thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

মানবতাবিরোধী অপরাধ: পুঠিয়ার সামাদের রায় মঙ্গলবার

২০১৯ আগস্ট ২৬ ১৪:২৫:৫৪
মানবতাবিরোধী অপরাধ: পুঠিয়ার সামাদের রায় মঙ্গলবার

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়ার আব্দুস সামাদ ওরফে ফিরোজ খাঁ ওরফে মুসার বিষয়ে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রায় ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেছেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর ঋষিকেশ ও জাহিদ ইমাম। আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

এর আগে গত ৮ জুলাই উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল।

মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত চলাকালীন সময়ে নাশকতার অন্য এক মামলায় গ্রেফতার হন আসামি আব্দুস সামাদ ওরফে ফিরোজ খাঁ ওরফে মুসা। ২০১৭ সালে ২৪ জানুয়ারি তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় পশ্চিমভাগ ও গোটিয়া গ্রামে আদিবাসী ও বাঙালিদের ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালান আব্দুস সামাদ ওরফে ফিরোজ খাঁ ওরফে মুসা। এ সময় তার নেতৃত্বে সেখানে চলে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা। তার বিরুদ্ধে মামলা করেন মুসার হাতে নিহত পশ্চিমভাগ গ্রামের শহীদ আবদুস সামাদের স্ত্রী রাফিয়া বেওয়া। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অপরাধের তদন্ত শুরু হয়। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুসার বয়স ছিল ২০ থেকে ২২ বছর। ওই বয়সে তিনি পাকিস্তানের পক্ষে এলাকার যুবকদের নিয়ে দল গঠন করেন। ১৯৭১ সালের ১২ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পুঠিয়া আক্রমণ করে মানুষ হত্যা ও অগ্নিসংযোগ শুরু করলে মুসা হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেন।’

বিবরণে আরও বলা হয়, ‘১৯ এপ্রিল তিনি ৩০-৪০ জন হানাদার বাহিনীর সদস্য নিয়ে বাঁশবাড়িয়া গ্রামে যান। সেখানে তারা ২১ জনকে আটক করেন। তাদের নিয়ে রাখা হয় গোটিয়া গ্রামের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের বাড়িতে। সেখানে দিনভর নির্যাতন করে ১৭ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়। হত্যা করা হয় চারজনকে।’

‘পুঠিয়ার দুর্গাপুরে তার নির্দেশে তাদের গুলি করে মারা হয়। এরপর মুসার নির্দেশে পশ্চিমভাগ মাদরাসার সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আক্কেল আলীর ছেলে আবদুস সাত্তারকে। মুসা পশ্চিমভাগ সাঁওতালপাড়ার ধনাঢ্য আদিবাসী লাডে হেমব্রমের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেন।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/আগস্ট ২৬ ,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর