গল্প
অতুল ও কাছারি ঘর
মারুফ কামরুল
তাহেরপুর। হেমন্তবাবু বিশেষ দরকারে এই আয়তাকার পল্লিতে এসেছেন। নিজের কাজ সেরে রাতে কবিতা লিখতে বসেন। মাঝেমাঝে গুনগুনিয়ে গান গাওয়ার অভ্যাস আছে। দোচালা কাছারি ঘরে থাকেন।
শীতের সকাল। কাছারির সামনে চেয়ারে বসে রোদে পোহাচ্ছেন হেমন্তবাবু। বই হাতে থাকলেও তিনি দূরের মাঠের দিকে তাকিয়ে আছেন। খুব ক্ষীণস্বরে মুখ আওড়াচ্ছেন। পেছন থেকে কেউ হেসে উঠলো। হেমন্তবাবু চমকে উঠলেন। একটি কিশোরী মেয়ে এমন ফিক করে হেসে ওঠার কোনো কারণ তিনি খুঁজে পাননি। আবার কিছু বলে যাচ্ছেন মুখে আর কৃষকদের কাজ করা দেখছেন হয়তো। মেয়েটি মুচকি হাসছে। আরো একটু কাছে এসে দাঁড়ায়।
আচ্ছা আপনি নিজে নিজে কথা বলেন!
হুম, মাঝে মাঝে বলি।
নিজে নিজে কথা বলা মানুষ আমার বেশ পছন্দ।
তুমি আমাকে চেনো?
নাহ, চিনি না। তবে বেশ সময় ধরে আপনাকে দেখছি।
আমি এখানে সরকারি হুকুম তামিল করতে এসেছি, এই কাছারিতেই থাকবো।
আমি যদি ভুল না করি, আপনিই কবি হেমন্তবাবু।
আমি হেমন্তবাবু, এ পর্যন্ত ঠিক আছে।
নিজেকে লুকোতে চাইলেই তো লুকোনো যায় না কবি!
তোমার, নিজে নিজে কথা বলা মানুষ ভালো লাগে কেনো?
এই প্রশ্ন করার আগে আপনি অন্য প্রশ্নও করতে পারতেন!
যেমন!
এই ধরুন, তোমার নাম কী; কী করো- এসব প্রশ্ন তো করতে পারতেন।
ও তাই তো! তোমার নামটাই জানা হলো না।
ঠিক সময়ে জেনে যাবেন।
আচ্ছা এখন বলো নিজে নিজে কথা বলা মানুষ ভালো লাগে কেনো?
এর একটা সহজ উত্তর আমার জানা আছে- এই ধরনের মানুষগুলো মনের সব কথা নিজেকে বলে দেয়। নিজের শ্রোতা নিজেই।
সুন্দর বিশ্লেষণ করলে।
হুম ধন্যবাদ! আপনি বরং নিজে নিজে কথা বলেন; মা ডাকছে- যেতে হবে।
কিন্তু নামটা বললে না!
মা, কী নামে ডাকছে শুনতে পাননি?
আবারো ডাক এলো ‘অতুল দ্রুত আয়!’
অতুল চলে গেলো। হেমন্তবাবু ঘরে গিয়ে চা হাতে টেবিলের সামনে বসলেন। গতরাতের কবিতাটা টেনে নিলেন। দুটো লাইন কেটে নতুন চার লাইন যুক্ত করলেন।
‘হেমন্তবাবুর স্নানের পানি লাগবে কিনা দেখতো অতুল’ বলে পুকুর পাড়ে চলে গেলেন ঋতু বেগম। হেমন্তবাবু কাপড় শুকাতে দিচ্ছেন। পেছন থেকে অতুল ‘কবি’ বলে ডাক দিলো। আপনার গরম জল লাগবে? -‘গরম জল হলে ভালোই হতো, তবে এখন তো স্নান সেরে ফেলেছি। তবুও তোমাকে ধন্যবাদ।’ অতুল চলে যায়।
হেমন্তবাবু কাজে বের হওয়ার প্রস্তুুতি নিচ্ছেন। কাগজপত্র গুছিয়েছেন। সুগন্ধি মেখে বেরুবেন এমন সময় বাইর থেকে আওয়াজ এলো ‘ভেতরে আসবো’। ভাবলেন মেয়েটি আবার কেনো এলো। ‘এসো’ বলে তিনি নিজের কাজে মন দিলেন। ‘এইনেন, চা খেয়ে বেরুবেন।’ হেমন্তবাবু চা'র কাপ নিয়ে চুমুক দেয়। ‘এই শীতে গোসলের পর একটু চা, মন্দ হয় না, কী বলো অতুল!’ সম্মতিসূচক ‘হু’ বলে টেবিলে রাখা বইগুলোর দিকে তাঁকিয়ে আছে। রবীন্দ্র, আল মাহমুদ, নির্মলেন্দুগুণ, শামসুর রাহমান, হেলাল হাফিজ। কবিতার বইগুলো চেয়ে আছে। শরৎও য্যান মুখ খুলে বলতে চাইছে ‘বিলাসী’ ভালো নেই। ‘এই নেও অতুল, কাপটা ধরো, আমাকে দ্রুত বেরুতে হবে’ হেমন্তবাবু কাপটা বাড়িয়ে দিলেন অতুলের দিকে। ‘ও হ্যাঁ, দেন। ঠিক আছে, ভালো থাকুন, সাবধানে যেয়েন’ বলে অতুল চলে যায়।
সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে কাছারিতে ফিরেন হেমন্তবাবু। খানিকটা জিরুইয়ে রাতের খাবার সারেন। হিসেবের খাতাটা রেখে কবিতা লিখতে বসেন। বাইরে ঘুটঘুটে আঁধার। পাখি ডাকার শব্দও নাই। শীতে চারপাশ প্রায় জমে গেছে। কুয়াশা ঝরছে। হেমন্তবাবু আবুল হাসানের কবিতার বইটা খুঁজছেন। লেখতে বসলে প্রায় আবুল হাসানকে পড়েন। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছেন না। একবার ভাবলেন ভুলে রেখে এলাম না তো! নাহ, আজ সকালেও তো মনে হয় দেখছি। আচ্ছা সকালে অতুলকে একবার জিজ্ঞেস করা যাবে।
কাছারি থেকে পুরোনো আঁসটে গন্ধ, শেওলা জমা গন্ধ নাকে আসে। ঘুমও আসছে না। হেমন্তবাবু হাঁটছেন এপাশ থেকে ওপাশ। বহু বছর অতীত জমে আছে ঘরটায়। কতকিছু লেখা রয়েছে। আড়ার একপাশে একটি কাগজ ঝুলছে। মাকড়শার বাসা আর ধুলোবালিতে ঢেকে গেছে। বাইরে বাতাস নেই তবুও মনেহয় কাগজটি নড়ছে। কিছু লেখাও রয়েছে। হেমন্তবাবু চেয়ার টেনে উপরে উঠে কাগজটা নামালেন। ঝাড়ামোছার পর কয়েকটি পঙক্তি ভেসে উঠলো। লাইনগুলো পড়ে হেমন্তবাবু কেমন উদাস হয়ে উঠলেন-
‘মানুষের ওজনে ভারি হচ্ছে মহাকাল
মানুষ নিয়ে ডুব দিবে মহাকাল জাহাজ
গভীর থেকে গভীরে
মনুষ্যজাতি নেশায় বিভোর হয়ে পার করবে বছরকে বছর
এরপর মানুষ হওয়ার ইচ্ছে হবে না করোর
এক সন্ধ্যার পর ফুটবে না আলো
আঁধারে আঁধারে খেলা শেষ হবে পৃথিবীর’
ক্লান্ত মহাকাল/৯৫
লেখকের নামের অংশটা পোকায় কেটেছে। হেমন্তবাবু আরো গভীর চিন্তায় পড়লেন- এতো গভীর থেকে কেউ লেখতে পারে! সত্যিই তো মানষু মহাকালে স্থান নিতে ব্যস্ত। মহাকাল কী একদিন সত্যি তলিয়ে যাবে? কিছু বিখ্যাত মানুষের ছবিও মলিন মুখে ঝুলছে। হেমন্তবাবু ভাবছেন, আমার আগে এই কাছারিতে কত গুণিজন হেঁটেছেন, থেকেছেন! এবং তাঁদের মাঝে একজন প্রতিভাবান কবি তো ছিলেনই, যার প্রমাণ এই কবিতা।
বিদ্যুৎ চলে গেলো। গ্রামে এটা স্বাভাবিক। হেমন্তবাবু চিন্তার সুযোগ পেলেন। বারবার পঙক্তিগুলো আওড়াচ্ছেন। কল্পনা দিয়ে নাম নাজানা কবি’র একটি চিত্রও এঁকে ফেলেন। আচমকা দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে চমকে উঠেন। বললেন, কে? কে আপনি?
মৃদুসুরে ভেসে এলো ‘আমি অতুল’। ‘তুমি এতো রাতে’ বলে হেমন্তবাবু দরজা খুলে দিলেন। অতুল হ্যারিক্যান হাতে প্রবেশ করে। ‘অন্ধকারে আপনার ভয় করে না’ বলে হ্যারিক্যানটা টেবিলে রাখে। চাদরের নিচ থেকে বুকের সাথে লেপ্টে থাকা বইটা বের করে হেমন্তবাবুর হাতে দেয়। আবুল হাসানের কবিতা সমগ্র। বইটা ঠিক জায়গায় রেখে বললেন, ‘তুমি এতো রাতে এখানে এলে যে।’ হুম বলছি কবি- কবিতা পড়ছিলাম। আপনাকে না বলেই বইটা নিয়েছি। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় পড়তে ভালো লাগেনি। ভাবলাম আপনি অন্ধকারে পড়ে আছেন, আলো নিয়ে যাই আড্ডা দেওয়া যাবে। তাছাড়া একটা প্রশ্নও জেগেছে মনে।
তো প্রশ্নটা কী?
কবি আবুল হাসান লিখলেন-
‘চেয়েছিলো আরো কিছু কম
জলের খনি
তাকে দিক তৃষ্ণা এখনি
চেয়েছিলো একটি পুরুষ
তাকে বলুক রমনী’
আপনি কাউকে রমণী বলেছেন, কবি?
রমণী বলতে হলে অধিকার লাগে। অধিকারটা অর্জন করতে পারিনি। আচ্ছা অতুল, তোমার কাছে জীবনবোধটা কেমন?
বসে বলি?
নিশ্চয়- এসো বসি।
একই প্রশ্ন যদি আপনাকে করি!
আসলে জীবনকেই তো বুঝে উঠতে পারিনি।
একটা গল্প আপনাকে বললে কিছুটা হলেও বোধের অস্তিত্ব টের পাবেন। বলি!
চমশা খুলে টেবিলে রেখে বললেন- হুম, শুরু করো।
‘এই গ্রামের ছেলে মামুন। সালমাকে বিয়ে করে। মাস দুয়েক ভালোই চলে সংসার। দিনেদিনে দ্বন্দ¦মুখর হতে থাকে সম্পর্ক। দেড় বছরের মাথায় একটি মেয়ে হয়। কথা কাটাকাটি আর ঝড়ঝাপটা নিয়ে আরো বছর দুয়েক পার হলো। সংসারে ইতি টানতে হয়। মেয়েকে নিয়ে সালমা যায় বাবার বাড়ি। সেখান থেকে কাজের খোঁজে ঢাকা। মা কাজ করে আর মেয়ে লেখাপড়া। সেখানে মেয়েটি পড়ার পাশাপাশি কবিতার প্রেমে পড়ে যায়। আধুনিক যুগের কবিতার সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়। সালমা নতুন একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মেয়েটি মাধ্যমিকে পড়ে। সালমা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। মেয়েটিকে তাঁর পিতৃ পরিচয়ের জন্য রেখে যায় বাবার কাছে। মেয়েটি বড্ড অগোছালো, সারাদিন বনে বাদাড়ে ঘুরে বেড়ায়। মেয়েটির বাবা এরই মাঝে দুখান বিয়ে করেছে। শেষের বউটি আছে। দুটি ছেলেও আছে। এতো বছরেও নেশাখোর বাবাটি বদলায়নি। প্রতিরাতেই নেশাগ্রস্থ হয়ে মেয়েটির ঘরে যাতায়াত করে। মুহূর্তেই মাংসাসী হয়ে ওঠে। হিংস্রতা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে মেয়েটির ওপর। মাংসের ওপর মানুষের এতো লোভ কী করে হয়। খামচির দাগ, অবশ দেহ নিয়ে আবার সকাল শুরু করে। পাড়ার ব্যাপক মানুষের গালি খায়। আবার কালো একটি রাত কাটে সূর্যের অপেক্ষায়। তবে কবি, আজ রাত মেয়েটির জন্য ভিন্ন রকম। জানতে চাইবেন না মেয়েটি কে! মেয়েটি অতুল। আপনার খুব নিকটে বসা বিষন্ন জীবনবোধ।’ উদাস হয়ে গল্প বলে গেলো অতুল। রাত গভীর। চাঁদের আলো আর কুয়াশা বাইরে জড়াজড়িরত। অতুলের চোঁখে পানি। হেমন্তবাবু পানি মুছে দিলেন। অতুল ধীরে ধীরে মুখ গুঁজে দিলো হেমন্তবাবুর বুকে। তিনি খুব আলতো করে জড়িয়ে আছেন। কান্নার মৃদুতা বুকে বিঁধে যাচ্ছে। অতুল এমন প্রশস্ত বুক আর পায়নি। খুব মনোযোগী হয়ে বুকের ভেতরে ভালোবাসার প্রতিধ্বনি শুনছে। বুকে বুক পিষ্টের ব্যথায় রাত কাটতো অতুলের। এই প্রথম কারোর বুকে মাথা রাখার নিরাপদ আশ্রয় পেলো।
মাথা তুলবে অতুল?
আপনার বুকের ধুকধুক শব্দটা একটু শুনি।
অতুল, তোমার নাকটা খুব চোকা, চুলগুলো খুব শীতল।
কবি!
হুম বলো।
গত পাঁচদিন আগে চেয়ারম্যান চাচা আপনার আসার কথা বলে গেলেন। আমার দায়িত্ব হলো আপনার দেখভাল করা। সে থেকেই অপেক্ষা করে কাটছে আমার দিন।
অপেক্ষা করছিলে কেনো, অতুল?
আপনার কবিতার একজন ভক্ত। ম্যাগাজিনে পড়েছি। যার কবিতা ভালোবাসি তাকে কাছে থেকে পাবার আশায়।
আর?
এমন প্রশস্ত বুকে মাথা রাখবার ইচ্ছে ছিলো।
পিঠে হাত বুলিয়ে বললেন- কাছ থেকে পেয়েছো?
চোখ মুছতে মুছতে বলে- এতোটা কাছে পাবো ভাবিনি।
শুনো অতুল আমার কাছে জীবনবোধ এটাই।
প্রশ্নাতুর চোখে হেমন্তবাবুর মুখে চেয়ে বলে, কোনটা?
এইযে, মানুষের খুব কাছে চলে যাওয়া। যতটা মানুষ ভাবতে চায় না। জীবন দিয়ে জীবনকে আলিঙ্গন করা।
হাতটা হেমন্তবাবুর দিকে বাড়িয়ে বলল- কবি হাতটা একটু শক্ত করে ধরবেন?
বিদ্যুৎ চলে এলো। অতুল ওঠে দাঁড়ায়। ‘কবি গেলাম’ বলে হ্যারিক্যান হাতে ধীরে ধীরে সামনের দিকে পা বাড়ায়। হেমন্তবাবু দরজা পর্যন্ত আসেন। পেছন থেকে হাত ধরে বলেন, ‘ভালো থেকো’।
২.
‘কবি, কবি ঘুম ভাঙেনি’- বাইরে অতুল ডাকছে। দরজা খুলে হেমন্তবাবু অতুলকে ‘শুভ সকাল’ জানালেন, ভেতরে এসো। অতুল বলল, না, আপনার নাস্তা দিয়ে যাচ্ছি। নাস্তা রেখে যাওয়ার সময় বলে গেলো, গোসলের জন্য গরম পানি আছে। শুধু ‘অতুল’ বলে ডাকলেই হাজির হবো। এখন তবে নাস্তা সারুন।
দুপুরের খাবার শেষে হেমন্তবাবু কবিতা পড়ছেন। জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছে অতুল চুল শুকাচ্ছে। একটু পরেই মৃদুস্বরে ‘কবি’ ডাকে বাইরে তাকালেন, দেখলেন অতুল দাঁড়িয়ে। হেমন্তবাবুর ডাকে ভেতরে এলো। ‘কবিতা শুনবো’ বলে চৌকিতে বসলো। হেমন্তবাবুর মোবাইল বেজে ওঠে-‘একটু বোসো অতুল, আসছি’ বলে ফোন কানে বাইরে গেলেন।
কে কল করেছে, কবি?- অতুলের প্রশ্ন।
মা।
ও, মা কেমন আছেন?
ভালো তবে আমাকে নিয়ে চিন্তা করছে, কী খাচ্ছি, কোথায় থাকছি!
কেনো? আপনি মাকে আমার কথা বলেননি!
বলেছি, তোমার জন্য মা দোয়া করছেন।
অতুল হেমন্তবাবুুর হাত ধরে বলল- আমি মাকে দেখবো।
ওপাশ থেকে অতুলের ডাক পড়লো। হেমন্তবাবুর হাত ছেড়ে ‘এখন যাই, রাতে লুডু খেলবো কবি’ বলে এক দৌড়ে চলে যায়। ঋতু বেগম অর্থাৎ অতুলের বাবার তৃতীয় স্ত্রী। যাকে অতুল মা ডাকে। অতুলের চুলের মুটি ধরে ধুমধুম কিল মারে পিঠে, ‘মাগি কোথাকার, ব্যাটা দেখলে তর সয় না। সারাদিন ঐ বেটার কাছে কী তোর? তোর বাপ আসুক, আজ খবর আছে।’
সন্ধ্যা গেলো, রাত হলো। অতুল আসেনি। হেমন্তবাবুু অপেক্ষা করছেন। রাতের খাবার ঋতু বেগম দিয়ে গেছেন। হেমন্তবাবু ভেবেছিলো অতুলের কথা জিগ্যেস করবেন, সাহস হয়নি।
মার খাওয়ার পর অতুল তার ঘরে সুয়ে আছে। ঋতু বেগমের কাছে বাজে কথা শুনে টলতে টলতে মেয়ে ঘরে ঢুকে মামুন। ‘ঐ মাগি- তোর আজ স্বাদ মিঠামু, ঐ কবি'র কাছে তোর কী এতো!’
‘বাবা! তোমার পায়ে ধরি, আমারে আর কষ্ট দিও না। কামড়ের ব্যথা এখনো ভালো হয়নি। বাবা- বাবাগো- মরে যাবো...’ ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে আসে অতুলের কণ্ঠ।
গভীর রাতে দরজা ধাক্কার শব্দে চমকে উঠলেন হেমন্তবাবু। ‘অতুল আপনার ঘরে? দরজা খোলেন!’ মামুন নেশাক্রান্ত গলায় বলছে। ‘না তো’ হেমন্তবাবু বলেন। ‘অতুলকে খুঁজে পাইতাছি না কবি’ বলে টলতে টলতে চলে গেলো মামুন।
পরদিন সকালে কাছারি ঘরে নতুন আরেকটি কবিতা ঝুলতে দেখা যায়।
‘একবার রমণী শুনতে চেয়ে
কবিতা হয়ে ঝুলছে
জারুলের ডালে
চাঁদ রাঙা রাতে
আমার সমন্ত সপেছি
অতুলের হাতে’
-হেমন্তবাবু
শূন্য কাছারিতে কবিতার কাগজে মাকড়শা হেঁটে যায়...
(দ্য রিপোর্ট/একেএম/মে ১৮, ২০১৮)
পাঠকের মতামত:
- ওলামা দলের ৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা
- বিতর্কিত ক্যাচের ছবি দিয়ে যা বোঝালেন মুশফিক
- এসির টেম্পারেচার কত হলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
- জিম্মিকে ফিরিয়ে নিতে ১৮ দেশের বিবৃতি, যে বার্তা দিল হামাস
- দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগির, মাছের বাজার চড়া
- ওমরা পালনে ইচ্ছুক মুসল্লিদের জন্য সৌদি আরবের সুখবর
- আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের তাপদাহের খবর
- কী করছেন হিট অফিসার
- তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে, মে মাসের শুরুতে হতে পারে বৃষ্টি
- থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
- গরমের স্বস্তিতে মিনিস্টার এসি
- ছয় হাজার টন মসুর ডাল কিনবে সরকার
- বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রথম শ্রেণির ৫৭ কর্মকর্তার পদত্যাগ
- যুক্তরাষ্ট্রের টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আনা বিল অনুমোদন
- ১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী
- বৃষ্টির সম্ভ্যব্য সময় জানাল আবহাওয়া অফিস
- বেনজীরের নগদ অর্থের তথ্য চেয়েছে দুদক
- "উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুন্ন হতে পারে"
- ছুটি আরও বাড়বে কি না, জানা যাবে শনিবার
- "বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে"
- যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
- সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ
- শেয়ারের দাম কমার নতুন সীমা বেঁধে দিলো বিএসইসি
- "বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কা থাকে"
- "তাপপ্রবাহ কমে গেলে লোডশেডিং আর থাকবে না"
- নিয়োগপ্রাপ্ত আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির শপথ বৃহস্পতিবার
- দুদিনে সোনার দাম কমলো ভরিতে ৫২৩৮ টাকা
- তাপপ্রবাহে বাংলাদেশের শিশুরা উচ্চ ঝুঁকিতে
- ঈদযাত্রায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬৭ জন
- সারাদেশে হিটস্ট্রোকে ৪ জনের মৃত্যু
- প্রাইম ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে
- লোকসান থেকে মুনাফায় হাইডেলবার্গ সিমেন্ট
- "শরীয়াহভিত্তিক প্রোডাক্ট আনলে অনেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে"
- খালেদা জিয়ার গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি ২৫শে জুন
- ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রতিবাদ, গণগ্রেফতারের মুখে মার্কিন শিক্ষার্থীরা
- আমি এখানে কাজ শুরু করতে মুখিয়ে আছি: মুশতাক
- দুই সেঞ্চুরির ম্যাচে হারের খলনায়ক মুস্তাফিজ
- নির্যাতিত বাংলাদেশীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত: অমিত শাহ
- এমভি আবদুল্লাহর কয়লা খালাস শুরু, ২৩ নাবিকই ফিরবেন জাহাজে
- বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীর আদালত অবমাননার আদেশ পেছালো
- আগামী দিনে হজ্ব ব্যবস্থাপনা আরও স্মার্ট হবে: ধর্মমন্ত্রী
- ১১ বছরেও শেষ হয়নি রানা প্লাজা ধসের বিচার
- ইঞ্জিনসহ বগি লাইনচ্যুত, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ
- ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে গেলেন প্রধানমন্ত্রী
- সাংবাদিক আতিকুর রহমান হাবিব এর মৃত্যুতে বিএনপি মিডিয়া সেলের শোকবার্তা
- গাজা ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
- সূচকের পতনে লেনদেন শেষ
- হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
- পদ্মা নদীতে তিন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
- দায় এড়াতে পারেন না কারিগরি সাবেক চেয়ারম্যান: ডিবি হারুন
- কমেছে স্বর্ণের দাম
- ভোরের কাগজ পত্রিকার যুগ্ম বার্তা সম্পাদক আতিক আর নেই
- ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ওপর যে কারনে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- পদ্মা ব্যাংকের এমডির পদত্যাগ
- রাজধানীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
- বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ করতে আগ্রহী কাতার
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড
- বৃষ্টির সম্ভাবনা তবে অব্যাহত থাকবে তাপপ্রবাহও
- "দেশের বাইরেও সরকারকে হটানোর চক্রান্ত দীর্ঘদিন ধরে দেখছি"
- ঢাকা থেকে প্রধান ১৫ টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়লো
- কাতারের সঙ্গে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই
- পুঁজিবাজারের সংকট নিরসনে বিএসইসির তিন সিদ্ধান্ত
- সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ
- বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
- বাসাবাড়িতে এডিসের লার্ভা পেলেই জেল,জরিমানা: মেয়র
- কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি
- "আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে"
- পাঁচ দিনের সফরে বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- ট্রেন ভাড়ার ছাড় প্রত্যাহার, বাড়ছে ভাড়া
- প্রিমিয়ার ব্যাংকের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
- নাভানা ফার্মার পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
- মার্কেন্টাইল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
- না ফেরার দেশে অভিনেতা রুমি
- মালদ্বীপের নির্বাচনে চীনপন্থী মুইজ্জার বড় জয়
- রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে রিয়ালের কাছে হারল বার্সা
- এক কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা ছাত্রলীগের
- আসাম থেকে বাংলাদেশে আসছে মাসডো এর একটি বিশেষজ্ঞ টিম
- ইরান- ইসরাইল উত্তেজনা: স্থায়ী সংঘাতের সতর্কতা তুরস্কের
- প্রাথমিকে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ
- তিলকে তাল বানিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে: বেনজীর
- ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার কারন জানালো বিএসসিপিএলসি
- ইসরাইলের অস্ত্র ইরানি বাচ্চাদের খেলনা: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ধোনির রেকর্ড ভেঙ্গে তাঁকে টুপি খোলা শ্রদ্ধা রাহুলের
- হজযাত্রীদের স্বস্তি দিতে কাজ করছে সরকার: ধর্মমন্ত্রী
- এই অবৈধ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে আছে: রিজভী
- ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য দেশেই তৈরি হচ্ছে ডেঙ্গু টেস্ট কিট
- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে খোকনকে অব্যাহতি
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্সর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
- আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি: প্রধানমন্ত্রী
- বিএনপির প্রতি জনগণের কোনো আগ্রহ নেই: কাদের
- ট্রেনে বাঁ পায়ের সব আঙুল কাটা পড়েছে আনু মুহাম্মদের
- ঢাকা থেকে প্রধান ১৫ টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়লো
- এবারও বোরো মৌসুমে ধান ও চাল কিনবে সরকার
- টেকনো ড্রাগসের বিডিং শুরু আজ
- ইসলামী ব্যাংকের ময়মনসিংহ জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- কারসাজি চক্রের প্রভাবে সূচকের পতন, কঠোর অবস্থানে বিএসইসি
- ভোরের কাগজ পত্রিকার যুগ্ম বার্তা সম্পাদক আতিক আর নেই
- সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ
- তাপদাহ: দেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
- তীব্র তাপপ্রবাহে সচেতন হওয়ার পরামর্শ চিফ হিট অফিসারের