‘ধর্ম ও দ্বিজাতিতত্ত্বের দেশবিভাগ আমার কাছে পীড়াদায়ক’
অধ্যাপক ড. ধ্রুবজ্যোতি লাহিড়ির জন্ম ১৯৩৬ সালে মালদহ জেলার ইংরেজবাজারে। বাবা-সুরাজলাল লাহিড়ি, মা- স্নেহলতা লাহিড়ি। শৈশব, কৈশোরে ছিলেন পাবনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ শহরে। প্রাণিবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরেট অর্জন করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কলকাতার চারুচন্দ্র কলেজ এবং দিল্লির National Council of Educational Research & Training (N.C.E.R.T)-এ অধ্যাপনা করেছেন।
ড. ধ্রুবজ্যোতি লাহিড়ি সমগ্র ভারতের বিদ্যালয়স্তরে বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, পাঠ্যসূচি, পাঠ্যপুস্তক ও পরীক্ষা সংস্কারের উন্নয়নের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার নেতৃত্বে রূপায়িত চারটি বই UNESCO-এর উদ্যোগে ফরাসি, চেক, চীনা ও আরবি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। অবসর গ্রহণের পরে মানবাধিকার শিক্ষা, নারী শিক্ষা ও আদিবাসী শিক্ষার প্রসার ও গবেষণায় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক কর্মসূচিতে যুক্ত আছেন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কর্মের ব্যবস্থা, পাক সেনাবাহিনীর বীভৎস অত্যাচারের বিশ্বস্ত তথ্য ভারতে ও বিদেশে প্রচার, চিত্র প্রদর্শনী, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সংগঠনগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন, শরণার্থী শিবিরে সেবাদানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা ও জীবনের নানা দিক নিয়ে দ্য রিপোর্টের সঙ্গে কথা বলেন ড. লাহিড়ি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক মুহম্মদ আকবর
মুক্তিযুদ্ধ সময়ের কথা জানতে চাই।
পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের গণতান্ত্রিক রায়কে নস্যাৎ করার চক্রান্তের প্রতিবাদে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক আহ্বান, ‘ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ কেবল পূর্ববাংলায় নয়, সারাবিশ্বের সকল সচেতন মানুষ উদ্বুদ্ধ হন। রাতারাতি সামরিক কর্তৃপক্ষের অতর্কিত আক্রমণে পূর্ববাংলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। তাদের আক্রমণের নিশানায় ছাত্র-শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী মহল, নারীর সম্মান ভূলুণ্ঠিত। অসহায় মানুষের মিছিল আসতে থাকে পশ্চিমবঙ্গে। আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন অসংখ্য ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। বাঙালির উপর এ নৃশংস আক্রমণে পশ্চিমবঙ্গবাসীরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উপর আক্রোশে অধীর, তেমনি আকুল আশ্রয়প্রার্থীদের সাহায্য করতে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক দিলীপ চক্রবর্তীর উদ্যোগে এবং উপাচার্য সত্যেন সেন ও সহ-উপাচার্য পূর্ণেন্দুকুমার বসুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ৩ এপ্রিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ স্ট্রিট প্রাঙ্গণে ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন আশ্রয়প্রার্থীদের যথাসাধ্য সাহায্য করা হবে সাংগঠনিক শৃঙ্খলায়। সেদিনই গঠিত হলো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সহায়ক সমিতি। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জনগণের উপর অবর্ণনীয় অত্যাচারের প্রতিবাদে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ পদক্ষেপ সহমর্মিতার এক নতুন ইতিহাস রচনা করে। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সহায়ক সমিতির দায়িত্বে ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সত্যেন সেন, সহ-উপাচার্য ড. পূর্ণেন্দুকুমার বসু, অধ্যাপক হীরেন্দ্রমোহন মজুমদার, অধ্যাপক দিলীপ চক্রবর্তী, অধ্যাপক ইলা মিত্র, অধ্যাপক সৌরীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, অধ্যাপক সুকোমল দাশগুপ্ত, অধ্যাপক সন্তোষ মিত্র।
প্রথম থেকেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সহায়ক সমিতির দ্বারভাঙা বিল্ডিংয়ের অফিসের দায়িত্ব নিয়েছিলেনঅধ্যাপক জ্ঞানেশ পত্রনবীশ,অধ্যাপক যতীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়,অধ্যাপকদীপক হাজরা,অধ্যাপক প্রিয়দর্শন সেনশর্মা। সন্ধ্যায় ১৪ বিধান সরণির অফিসে আসতেন শ্রীমতী বীণা ভৌমিক(দাস), শ্রীমতী কমলা বসু, শ্রীমতী মীরা সেন, শ্রীমতী মৃন্ময়ী বসু প্রমুখ।শ্রীমতী মৃন্ময়ী বসুসমিতির বহু কাজে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন।
কীভাবে মুক্তিযুদ্ধ সহায়ক সমিতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন?
সমিতির সচিব অধ্যাপক দিলীপ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে আমি প্রথম থেকেই সমিতির কাজে যুক্ত হই। কলেজের কাজ সেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারভাঙা বিল্ডিং-এর দোতলায় সমিতির ঘরে প্রায় প্রতিদিনই যেতাম। সেখানে অনেক স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, ছাত্র প্রবল উৎসাহ ও দক্ষতার সঙ্গে দৈনন্দিন কর্তব্য করেছেন। শত শত খামে ঠিকানা লেখা, ডাকটিকিট লাগানো, নির্দিষ্ট ঠিকানায় চিঠি ও খবর পৌঁছে দিতে হত। এ ছাড়া জনসংযোগ, অর্থ, ওষুধ, ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে বিভিন্ন ত্রাণশিবিরে পৌঁছে দেওয়া হতো।
কাজটি সুষ্ঠুভাবে করার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সহায়ক সমিতির উদ্যোগে ২১ মে বাংলাদেশের সকল স্তরের শরণার্থী শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত হয় ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি’। বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পর্যন্ত সকলেই এইসমিতির সদস্য ছিলেন। এই সমিতির সভাপতি ছিলেন ড. আবদুর রহমান মল্লিক, কার্যকরীসভাপতি ড. কামরুজ্জামান, সম্পাদক ড. আনিসুজ্জামান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ড. অজয় রায় কলকাতায় পৌঁছলে তিনিই সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে থাকেন, ড. আনিসুজ্জামান অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ড. অজয় রায়ের সুযোগ্য নেতৃত্বের ফলে শরণার্থী ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি’ সংগঠিত হয় এবং ঐ শিক্ষকদের সম্পূর্ণ তথ্য সম্বলিত একটি দলিল তৈরি হয়। ইতোমধ্যে পাক সেনা ও তার দোসরদের অত্যাচার বাংলাদেশকে প্রায় ধ্বংস করে ফেলেছিল। ফলে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ থেকে জাতীয় স্তরের নেতৃবৃন্দ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সহায়ক সমিতির কাছে নানারকম সাহায্য চেয়ে পাঠাতেন। কাজের মাধ্যমে আমাদের সমিতি ইতোমধ্যে সকলের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিল। এ সব অনুরোধে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়। বাংলাদেশের সর্বজনাব আনিসুজ্জামান, আনোয়ারুজ্জামান, নিত্যগোপাল সাহা, আমিরুল ইসলাম সর্বোপরি ড. অজয় রায় এ দলগুলির সঙ্গে থাকতেন। যশোহর–খুলনা-কুষ্টিয়ার বিভিন্ন অংশে আমি ত্রাণসামগ্রী নিয়ে গিয়েছিলাম। সহায়ক সমিতির কাজের পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থের চাহিদাও বাড়ে। রবীন্দ্রসদনে ২৩ ও ২৪ আগস্ট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কিছু অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা হয়। আমাকে এ দায়িত্ব পালন করতে হয়। মূল্যবান সহযোগিতা করেছিলেন কলকাতা রবীন্দ্রচর্চা কেন্দ্রের প্রধান রূপকার অধ্যাপক সোমেন্দ্রনাথ বসু এবং শান্তিনিকেতন আশ্রমিক সংঘের মৃন্ময়ী বসু।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সহায়ক সমিতিতে যে কাজগুলো আমাদের করতে হত তাকে সম্ভবত কয়েকটি ভাগে অতিসংক্ষেপে আলোচনা করা চলে। তা হলো-
১. শরণার্থী শিক্ষক ও ছাত্রদের যথাসম্ভব সর্বতোভাবে সাহায্য করা। শরণার্থী শিক্ষকদের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা।
২.শরণার্থী শিবিরগুলোতে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ ভেবে ক্যাম্প স্কুল চালু রাখা।
৩. পাক সেনাবাহিনীর বীভৎস অত্যাচারের বিশ্বস্ত তথ্য ভারতে ও বিদেশে প্রচার করা। চিত্র প্রদর্শনী ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা।
৪. পৃথিবীর বিভিন্ন কেন্দ্রে বাংলাদেশের সাহায্যের উদ্দেশে যে সব সংগঠন গড়ে উঠেছে তাদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন।
৫. বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী, যুব শিবিরগুলোতে সাধ্যমত খাদ্য, ওষুধ ও বহুবিধ প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করা।
৬. প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করা।
বাংলাদেশ সহায়ক সমিতি উপলব্ধি করেছিল জনশ্রুতি বা গুজবের উপর ভিত্তি করে কোনো স্বাধীনতা সংগ্রাম চলতে পারে না। প্রয়োজন সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা। সেই উদ্দেশে প্রায় প্রতিমাসে প্রামাণ্য তথ্য সংবলিত পুস্তিকা এবং ফটোর অ্যালবাম প্রকাশ করা হয়। তা ছাড়া বাংলাদেশের অধ্যাপক বা সাংবাদিকের লেখা তথ্য সম্বলিত পুস্তিকা প্রকাশনাতেও সাহায্য করা হতো।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ যত দীর্ঘায়িত ও তীব্রতর হচ্ছিল ততই বাংলাদেশ সম্পর্কে বাস্তব তথ্য জানতে বিদেশিদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছিল। বিদেশে যাচ্ছেন এমন সব দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে তথ্যপুস্তিকা দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সহায়ক সমিতির প্রতিনিধি হিসাবে গন্তব্য দেশে বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করতে অনুরোধ করা হত এবং ঐ সবদায়িত্বশীল ব্যক্তি সানন্দে সে দায়িত্ব পালন করতেন। ভারতেও কিছু অতিবাম রাজনীতির লোক অথবা বিভিন্ন গোষ্ঠী সংকীর্ণ পূর্বধারণায় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন জানাতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। এ পুস্তিকা দেখে ও বাংলাদেশ আগত শরণার্থী শিক্ষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার পরে তাদের জড়তা দূর হতে থাকে।
বাংলাদেশ সরকারমুক্তিযুদ্ধের সাথী ভিনদেশি গুণীজনদের সম্মান জানানোর প্রচেষ্টা নিয়েছেন, এ সম্মন্ধে আপনার অনুভূতি জানতে চাই।
৪০ বছর আগে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে যৎসামান্য সহায়তা করে যে অসীম তৃপ্তি পেয়েছিলাম তা বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছে। এত বছর পরে সে জন্য যে স্বীকৃতি ও সম্মান বাংলাদেশ থেকে আমাকে দেওয়া হল তা অভূতপূর্ব, অভাবনীয়। হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো, মুছে যাওয়া সংগ্রামী মুখগুলো আবার্ও স্মৃতিপটে ফিরে আসছে। আমি অভিভূত। এর আগে কোনো রাষ্ট্র এভাবে ভিনদেশিমুক্তিযুদ্ধের সহায়কদের সম্মান জানিয়েছে কি না আমার জানা নেই। এ সম্মান জানানোর মাধ্যমে রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ অত্যুচ্চ সম্মানের আসনে নিজেকে অধিষ্ঠিত করল।
বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী ?
ড. লাহিড়ি :স্বাধীনতার পরে ১৯৮৬ সালে আমি ঢাকায় কয়েকদিন ছিলাম। তখন হাটে-বাজারে-দোকানে মানুষের সাথে কথা বলে মনে হয়েছিল এ দেশের কোন ভবিষ্যৎ নেই। মুক্তিযুদ্ধে দেওয়া ‘এক নদী রক্ত’ নালা দিয়ে বয়ে গেছে। এবার বাংলাদেশে গিয়ে সাধারণ মানুষ, রিক্সাওয়ালা, অটোচালক, দোকানি, ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে এবং শহরে পথঘাট ও বিভিন্ন নির্মাণ দেখে মনে হচ্ছে দেশটি অভূতপূর্ব উন্নতি করছে। প্রায় সকলেই বলেছেন, ‘আমাগো দ্যাশের উন্নতি হইতেছে, দোয়া করবেন য্যানো এ উন্নতি চলতে থাকে’।
শাহবাগ চত্বরে তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে কথা বলেছি তাঁদের আদর্শবোধ নিয়ে। বাংলাদেশের নারীদের শিক্ষার প্রতি অপরিসীম আগ্রহ দেশটির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিশারী। জাতীয় আত্মবিশ্বাসবোধ অত্যন্ত তেজী। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দল যে আত্মবিশ্বাসের পরিচয় রাখছে ও দর্শকবৃন্দের মধ্যে তা সঞ্চারিত করছেন তা জাতীয় Maturity-র পরিচয় বহন করে।
বঙ্গভঙ্গ, দেশভাগ অতঃপর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু। ইতিহাসের ধারাবাহিকতা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপটকে কীভাবে মূল্যায়িত করবেন?
ধর্ম ও দ্বিজাতিতত্ত্বের দেশবিভাগ আমার কাছে পীড়াদায়ক। কিন্তু তৎকালীন বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাবনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহে আমার কৈশোরের স্মৃতিতে বাংলার বিভিন্ন ধর্মগোষ্ঠীর মধ্যে যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক মারাত্মক প্রভেদ দেখেছি তা সমাধানের কোনো আলোকরেখা আমার চোখে পড়েনি। পূর্ব পাকিস্তান দাবির পক্ষেও যথেষ্ট যুক্তি ছিল।
পাকিস্তান সৃষ্টির সময় পূর্ববাংলায় হিন্দু আধিপত্যের বদলে পশ্চিম পাকিস্তানের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ধর্মমোহমুক্ত মানুষ অচিরেই এ সত্য উপলব্ধি করেন ও প্রতিবাদে শামিল হন। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন মুক্তির ইতিহাসের দ্বার খুলে দেয়। ষাটের দশক জাগরণের দশক, পূর্ববাংলার মানুষ আলোর পথযাত্রী। তারই ফলশ্রুতিতে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। অনেক ত্যাগ, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব বাংলাদেশের মানুষকে বহন করতে হচ্ছে। তাদের জন্য আমার অন্তরের শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যর খুব বেশি পার্থক্য নেই। কাঁটাতারের দুই প্রান্তের দূরত্ব কীভাবে কমানো যেতে পারে?
এক্ষেত্রে এক দেশ আরেক দেশকে বুঝতে হবে। দরকার দুদেশের মধ্যে আরও নিবিড় সাংস্কৃতিক যোগাযোগ গড়ে তোলা। দুটি দেশকেই পরস্পরের স্বাধীন সত্তার মর্যাদা রক্ষা করে আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। দেশভাগের ফলে দুই দেশের সীমানায় বসবাসকারী মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এ সমস্যা দূর করতে মানবাধিকারের ভিত্তিতে উভয় দেশ মিলিতভাবে এদের জীবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করুক। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুস্থ জীবিকার ব্যবস্থা করুক।
প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির কথা কিছু বলুন?
বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করে আমি ধন্য হয়েছি। চলার পথে তথাকথিত সাধারণ কিন্তু অন্তরে মহৎ অনেক মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি। সেই আনন্দলাভই আমার পরম প্রাপ্তি। প্রাচীন সভ্যতার এ উপমহাদেশে মানুষে মানুষে স্বাভাবিক শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও প্রীতির সম্পর্ক গড়তে তরুণ প্রজন্ম উদ্বুদ্ধ হবে আমার সেই স্বপ্নপূরণের অপ্রাপ্তির বেদনা তো রয়েই গেল।
(দ্য রিপোর্ট/এমএ/একে/মার্চ ২৫,২০১৪)
পাঠকের মতামত:
- গরমের স্বস্তিতে মিনিস্টার এসি
- ছয় হাজার টন মসুর ডাল কিনবে সরকার
- বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রথম শ্রেণির ৫৭ কর্মকর্তার পদত্যাগ
- যুক্তরাষ্ট্রের টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আনা বিল অনুমোদন
- ১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী
- বৃষ্টির সম্ভ্যব্য সময় জানাল আবহাওয়া অফিস
- বেনজীরের নগদ অর্থের তথ্য চেয়েছে দুদক
- "উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুন্ন হতে পারে"
- ছুটি আরও বাড়বে কি না, জানা যাবে শনিবার
- "বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে"
- যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
- সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ
- শেয়ারের দাম কমার নতুন সীমা বেঁধে দিলো বিএসইসি
- "বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কা থাকে"
- "তাপপ্রবাহ কমে গেলে লোডশেডিং আর থাকবে না"
- নিয়োগপ্রাপ্ত আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির শপথ বৃহস্পতিবার
- দুদিনে সোনার দাম কমলো ভরিতে ৫২৩৮ টাকা
- তাপপ্রবাহে বাংলাদেশের শিশুরা উচ্চ ঝুঁকিতে
- ঈদযাত্রায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬৭ জন
- সারাদেশে হিটস্ট্রোকে ৪ জনের মৃত্যু
- প্রাইম ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে
- লোকসান থেকে মুনাফায় হাইডেলবার্গ সিমেন্ট
- "শরীয়াহভিত্তিক প্রোডাক্ট আনলে অনেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে"
- খালেদা জিয়ার গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি ২৫শে জুন
- ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রতিবাদ, গণগ্রেফতারের মুখে মার্কিন শিক্ষার্থীরা
- আমি এখানে কাজ শুরু করতে মুখিয়ে আছি: মুশতাক
- দুই সেঞ্চুরির ম্যাচে হারের খলনায়ক মুস্তাফিজ
- নির্যাতিত বাংলাদেশীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত: অমিত শাহ
- এমভি আবদুল্লাহর কয়লা খালাস শুরু, ২৩ নাবিকই ফিরবেন জাহাজে
- বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীর আদালত অবমাননার আদেশ পেছালো
- আগামী দিনে হজ্ব ব্যবস্থাপনা আরও স্মার্ট হবে: ধর্মমন্ত্রী
- ১১ বছরেও শেষ হয়নি রানা প্লাজা ধসের বিচার
- ইঞ্জিনসহ বগি লাইনচ্যুত, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ
- ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে গেলেন প্রধানমন্ত্রী
- সাংবাদিক আতিকুর রহমান হাবিব এর মৃত্যুতে বিএনপি মিডিয়া সেলের শোকবার্তা
- গাজা ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
- সূচকের পতনে লেনদেন শেষ
- হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
- পদ্মা নদীতে তিন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
- দায় এড়াতে পারেন না কারিগরি সাবেক চেয়ারম্যান: ডিবি হারুন
- কমেছে স্বর্ণের দাম
- ভোরের কাগজ পত্রিকার যুগ্ম বার্তা সম্পাদক আতিক আর নেই
- ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ওপর যে কারনে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- পদ্মা ব্যাংকের এমডির পদত্যাগ
- রাজধানীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
- বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ করতে আগ্রহী কাতার
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড
- বৃষ্টির সম্ভাবনা তবে অব্যাহত থাকবে তাপপ্রবাহও
- "দেশের বাইরেও সরকারকে হটানোর চক্রান্ত দীর্ঘদিন ধরে দেখছি"
- ঢাকা থেকে প্রধান ১৫ টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়লো
- কাতারের সঙ্গে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই
- পুঁজিবাজারের সংকট নিরসনে বিএসইসির তিন সিদ্ধান্ত
- সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ
- বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
- বাসাবাড়িতে এডিসের লার্ভা পেলেই জেল,জরিমানা: মেয়র
- কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি
- "আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে"
- পাঁচ দিনের সফরে বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- ট্রেন ভাড়ার ছাড় প্রত্যাহার, বাড়ছে ভাড়া
- প্রিমিয়ার ব্যাংকের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
- নাভানা ফার্মার পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
- মার্কেন্টাইল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
- না ফেরার দেশে অভিনেতা রুমি
- মালদ্বীপের নির্বাচনে চীনপন্থী মুইজ্জার বড় জয়
- রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে রিয়ালের কাছে হারল বার্সা
- কসবা সীমান্তে ওপারে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত
- আজ থেকে ইতালির ওয়ার্ক পারমিট ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট
- ঋণ খেলাপি চিহ্নিতে উপজেলা প্রার্থীদের তথ্য চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- সহকারী শিক্ষক নিয়োগে সংশোধিত ফল প্রকাশ
- খালেদা জিয়ার ১১ মামলার শুনানি ২৯ জুলাই
- আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি: প্রধানমন্ত্রী
- দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ অব্যাহত, তিনদিনের হিট আ্যালার্ট
- পতনের ধারা থেকে সরানো যাচ্ছে না পুঁজিবাজারকে
- মাধবদীতে হিট স্ট্রোকে এক যুবকের মৃত্যু
- ১৯ দিনে রেমিট্যান্স ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি
- এক কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা ছাত্রলীগের
- আসাম থেকে বাংলাদেশে আসছে মাসডো এর একটি বিশেষজ্ঞ টিম
- ইরান- ইসরাইল উত্তেজনা: স্থায়ী সংঘাতের সতর্কতা তুরস্কের
- প্রাথমিকে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ
- তিলকে তাল বানিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে: বেনজীর
- ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার কারন জানালো বিএসসিপিএলসি
- থার্ড টার্মিনালে বাউন্ডারি ভেঙে রাইদা বাস, নিহত ইঞ্জিনিয়ার
- হজযাত্রীদের স্বস্তি দিতে কাজ করছে সরকার: ধর্মমন্ত্রী
- বাংলাদেশে যত অপরাধ হয়, তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী
- ইসরাইলের অস্ত্র ইরানি বাচ্চাদের খেলনা: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- এই অবৈধ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে আছে: রিজভী
- সারাদেশে তিন দিনের হিট এলার্ট জারি
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্সর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
- ধোনির রেকর্ড ভেঙ্গে তাঁকে টুপি খোলা শ্রদ্ধা রাহুলের
- ট্রেনে বাঁ পায়ের সব আঙুল কাটা পড়েছে আনু মুহাম্মদের
- ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য দেশেই তৈরি হচ্ছে ডেঙ্গু টেস্ট কিট
- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে খোকনকে অব্যাহতি
- জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন
- ঢাকা থেকে প্রধান ১৫ টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়লো
- আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি: প্রধানমন্ত্রী
- ইসলামী ব্যাংকের ময়মনসিংহ জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- এবারও বোরো মৌসুমে ধান ও চাল কিনবে সরকার
- কারসাজি চক্রের প্রভাবে সূচকের পতন, কঠোর অবস্থানে বিএসইসি
- টেকনো ড্রাগসের বিডিং শুরু আজ
- বিএনপির প্রতি জনগণের কোনো আগ্রহ নেই: কাদের