডাকাত সাইফুল ইসলাম ঝিলকীর বিরুদ্ধে ১টি হত্যা মামলা, ৪টি ডাকাতি মামলা, ১টি চুরির মামলা ও ৪টি দ্রুত বিচার আইনের মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৮টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা বানিয়াচং থানায় মুলতবী রয়েছে।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, সাইফুল ইসলাম ঝিলকী এলাকার ত্রাস ছিল। এর আগেও তাকে গ্রেফতার করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে তার ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। তবে বুধবার বিকেলে তাকে কৌশলে গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

এদিকে বানিয়াচং উপজেলার আলোচিত ডাকাত ঝিলকীকে গ্রেফতারের পর বুধবার রাত ৮টার উপজেলার কাগপাশা গ্রাম থেকে তার অন্যতম সহযোগী আরও ২ ডাকাতকে আটক করেছে জনতা। এ সময় জনতা ডাকাতদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

আটকরা হলেন- বানিয়াচং উপজেলার আতুকুড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আজম (৩৫) ও একই উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মনু মিয়া (৩৩)।

পুলিশ জানায়, কাগপাশা ইউনিয়নের ইউসুফপুর গাংপাড় গ্রামের নুর আলীর বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/আগস্ট ০৩, ২০১৭)