thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

২১ গুণীজন পেলেন একুশে পদক

ঐতিহ্য সংরক্ষণ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

২০১৮ ফেব্রুয়ারি ২০ ১২:০৬:১২
ঐতিহ্য সংরক্ষণ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে এবং বিশ্বের দরবারে আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে সবার সহযোগিতা দরকার। এছাড়া আগামী প্রজন্মের কাছে দেশের ঐতিহ্য তুলে ধরতে আমাদের ঐতিহ্য সংরক্ষণ করতে হবে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক প্রাপ্তদের মাঝে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ইতিহাসও বিকৃতি করা হয়েছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে যে মর্যাদা পাওয়ার কথা ছিল তা হারাতে বসেছিলাম। কারণ ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে হত্যা করা হয়। অনেক সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা যেন নিজেদের ভাষা ও ঐতিহ্যকে ভুলে না যাই। তবে বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে নতুন ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। তারপরও নিজেদের ভাষা ও সংস্কৃতি ঠিক রেখে এগিয়ে যাওয়া যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘে প্রথম বাংলায় ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমিও প্রতিবছর বাংলায় ভাষণ দেই। এখন বিশ্বের অনেক দেশ ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে। এছাড়া বিভিন্ন ভাষা নিয়ে গবেষণা ও সংরক্ষণ করতে আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করি। তবে বিএনপি-জামায়াত সরকার সেটা বন্ধ করে দেয়।’

এ সময় তিনি শীতলপাটি ও নকশিকাঁথার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে আওয়ামী লীগ সরকারের অবদানের কথা তুলে ধরেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণেরও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কথা তুলে ধরেন। যা বাঙালি জাতির জন্য গৌরবের বলে উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশের গৌরব সংরক্ষণ করতে হবে আগামী প্রজন্মের জন্য। এসব গৌরব ও সংস্কৃতি আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত না। আমরা সব সময় বঙ্গবন্ধু আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। যে বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্রে জর্জরিত ছিল তা থেকে আমরা অনেকটা মুক্ত পেয়েছি। আমরা বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে থাকতে চাই। সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি। বাংলা নববর্ষ পালনের স্বীকৃতি কিন্তু এমনি এমনি আসেনি। এর জন্য আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি দিতে হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের কিছু পেত্মাতা এদেশের এখনও রয়ে গেছে। যার কারণে আমাদের ভাষা, উন্নয়নের প্রতি আঘাত আসে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এখন আমাদের কেউ অবহেলা করতে পারে না। নিজেদের প্রচেষ্টায় আমরা বিশ্বে একটা মর্যাদা পাচ্ছি। আমাদের শিল্প, সাহিত্য ও কলাকূশলীদের খুঁজে খুঁজে নিয়ে আসা এবং তাদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া। যারা আমাদের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে পারে।’

প্রসঙ্গত, ২১ জনকে একুশে পদকপ্রাপ্তরা হলেন- ভাষা আন্দোলনে আ জ ম তকীয়ূল্লাহ (মরণোত্তর) ও অধ্যাপক মির্জা মাজহারুল ইসলাম। সঙ্গীতে শেখ সাদী খান, সুজেয় শ্যাম, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, খুরশীদ আলম ও মতিউল হক খান। নৃত্যে মীনু হক (মীনু বিল্লাহ)। অভিনয়ে হুমায়ূন ফরীদি (মরণোত্তর), নাটকে নিখিল সেন, চারুকলায় কালিদাস কর্মকার, আলোকচিত্রে গোলাম মুস্তাফা, সাংবাদিকতায় রণেশ মৈত্র, গবেষণায় ভাষাসৈনিক অধ্যাপক জুলেখা হক (মরণোত্তর), অর্থনীতিতে ড. মইনুল ইসলাম, সমাজসেবায় ইলিয়াস কাঞ্চন। ভাষা ও সাহিত্যে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম খান (কবি হায়াৎ সাইফ), সুব্রত বড়ুয়া, রবিউল হুসাইন ও খালেকদাদ চৌধুরী (মরণোত্তর)।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর