thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ 24, ৫ চৈত্র ১৪৩০,  ৯ রমজান 1445

সিরিয়ায় সেনা রাখতে ট্রাম্পকে রাজি করান ম্যাকরন

২০১৮ এপ্রিল ১৬ ০৯:১৫:৩২
সিরিয়ায় সেনা রাখতে ট্রাম্পকে রাজি করান ম্যাকরন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহার না করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রাজি করিয়েছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন। সেই সঙ্গে সিরিয়ায় সেনা মোতায়েন দীর্ঘমেয়াদী করতে ট্রাম্পের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতিও আদায় করেন তিনি।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে, শিগগিরই সিরিয়া থেকে সরে যাবে মার্কিন বাহিনী। তবে আদতে তা হয়নি।

কেন সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা সরেনি তারই উত্তরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এসব কথা জানান।

ম্যাকরন বলেন, সিরিয়ায় সীমিত হামলা চালাতেও তিনি ট্রাম্পকে পরামর্শ দেন।

গত শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স যৌথভাবে সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালায়। রাসায়নিক হামলা চালানোর অভিযোগ এনে সিরিয়ার ওপর এই যৌথ হামলা চলে।

টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমানুয়েল ম্যাকরন বলেন, ‘১০ দিন আগে, ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন যে, সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। আমরা তাকে বোঝাই যে, সেখানে দীর্ঘদিনের জন্য অবস্থান করাটা জরুরি।’

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টেলিফোন করেছিলেন উল্লেখ করে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তাকে রাজি করাই যে, আমাদের এই হামলা সীমিত আকারে হবে এবং সেটা কেবলমাত্র রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদের ওপর চালানো হবে।’

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের এমন বক্তব্যের পর হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডারস বলেন, ‘যু্ক্তরাষ্ট্রের নীতি পরিবর্তিত হয়নি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখনো চান যেন যত দ্রুত সম্ভব সিরিয়া থেকে সৈন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।’

তবে এই মুখপাত্র এটাও বলেন যে, ইসলামির স্টেট বা আইএসকে চূড়ান্তভাবে ধ্বংস করে দিতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যেন এটি আর কখনোই শক্তি নিয়ে ফিরে আসতে না পারে।

এর আগে গত সপ্তাহে সিরিয়ার দুমা এলাকায় রাসায়নিক হামলার পর পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তখন থেকেই এই যৌথ হামলার পরিকল্পনা করা হয়। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকার সব সময়ই দুমায় রাসায়নিক হামলার কথা অস্বীকার করে আসছে। সিরিয়ার মিত্র রাশিয়াও এই হামলার বিরোধিতা করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনে এক ব্রিফিংয়ে জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড বলেন, তিন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়। এগুলো হলো—১. দামেস্কের বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার, যেখানে রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্র উৎপাদন করা হয় বলে জানা যায়; ২. হোমসে একটি রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডার ও ৩. হোমসেই পাশেই আরেক অস্ত্রভাণ্ডার, যেখান থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ১৬, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর