লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা যেমন আছেন
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : লেবাননে বুর্জ আল বারাজনেহর একটি শরণার্থী শিবির। সেখানে একেকটা বাড়ির মাথায় উড়ছে ফিলিস্তিনি পতাকা। সরু সরু রাস্তা। উপরে মাকড়সার জালের মতো পেচানো বিদ্যুতের তার। স্পিকারে খুব জোরে জাতীয়তাবাদী গান বাজিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল একটি গাড়ি।
এই শরণার্থী শিবিরে বসবাস করা খুব একটা সুখকর নয়। বেঁচে থাকার অর্থ রোজগারের জন্যে কোন কাজ নেই। বসবাসের পরিবেশও খুব খারাপ। এই ক্যাম্পে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিরা নাকবা দিবসে কথা বলছিলো পেছনে ফেলে আসা তাদের বাড়িঘর সম্পর্কে।
একজন শরণার্থী বললেন, "আমাদের জন্যে এই নাকবা খুব খারাপ একটি দিন। নিজেদের দেশ ও ভূমির কথা আমাদের মনে পড়ে। এরকম একটা খারাপ পরিবেশে আমরা কেন বসবাস করছি?"
আরেকজন নারী শরণার্থী বলেন, "আমার বয়স ১৫। লেবাননেই আমার জন্ম। এখানেই আমি বড় হয়েছি। কিন্তু আমার দাদা দাদী নানা নানী তারা সবাই তাদের ফেলে আসা জীবনের কথা বলেন। আমার বাবা মাও সেসব দেখেননি। কিন্তু তারপরেও তারা ফিলিস্তিনে ফিরে যেতে চান। আমিও চাই ফিরে যেতে।"
এটিকে ক্যাম্প বলা হলেও এখানে কোন তাবু নেই, নেই অস্থায়ী বাড়িঘরের কোন কাঠামো। কিন্তু তারপরেও এটিকে ক্যাম্প বলা হয় কেন? কারণ ফিলিস্তিনিরা মনে করেন লেবাননের এই জায়গাটি তাদের অস্থায়ী ঠিকানা। তারা স্বপ্ন দেখেন ৭০ বছর আগে তারা যেখান থেকে পালিয়ে এসেছেন, কিম্বা তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে, সেখানে তারা একদিন ফিরে যাবেন।
"নিজের ভূমি থেকে দূরে থাকা খুব কঠিন। সেখানে আমরা যেতেও পারি না। আল্লাহ চাইলে আমি আমার নিজের দেশে মরতে চাই। আমি চাই সেখানেই আমার কবর হোক। আমার বিশ্বাস একদিন আমরা ফিরে যাবো এবং সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে," বললেন একজন।
লেবাননের এরকম বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাস করেন প্রায় পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থী । তাদের বেশিরভাগই ১৯৪৮ সালের ইসরায়েল-আরব যুদ্ধের সময় নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে এসেছেন, কিম্বা তাদেরকে সেখান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ৭০ বছর আগের ১৫ই মে, ফিলিস্তিনিরা যেদিনটিকে পালন করে নাকবা দিবস হিসেবে। শরণার্থীরা বহু বহু বছর ধরে লেবাননে বসবাস করলেও তাদের জীবন যাপন অনেক সীমিত। বঞ্চিত অনেক অধিকার থেকেও।
এরা যে শুধু ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধের কারণে শরণার্থী হয়েছেন তা নয়। লেবাননেও একটি জাতিগোষ্ঠীর সাথে তাদের যুদ্ধ চলছে। দেশটিতে এতোরকমের গোষ্ঠী আছে যে কখন কোন গ্রুপ কার সাথে যুদ্ধ করছে সেটা বুঝতে পারাও খুব কঠিন।
লেবাননের জাতিগত ও ধর্মীয় বিভাজন সবসময়ই বিস্ফোরকের মতো। বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে লেবাননের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি। তাদের অনেক কাজের ওপরে নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে।
নির্ধারিত ক্যাম্পের বাইরে আর কোথাও তাদের বসবাসের অনুমতি নেই। তারা জায়গা জমি কিম্বা বাড়িঘরও কিনতে পারে না।
জানা আল মাওয়া এই ক্যাম্পেরই একজন শিক্ষক। তিনি বলছেন, "ফিলিস্তিনি ছেলেমেয়েরা ছেঁড়া ও ময়লা জামা কাপড় পরে। তারা যখন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যায় তাদেরকে দেখা হয় বিদেশি শিক্ষার্থী হিসেবে।"
"এখানে ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা মনে করে তারা যদি লেবানিজ সমাজের সাথে মেলামেশা করেন তাহলে তারা হয়তো তাদের ফিলিস্তিনি পরিচয় হারিয়ে ফেলবেন," বলেন তিনি।
লেবাননের একজন এমপি নাদিম জামায়েল মনে করেন, ফিলিস্তিনিদের সমান অধিকার দিতে তার দেশ এখনও প্রস্তুত নয়।
" ফিলিস্তিনিরা এখানে আছেন শরণার্থী হিসেবে। তাদের নাগরিকত্ব বা অন্যান্য অধিকার দেওয়া সম্ভব নয়। সেরকম কিছু হলে, লেবাননের বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে যে সম্প্রীতি আছে, সেটা নষ্ট হবে। সেটা করতে দেওয়া যাবে না।"
খবর- বিবিসির।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ১৭, ২০১৮)
পাঠকের মতামত:
- অস্থির মুরগির বাজার, বেড়েছে পেঁয়াজ ও মুরগির দাম
- "যারা আমাদেরকে চাপে রাখতে চেয়েছিল, তারাই এখন চাপে"
- শেয়ার ছাড়বে রুপালী ব্যাংক
- রবি ও এমটিবির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়
- ৫ ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা
- জিপির ২০ টাকা রিচার্জের মেয়াদ বাড়লো
- রাফাহ শহরে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী
- মধ্যরাতে কাকে অপরাধী বলে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন তিশা!
- ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিলো তুরস্ক
- ১০ বাংলাদেশিকে ছেড়ে দিলো আরাকান আর্মি
- কালবৈশাখী ঝড়ের খবর দিলো আবাহাওয়া অফিস
- আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস
- চার মাসে রেমিট্যান্স ৮৩১ কোটি ডলার, আগের থেকে ২১ শতাংশ বেশি
- জামিনে মুক্ত মামুনুল হক
- জাতিসংঘের বাংলাদেশে শান্তির সংস্কৃতি রেজ্যুলেশনটি গৃহীত
- গ্রামীণফোনের এজিএমে ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স গ্রহণ করে গাড়ী জিতল কাপাসিয়ার মুঞ্জিল
- ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- শনিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
- রাতের আঁধারে লাশ দাফন বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি মিল্টন: ডিবি
- ওমরাহ পালনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছেন মির্জা ফখরুল
- দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা মিললো কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির
- "যুদ্ধকে ‘না’ বলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি"
- ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের জামিন
- আওয়ামী লীগ মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি: প্রধানমন্ত্রী
- শেষ ম্যাচে উইকেট ছাড়াই থেকে আইপিএল মিশন শেষ করলেন মুস্তাফিজ
- ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ হামলায় নিহত ৫
- চুয়াডাঙ্গায় ৭০ বিঘা পানের বরজে অগ্নিকাণ্ড
- প্রচন্ড মহাসড়কে চীনে ২৪ জন নিহত
- ইসরায়লের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে কলম্বিয়া
- এশিয়ার সেরা ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেই বুয়েট- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে
- মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে রাতেই তিন মামলা
- "মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে"
- দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আজ
- এবার ঢাবির থেকে এগিয়ে এনএসইউ
- মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার
- ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে আরও ছয় দেশে
- নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি দেখতে আ.লীগকে বিজেপির আমন্ত্রণ
- এপ্রিল মাসে প্রবাসী আয় ১৯০ কোটি ৮০ মার্কিন ডলার
- শুক্রবার প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি
- "চিকিৎসকদের কোনো প্রকার অবহেলা সহ্য করা হবে না"
- বিএনপির হাতে শ্রমিকের রক্তের দাগ: ওবায়দুল কাদের
- বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠবেই: মির্জা ফখরুল
- জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এনএসইউ'ই সুনাম ধরে রেখেছে
- ইসলামে ন্যায্য মজুরি শ্রমিকের অধিকার
- সময়ের ঘোড়দৌড় ও একজন সাদা শ্রমিক
- যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় কেন পহেলা মে শ্রমিক দিবস নয়
- মে দিবস ও বাংলাদেশের শ্রমিক শ্রেণি
- পাল্টে যাওয়া শ্রমিক শ্রেণি: ভাবতে হবে নতুন করে
- রোদে পোড়া শ্রমিক জানে না মে দিবস কি
- কেন এতো মহান মে দিবস
- রক্তদাতারা মানবিক গুণের অধিকারী: কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা
- ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ প্রকাশ
- কেনিয়ায় বন্যায় আরও ৬৬ জনের মৃত্যু
- ভারতের কাছে বৃষ্টি আইনে ১৯ রানে হারলো বাংলাদেশ
- আবারও জ্বালানি তেলের দাম বাড়লো
- বিশ্বের সব মেহনতি মানুষকে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা
- সরকার শ্রমিকের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে: রাষ্ট্রপতি
- সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হবে
- আজ মহান মে দিবস
- আজ রাত থেকে তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে
- থাইল্যান্ড সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী
- ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে রাজী ইউরোপীয় ইউনিয়ন
- রেকর্ড তাপমাত্রা যশোরে ৪৩.৮
- চলমান হিট ওয়েভে স্বস্তি দিবে মিনিস্টার ফ্যান
- জি কে শামীমের আইনজীবীকে শাস্তি দিল আদালত
- যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীদের হামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিন কর্মকর্তা নিহত
- লেভানদোভস্কির গোলে বার্সার জয়
- নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশণা
- যেসব জেলায় স্কুল- কলেজ বন্ধ আজ
- "শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে বিএনপি সংকল্পবদ্ধ"
- দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ
- ৭ বছরে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা বেড়েছে মহাখালী ও গুলিস্তানে
- সকালে ৩৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ফিল ছিল ৪২
- পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১০ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকার বেশি
- মার্কিন নির্বাচনে চীন হস্তক্ষেপ করতে চাইছে: ব্লিঙ্কেন
- ফের সারাদেশে হিট এলার্ট জারি
- যুক্তরাষ্ট্র গেলেন বিএনপি নেতা আমির খসরু
- জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এনএসইউ'ই সুনাম ধরে রেখেছে
- এবার ঢাবির থেকে এগিয়ে এনএসইউ
- তাপপ্রবাহের সড়কে কৃত্তিম বৃষ্টি
- বিনিয়োগকারী সংগঠনের নামে শেয়ারবাজারে দীর্ঘদিন চাঁদাবাজী,ধরা পড়লো তিনজন
- রোহিত- কোহলির অবসর নিয়ে যা বললেন যুবরাজ
- হিট অফিসারের পরামর্শে রিকশাচালকদের আধা লিটার পানি দিচ্ছে ডিএনসিসি
- বিএনপি সিম্প্যাথি কার্ড খেলার অপচেষ্টা করছে: ওবায়দুল কাদের
- "পরিষ্কার ধারণা ছিলো, বিএনপির আন্দোলন সফল হবে না"
- বাংলাদেশ- ভারত সিরিজ নিয়ে বিসিবির সুখবর
- ইসরাইলকে থামাতে পারে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র: মাহমুদ আব্বাস
- তীব্র তাপদাহে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় নতুন নির্দেশনা
- ৭ বছরে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা বেড়েছে মহাখালী ও গুলিস্তানে
- আওয়ামী লীগ মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি: প্রধানমন্ত্রী
- যেসব জেলায় স্কুল- কলেজ বন্ধ আজ
- চলতি বছর বিশ্বে ৪০ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে মারা যেতে পারে
- ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল ইসলামী ব্যাংক
- আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা
- টানা ছয় দফা কমলো স্বর্ণের দাম
- ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- চলমান হিট ওয়েভে স্বস্তি দিবে মিনিস্টার ফ্যান
- ড্রয়ে শিরোপা অপেক্ষা বাড়লো পিএসজির
বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর
- রাফাহ শহরে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী
- ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিলো তুরস্ক