গল্প
স্বত্বাধিকারী
শফিক সাফি
আকাশের কান্না যেন আজ আর থামবে না। ঝুমঝুম বৃষ্টি পড়ছে তো, পড়ছেই। দু’জন পাশাপাশি বসে। হাতে চায়ের ধুমায়িত মগ। মালিহা তৃপ্তির বড় চুমুক দিল মগে। কথা বলতে বলতে যেন তার গলা শুকিয়ে কাঠ। এতক্ষণ ধরে মালিহার গল্প অবাক হয়ে শুনছিল রাবাব। আর অবলীলায় তা মনের বায়োস্কোপে চিত্রায়িত করছিল। মেয়েটি এতো সুন্দর করে কথা বলে!
হাতে থাকা এডিফাইস ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সময় দেখল সে। অনেক কাজ, উঠতে হবে কিন্তু মালিহার গল্প তাকে পেয়ে বসেছে। শেষ না করে উঠতে মন চাইছে না।
জিজ্ঞাসার দৃষ্টিতে মালিহার দিকে তাকাতেই রাবাবের এমন চাহনিতে লজ্জা পেল মালিহা।
চায়ের মগটা নামিয়ে রাখল টেবিলে। আবার বলতে শুরু করলো-
আমাকে এমনভাবে ব্ল্যাকমেইল করা হল। আমি কিছুতেই না করতে পারিনি। না যেতে যে চেষ্টা করিনি তা নয়। কিন্তু কে জানত, সে যাওয়াতেই আমার সব কিছু সাঙ্গ হবে।
আমি যখন যেতে চাইছিলাম না, তখন আম্মু বারবার আমাকে বলছিল, না গেলে আব্বু-চাচ্চুদের মানসম্মান থাকবে না। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর এই এক সমস্যা। শুধু সমস্যা বলবে না, বলব বড় সমস্যা। না খেয়ে থাকবে কিন্তু তাদের মানসম্মান যাওয়া চলবে না।
ওই দিন সকালের নাস্তা খেয়ে টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। মাঝে মাঝে এমনটি হয়ে যায়। ভর দুপুরে জোর করে আমাকে উঠানো হলো। আম্মু বারবার বলছিল, ওঠ, ভাত খেয়ে নাও। হাত ধরে টানাটানির এক পর্যায়ে খুব রাগ হচ্ছিল। আম্মুকে ধমক দিয়ে বলি, এমন করছো কেন? অন্যসময় এমন হলে নিশ্চিত আম্মু বকা দিত। কিন্তু এবার আমার রাগ যেন কিছুই মনে হচ্ছিল না তার কাছে।
বাধ্য হয়ে ঘুম থেকে উঠে বলি, আমি যেতে পারব না। ওকে (কাশু, ছোট বোন) নিয়ে যাও।
খুব স্বাভাবিক অথচ শীতল চোখে আম্মু চাহনি দিয়ে বলল, ওর সময় হলে ওকেও নিয়ে যাব।
বলেই সে পাশের ঘরে চলে গেল।
আম্মুকে শুনিয়ে জোরে জোরে বলতে লাগলাম, ‘আমার আয়রণ করা জামা নাই, শরীর খারাপ লাগছে’ ইত্যাদি।
কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না।
আম্মু এসে জেদ করেই বলল, তোমাকে তো পানিতে ফেলে দিয়ে আসছি না। আমারও ধারণা ছিল, কী আর হবে, দুই চারবার গেলেই কী সব হয়ে যায়? কিন্তু আমার যেতেই অসহ্য লাগছিল।
আম্মু যখন বলল, তুমি সেখানে গেলে বারগার আর ফুসকা খাওয়াব। তখন আমি চুপ।
ফেভারিট খাওয়ারগুলোর প্রস্তাবের লোভ সামলাই কিভাবে।
আমার যে কোথাও যেতে হচ্ছে তা আগের রাতে আম্মু আর আব্বুর ফিস ফিস শুনে মোটামুটি টের পেয়েছিলাম। কী আর করা। মনে মনে ভাবলাম, রিস্ক নেই একটা। এক-দুইবার গেলেই কিছু আর হবে।
তৈরি হয়ে আম্মুর সঙ্গে রওনা হলাম।
১.১
সময়টা, মধ্য এপ্রিল। বসন্তের মাতলামি শেষে গ্রীষ্মের পাগলামিতে মাটি ফ্যাকাশে। ধীরে ধীরে বাড়ছে তাপ। বাড়ছে ঝড়ের প্রকোপও। চারদিকে আম, জাম, কাঁঠালের সঙ্গে বেলী, বকুলের পসরা। সূর্য হেলে পড়তে শুরু করেছে। দুই পাশের গাছের সারি। রোদ খুব একটা লাগছে না। রিক্সা করে আমি আর আম্মু রহমান মার্কেটের যাচ্ছিলাম। এই এলাকার এটিই ভাল মার্কেট। বাসা থেকে রওনা হওয়ার দশ মিনিটের মধ্যে তিনবার ফোন দিয়েছে আব্বু। জানতে চাইছে, আমাদের অবস্থান কোথায়। এই অবস্থান জানা শুরু হয়েছে, বাসায় থাকার সময় থেকেই। আমি যখন রেডি হয়নি, তখনও আম্মু বলেছে, হ্যা হ্যা ও রেডি হয়েছে। এখনই বের হবো। অথচ তখনও আমি তৈরিই হয়নি।
রিক্সায় আম্মু বলছিল, ফোনটা আমার কাছে দাও। আমি একটু অবাক হয়েছিলাম। বললাম, ফোন তোমার কাছে দেওয়ার কী আছে। তোমার কী দেখানো লাগবে আমি মোবাইল ব্যবহার করি না। আগে বলতে, তাহলে তো আমি হিজাব পরেই আসতাম। হিজাব না বোরকা পরে মুখ ডেকে আসতাম।
মার্কেটটার কাছাকাছি আসতেই আম্মুর ফোন বেজে উঠল। আব্বু জানতে চাইল, তোমরা কী মার্কেটে ঢুকে গেছ? আম্মু না বলায়, সেখানে না গিয়ে আরেকটি জায়গায় যেতে বলল আব্বু।
জায়গাটা রাস্তাতেই পড়ে। তাই রিক্সা আর ঘুরানো লাগেনি।
কিছু দূর যেতেই পৌঁছে গেলাম।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর কৃত্রিম বিনোদন কেন্দ্র এটি। নাম গার্ডেন। এখানে আরেকবার এসেছিলাম, বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিতে। ঢুকতেই একটি লেক, এপাশ থেকে ওপাশে সাদা রংয়ের একটি ছোট কাঠের ব্রিজ, পাশেই কিছু চেয়ার টেবিল, সাদা ফুলে পরিবেশটা অপরুপ। কেন্দ্রটির মূল কাঠামোতে ঢোকার মুখেই ফুলেভরা কয়েকটা কৃষ্ণচুড়ার গাছ, গাছের ডালে প্রতিদিনের অতিথি পাখি। ঢুকতেই সোজা একটি সৃদুশ্য ছাউনি।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলো বলে। যে যার মতো মুহূর্তগুলো উপভোগ করছে। অথচ মায়ের পাশে বসে আমার, বিরক্ত, নাহ মহাবিরক্ত লাগছে। পালাতে চাচ্ছিল মন। নানান কিছু ভাবছিলাম।
ভাবনায় চিন্তার ছেদ পড়ল, যখন দেখলাম একটা ছেলে সেখানে ঢুকল। সঙ্গে দুই বন্ধু। সে একনজর তাকালো আমার আর আম্মুর দিকে। পাত্তা দিলাম না। পরক্ষণেই ভাবনায় ডুবে গেলাম। মস্তিষ্কের নিউরন জুড়ে বলছে, ক্ষণস্থায়ী এ জীবনের অনভূতি কত বিচিত্র। কত তুচ্ছ কারণে চোখ ঝাপসা হয়ে যায়, আবার ওলট-পালট করা ঝড়েও কী শান্ত, কী স্থির মানুষের হৃদয়।
ভাবছি আর দেখছি, ছেলেটি আমার দিকেই এগিয়ে আসছে। লম্বা, শ্যামলা বর্ণের গাঢ় কালো পোলো টি শার্ট আর নীল জিন্স গায়ে। সেই প্রথম দেখা।
২.১
আবার মগে চুমুক দিয়ে রাবাবের দিকে তাকালো মালিহা। বলল, এমনটি কিন্তু হওয়ার কথা ছিল না। রাবাব বারান্দায় এক পাশে জানালার ধারে হেলান দিয়ে দাঁড়ানো। বৃষ্টির আচ আসছে। সেদিকে খেয়াল নেই। মালিহার গল্পের বায়োস্কোপের ঘোরে মগ্ন সে। মালিহার প্রশ্নে ঘোর ভাঙ্গে।
মালিহা কথা বলতে বলতে আনমনে, এক হাতে বৃষ্টি ধরতে চাইছে। বৃষ্টির কিছুটা আচ হাতে নিয়ে তা দিয়ে মুখ মুছল।
আহ। মাঝে মাঝে বৃষ্টিটা এতো ভাল লাগে-রাবাবের দিকে তাকিয়ে বলল।
টিনের চালে বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ আমারও মন ভাল করে দেয়- মালিহার কথার সঙ্গে নিজের ভাললাগা মুহুর্তের তাল মেলাতে চাইল।
ও যা বলছিলাম, মালিহা আবার বলতে শুরু করলো।
ছেলেটির পেছন পেছন তার দুইজন বন্ধু নিয়ে আম্মু আর আমার সামনে এসে দাঁড়াল। এর মধ্যে একজন আমাদের পূর্ব পরিচিত। সে আলাপ করিয়ে দিল। সাধারণ সৌজন্যতা। অল্পবিস্তর কথা। সঙ্গে থাকা একবন্ধু বলল, তোমরা কথা বল। তারা আম্মু নিয়ে উঠে চলে গেল।
আমি কিন্তু ভাবলেশহীন। ছেলেটিই আগ বাড়িয়ে জানতে চাইলো, কেমন আছেন?
বললাম, ভাল। পাশে বসা আম্মু। অথচ কিভাবে কথা বলছে ছেলেটি, একটু অবাক হচ্ছিলাম।
এখানে কেন এসেছেন, তা তো জানেন-ছেলেটির এমন প্রশ্নের জবাব কিন্তু আমি দেইনি।
কিঞ্চিৎ সন্দিহান ছেলেটির আবার প্রশ্ন করেছিল- আপনার কোনো পিছুটান নেই তো।
এবার কাটা কাটা জবাব দিলাম-থাকলে কী এখানে আসি।
আমি প্রচুর বিরক্ত হচ্ছিলাম।
কারণ আম্মু এখানে আসার আগে আমাকে সিচ্যুয়েশন ব্রিফ করেছে। বলেছে, রহমান মার্কেট যাবে। কিছু জিনিসপত্র কিনবে, আমরা খাব, ব্যস বাসায় চলে আসব। কেউ আমাদের সামনেও আসবে না, কিছু জিজ্ঞাসাও করবে না। বুঝতেও দিবে না যে তারা এসেছিল। উনারা সাইট থেকে দেখে চলে যাবে।
আর এখানে আসার পর কি হলো। ‘ঘন্টার মাথা’।
খিলখিলয়ে হাসতে লাগলো মালিহা। ‘ঘন্টার মাথা’ শব্দটি সাধারণত সে এভাবে ব্যবহার করে না। কদাচিৎ মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায়।
৩.১
মালিহা আর রাবাব যেখানে বসে কথা বলছিল, সেই বারান্দার সঙ্গে লাগোয়া পুকুর। সেদিকে তাকিয়ে মালিহা বৃষ্টি আর পুকুরের পানির মেলামেশার রসায়ন দেখতে গিয়ে হাসল। আড় চোখে রাবাবের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসল।
মালিহা বলল, ছেলেটি যখন থেমে থেকে কথা বলছিল, তখন আমার মনে হচ্ছিল তার কথার ভান্ডারে খুব শিগগিরই টান পড়বে। কিন্তু এখন মনে হয় সেটি ভুল ছিল।
আমাকে যখন ছেলেটি জিজ্ঞেস করেছিল, আপনার কী কোনো পিছুটান আছে।
আমি জবাব দেইনি। বরং বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম, সরি।
সে আবার একই প্রশ্ন করল, আপনার কী কোনো পিছুটান আছে।
আমি বললাম, পিছুটান মিন্স (মানে)।
সে বলল, থাকে না, রিলেশনশিপ বা এমন কিছু।
তখন আমি বললাম, ও আচ্ছা। থাকলে তো আর এখানে আসতাম না।
পরে কিছু না বলে মাথা নিচু করে ছিলাম।
ছেলেটির এক বন্ধু এসে গার্ডেনে ডুকতেই ডান পাশে একটি সুন্দর জায়গায় বসার ব্যবস্থা করে দিল।
আমরা সেখানে যাওয়ার পর ছেলেটি জানতে চাইল, আপনার পছন্দের কী কী আছে।
আমি বললাম, পছন্দ মানে কী। পছন্দ তো অনেক কিছুই। যেমন গান আমার মুডের ওপর নির্ভর করে। ভাল মুড হলে এক ধরনের গান শুনি। মুড খারাপ থাকলে অন্য গান শুনি।
‘যদি থাকে নসিবে, আপনি আপনি আসিবে।’ এমন একটি গানের কথা সে বারবার বলতে লাগলো। মোবাইলে ডাটা থাকলে সে তখনই শুনাতে চাচ্ছিল। এখন বুঝি কেন সে বারবার সেই গানটি শোনাতে চাচ্ছিল।
কিছুক্ষণ চুপ চাপ দুইজনেই। ছেলেটি নার্ভাস জানিয়ে বলেছিল, আগে এভাবে সে কোনো মেয়ের সঙ্গে বসে কথা বলিনি। আমি নার্ভাস কী-না তাও জানতে চাইল? জবাবে বলেছিলাম হওয়াটাই স্বাভাবিক।
কথা বলার এক পর্যায়ে সে বলল, আসলে আমি তো সুন্দরভাবে কথা বলতে পারি না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার পরও কিন্তু মেয়েদের সঙ্গে কথা বলার অভিজ্ঞতা নেই।
তখন বেশ রাগ হচ্ছিল। বললাম, না আসলে আমি জানতাম। যারা লিখে তারা তো অনেক বেশি কথা বলতে পারে। কথা বলতে না পারলে লিখতে পারে না। সবারে দিয়ে যে, সব কাজ হয় না। এটা শিখলাম।
ছেলেটি বলল, না আমি কথা বলতে পারি। কিন্তু আপনার মতো, মাংস কাটে না এমন কট কট করে কাটতে পারি না।
আমি হাসলাম।
প্রথমবার দেখায় এভাবে হাসতে হয় না-ছেলেটির এমন কথায় আমি আবার হাসলাম।
আলোচনার এক পর্যায়ে ছেলেটি একটু ইমোশনাল হয়ে বলল, আমি আমার বাবা মাকে অনেক বেশি ভালবাসি।
আমার আর কিছু জানার আছে কী-না তা জানতে চাইল ছেলেটি। না বলায়, আমি আম্মুর কাছে ফিরে এলাম।
আমরা যখন উঠি তখন ছেলেটি আমার পিছনে হাটছিল। রুমটা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে গেলো। এটা সাধারণ ভদ্রতা। কিন্তু অনেকেই দেখায় না।
ছেলেটি বাইরে গেল। তারা চলে যেতে চাচ্ছিল। কিন্তু আব্বু আসবে জানার পর অপেক্ষা করতে লাগল। কিছুক্ষণ পর আব্বু আসল।
বাইরে থেকে তারাও আব্বু পেছন পেছন আসল। আম্মু বলল, ওর বাবার বাজে কোনো স্বভাব নেই, সিগারেটও খায় না তখন ছেলেটির দিকে প্রথমবার ভাল করে তাকিয়েছিলাম। কেন তাকিয়েছিলাম, জানি না। তবে মনে হয়, তখন ছেলেটির শরীর থেকে সিগারেটের গন্ধ আসছিল। থাকে না টাটকা সিগারেটের গন্ধ। এই জন্য আম্মু বলার পর আমি সঙ্গে সঙ্গে তাকিয়েছিলাম। ছেলেটি তখন মাথা নিচু করে হাসছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম, সে সিগারেট খায়।
আমরা গার্ডেনের খাবার ঘরে গিয়ে বসলাম। খাবারের অর্ডার দেওয়া হলো। এক পর্যায়ে ছেলেটির ওপর আমার বিশ্রি রাগ হচ্ছিল। সে বারবার বলছিল, খাচ্ছেন না কেন, খান। চিনি না জানি না, আম্মু আব্বুর সামনে কেমনে আমার সঙ্গে কথা বলছে। কিন্তু পরে মনে হয়েছে, সেটা তো সাধারণ ভদ্রতার মধ্যে পড়ে। ভদ্রতা থেকেই হয়ত ছেলেটি বলছিল, খান। তবে বিরক্ত হলেও ভাবছিলাম, এই পর্যন্তই শেষ। সেকেন্ড টাইম আর এই ছেলের সঙ্গে দেখা তো দূরে থাক এসব নিয়ে আমার পর্যন্ত আসবেই না।
আমরা বিদায় নিলাম। যাওয়ার আগে ছেলেটি বলল, যদি আল্লাহ চায় আবার দেখা হবে। তখনও আমার ভেতর কোনো কিছুই কাজ করতে ছিল না। কখন বাসায় যাব, খাব সেই চিন্তা। খাওয়ার কথা বলে এনে কিছুই খেতে পারলাম না। কেমন বমি বমি লাগছিল।
৪.১
আকাশে হঠাৎ বাজ পড়লো। চমকে উঠল মালিহা। মগ থেকে কিছুটা চা পড়ে গেল। রাবাব টিস্যুর বক্স এগিয়ে দিয়ে বলল, দ্বিতীয়বার দেখা হয়েছিল?
হাসতে লাগলো মালিহা। বৃষ্টির শব্দের সঙ্গে সেই হাসি যেন সুর তুলল।
মালিহা জানাল, ওই ঘটনার ঠিক সপ্তাহখানেক পর দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে তাদের বিয়ে হয়।
হাসতে হাসতে আনন্দে মালিহার চোখ ধরে এসেছিল।
চোখটা মুছিয়ে চিবুকের তিলে হাত বুলাতে বুলাতে রাবাব বললো, কেঁদো না। এটাই নিয়তি।
ঘরে চল। চল কেক কাটি। আজ তোমার জন্মদিন।
শুভ জন্মদিন বৌ।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/আগস্ট ১৪,২০১৮)
পাঠকের মতামত:
- হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত
- ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইকোর্ট
- যেভাবে তরুণ আইনজীবি থেকে ক্ষমতার সিংহাসনে রাইসি
- দ্বিতীয় দিনে আবারও সড়ক অবরোধ অটোরিকশা চালকদের
- ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর খবরে অস্থির তেলের বাজার
- "অটোরিকশা বন্ধের মধ্য দিয়ে গরিবের আহার কেড়ে নেয়া হয়েছে"
- খামেনির ঘনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট রাইসি সম্পর্কে যা জানা যায়
- রাঙামাটিতে ইউপিডিডিএফ'র অর্ধদিবস অবরোধ চলছে
- কোপা আমেরিকাতেও খেলা হচ্ছে না এদেরসনের
- টানা চার মৌসুম প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ম্যান সিটির
- সৌদি পৌঁছেছেন ৩০ হাজার ৮১০ জন হজযাত্রী
- দেশের ১১টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝড়ের আভাস
- মোহাম্মদ মোখবার হবেন ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট
- তাপদাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির
- প্রেসিডেন্ট রাইসির বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারে প্রাণের কোনো চিহ্ন নেই
- ইরানের গণমাধ্যম বলছে, রাইসি নিহত হয়েছেন
- "ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কি ঋণখেলাপিরা ঢুকবে"
- আওয়ামী লীগ এখন পরগাছায় পরিণত হয়েছে: জিএম কাদের
- সোনার ভরি ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে
- "কিরগিজস্তানে কোন বাংলাদেশি ছাত্র গুরুতর আহত হয়নি"
- শিল্প খাত পরিবেশবান্ধব হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী
- দেশটা এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে: মির্জা ফখরুল
- হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর শঙ্কা
- ডিজিটাল সংযোগ আরো সম্প্রসারণের সংকল্প গ্রামীণফোন সিইওর
- ডিজিটাল সংযোগ আরো সম্প্রসারণের সংকল্প গ্রামীণফোন সিইওর
- হজ যাত্রীদের হেলথ চেক আপে বিকাশে ১০০ টাকা পর্যন্ত ছাড়
- শেয়ার হস্তান্তর করাবেন আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোক্তা
- নর্দার্ন ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়
- স্যানিটেশনকর্মীদের স্বাস্থ্যগত রক্ষায় কাজ করবে হারপিক ও সাজেদা ফাউন্ডেশন
- ঈদ উপলক্ষ্যে নতুন মডেলের পণ্য উন্মোচন করেছে ওয়ালটন
- ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে শরী‘আহ সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার
- সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত
- "লড়াকু মানসিকতার শান্ত একজন ভালো নেতা"
- "বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে"
- তাপপ্রবাহের মধ্যে চোখ রাঙানি দিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল
- ৭ উদ্যোক্ত্যর হাতে জাতীয় এসএমই পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- ২১মে ঢাকা আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আজ শেষ হচ্ছে এসএসসির ফলাফলের পুনঃনিরীক্ষার আবেদন
- মিরপুরে অটোরিকশা চালকদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
- বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশে: প্রধানমন্ত্রী
- পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট চূড়ায় বাবর আলী
- আফগানিস্তানে বন্যায় অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু
- কানে ঐশ্বরিয়ার লুক নিয়ে কটাক্ষ
- হিজবুল্লাহর হামলায় ক্ষয়ক্ষতি কথা স্বীকার করলো ইসরায়েল
- পশুর জন্য প্রাকৃতিক খাদ্যে উৎপাদন বাড়াতে বললেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
- পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৭ হাজার ১০৫ কোটি টাকার বেশি
- বজ্রপাতে সাতজনের মৃত্যু
- "বাংলাদেশের বিপক্ষে যে যাবে আমরা তার বিপক্ষে আছি"
- তাপস মনগড়া ও অসত্য তথ্য দিচ্ছেন: সাঈদ খোকন
- জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি
- বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা কেন ঢুকবেন, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের
- নটর ডেম কলেজে ভর্তির আবেদন শুরু ২৫শে মে
- সুমাত্রায় ভয়ঙ্কর বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭ জন
- ভারতের প্রধান কোচ হবার প্রস্তাব পেলেন গম্ভীর
- এবার মেজর লিগে খেলবেন সাকিব
- ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে
- "শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মানে গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন"
- ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে ১৩টি দেশ
- ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস, ২ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত
- গাজা থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার
- অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
- মদিনায় চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশী হজযাত্রীর মৃত্যু
- ইআরডিএফবির আয়োজনে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- ইসরাইলের সামরিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে হিজবুল্লাহর ড্রোন
- রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের মুরগির দাম কমেছে
- বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র
- রাফায় হামলা বন্ধে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিতে আইসিজের প্রতি আহবান
- বিএনপির সময় ঋণ খেলাপির তালিকা সবচেয়ে বড় ছিল: আইনমন্ত্রী
- "প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টার ফলে টেলিযোগাযোগ সেবা সবার হাতের মুঠোয়"
- বাজেট ৬ জুন দিবো ও বাস্তবায়নও করব: প্রধানমন্ত্রী
- ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫
- যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না: স্টেট ডিপার্টমেন্ট
- "আ.লীগ সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছে"
- আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
- ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে ১৩টি দেশ
- সরকার স্যাংশন বা ভিসানীতির কেয়ার করে না: কাদের
- সাকিবের রেকর্ড, রিয়াদের আক্ষেপ
- বিমানের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার নামে চার্জশিট, অব্যাহতি ১৪
- বিশ্বকাপ দল ঘোষণা, সহ-অধিনায়ক তাসকিন
- আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- পাঁচটি ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- কোহলিকে অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান সাবেক তারকারা
- চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে নিপুণের রিট
- এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালকের শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত
- নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ষড়যন্ত্র সফল হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- দেশের ৫৮ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে তাপপ্রবাহ
- গাজায় নিহতের অর্ধেকের বেশি বেসামরিক নারী ও শিশু: জাতিসংঘ
- লুর বাংলাদেশ সফর গুরুত্বপূর্ণ নয়: বিএনপি
- বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছেড়েছেন সাকিব-শান্তরা
- প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ
- ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন ৫ জুন
- ঢাকায় এসেছেন ডোনাল্ড লু
- মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- বিশ্বে বাংলাদেশকে এগিতে নিতেই আলোচনা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- মিরাজকে নিয়ে চমক দিতে পারে বিসিবি!
- সৌদি পৌঁছেছেন ১৮ হাজার ৬৫১ জন হজযাত্রী
- "বাংলাদেশ ব্যাংকের থলের বিড়াল বের হতে শুরু করছে"
- আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
- বাংলাদেশ প্রসঙ্গে পশ্চিমা বিশ্ব তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি: মির্জা ফখরুল