thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ 24, ৫ চৈত্র ১৪৩০,  ৯ রমজান 1445

আইয়ুব বাচ্চুর জানাজা কাল, দাফন শনিবার

২০১৮ অক্টোবর ১৮ ১২:৫৪:১১
আইয়ুব বাচ্চুর জানাজা কাল, দাফন শনিবার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম জানাজা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) বাদ জুমা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর শনিবার (২০ অক্টোবর) চট্টগ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি এই শিল্পী বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।

জানা গেছে, সকালে বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর খবরে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

আইয়ুব বাচ্চু দীর্ঘদিন ধরে হৃদযন্ত্রের অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তার হার্টের কার্যক্ষমতা ছিলো ৩০ শতাংশ। সর্বশেষ তিনি গত সপ্তাহে স্কয়ার হাসপাতালেই চিকিৎসা নিয়েছেন। এখন তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।

সকাল ১১টায় স্কয়ার হাসপাতাল পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিসেস) ড. মির্জা নাজিম উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কিংবদন্তী এ সংগীতশিল্পী বৃহস্পতিবার সকালে ৯ টা ৫৫ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন।

তিনি বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৮ আইয়ুব বাচ্চুকে তার বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তার ড্রাইভার আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমরা তাকে মৃত অবস্থাতেই পাই। তারপরও ১৫ থেকে ২০ মিনিটি চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। পরে ৯ টা ৫৫ মিনিটে তাকে আমরা মৃত ঘোষণা করি।’

ডা. মির্জা নাজিম জানান, আইয়ুব বাচ্চুর ড্রাইভারই তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখন জরুরি বিভাগে নেওয়া হয় তাঁকে। সেই সময় তার মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল। জরুরি বিভাগেই মৃত অবস্থায় তাকে দেখতে পান হাসাপাতালের চিকিৎসকরা।

তিনি আরও বলেন, ‘আইয়ুব বাচ্চু বহুদিন থেকে হৃদরোগে ভুগছেন। সাধারণ মানুষের চেয়েও কম রক্তচাপ ছিল তার হার্টের, সর্বনিম্ন ছিল ত্রিশের ঘরে। এই রোগটির নাম কার্ডিও-মাইওপ্যাথি।’

জনপ্রিয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক। সঙ্গীত জগতে ১৯৭৮ সালে তার যাত্রা শুরু হয় ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যমে। এরপর দশ বছর সোলস ব্যান্ডে লিড গিটারিস্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন তিনি।

গুণী এই শিল্পী শ্রোতা-ভক্তদের কাছে ‘এবি’ নামেও পরিচিত। রক ঘরানার গান করলেও আধুনিক, শাস্ত্রীয় সংগীত আর লোকগীতি দিয়েও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন তিনি।

আশির দশকে আইয়ুব বাচ্চুই এদেশে প্রথম দ্বৈত এলবাম একত্রে প্রকাশ করে সঙ্গীত জগতে প্রকাশ করেন। এরপর বাংলা ব্যান্ডসঙ্গীতকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যান।

‘চলো বদলে যাই’, ‘ফেরারি মন’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘হকার’, ‘আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি’,‘বাংলাদেশ’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা তিনি। নব্বইয়ের আইয়ুব বাচ্চু নিজের ডাকনাম রবিন নাম নিয়ে একক গানের এলবাম বের করেন।

আইয়ুব বাচ্চু শুধু গায়ক ও বাদক হিসেবেই নয়, দেশের অনেক জনপ্রিয় গানের সুরও করেছেন তিনি।

১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন জনপ্রিয় এই শিল্পী।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ১৮, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর