thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

এটিএম বুথে জালিয়াতি: ইউক্রেনের ৬ নাগরিক রিমান্ডে

২০১৯ জুন ০৩ ২০:২৫:২৩
এটিএম বুথে জালিয়াতি: ইউক্রেনের ৬ নাগরিক রিমান্ডে

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে কার্ড জালিয়াতি করে তিন লাখ টাকা উত্তোলনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ছয় ইউক্রেনের নাগরিকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন ভ্যালেন্টাইন সোকোলভস্কি (৩৭), শেভচুক ওলেগ (৪৬), ডেনিস ভিতোমেস্কি (২০), নাজারি ভোজনক (১৯), সের্গেই ইউক্রেনেটজ (৩৩) ও ভালোদিমির ট্রুশিনিস্কি (৩৭)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মো. আরিফুর রহমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করে ৮ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে এটিএম বুথে জালিয়াতির অপকর্মে জড়িত থাকায় ওই ৬ ব্যক্তিকে শনিবার রাজধানীর পান্থপথের একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহিদুর রহমান রিপন গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার খিলগাঁওয়ে আরেকটি বুথে প্রবেশ করে এটিএম বুথে জালিয়াতি করতে যায় ওই একই ব্যক্তিরা। এ সময় তারা ছিলেন মুখোশ ও ক্যাপ পরা। এ সময় বুথের নিরাপত্তা রক্ষীর সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি জানান। স্থানীয় লোকজন এসে তাদের একজনকে আটক করে।

আটক ব্যক্তির দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে পুলিশ পান্থপথের হোটেল ওলিও ড্রিম হ্যাভেন থেকে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। তবে এই চক্রের এক সদস্য পলাতক আছে।

পুলিশ এবং ব্যাংক সূত্রমতে, বিদেশী দু’জন নাগরিক শুক্রবার ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ৩ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। এ বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন বুথের নিরাপত্তারক্ষী। অভিযোগ পেয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে। এ সময় তারা দেখতে পান, দু’ব্যক্তি সত্যি টাকা তুলছে। ওই টাকা উত্তোলনের সঙ্গে কোনো একাউন্ট সংশ্লিষ্ট নয়। এমন কি ব্যাংকের সার্ভারেও এর রেকর্ড ওঠেনি।

শাহিদুর রহমান রিপন বলেন, ইউক্রেন থেকে ৭ জন একসঙ্গে বাংলাদেশে এসেছেন। এরমধ্যে ভিটালি ক্লিমচাক (৩১) পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এ বিষয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে।

তিনি জানান, গ্রেপ্তারদের কাছে যে কার্ড পাওয়া গেছে, তা কাজ করে ভিন্নভাবে। যখন এই কার্ড এটিএম বুথের মেশিনে প্রবেশ করানো হয়, তখন বুথ ও ব্যাংকের সার্ভারের মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। তারপর তারা তাদের মতো করে অর্থ উত্তোলন করে। এমন প্রতারণা এর আগে কখনো দেখা যায়নি বলেও মন্তব্য করেন এই পুলিশ কমকর্তা।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ জুন ০৩,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর