thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

বুড়িগঙ্গা নদীতে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে

পরিবেশ অধিদফতর ও বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানকে তলব

২০১৪ মার্চ ০৫ ১৪:২৫:১৬
পরিবেশ অধিদফতর ও বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানকে তলব

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আদালতের আদেশ অমান্য করে বুড়িগঙ্গা নদীর উপর স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক রাইসুল আলম ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান ড. শামসুদ্দিন খোন্দকারকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

৮ এপ্রিল এই দুইজনকে স্বশরীরে হাইকোর্টে হাজির হয়ে নদী দখল বন্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তার কারণ ব্যাখ্যা করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ।

আবেদনকারী আইনজীবী জানান, ২০০৯ সালের ২৫ জুন উচ্চ আদালত থেকে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু এবং তুরাগ নদী রক্ষায় রায় দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে নদী রক্ষায় বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।

কিন্তু উচ্চ আদালতে এ রায় বহাল থাকা সত্ত্বেও পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএ’র ব্যর্থতার কারণে ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদী দখল করে ওরিয়ন গ্রুপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। যা আদালত অবমাননার শামিল।

শুনানি শেষে আদালত ওরিয়ন গ্রুপের নির্মাণ স্থাপনার উপর স্থিতাবস্থা জারি করেন এবং মামলার শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা নদীতে অবৈধ দখল, মাটি ভরাট এবং নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন।

হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ মঙ্গলবার এ রিট আবেদন দায়ের করে। এর আগে ৩ মার্চ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।

বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান ড. মো. শামছুদ্দোহা খন্দকার, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে একটি দৈনিক পত্রিকায় সোমবার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ ধরনের কার্যক্রম সম্পূর্ণ আইনবিরোধী এবং অবৈধ উল্লেখ করা হয়। এ প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এ রিট আবেদন দাখিল করা হয়।
পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিপুরে বুড়িগঙ্গা নদী দখল করে ওরিয়ন গ্রুপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। বুড়িগঙ্গার এ অংশে নদীর সীমানা থেকে অন্তত ৬০ ফুট ভেতরে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ করে আনা হয়েছে। সরকারি কাগজপত্রেও নদীর একটি অংশ দখলের সত্যতা মিলেছে। এমনকি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (পিডিবি) জমা দেওয়া ওরিয়নের নকশায়ও এ দখলের প্রমাণ রয়েছে। ইআইএ না নিয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য পরিবেশ অধিদফতর এরই মধ্যে ৫০ লাখ টাকা জরিমানাও করেছে ওরিয়নকে। তাতেও বেপরোয়া নদী দখল প্রক্রিয়া থামেনি।

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এপি/এএইচ/মার্চ ০৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর