thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

চাকরি খুঁজতে ঢাকায় এসেছিলেন ‘জঙ্গি’ সাইফুল

২০১৭ আগস্ট ১৫ ১৯:৫৯:১৪
চাকরি খুঁজতে ঢাকায় এসেছিলেন ‘জঙ্গি’ সাইফুল

খুলনা ব্যুরো : ঢাকায় পুলিশের অভিযানে নিহত ‘জঙ্গি’ সাইফুল ইসলাম মোল্লা শুক্রবার ঢাকায় চাকরি খোঁজের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস ইউনিয়নের নওকাটি গ্রামের মসজিদের ইমাম আবুল খায়েরের পুত্র সে।

সাইফুলের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, গত শুক্রবার গ্রামের বাড়ির মসজিদে জুমআর নামাজ আদায় করে বিকেলে চাকরি করার কথা বলে ঢাকায় রওয়ানা হয়।

নিহত সাইফুল ডুমুরিয়া উপজেলার দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও খুলনা আলীয়া মাদ্রাসা থেকে আলিম পাশ করার পর খুলনা বিএল কলেজে ভর্তি হয়। বর্তমানে রাষ্টবিজ্ঞান সম্মান শেষ বর্ষের ছাত্র ছিল সে।

প্রতিবেশীরা জানান, এলাকায় স্বল্প ভাষি এবং শান্ত শিষ্ট ভদ্র হিসাবে পরিচিত ছিল সাইফুল। সে খুব কমই বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে মিশত। সাইফুলের বোন ইরানী সাবিহা জানায়, শুক্রবার সে তাদের গ্রামের মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়ে চাকরি জন্য বিকেলে ঢাকা যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে টিভির খবর শুনে তারা নিশ্চিত সাইফুলের নিহতের খবর নিশ্চিত হয়।

জেলা পুলিশ সুপার নিজামউদ্দিন মোল্লা মঙ্গলবার সকালে জানান, সাইফুলের বাবা আবুল খায়েরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পরে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ সুপার আবারও জানান আটক আবুল খায়েরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

তবে পরিবারের সদস্যদের দাবি আবুল খায়ের এখনও থানায় আটক আছে। তারা জানায়, ছাড়া পেলে তো বাড়িতে আসত। বিকাল ৩টা ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিলুর রহমান জানান, থানা থেকে ছাড়া পেয়ে হয়তো কোনো স্বজনের বাড়ি বেড়াতে গেছে। তবে পুলিশের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে লাশ সনাক্ত করতে আবুল খায়েরকে ঢাকা নিয়ে যাওযার কথা রয়েছে ।

এদিকে নিহত সাইফুলের চাচা আব্দুর রউফ মোল্লা দাবি করেন, সাইফুল নিহতের ঘটনা পুলিশের মিস ফায়ারে হয়েছে। নিজেকে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা দাবি করে রউফ মোল্লা বলেন, হোটেলে হয়ত আসে পাশে কেউ ছিল। তাদের ধরতে না পেরে পুলিশের নিজেদের পদোন্নতির জন্য সাইফুলকে জঙ্গি বানানো হয়েছে । তিনি বলেন সাইফুল টাকা–পয়সার আভাবে খুলনা থেকে ডুমুরিয়া পযর্ন্ত পায়ে হেঁটে যবার ঘটনা রয়েছে ।

সাইফুলের চাচাতো বোন জেসমিন আক্তার বলেন, তারা বিশ্বাস করতে পারছেন না যে সাইফুল জঙ্গি হতে পারে। স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন, জানান, মসজিদের ইমাম আবুল খায়ের খুব ভাল মানুষ। মসজিদের আয়ে তাদের সংসার চলে। তিনি কৃষি কাজ করার জন্য খায়েরকে আট হাজার টাকা ঋণ দিয়েছেন।

নিহত সাইফুলের আর কোনো ভাই না থাকলেও ছোট দুই বোন আছে। মা বাকপ্রতিবন্ধী। পিতার মসজিদের ইমামতির চাকরির আয় এবং কৃষিকাজ করে সংসার চলতো। ঘটনার পর সকলেই হতভম্ভ হয়ে পড়েছে। গনমাধ্যমে খবর প্রচারিত হবার পর এলাকার অনেকেই আসছে তাদের বাড়িতে।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/আগস্ট ১৫, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর