thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

নাটোরে বাসচালকের আত্মসমর্পণ

২০১৮ আগস্ট ২৮ ১৭:২৩:৪৯
নাটোরে বাসচালকের আত্মসমর্পণ

নাটোর প্রতিনিধি: জেলার লালপুরে বাস-লেগুনা সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় বাসচালক মো. শামীম হোসেন আত্মসমর্পণ করেছেন।

মঙ্গলবার বগুড়া জেলা মোটরশ্রমিক সমিতির কার্যালয়ে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। পরে শ্রমিকনেতারা তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্দিন শেখ হেলাল বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে শামীম আমার কাছে (কার্যালয়) আত্মসমর্পণ করেছে। পরে আমি তাঁকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি।’ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী জানান, শামীম হোসেনকে নাটোর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে গত রবিবার এ মামলায় বাসচালকের সহকারী আবদুস সামাদ কমলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বগুড়া শহরের পলাশবাড়ি এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশ। ওই বাসের মালিক মঞ্জু সরকারকে বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়িতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়।

গত শনিবার বিকেল চারটার দিকে নাটোরের লালপুরের কদিমচিলান ক্লিক মোড়ের সাদিয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে চ্যালেঞ্জার নামের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী লেগুনার সংঘর্ষ হয়। এতে লেগুনাটি দুমড়ে–মুচড়ে যায়। বাসটি পড়ে যায় সড়কের পাশে খাদে। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় লেগুনার ১০ যাত্রী। বাসটি পাবনা থেকে নাটোর হয়ে রাজশাহী যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার পরপর আশপাশের লোকজন ছুটে এসে লেগুনার অপর ৪ যাত্রী ও বাসের ৮ যাত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারে যোগ দেন বনপাড়া হাইওয়ে থানা, লালপুর থানা, নাটোর ও লালপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আহত ব্যক্তিদের বড়াইগ্রামের বনপাড়া শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লেগুনার আরও ৪ যাত্রী মারা যান। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মীরকামারি গ্রামের সালামত আলীর মেয়ে সুমাইয়া (১১ মাস) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যায়।

লেগুনার বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রী নুরসেদ সর্দার (৭২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বলেছিলেন, লেগুনাটি বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাইপাসের লেগুনা স্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া যাচ্ছিল। লেগুনাটি ছাড়ার পর থেকেই চালক এলোমেলো চালাচ্ছিলেন। চালক মোবাইলে কথা বলছিলেন। হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মুহূর্তে সবকিছু তছনছ হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় তিনি স্ত্রী লজেলাকে হারিয়েছেন।

পরের দিন সকালে এ ঘটনায় লালপুর থানায় সাতজনকে আসামি করে মামলা হয়। বনপাড়া হাইওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ইউছুব আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় বনপাড়া লেগুনা স্ট্যান্ডের সভাপতি জাবেদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, লেগুনার চালক, চালকের সহকারী, চ্যালেঞ্জার বাসের মালিক, বাসের চালক ও চালকের সহকারীকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্য লেগুনার চালক ও তাঁর সহকারী দুজনই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। আর চ্যালেঞ্জার বাসের মালিক, চালক ও চালকের সহকারীকে অজ্ঞাত দেখানো হয়।আসামিদের মধ্য লেগুনার চালক ও তাঁর সহকারী দুজনই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/আগস্ট ২৮, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর