দুই সিন্ডিকেটের কারসাজি: চামড়ার বাজারে বিপর্যয়
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: স্মরণকালের ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে কোরবানির পশুর চামড়ার বাজার। তারল্য সংকটের অজুহাত তোলা হলেও বিপর্যয়ের মূল কারণ দুই সিন্ডিকেটের কারসাজি।
মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ন্যায্য দাম না পেয়ে লক্ষাধিক পিস পশুর চামড়া ফেলে দেয়। যার অধিকাংশই মাটির নিচে চাপা দেয়া হয়। কিছু ভাসিয়ে দেয়া হয় নদীতে। রাস্তায় ফেলে যাওয়া চামড়া পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
ক্ষুব্ধ মৌসুমি ব্যবসায়ী ও কোরবানি দাতাদের নব্য প্রতিবাদে শেষ পর্যন্ত টনক নড়ে সরকারের। বিপুলসংখ্যক চামড়া নষ্ট করে ফেলায় এ খাতের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন কমে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
এ পরিস্থিতিতে ঈদের পর দিনই তড়িঘড়ি কাঁচা চামড়া রফতানির সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে কাঁচা চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। এবার লবণ ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেটও এর সঙ্গে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঈদের রাতে সাতশ’ টাকা বস্তার (৬০ কেজি) লবণ বিক্রি হয় ১২৫০ টাকায়। বিদ্যমান অন্যান্য সংকটের সঙ্গে যোগ হচ্ছে চামড়া সমস্যা। মহলবিশেষ শঙ্কা প্রকাশ করে বলে, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। কাজেই তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
শনিবার থেকে কাঁচা চামড়া কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চামড়ার দামে কারসাজি আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ট্যানারি মালিকদের পর্যাপ্ত টাকা দেয়া হয়েছে। কাজেই তারল্য সংকটের অজুহাত মেনে নেয়ার মতো নয়।
এটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলছেন, ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে চামড়ার দাম কমেছে। সোমবার দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। এদিন সারা দেশে লাখ লাখ পশু কোরবানি হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কোরবানির পশুর চামড়া কেনা নিয়ে দু’টি সিন্ডিকেট সব সময় সক্রিয়। এর একটি ট্যানারি মালিক পক্ষ অপরটি আড়তদারের পক্ষ। চামড়ার বাজারে এবারের অবস্থার পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজি রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা ফায়দা লুটছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবছরই একে অপরকে দোষারোপ করে পার পেয়ে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিঃস্ব হয় মৌসুমি ব্যবসায়ী, বঞ্চিত হয় কোরবানিদাতা এবং গরিব ও এতিমরা। সিন্ডিকেট গরিব এতিমদের ভাগে থাবা বসিয়েছে। উল্লেখ্য, চামড়া বিক্রির টাকা দুস্থ গরিব এতিমদের মাঝে বিতরণ করা হয়ে থাকে।
চামড়ার বাজারে ধস নামার কারণে দরিদ্র মানুষগুলো মোটা অঙ্কের অর্থ সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অন্যদিকে কম দামে চামড়া কিনে মোটা অঙ্কের মুনাফা করবে ট্যানারির মালিক ও আড়তদাররা। এখন কাঁচা চামড়া রফতানির অনুমতি মেলায় শত শত কোটি টাকার অতিরিক্ত লাভ হাতিয়ে নেবে এ চক্রটি।
জানা গেছে, ট্যানারি শিল্পের মোট চাহিদার ৬০ শতাংশ পূরণ হয় কোরবানির ঈদে। এই ৬০ শতাংশের চামড়ার বাজার থেকে বেশি মুনাফার আশায় মূল্য বেঁধে দেয়া হয়। প্রতিবছরের মতো এবারও তাই করা হয়েছে। এটি করা হয় সরকারকে সঙ্গে নিয়েই। অথচ সারা বছর ৪০ শতাংশ সংগ্রহকৃত চামড়ার মূল্য বেঁধে দেয়া হয় না।
প্রশ্ন উঠেছে কার স্বার্থে কোরবানির চামড়ার মূল্য বেঁধে দেয়া হয়। মূল্য বেঁধে দেয়া হলেও দেশের ভেতর চামড়াজাত পণ্যের দাম কমছে না। এক জোড়া চামড়া জুতা এখনও কমপক্ষে ছয় থেকে আট হাজার টাকায় বিক্রি হয়। সিন্ডিকেট ব্যস্ত থাকে কত কম দামে চামড়া নিজের ট্যানারিতে ঢোকানো যায় তা নিয়ে।
অপরদিকে ট্যানারির মালিকদের কাছে সারা দেশের আড়তদারদের পাওয়া ৩০০ কোটি টাকা। এ টাকা ঈদের আগেই শোধ দেয়ার কথা। এজন্য ট্যানারি
মালিকদের ব্যাংক ঋণ দেয়া হয়েছে। কিন্তু টাকা পরিশোধ করা হয়নি। এ সুযোগে আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে মাঠ পর্যায়ে চামড়া কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। যে কারণে মৌসুমি ক্রেতা ও কোরবানিদাতাদের চামড়া বিক্রির জায়গা ছিল না। সারা দেশের আড়তগুলো থেকে একই কথা বলা হয়েছে তারল্য সংকট। এজন্য চামড়া কেনা যাচ্ছে না। বিশ্লেষকদের মতে আড়তদারদের সিন্ডিকেটের বিষয়টি এক্ষেত্রে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
এর সঙ্গে এবার আরও একটি সিন্ডিকেট যোগ হয়েছে। সেটি হচ্ছে কতিপয় লবণ ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট। ঈদের রাতে এক বস্তা (৬০ কেজি) লবণের দাম ১২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়।
অথচ এক সপ্তাহ আগে অর্ধেক দামে বিক্রি করা হয়েছে। লবণের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় অনেকে চামড়া কিনতে সাহস পায়নি। চামড়ার বাজারে বড় ধরনের বিপর্যয়ের এটাও একটি কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের মতে, সারা বছর চামড়া কেনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দাম বেঁধে দেয়া হয় না। অথচ ঈদের সময় দাম বেঁধে দেয়া হচ্ছে। এতে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়ছে।
১০ টাকার ছাগলের চামড়ায় লবণ মেশাতে শ্রমিকদের মজুরি গুনতে হয় ২০ টাকা, দুই ফুট ছাগলের চামড়া প্রায় এক কেজির ওপর লবণ মেশাতে হবে। পাশাপাশি এটি হেমায়েতপুর নেয়া পর্যন্ত পরিবহন ভাড়া রয়েছে।
এসব হিসাব করে দেখা গেছে সরকারের নির্ধারিত মূল্য থেকে বেশি দাম হয়ে যা। ফলে অনেক ব্যবসায়ী দাম কেনা থেকে বিরত রয়েছেন। অথচ দাম বেঁধে না দিলে তারা মুক্ত বাজারে কেনা বেচার সুযোগ পেতেন।
চাহিদা এবং পণ্যের মানের ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ হতো। এ শিল্পের ক্ষেত্রে যা আগে প্রযোজ্য ছিল।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ বুধবার বলেন, চামড়ার বাজারে এই অস্থিতিশীলতার জন্য আড়তদারগণ দায়ী। কারণ ট্যানারির মালিক পক্ষ আগামী ২০ আগস্ট থেকে লবণযুক্ত চামড়া কিনবে। এখন কিনছে আড়তদাররা। তিনি আরও বলেন, সারা বছর দাম বেঁধে দেয়া হয় না।
শুধু কোরবানিতে দেয়া কারণ যাতে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বাজার অস্থিতিশীল না করে। এখন যে পরিস্থিতি দাম বেঁধে না দিলেও চলবে। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার মূল্য কম।
এসব দিক বিবেচনা করেই সব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৪৫-৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫-৪০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
এছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮-২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৩-১৫ টাকায় সংগ্রহ করতে বলা হয়। কিন্তু সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ কমে কোরবানির পশুর চামড়া বেচা-বিক্রি হয়েছে।
এক লাখ টাকা মূল্যের গরুর চামড়া মাত্র ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়। মাত্র ৬০ টাকায়ও গরুর চামড়া বিক্রির রেকর্ড হয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষ ৫০০ টাকায় গরুর চামড়া বেচা-বিক্রি হয়। আর একটি ছাগলের চামড়া ২০ টাকা ও বকরির চামড়া ৮ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঈদের দিন সোমবার ও পরের দিন মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে পশুর চামড়ার দামের এই চিত্র দেখা গেছে।
ঈদের দিন শুরু থেকে কোরবানিদাতারা চামড়া বিক্রির লোক খুঁজে পায়নি। যারা বিক্রি করতে পেরেছেন তাও নামমাত্র মূল্যে। ন্যায্যমূল্যে না পেয়ে অনেক মাদ্রাসা ও এতিমখানার, লোকজনকে বিনা পয়সায় দিয়েছেন।
রাজধানীর হাজারীবাগ গজমহলের বাসিন্দা এনাম হোসেন সায়েম জানান, পাঁচটি গরুর চামড়া বিক্রি করেছেন মাত্র ২ হাজার টাকায়। তিনি বলেন, সরকার চামড়ার মূল্য বেঁধে দেয়ার পরও নির্ধারিত মূল্যে কেনা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, চামড়া রফতানি করে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হচ্ছে। কিন্তু এ বছর অনেক চামড়া মাটিতে পুঁতে নষ্ট করা হয়। সরকার এ খাতে ওয়েট ব্ল– চামড়া রফতানির অনুমোদন দিতে পারে। এটি চালু হলে চামড়ার মূল্য বাড়বে। কারণ তখন চামড়া খুঁজে খুঁজে সবাই কিনবে।
জানা গেছে, দাম না পেয়ে চটগ্রামে ১ লাখ পিস চামড়া রাস্তায় ফেলে দেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে সিটি কর্পোরেশন তা মাটির নিচে পুঁতে ফেলে। সিলেটে রাস্তায় ফেলে দেয়া ২০ ট্রাক চামড়া পরিষ্কার করেছে সিটি কর্পোরেশন। আর ফতুল্লায় কয়েক হাজার চামড়া রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়। এই পচা চামড়া সরাতে সীমানা নিয়ে দুই কর্পোরেশনের মধ্যে টানাটানি শুরু হয়।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিধিদের পাঠানো চিত্রে দেখা যায়, নদীতে মাছের খাবার হিসেবে কেটে চামড়া ফেলে দিয়েছে, অনেকে প্রবহমান নদীর পানিতে ফেলে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে অনেক কোরবানিদাতা নিজেই মাটিতে পুঁতে দিয়েছেন।
সৈয়দপুরে ৮০০ পিস চামড়া মাটি খুঁড়ে পুঁতে ফেলা হয়। জানতে চাইলে ‘বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ)’ সভাপতি হাজী মো. দেলোয়ার হোসেন বুধবার জানান, চামড়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন ট্যানারি মালিকরা, রফতানি করছেন তারা। কিন্তু বাজার অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী করা হচ্ছে আড়তদারদের।
আড়ত মালিকরা ৩০০ কোটি টাকা পাবে ট্যানারিগুলোর কাছে। ঈদের আগে মাত্র ৩টি ট্যানারি শতভাগ পাওনা পরিশোধ করেছে। ৭টি ট্যানারি ৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পাওনা দিয়েছে। বাকি ৯০ শতাংশ ট্যানারির মালিক বকেয়া টাকা পরিশোধ করেনি। তিনি আরও বলেন, সরকার কাঁচা চামড়া রফতানির অনুমোতি দিয়েছে। এখন চেষ্টা করা হবে কাঁচা চামড়া রফতানির।
সাভার প্রতিনিধি জানান, ট্যানারি শিল্প এলাকায় বুধবার সকালে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা চামড়ায় লবণ না দিয়েই ঈদের দিন রাতে ট্রাকে করে চামড়া নিয়ে এসেছেন। বিক্রি করতে না পেরে চামড়া ট্রাকেই রেখেছেন। জায়গার অভাবে কোথাও নামাতেও পারছেন না, অন্যদিকে ট্রাকের ভাড়াও বেড়েছে দ্বিগুণ।
সাভার ট্যানারির এএস লেদারের পক্ষে চামড়া কিনছেন গোলাম মোস্তফা। তিনি জানান, চামড়া ভালো হলে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে কেনা হচ্ছে। এ পর্যন্ত চামড়া কেনা হয়েছে পাঁচ হাজারে উপরে। তিনি আশা করছেন, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে লবণ দেয়া কাঁচা চামড়া এসে পৌঁছবে।
চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিস জানায়, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত রাস্তার ধারে চামড়া ফেলে চোখের পানি মুছতে মুছতে বাড়ি ফিরেছেন।
এ ধরনের অন্তত এক লাখ চামড়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ট্রাকে তুলে নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে পুঁতে ফেলেছে। চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতি এবার সাড়ে পাঁচ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশের মতো চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান সমিতির সভাপতি আবদুল কাদের।
মঙ্গলবার দুপুরে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের প্রধান শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী যীশু বলেন, ‘বহদ্দারহাট, আতুরার ডিপো ও মুরাদপুর এলাকা থেকে প্রায় ৭০ ট্রাকে ১ লাখ পিসের মতো চামড়া আমরা অপসারণ করেছি।
নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার আরেফিন নগর এলাকায় এবং হালিশহরের আনন্দবাজারে আমাদের নির্দিষ্ট আবর্জনার ভাগাড়ে তা পুঁতে ফেলা হয়েছে। সিলেট ব্যুরো জানায়, ব্যবসায়ীরা প্রতি পিস চামড়ার দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকার বেশি দিতে রাজি হননি।
এমনকি অনেক ব্যবসায়ী বাকিতে চামড়া কিনতেও রাজি না হওয়ায় রাস্তায় চামড়া ফেলে প্রতিবাদ জানানো হয়। সিসিকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান বলেন, ‘নগরী থেকে প্রায় ২০ ট্রাক চামড়া ডাম্পিং করা হয়েছে। ঈদের দিন বিক্রি করতে না পারায় মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন মোড়ে এসব চামড়া রাখা ছিল। পরে সেগুলো ডাম্পিং করা হয়।’
কোরবানির ঈদে পশুর চামড়া কেনার লোক না পাওয়ায় বালাগঞ্জে কুশিয়ারা নদীতে চামড়া ফেলে প্রতিবাদ জানানো হয়। রাজশাহী, যশোর, নওগাঁ, সাতক্ষীরা, শেরপুর, সিরাজগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, পিরোজপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ, সাভার, ফতুল্লাহসহ দেশের প্রায় সব জেলায় চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
গরু-ছাগলের চামড়া কিনতে নারাজ ব্যবসায়ীরা। চাপাচাপির মুখে পানির দামে কিনেছেন। গরুর চামড়া দুই থেকে আড়াইশ টাকায়। কোথাও এর চেয়েও কম। ছাগলের চামড়া ১০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে বলে বিভিন্ন ব্যুরো অফিস এবং প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত : ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কাঁচা চামড়া রফতানির অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্ধারিত মূল্যে কাঁচা চামড়া ক্রয়-বিক্রয় নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে কাঁচা চামড়ার গুণাগুণ যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য স্থানীয়ভাবে সংরক্ষণের জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়ার ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ সম্মেলন : কাঁচা চামড়া রফতানির বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ট্যানারি মালিকদের অ্যাসোসিয়েশন বিটিএ।
বুধবার ধানমণ্ডির নিজস্ব অফিসে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সেখানে বিটিএ’র সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, ‘আমরা জেনেছি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাঁচা চামড়া রফতানির সুযোগ দিতে যাচ্ছে।
এতে শতভাগ দেশীয় এ শিল্প হুমকির মুখে পড়বে। সাভারের আধুনিক চামড়া শিল্পনগরী প্রয়োজনীয় কাঁচা চামড়ার অভাবে সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়বে। এতে হুমকির মধ্যে পড়বে এ শিল্পনগরীতে ৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ। আর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাঁচা চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/আগস্ট ১৫, ২০১৯)
পাঠকের মতামত:
- ওলামা দলের ৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা
- বিতর্কিত ক্যাচের ছবি দিয়ে যা বোঝালেন মুশফিক
- এসির টেম্পারেচার কত হলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
- জিম্মিকে ফিরিয়ে নিতে ১৮ দেশের বিবৃতি, যে বার্তা দিল হামাস
- দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগির, মাছের বাজার চড়া
- ওমরা পালনে ইচ্ছুক মুসল্লিদের জন্য সৌদি আরবের সুখবর
- আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের তাপদাহের খবর
- কী করছেন হিট অফিসার
- তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে, মে মাসের শুরুতে হতে পারে বৃষ্টি
- থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
- গরমের স্বস্তিতে মিনিস্টার এসি
- ছয় হাজার টন মসুর ডাল কিনবে সরকার
- বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রথম শ্রেণির ৫৭ কর্মকর্তার পদত্যাগ
- যুক্তরাষ্ট্রের টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আনা বিল অনুমোদন
- ১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী
- বৃষ্টির সম্ভ্যব্য সময় জানাল আবহাওয়া অফিস
- বেনজীরের নগদ অর্থের তথ্য চেয়েছে দুদক
- "উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুন্ন হতে পারে"
- ছুটি আরও বাড়বে কি না, জানা যাবে শনিবার
- "বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে"
- যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
- সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ
- শেয়ারের দাম কমার নতুন সীমা বেঁধে দিলো বিএসইসি
- "বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কা থাকে"
- "তাপপ্রবাহ কমে গেলে লোডশেডিং আর থাকবে না"
- নিয়োগপ্রাপ্ত আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির শপথ বৃহস্পতিবার
- দুদিনে সোনার দাম কমলো ভরিতে ৫২৩৮ টাকা
- তাপপ্রবাহে বাংলাদেশের শিশুরা উচ্চ ঝুঁকিতে
- ঈদযাত্রায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬৭ জন
- সারাদেশে হিটস্ট্রোকে ৪ জনের মৃত্যু
- প্রাইম ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে
- লোকসান থেকে মুনাফায় হাইডেলবার্গ সিমেন্ট
- "শরীয়াহভিত্তিক প্রোডাক্ট আনলে অনেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে"
- খালেদা জিয়ার গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি ২৫শে জুন
- ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রতিবাদ, গণগ্রেফতারের মুখে মার্কিন শিক্ষার্থীরা
- আমি এখানে কাজ শুরু করতে মুখিয়ে আছি: মুশতাক
- দুই সেঞ্চুরির ম্যাচে হারের খলনায়ক মুস্তাফিজ
- নির্যাতিত বাংলাদেশীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত: অমিত শাহ
- এমভি আবদুল্লাহর কয়লা খালাস শুরু, ২৩ নাবিকই ফিরবেন জাহাজে
- বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীর আদালত অবমাননার আদেশ পেছালো
- আগামী দিনে হজ্ব ব্যবস্থাপনা আরও স্মার্ট হবে: ধর্মমন্ত্রী
- ১১ বছরেও শেষ হয়নি রানা প্লাজা ধসের বিচার
- ইঞ্জিনসহ বগি লাইনচ্যুত, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ
- ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে গেলেন প্রধানমন্ত্রী
- সাংবাদিক আতিকুর রহমান হাবিব এর মৃত্যুতে বিএনপি মিডিয়া সেলের শোকবার্তা
- গাজা ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
- সূচকের পতনে লেনদেন শেষ
- হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
- পদ্মা নদীতে তিন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
- দায় এড়াতে পারেন না কারিগরি সাবেক চেয়ারম্যান: ডিবি হারুন
- কমেছে স্বর্ণের দাম
- ভোরের কাগজ পত্রিকার যুগ্ম বার্তা সম্পাদক আতিক আর নেই
- ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ওপর যে কারনে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- পদ্মা ব্যাংকের এমডির পদত্যাগ
- রাজধানীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
- বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ করতে আগ্রহী কাতার
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড
- বৃষ্টির সম্ভাবনা তবে অব্যাহত থাকবে তাপপ্রবাহও
- "দেশের বাইরেও সরকারকে হটানোর চক্রান্ত দীর্ঘদিন ধরে দেখছি"
- ঢাকা থেকে প্রধান ১৫ টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়লো
- কাতারের সঙ্গে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই
- পুঁজিবাজারের সংকট নিরসনে বিএসইসির তিন সিদ্ধান্ত
- সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ
- বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
- বাসাবাড়িতে এডিসের লার্ভা পেলেই জেল,জরিমানা: মেয়র
- কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি
- "আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে"
- পাঁচ দিনের সফরে বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- ট্রেন ভাড়ার ছাড় প্রত্যাহার, বাড়ছে ভাড়া
- প্রিমিয়ার ব্যাংকের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
- নাভানা ফার্মার পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
- মার্কেন্টাইল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
- না ফেরার দেশে অভিনেতা রুমি
- মালদ্বীপের নির্বাচনে চীনপন্থী মুইজ্জার বড় জয়
- রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে রিয়ালের কাছে হারল বার্সা
- এক কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা ছাত্রলীগের
- আসাম থেকে বাংলাদেশে আসছে মাসডো এর একটি বিশেষজ্ঞ টিম
- ইরান- ইসরাইল উত্তেজনা: স্থায়ী সংঘাতের সতর্কতা তুরস্কের
- প্রাথমিকে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ
- তিলকে তাল বানিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে: বেনজীর
- ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার কারন জানালো বিএসসিপিএলসি
- ইসরাইলের অস্ত্র ইরানি বাচ্চাদের খেলনা: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ধোনির রেকর্ড ভেঙ্গে তাঁকে টুপি খোলা শ্রদ্ধা রাহুলের
- হজযাত্রীদের স্বস্তি দিতে কাজ করছে সরকার: ধর্মমন্ত্রী
- এই অবৈধ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে আছে: রিজভী
- ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য দেশেই তৈরি হচ্ছে ডেঙ্গু টেস্ট কিট
- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে খোকনকে অব্যাহতি
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্সর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
- আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি: প্রধানমন্ত্রী
- বিএনপির প্রতি জনগণের কোনো আগ্রহ নেই: কাদের
- ট্রেনে বাঁ পায়ের সব আঙুল কাটা পড়েছে আনু মুহাম্মদের
- ঢাকা থেকে প্রধান ১৫ টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়লো
- এবারও বোরো মৌসুমে ধান ও চাল কিনবে সরকার
- টেকনো ড্রাগসের বিডিং শুরু আজ
- ইসলামী ব্যাংকের ময়মনসিংহ জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- কারসাজি চক্রের প্রভাবে সূচকের পতন, কঠোর অবস্থানে বিএসইসি
- ভোরের কাগজ পত্রিকার যুগ্ম বার্তা সম্পাদক আতিক আর নেই
- সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ
- তাপদাহ: দেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
- তীব্র তাপপ্রবাহে সচেতন হওয়ার পরামর্শ চিফ হিট অফিসারের