তরুণ শেখ মুজিবুর রহমানের বয়ানে ভাষ্যে ভারতভাগ
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান। ছাত্রজীবনেই যার রাজনীতির হাতেখড়ি। রাজনৈতিক জীবনে যিনি সক্রিয় ছিলেন নানা আন্দোলনে। সেই তিনি পাকিস্তান আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন। একবারে ভেতরে থেকে দেখেছেন নানা ঘটনাবলী। ইংরেজদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের সময় ভারতভাগের পটভূমি, সেই সব ঘটনাবলীর বর্ণনা আর বিশ্লেষণ করে তার জীবনী গ্রন্থ 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী'-তে বিস্তারিত লিখেছেন তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। সেগুলো উঠে এসেছে তার বয়ানেই।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪০'র দশকের মাঝামাঝি ব্রিটেনের তখনকার প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল ভারতবর্ষে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন। সেটির নাম ছিল ক্রিপস মিশন। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি।
যুদ্ধের পর ক্লিমেন্ট অ্যাটলি যখন লেবার পার্টির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তিনি ১৯৪৬ সালের ১৫ই মার্চ ভারতবর্ষে কেবিনেট মিশন পাঠানোর ঘোষণা দেন। সে কেবিনেট মিশনে তিনজন মন্ত্রী থাকবেন, তারা ভারতবর্ষে এসে বিভিন্ন দলের সাথে পরামর্শ করে ভারতবর্ষকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাধীনতা দেওয়া যায়, সে চেষ্টা করবেন।
কিন্তু তখনকার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কথায় মুসলমানদের পাকিস্তান দাবির কথা তো উল্লেখ নাই-ই, বরং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দাবিকে তিনি কটাক্ষ করেছিলেন।
ক্লিমেন্ট অ্যাটলির বক্তব্য নিয়ে কংগ্রেস সন্তোষ প্রকাশ করলেও মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ সে বক্তৃতার তীব্র সমালোচনা করেন।
কেবিনেট মিশন ২৩শে মার্চ ভারতবর্ষে এসে পৌঁছাল। তারা ভারতবর্ষে এসে যেসব বিবৃতি দিয়েছিল, সেগুলো মুসলমানদের বিচলিত করে তোলে।
তখন শেখ মুজিবুর রহমান সহ মুসলিম লীগের তরুণ রাজনৈতিক নেতারা দলবলে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কাছে যেতেন। সোহরাওয়ার্দী তখন পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং মুসলিম লীগের সিনিয়র নেতা।
শেখ মুজিবুর রহমান সহ অপেক্ষাকৃত তরুণরা সোহরাওয়ার্দীর কাছে জানতে চাইতেন, কী হবে? সে সময় সোহরাওয়ার্দী শান্তভাবে উত্তর দিতেন, ‘ভয়ের কোন কারণ নাই, পাকিস্তান দাবী ওদের মানতেই হবে।’
শেখ মুজিবুর রহমান তার 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' বইতে বিষয়টি এভাবেই বর্ণনা করেছেন।
১৯৪৬ সালের ৭, ৮, ৯ই এপ্রিল মুসলিম লীগ নেতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ দিল্লিতে সমগ্র ভারতবর্ষের মুসলিম লীগ-পন্থী কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের কনভেনশন ডাকেন।
তখন সমগ্র ভারতবর্ষে ১১টি প্রদেশ ছিল। এর মধ্যে চারটি ছিল মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ। এই চারটির মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশেই এককভাবে মুসলিম লীগ সরকার গঠন করেছিল।
মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর আহবানে দিল্লি যাওয়ার জন্য হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করতে বললেন। ট্রেনের নাম দেওয়া হলো ‘পূর্ব পাকিস্তান স্পেশাল’। কলকাতার হাওড়া থেকে ছাড়বে সে ট্রেন।
শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১০-১৫ জন ছাত্রকর্মী বাংলাদেশ থেকে সে কনভেনশনে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পুরো ট্রেনটিকে মুসলিম লীগের পতাকা ও ফুল দিয়ে সাজানো হলো।
বাংলাদেশে মুসলিম লীগের জয়ে সমস্ত ভারতবর্ষের মুসলমানদের মধ্যে বিরাট আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল।
‘নারায়ে তকবির’, ‘মুসলিম লীগ জিন্দাবাদ’, ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’, ‘মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ জিন্দাবাদ’, ‘শহীদ সোহরাওয়ার্দী জিন্দাবাদ’ ধ্বনির মধ্যে ট্রেন ছেড়ে দিল।
কলকাতা থেকে দিল্লি পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেশনে হাজার-হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে দেখার জন্য। তারা ‘শহীদ সোহরাওয়ার্দী জিন্দাবাদ’ এবং ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ শ্লোগান দিতে থাকে।
এজন্য প্রায় আট ঘণ্টা দেরিতে ট্রেনটি দিল্লি পৌঁছাল।
এরপর আরও নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত হয়।
মুসলিম লীগ নেতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করলেন, ১৯৪৬ সালের ১৬ই অগাস্ট ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে’ বা ‘প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস’ পালন করা হবে। দিনটি শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য তিনি বিবৃতি দিয়েছিলেন।
জিন্নাহ ব্রিটিশ সরকার ও কেবিনেট মিশনকে দেখাতে চেয়েছিলেন যে ভারতবর্ষের ১০ কোটি মুসলমান পাকিস্তান দাবি আদায় করতে বদ্ধপরিকর।
কংগ্রেস ও হিন্দু মহাসভার নেতারা এই ‘প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস’ তাদের বিরুদ্ধে ঘোষণা করা হয়েছে বলে বিবৃতি দিতে শুরু করলেন।
শেখ মুজিবুর রহমান সহ অন্যান্য নেতা-কর্মীদের বলা হলো দিনটি সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য।
‘প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস’ শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য শেখ মুজিবুর রহমান সহ অন্যরা প্রস্তুতি নিলেন।
শেখ মুজিবুর রহমান তার আত্মজীবনীতে সেটি বর্ণনা করেছেন এভাবে, “হাশিম সাহেব আমাদের নিয়ে সভা করলেন। আমাদের বললেন, তোমাদের মহল্লায় যেতে হবে, হিন্দু মহল্লায়ও তোমরা যাবে। তোমরা বলবে, আমাদের এই সংগ্রাম হিন্দুদের বিরুদ্ধে নয়, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে, আসুন আমরা জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে দিনটা পালন করি।”
‘আমরা গাড়িতে মাইক লাগিয়ে বের হয়ে পড়লাম। হিন্দু মহল্লায় ও মুসলমান মহল্লার সামনে প্রোপাগান্ডা শুরু করলাম। অন্য কোন কথা নাই, ‘পাকিস্তান’ আমাদের দাবী। এই দাবি হিন্দুর বিরুদ্ধে নয়, ব্রিটিশের বিরুদ্ধে।”
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তখন বাংলার প্রধানমন্ত্রী। দিনটি শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য তিনিও বলে দিলেন। সোহরাওয়ার্দী ১৬ই অগাস্ট সরকারি ছুটি ঘোষণা করলেন। এতে কংগ্রেস ও হিন্দু মহাসভা আরও ক্ষেপে গেল।
১৬ই অগাস্ট কলকাতার গড়ের মাঠে সভা হবে। সব এলাকা থেকে শোভাযাত্রা করে জনসাধারণ আসবে। কলকাতার মুসলমান ছাত্ররা ইসলামিয়া কলেজে সকাল ১০টায় জড়ো হবার কথা। শেখ মুজিবুর রহমানকে ভার দেওয়া হলো ইসলামিয়া কলেজে থাকতে এবং সকাল ৭টায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলিম লীগের পতাকা উত্তোলন করতে।
সকালে তিনি ও নূরউদ্দিন সাইকেলে করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে সেখানে পতাকা উত্তোলন করলেন। কিন্তু কেউ তাদের বাধা দিল না।
এরপর তারা আবার ইসলামিয়া কলেজে ফিরে আসেন। কিছুক্ষণ পরেই তারা দেখেন, কয়েকজন ছাত্র রক্তাক্ত দেহে ইসলামিয়া কলেজে এসে পৌঁছেছে। কারও পিঠে ছুরির আঘাত, কারও মাথা ফেটে গেছে।
এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য শেখ মুজিবুর রহমান মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না। আর এই অবস্থায় বিভিন্ন জায়গা থেকে মুসলমানদের উপর হিন্দুদের আক্রমণের খবর আসছে।
ঐ পরিস্থিতির বর্ণনায় শেখ মুজিবুর রহমান লিখেছেন, “আমাদের কাছে খবর এলো, ওয়েলিংটন স্কোয়ারের মসজিদে আক্রমণ হয়েছে। ইসলামিয়া কলেজের দিকে হিন্দুরা এগিয়ে আসছে। ... আমরা চল্লিশ পঞ্চাশ জন ছাত্র প্রায় খালি হাতেই ধর্মতলার মোড় পর্যন্ত গেলাম।”
“সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা কাকে বলে এ ধারণাও আমার ভালো ছিল না। দেখি শতশত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক মসজিদ আক্রমণ করছে। মৌলভী সাহেব পালিয়ে আসছেন আমাদের দিকে। তার পিছে ছুটে আসছে একদল লোক লাঠি তলোয়ার হাতে।”
“পাশেই মুসলমানদের কয়েকটা দোকান ছিল। কয়েক জন লোক কিছু লাঠি নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়াল। আমাদের মধ্য থেকে কয়েকজন ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে শুরু করলো। দেখতে দেখতে অনেক লোক জমা হয়ে গেল। হিন্দুরা আমাদের সামনা-সামনি এসে পড়েছে।”
“বাধা দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। ইট-পাটকেল যে যা পেল তাই নিয়ে আক্রমণের মোকাবেলা করে গেল। আমরা সব মিলে দেড়শত লোকের বেশি হব না। কে যেন পিছন থেকে এসে আত্মরক্ষার জন্য আমাদের কয়েকখানা লাঠি দিল। এর পূর্বে শুধু ইট দিয়ে মারামারি চলছিল।”
“এর মধ্য একটা বিরাট শোভাযাত্রা এসে পৌঁছাল। এদের কয়েক জায়গায় বাধা দিয়েছে, রুখতে পারে নাই। তাদের সকলের হাতেই লাঠি। এরা এসে আমাদের সাথে যোগদান করল। কয়েক মিনিটের জন্য হিন্দুরা ফিরে গেল, আমরাও ফিরে গেলাম।”
সমগ্র কলকাতায় তখন মারামারি চলছে।
শেখ মুজিবের বর্ণনা অনুযায়ী, মুসলমানরা মোটেই সে দাঙ্গার জন্য প্রস্তুত ছিল না। সে দাঙ্গার সময় তিনি ও তার সহকর্মীরা মিলে কিছু হিন্দু পরিবারকেও রক্ষা করেছিলেন।
শেখ মুজিবুর রহমান লিখেছেন, ১৬ই অগাস্ট মুসলমানরা ভীষণভাবে মার খেয়েছে এবং পরের দুই দিন মুসলমানরা হিন্দুদের ভীষণভাবে মেরেছে।
কলকাতার দাঙ্গা বন্ধ না হতেই আবার দাঙ্গা শুরু হলো নোয়াখালীতে। মুসলমানরা সেখানে হিন্দুদের বাড়িঘর লুট করলো এবং আগুন ধরিয়ে দিল। ঢাকায় তো দাঙ্গা লেগেই আছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় বিহারে শুরু হলো ভয়াবহ দাঙ্গা। বিহার প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় ‘মুসলমানদের উপর প্লান করে’ আক্রমণ হয়েছিল।
দাঙ্গা শুরুর তিনদিন পরেই শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহকর্মীরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পাটনায় গিয়েছিলেন।
নানা অস্থিরতা, চড়াই-উতরাই ও আলোচনার পর ১৯৪৭ সালের জুন মাসে ভারতবর্ষ ভাগ করার ঘোষণা এলো। কংগ্রেস ভারত ভাগ করতে রাজী হয়েছে এই জন্য যে বাংলা ও পাঞ্জাব ভাগ হবে।
আসামের সিলেট জেলা ছাড়া আর কিছুই পাকিস্তানে আসবে না। কলকাতা ও তার আশপাশের জেলাগুলি ভারতের অন্তর্ভুক্ত হবে। মাওলানা আকরম খাঁ এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য মুসলিম লীগ নেতারা এর তীব্র প্রতিবাদ করলেন।
ভারতবর্ষ ভাগের এই ফর্মুলা নিয়ে শেখ মুজিব নিজেও বেশ হতাশ হয়েছিলেন। এ বিষয়টি তার আত্মজীবনীতেও ফুটে উঠে।
শেখ মুজিব লিখেছেন, “কংগ্রেস ও হিন্দু মহাসভা নেতারা বাংলাদেশ ভাগ করতে হবে বলে জনমত সৃষ্টি করতে শুরু করলো। আমরাও বাংলাদেশ ভাগ হতে দেব না, এর জন্য সভা করতে শুরু করলাম। আমরা কর্মীরা কি জানতাম যে কেন্দ্রীয় কংগ্রেস ও কেন্দ্রীয় মুসলিম লীগ মেনে নিয়েছে এ ভাগের ফর্মুলা? বাংলাদেশ যে ভাগ হবে, বাংলাদেশের নেতারা তা জানতেন না।”
এই অঞ্চলের নেতাদের ধারণা ছিল সমগ্র বাংলা ও আসাম পাকিস্তানে আসবে।
কিন্তু শেখ মুজিব সহ অন্যরা জনাতে পারলেন, আসামের একটি জেলা, যেটি বর্তমানে সিলেট, পাকিস্তানের আওতায় আসবে যদি তারা সেটা গণভোটে জিততে পারে।
শেখ মুজিবুর রহমান লিখেছেন, “গোপনে গোপনে কলকাতার মুসলমানরা প্রস্তুত ছিল, যা হয় হবে, কলকাতা ছাড়া যাবে না। শহীদ সাহেবের (হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী) পক্ষ থেকে বাংলা সরকারের অর্থমন্ত্রী জনাব মোহাম্মদ আলী ঘোষণা করেছিলেন, কলকাতা আমাদের রাজধানী থাকবে। দিল্লি বসে অনেক পূর্বেই যে কলকাতাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে একথা তো আমরা জানতামও না, বুঝতামও না।”
এ সময় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশিম মুসলিম লীগের তরফ থেকে এবং শরৎ বসু ও কিরণ শংকর রায় কংগ্রেসের তরফ থেকে এক আলোচনা সভা করেন। তাঁদের আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয় যে, বাংলাদেশ ভাগ না করে অন্য কোন পন্থা অবলম্বন করা যায় কি-না? বাংলাদেশের কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ নেতারা একটা ফর্মুলা ঠিক করেন।
ঐ ফর্মুলায় বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ হবে স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্র। জনসাধারণের ভোটে একটা গণপরিষদ হবে। শেখ মুজিবের বর্ণনা অনুযায়ী, ঐ গণপরিষদ ঠিক করবে বাংলাদেশ হিন্দুস্তান না পাকিস্তানে যোগদান করবে, নাকি স্বাধীন থাকবে। গণপরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে সেটি নির্ধারিত হবার বিষয়টি ফর্মুলায় উল্লেখ করা হয়েছিল।
এ ফর্মুলা নিয়ে শরৎ বসু গান্ধীর সাথে এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর সাথে দেখা করতে যান।
শরৎ বসুকে উদ্ধৃত করে শেখ মুজিবুর রহমান লিখেছেন, এ ফর্মুলা নিয়ে জিন্নাহর কোন আপত্তি ছিলনা, যদি কংগ্রেস রাজী হয়।
অন্যদিকে ব্রিটিশ সরকার বলে দিয়েছিল, কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ একমত না হলে তারা নতুন কোন ফর্মুলা মানতে পারবে না।
ঐ ফর্মুলা নিয়ে শরৎ বসু কংগ্রেস নেতাদের সাথে দেখা করতে গিয়ে অপমানিত হয়ে ফেরত এসেছিলেন বলে উল্লেখ করেন শেখ মুজিবুর রহমান।
কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেল বলেছিলেন, “শরৎ বাবু পাগলামি ছাড়েন, কলকাতা আমাদের চাই।”
কলকাতা পূর্ব পাকিস্তানের অংশ না হওয়ায় গভীর হতাশা তৈরি হয়েছিল শেখ মুজিবের মনে। এজন্য তিনি তখনকার মুসলিম লীগ নেতৃত্বের একটি অংশকে দায়ী করেন।
শেখ মুজিব লিখেছেন, পাকিস্তান সৃষ্টির সাথে সাথেই ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়েছিল।
বিশেষ করে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী যাতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন, সেজন্য তার বিরুদ্ধ এক ধরণের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন শেখ মুজিবুর রহমান।
সোহরাওয়ার্দীকে সরিয়ে খাজা নাজিমউদ্দিনকে ক্ষমতায় বসানোর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল।
কিন্তু কেন এ ষড়যন্ত্র হয়েছিল?
শেখ মুজিবের বর্ণনা ছিল এ রকম, “বাংলাদেশ ভাগ হলেও আমরা যতটুকু পাই, তাতেই সিন্ধু, পাঞ্জাব, সীমান্ত প্রদেশ ও বেলুচিস্তানের মিলিত লোকসংখ্যার চেয়ে পূর্ব পাকিস্তানের লোকসংখ্যা বেশী। সোহরাওয়ার্দীর ব্যক্তিত্ব, অসাধারণ রাজনৈতিক জ্ঞান, বিচক্ষণতা ও কর্মক্ষমতা অনেককেই বিচলিত করে তুলেছিল। কারণ, ভবিষ্যতে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চাইবেন এবং বাধা দেওয়ার ক্ষমতা কারও থাকবে না।”
এক পর্যায়ে খাজা নাজিমুদ্দিন নেতা নির্বাচিত হলেন। নেতা হয়ে তিনি ঘোষণা করেন যে ঢাকা রাজধানী হবে। মি. নাজিমুদ্দিন দলবলসহ তখন ঢাকায় চলে আসেন।
নাজিমুদ্দিনের ঢাকায় চলে আসার সাথে সাথে কলকাতার উপর থেকে পাকিস্তানের দাবী আর থাকল না বলে উল্লেখ করেন শেখ মুজিব।
লর্ড মাউন্টব্যাটেনের বই ‘মিশন উইথ মাউন্টব্যাটেন’ উদ্ধৃত করে শেখ মুজিবুর রহমান লিখেছেন, “ইংরেজরা তখনো ঠিক করে নাই কলকাতা পাকিস্তানে আসবে, না হিন্দুস্তানে থাকবে। আর যদি কোন উপায় না থাকে তবে একে ‘ফ্রি শহর’ করা যায় কি-না? কারণ, কলকাতার হিন্দু মুসলমান লড়বার জন্য প্রস্তুত। যে কোন সময় দাঙ্গাহাঙ্গামা ভীষণ রূপ নিতে পারে। কলকাতা হিন্দুস্তানে পড়লেও শিয়ালদহ স্টেশন পর্যন্ত পাকিস্তানে আসার সম্ভাবনা ছিল। হিন্দুরা কলকাতা পাবার জন্য আরো অনেক কিছু ছেড়ে দিতে বাধ্য হত।”
শেখ মুজিব লিখেছেন, যখন গোলমালের কোন সম্ভাবনা থাকল না, তখন লর্ড মাউন্টব্যাটেন সে সুযোগে যশোর জেলায় সংখ্যাগুরু মুসলমান অধ্যুষিত বনগাঁ জংশন অঞ্চল কেটে দিলেন। নদীয়ায় মুসলমান বেশী ছিল। কিন্তু তারপরেও কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট জংশন ভারতকে দেয়া হলো।
তিনি আরও লিখেছেন, মুর্শিদাবাদে মুসলমান বেশী হলেও সেটা ভারতের অংশে দেয়া হলো। মালদহ জেলায় মুসলমান ও হিন্দু সমান হওয়ায় তার আধা অংশ কেটে দেয়া হলো। দিনাজপুরে মুসলমান বেশী ছিল। বালুরঘাট মহকুমা কেটে দেয়া হলো, যাতে জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং ভারতের অংশ হয়।
শেখ মুজিব মনে করেন, এ জায়গাগুলো কিছুতেই পাকিস্তানে না এসে পারতো না।
তাঁর আশা ভঙ্গের বর্ণনা করে শেখ মুজিব লিখেছেন, “যে কলকাতা পূর্ব বাংলার টাকায় গড়ে উঠেছিল, সেই কলকাতা আমরা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিলাম। কেন্দ্রীয় লীগের কিছু কিছু লোক কলকাতা ভারতে চলে যাক এটা চেয়েছিল বলে আমার মনে হয়। অথবা পূর্বেই গোপনে রাজী হয়ে গিয়েছিলেন।”
“সোহরাওয়ার্দী নেতা হলে তাদের অসুবিধা হত, তাই তারা পিছনের দরজা দিয়ে কাজ হাসিল করতে চাইল। কলকাতা পাকিস্তানে থাকলে পাকিস্তানের রাজধানী কলকাতায় করতে বাধ্য হত, কারণ পূর্ব বাংলার লোকেরা দাবী করত পাকিস্তানের জনসংখ্যায়ও তারা বেশী, আর শহর হিসেবে তদানীন্তন ভারত বর্ষের শ্রেষ্ঠ শহর কলকাতা।”
কলকাতা ‘হাতছাড়া’ হওয়ার কারণে শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, “নেতারা যদি নেতৃত্ব দিতে ভুল করে, জনগণকে তার খেসারত দিতে হয়।”
সূত্র : বিবিসি বাংলা
পাঠকের মতামত:
- ডিজিটাল সংযোগ আরো সম্প্রসারণের সংকল্প গ্রামীণফোন সিইওর
- ডিজিটাল সংযোগ আরো সম্প্রসারণের সংকল্প গ্রামীণফোন সিইওর
- হজ যাত্রীদের হেলথ চেক আপে বিকাশে ১০০ টাকা পর্যন্ত ছাড়
- শেয়ার হস্তান্তর করাবেন আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোক্তা
- নর্দার্ন ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়
- স্যানিটেশনকর্মীদের স্বাস্থ্যগত রক্ষায় কাজ করবে হারপিক ও সাজেদা ফাউন্ডেশন
- ঈদ উপলক্ষ্যে নতুন মডেলের পণ্য উন্মোচন করেছে ওয়ালটন
- ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে শরী‘আহ সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার
- সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত
- "লড়াকু মানসিকতার শান্ত একজন ভালো নেতা"
- "বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে"
- তাপপ্রবাহের মধ্যে চোখ রাঙানি দিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল
- ৭ উদ্যোক্ত্যর হাতে জাতীয় এসএমই পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- ২১মে ঢাকা আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আজ শেষ হচ্ছে এসএসসির ফলাফলের পুনঃনিরীক্ষার আবেদন
- মিরপুরে অটোরিকশা চালকদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
- বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশে: প্রধানমন্ত্রী
- পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট চূড়ায় বাবর আলী
- আফগানিস্তানে বন্যায় অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু
- কানে ঐশ্বরিয়ার লুক নিয়ে কটাক্ষ
- হিজবুল্লাহর হামলায় ক্ষয়ক্ষতি কথা স্বীকার করলো ইসরায়েল
- পশুর জন্য প্রাকৃতিক খাদ্যে উৎপাদন বাড়াতে বললেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
- পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৭ হাজার ১০৫ কোটি টাকার বেশি
- বজ্রপাতে সাতজনের মৃত্যু
- "বাংলাদেশের বিপক্ষে যে যাবে আমরা তার বিপক্ষে আছি"
- তাপস মনগড়া ও অসত্য তথ্য দিচ্ছেন: সাঈদ খোকন
- জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি
- বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা কেন ঢুকবেন, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের
- নটর ডেম কলেজে ভর্তির আবেদন শুরু ২৫শে মে
- সুমাত্রায় ভয়ঙ্কর বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭ জন
- ভারতের প্রধান কোচ হবার প্রস্তাব পেলেন গম্ভীর
- এবার মেজর লিগে খেলবেন সাকিব
- ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে
- "শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মানে গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন"
- ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে ১৩টি দেশ
- ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস, ২ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত
- গাজা থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার
- অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
- মদিনায় চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশী হজযাত্রীর মৃত্যু
- ইআরডিএফবির আয়োজনে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- ইসরাইলের সামরিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে হিজবুল্লাহর ড্রোন
- রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের মুরগির দাম কমেছে
- বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র
- রাফায় হামলা বন্ধে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিতে আইসিজের প্রতি আহবান
- বিএনপির সময় ঋণ খেলাপির তালিকা সবচেয়ে বড় ছিল: আইনমন্ত্রী
- "প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টার ফলে টেলিযোগাযোগ সেবা সবার হাতের মুঠোয়"
- বাজেট ৬ জুন দিবো ও বাস্তবায়নও করব: প্রধানমন্ত্রী
- ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫
- যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না: স্টেট ডিপার্টমেন্ট
- "আ.লীগ সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছে"
- আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
- "যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে, তাদের মুখোশ খুলে দেওয়ার সময় এসেছে"
- বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছেড়েছেন সাকিব-শান্তরা
- হামলা আরও জোরদার করেছে ইসরায়েল, রাফায় বাস্তুচ্যুত ৬ লাখ মানুষ
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আ.লীগের কর্মসূচি
- উপজেলা নির্বাচন: ৫২ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
- ৪৮ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি
- সৌদি পৌঁছেছেন ২১ হাজার ৬৩ জন হজযাত্রী
- ঢাকা ছাড়লেন ডোনাল্ড লু
- নর্থ সাউথ সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাবের আয়োজনে বৈশাখী মেলা ১৪৩১ অনুষ্ঠিত
- দেশের ৫৮ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে তাপপ্রবাহ
- প্রস্তুতি আমার মনে হয় ভালো হয়েছে: হাথুরুসিংহে
- কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি ব্যাংক রিপোর্টারদের
- "নিজস্ব গতিতে চলতে না দিলে পুঁজিবাজারের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সম্ভব নয়"
- নির্বাচন ইস্যু পেছনে ফেলে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে তাকাতে চায়: লু
- প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ
- বাংলাদেশ প্রসঙ্গে পশ্চিমা বিশ্ব তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি: মির্জা ফখরুল
- ডেঙ্গুতে দেশে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২১ জন
- "বাংলাদেশ ব্যাংকের থলের বিড়াল বের হতে শুরু করছে"
- বিশ্বে বাংলাদেশকে এগিতে নিতেই আলোচনা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বিমানের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার নামে চার্জশিট, অব্যাহতি ১৪
- মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- মিডল্যান্ড ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালকের শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত
- কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন পুতিন
- সরকার স্যাংশন বা ভিসানীতির কেয়ার করে না: কাদের
- সাকিবের রেকর্ড, রিয়াদের আক্ষেপ
- বিশ্বকাপ দল ঘোষণা, সহ-অধিনায়ক তাসকিন
- ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে ১৩টি দেশ
- বিমানের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার নামে চার্জশিট, অব্যাহতি ১৪
- দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে: মির্জা ফখরুল
- পাঁচটি ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- নাগরিকত্ব ত্যাগ করে অন্য কোনো দেশের নাগরিক হলে এনআইডি বাতিল
- সৈয়দপুরে বিমানবন্দরে ফ্লাইট চালু, আটকেপড়া যাত্রীদের স্বস্তি
- আজ কুতুবদিয়া পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ
- কোহলিকে অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান সাবেক তারকারা
- নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ষড়যন্ত্র সফল হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে নিপুণের রিট
- ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন ৫ জুন
- ঢাকায় এসেছেন ডোনাল্ড লু
- রাফা ছেড়ে পালিয়েছেন ৩ লাখ মানুষ: জাতিসংঘ
- দেশের ৫৮ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে তাপপ্রবাহ
- ইতালির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান প্রধানমন্ত্রীর
- লুর বাংলাদেশ সফর গুরুত্বপূর্ণ নয়: বিএনপি
- রিজার্ভ কমে এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে
- এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালকের শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত
- এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ২২ শতাংশ
- মিরাজকে নিয়ে চমক দিতে পারে বিসিবি!