‘ধর্ম ও দ্বিজাতিতত্ত্বের দেশবিভাগ আমার কাছে পীড়াদায়ক’
অধ্যাপক ড. ধ্রুবজ্যোতি লাহিড়ির জন্ম ১৯৩৬ সালে মালদহ জেলার ইংরেজবাজারে। বাবা-সুরাজলাল লাহিড়ি, মা- স্নেহলতা লাহিড়ি। শৈশব, কৈশোরে ছিলেন পাবনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ শহরে। প্রাণিবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরেট অর্জন করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কলকাতার চারুচন্দ্র কলেজ এবং দিল্লির National Council of Educational Research & Training (N.C.E.R.T)-এ অধ্যাপনা করেছেন।
ড. ধ্রুবজ্যোতি লাহিড়ি সমগ্র ভারতের বিদ্যালয়স্তরে বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, পাঠ্যসূচি, পাঠ্যপুস্তক ও পরীক্ষা সংস্কারের উন্নয়নের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার নেতৃত্বে রূপায়িত চারটি বই UNESCO-এর উদ্যোগে ফরাসি, চেক, চীনা ও আরবি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। অবসর গ্রহণের পরে মানবাধিকার শিক্ষা, নারী শিক্ষা ও আদিবাসী শিক্ষার প্রসার ও গবেষণায় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক কর্মসূচিতে যুক্ত আছেন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কর্মের ব্যবস্থা, পাক সেনাবাহিনীর বীভৎস অত্যাচারের বিশ্বস্ত তথ্য ভারতে ও বিদেশে প্রচার, চিত্র প্রদর্শনী, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সংগঠনগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন, শরণার্থী শিবিরে সেবাদানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা ও জীবনের নানা দিক নিয়ে দ্য রিপোর্টের সঙ্গে কথা বলেন ড. লাহিড়ি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক মুহম্মদ আকবর
মুক্তিযুদ্ধ সময়ের কথা জানতে চাই।
পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের গণতান্ত্রিক রায়কে নস্যাৎ করার চক্রান্তের প্রতিবাদে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক আহ্বান, ‘ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ কেবল পূর্ববাংলায় নয়, সারাবিশ্বের সকল সচেতন মানুষ উদ্বুদ্ধ হন। রাতারাতি সামরিক কর্তৃপক্ষের অতর্কিত আক্রমণে পূর্ববাংলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। তাদের আক্রমণের নিশানায় ছাত্র-শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী মহল, নারীর সম্মান ভূলুণ্ঠিত। অসহায় মানুষের মিছিল আসতে থাকে পশ্চিমবঙ্গে। আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন অসংখ্য ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। বাঙালির উপর এ নৃশংস আক্রমণে পশ্চিমবঙ্গবাসীরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উপর আক্রোশে অধীর, তেমনি আকুল আশ্রয়প্রার্থীদের সাহায্য করতে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক দিলীপ চক্রবর্তীর উদ্যোগে এবং উপাচার্য সত্যেন সেন ও সহ-উপাচার্য পূর্ণেন্দুকুমার বসুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ৩ এপ্রিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ স্ট্রিট প্রাঙ্গণে ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন আশ্রয়প্রার্থীদের যথাসাধ্য সাহায্য করা হবে সাংগঠনিক শৃঙ্খলায়। সেদিনই গঠিত হলো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সহায়ক সমিতি। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জনগণের উপর অবর্ণনীয় অত্যাচারের প্রতিবাদে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ পদক্ষেপ সহমর্মিতার এক নতুন ইতিহাস রচনা করে। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সহায়ক সমিতির দায়িত্বে ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সত্যেন সেন, সহ-উপাচার্য ড. পূর্ণেন্দুকুমার বসু, অধ্যাপক হীরেন্দ্রমোহন মজুমদার, অধ্যাপক দিলীপ চক্রবর্তী, অধ্যাপক ইলা মিত্র, অধ্যাপক সৌরীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, অধ্যাপক সুকোমল দাশগুপ্ত, অধ্যাপক সন্তোষ মিত্র।
প্রথম থেকেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সহায়ক সমিতির দ্বারভাঙা বিল্ডিংয়ের অফিসের দায়িত্ব নিয়েছিলেনঅধ্যাপক জ্ঞানেশ পত্রনবীশ,অধ্যাপক যতীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়,অধ্যাপকদীপক হাজরা,অধ্যাপক প্রিয়দর্শন সেনশর্মা। সন্ধ্যায় ১৪ বিধান সরণির অফিসে আসতেন শ্রীমতী বীণা ভৌমিক(দাস), শ্রীমতী কমলা বসু, শ্রীমতী মীরা সেন, শ্রীমতী মৃন্ময়ী বসু প্রমুখ।শ্রীমতী মৃন্ময়ী বসুসমিতির বহু কাজে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন।
কীভাবে মুক্তিযুদ্ধ সহায়ক সমিতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন?
সমিতির সচিব অধ্যাপক দিলীপ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে আমি প্রথম থেকেই সমিতির কাজে যুক্ত হই। কলেজের কাজ সেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারভাঙা বিল্ডিং-এর দোতলায় সমিতির ঘরে প্রায় প্রতিদিনই যেতাম। সেখানে অনেক স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, ছাত্র প্রবল উৎসাহ ও দক্ষতার সঙ্গে দৈনন্দিন কর্তব্য করেছেন। শত শত খামে ঠিকানা লেখা, ডাকটিকিট লাগানো, নির্দিষ্ট ঠিকানায় চিঠি ও খবর পৌঁছে দিতে হত। এ ছাড়া জনসংযোগ, অর্থ, ওষুধ, ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে বিভিন্ন ত্রাণশিবিরে পৌঁছে দেওয়া হতো।
কাজটি সুষ্ঠুভাবে করার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সহায়ক সমিতির উদ্যোগে ২১ মে বাংলাদেশের সকল স্তরের শরণার্থী শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত হয় ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি’। বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পর্যন্ত সকলেই এইসমিতির সদস্য ছিলেন। এই সমিতির সভাপতি ছিলেন ড. আবদুর রহমান মল্লিক, কার্যকরীসভাপতি ড. কামরুজ্জামান, সম্পাদক ড. আনিসুজ্জামান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ড. অজয় রায় কলকাতায় পৌঁছলে তিনিই সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে থাকেন, ড. আনিসুজ্জামান অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ড. অজয় রায়ের সুযোগ্য নেতৃত্বের ফলে শরণার্থী ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি’ সংগঠিত হয় এবং ঐ শিক্ষকদের সম্পূর্ণ তথ্য সম্বলিত একটি দলিল তৈরি হয়। ইতোমধ্যে পাক সেনা ও তার দোসরদের অত্যাচার বাংলাদেশকে প্রায় ধ্বংস করে ফেলেছিল। ফলে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ থেকে জাতীয় স্তরের নেতৃবৃন্দ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সহায়ক সমিতির কাছে নানারকম সাহায্য চেয়ে পাঠাতেন। কাজের মাধ্যমে আমাদের সমিতি ইতোমধ্যে সকলের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিল। এ সব অনুরোধে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়। বাংলাদেশের সর্বজনাব আনিসুজ্জামান, আনোয়ারুজ্জামান, নিত্যগোপাল সাহা, আমিরুল ইসলাম সর্বোপরি ড. অজয় রায় এ দলগুলির সঙ্গে থাকতেন। যশোহর–খুলনা-কুষ্টিয়ার বিভিন্ন অংশে আমি ত্রাণসামগ্রী নিয়ে গিয়েছিলাম। সহায়ক সমিতির কাজের পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থের চাহিদাও বাড়ে। রবীন্দ্রসদনে ২৩ ও ২৪ আগস্ট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কিছু অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা হয়। আমাকে এ দায়িত্ব পালন করতে হয়। মূল্যবান সহযোগিতা করেছিলেন কলকাতা রবীন্দ্রচর্চা কেন্দ্রের প্রধান রূপকার অধ্যাপক সোমেন্দ্রনাথ বসু এবং শান্তিনিকেতন আশ্রমিক সংঘের মৃন্ময়ী বসু।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সহায়ক সমিতিতে যে কাজগুলো আমাদের করতে হত তাকে সম্ভবত কয়েকটি ভাগে অতিসংক্ষেপে আলোচনা করা চলে। তা হলো-
১. শরণার্থী শিক্ষক ও ছাত্রদের যথাসম্ভব সর্বতোভাবে সাহায্য করা। শরণার্থী শিক্ষকদের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা।
২.শরণার্থী শিবিরগুলোতে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ ভেবে ক্যাম্প স্কুল চালু রাখা।
৩. পাক সেনাবাহিনীর বীভৎস অত্যাচারের বিশ্বস্ত তথ্য ভারতে ও বিদেশে প্রচার করা। চিত্র প্রদর্শনী ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা।
৪. পৃথিবীর বিভিন্ন কেন্দ্রে বাংলাদেশের সাহায্যের উদ্দেশে যে সব সংগঠন গড়ে উঠেছে তাদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন।
৫. বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী, যুব শিবিরগুলোতে সাধ্যমত খাদ্য, ওষুধ ও বহুবিধ প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করা।
৬. প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করা।
বাংলাদেশ সহায়ক সমিতি উপলব্ধি করেছিল জনশ্রুতি বা গুজবের উপর ভিত্তি করে কোনো স্বাধীনতা সংগ্রাম চলতে পারে না। প্রয়োজন সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা। সেই উদ্দেশে প্রায় প্রতিমাসে প্রামাণ্য তথ্য সংবলিত পুস্তিকা এবং ফটোর অ্যালবাম প্রকাশ করা হয়। তা ছাড়া বাংলাদেশের অধ্যাপক বা সাংবাদিকের লেখা তথ্য সম্বলিত পুস্তিকা প্রকাশনাতেও সাহায্য করা হতো।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ যত দীর্ঘায়িত ও তীব্রতর হচ্ছিল ততই বাংলাদেশ সম্পর্কে বাস্তব তথ্য জানতে বিদেশিদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছিল। বিদেশে যাচ্ছেন এমন সব দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে তথ্যপুস্তিকা দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সহায়ক সমিতির প্রতিনিধি হিসাবে গন্তব্য দেশে বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করতে অনুরোধ করা হত এবং ঐ সবদায়িত্বশীল ব্যক্তি সানন্দে সে দায়িত্ব পালন করতেন। ভারতেও কিছু অতিবাম রাজনীতির লোক অথবা বিভিন্ন গোষ্ঠী সংকীর্ণ পূর্বধারণায় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন জানাতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। এ পুস্তিকা দেখে ও বাংলাদেশ আগত শরণার্থী শিক্ষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার পরে তাদের জড়তা দূর হতে থাকে।
বাংলাদেশ সরকারমুক্তিযুদ্ধের সাথী ভিনদেশি গুণীজনদের সম্মান জানানোর প্রচেষ্টা নিয়েছেন, এ সম্মন্ধে আপনার অনুভূতি জানতে চাই।
৪০ বছর আগে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে যৎসামান্য সহায়তা করে যে অসীম তৃপ্তি পেয়েছিলাম তা বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছে। এত বছর পরে সে জন্য যে স্বীকৃতি ও সম্মান বাংলাদেশ থেকে আমাকে দেওয়া হল তা অভূতপূর্ব, অভাবনীয়। হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো, মুছে যাওয়া সংগ্রামী মুখগুলো আবার্ও স্মৃতিপটে ফিরে আসছে। আমি অভিভূত। এর আগে কোনো রাষ্ট্র এভাবে ভিনদেশিমুক্তিযুদ্ধের সহায়কদের সম্মান জানিয়েছে কি না আমার জানা নেই। এ সম্মান জানানোর মাধ্যমে রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ অত্যুচ্চ সম্মানের আসনে নিজেকে অধিষ্ঠিত করল।
বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী ?
ড. লাহিড়ি :স্বাধীনতার পরে ১৯৮৬ সালে আমি ঢাকায় কয়েকদিন ছিলাম। তখন হাটে-বাজারে-দোকানে মানুষের সাথে কথা বলে মনে হয়েছিল এ দেশের কোন ভবিষ্যৎ নেই। মুক্তিযুদ্ধে দেওয়া ‘এক নদী রক্ত’ নালা দিয়ে বয়ে গেছে। এবার বাংলাদেশে গিয়ে সাধারণ মানুষ, রিক্সাওয়ালা, অটোচালক, দোকানি, ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে এবং শহরে পথঘাট ও বিভিন্ন নির্মাণ দেখে মনে হচ্ছে দেশটি অভূতপূর্ব উন্নতি করছে। প্রায় সকলেই বলেছেন, ‘আমাগো দ্যাশের উন্নতি হইতেছে, দোয়া করবেন য্যানো এ উন্নতি চলতে থাকে’।
শাহবাগ চত্বরে তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে কথা বলেছি তাঁদের আদর্শবোধ নিয়ে। বাংলাদেশের নারীদের শিক্ষার প্রতি অপরিসীম আগ্রহ দেশটির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিশারী। জাতীয় আত্মবিশ্বাসবোধ অত্যন্ত তেজী। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দল যে আত্মবিশ্বাসের পরিচয় রাখছে ও দর্শকবৃন্দের মধ্যে তা সঞ্চারিত করছেন তা জাতীয় Maturity-র পরিচয় বহন করে।
বঙ্গভঙ্গ, দেশভাগ অতঃপর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু। ইতিহাসের ধারাবাহিকতা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপটকে কীভাবে মূল্যায়িত করবেন?
ধর্ম ও দ্বিজাতিতত্ত্বের দেশবিভাগ আমার কাছে পীড়াদায়ক। কিন্তু তৎকালীন বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাবনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহে আমার কৈশোরের স্মৃতিতে বাংলার বিভিন্ন ধর্মগোষ্ঠীর মধ্যে যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক মারাত্মক প্রভেদ দেখেছি তা সমাধানের কোনো আলোকরেখা আমার চোখে পড়েনি। পূর্ব পাকিস্তান দাবির পক্ষেও যথেষ্ট যুক্তি ছিল।
পাকিস্তান সৃষ্টির সময় পূর্ববাংলায় হিন্দু আধিপত্যের বদলে পশ্চিম পাকিস্তানের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ধর্মমোহমুক্ত মানুষ অচিরেই এ সত্য উপলব্ধি করেন ও প্রতিবাদে শামিল হন। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন মুক্তির ইতিহাসের দ্বার খুলে দেয়। ষাটের দশক জাগরণের দশক, পূর্ববাংলার মানুষ আলোর পথযাত্রী। তারই ফলশ্রুতিতে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। অনেক ত্যাগ, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব বাংলাদেশের মানুষকে বহন করতে হচ্ছে। তাদের জন্য আমার অন্তরের শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যর খুব বেশি পার্থক্য নেই। কাঁটাতারের দুই প্রান্তের দূরত্ব কীভাবে কমানো যেতে পারে?
এক্ষেত্রে এক দেশ আরেক দেশকে বুঝতে হবে। দরকার দুদেশের মধ্যে আরও নিবিড় সাংস্কৃতিক যোগাযোগ গড়ে তোলা। দুটি দেশকেই পরস্পরের স্বাধীন সত্তার মর্যাদা রক্ষা করে আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। দেশভাগের ফলে দুই দেশের সীমানায় বসবাসকারী মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এ সমস্যা দূর করতে মানবাধিকারের ভিত্তিতে উভয় দেশ মিলিতভাবে এদের জীবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করুক। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুস্থ জীবিকার ব্যবস্থা করুক।
প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির কথা কিছু বলুন?
বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করে আমি ধন্য হয়েছি। চলার পথে তথাকথিত সাধারণ কিন্তু অন্তরে মহৎ অনেক মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি। সেই আনন্দলাভই আমার পরম প্রাপ্তি। প্রাচীন সভ্যতার এ উপমহাদেশে মানুষে মানুষে স্বাভাবিক শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও প্রীতির সম্পর্ক গড়তে তরুণ প্রজন্ম উদ্বুদ্ধ হবে আমার সেই স্বপ্নপূরণের অপ্রাপ্তির বেদনা তো রয়েই গেল।
(দ্য রিপোর্ট/এমএ/একে/মার্চ ২৫,২০১৪)
পাঠকের মতামত:
- হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত
- ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইকোর্ট
- যেভাবে তরুণ আইনজীবি থেকে ক্ষমতার সিংহাসনে রাইসি
- দ্বিতীয় দিনে আবারও সড়ক অবরোধ অটোরিকশা চালকদের
- ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর খবরে অস্থির তেলের বাজার
- "অটোরিকশা বন্ধের মধ্য দিয়ে গরিবের আহার কেড়ে নেয়া হয়েছে"
- খামেনির ঘনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট রাইসি সম্পর্কে যা জানা যায়
- রাঙামাটিতে ইউপিডিডিএফ'র অর্ধদিবস অবরোধ চলছে
- কোপা আমেরিকাতেও খেলা হচ্ছে না এদেরসনের
- টানা চার মৌসুম প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ম্যান সিটির
- সৌদি পৌঁছেছেন ৩০ হাজার ৮১০ জন হজযাত্রী
- দেশের ১১টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝড়ের আভাস
- মোহাম্মদ মোখবার হবেন ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট
- তাপদাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির
- প্রেসিডেন্ট রাইসির বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারে প্রাণের কোনো চিহ্ন নেই
- ইরানের গণমাধ্যম বলছে, রাইসি নিহত হয়েছেন
- "ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কি ঋণখেলাপিরা ঢুকবে"
- আওয়ামী লীগ এখন পরগাছায় পরিণত হয়েছে: জিএম কাদের
- সোনার ভরি ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে
- "কিরগিজস্তানে কোন বাংলাদেশি ছাত্র গুরুতর আহত হয়নি"
- শিল্প খাত পরিবেশবান্ধব হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী
- দেশটা এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে: মির্জা ফখরুল
- হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর শঙ্কা
- ডিজিটাল সংযোগ আরো সম্প্রসারণের সংকল্প গ্রামীণফোন সিইওর
- ডিজিটাল সংযোগ আরো সম্প্রসারণের সংকল্প গ্রামীণফোন সিইওর
- হজ যাত্রীদের হেলথ চেক আপে বিকাশে ১০০ টাকা পর্যন্ত ছাড়
- শেয়ার হস্তান্তর করাবেন আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোক্তা
- নর্দার্ন ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়
- স্যানিটেশনকর্মীদের স্বাস্থ্যগত রক্ষায় কাজ করবে হারপিক ও সাজেদা ফাউন্ডেশন
- ঈদ উপলক্ষ্যে নতুন মডেলের পণ্য উন্মোচন করেছে ওয়ালটন
- ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে শরী‘আহ সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার
- সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত
- "লড়াকু মানসিকতার শান্ত একজন ভালো নেতা"
- "বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে"
- তাপপ্রবাহের মধ্যে চোখ রাঙানি দিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল
- ৭ উদ্যোক্ত্যর হাতে জাতীয় এসএমই পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- ২১মে ঢাকা আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আজ শেষ হচ্ছে এসএসসির ফলাফলের পুনঃনিরীক্ষার আবেদন
- মিরপুরে অটোরিকশা চালকদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
- বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশে: প্রধানমন্ত্রী
- পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট চূড়ায় বাবর আলী
- আফগানিস্তানে বন্যায় অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু
- কানে ঐশ্বরিয়ার লুক নিয়ে কটাক্ষ
- হিজবুল্লাহর হামলায় ক্ষয়ক্ষতি কথা স্বীকার করলো ইসরায়েল
- পশুর জন্য প্রাকৃতিক খাদ্যে উৎপাদন বাড়াতে বললেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
- পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৭ হাজার ১০৫ কোটি টাকার বেশি
- বজ্রপাতে সাতজনের মৃত্যু
- "বাংলাদেশের বিপক্ষে যে যাবে আমরা তার বিপক্ষে আছি"
- তাপস মনগড়া ও অসত্য তথ্য দিচ্ছেন: সাঈদ খোকন
- জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি
- বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা কেন ঢুকবেন, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের
- নটর ডেম কলেজে ভর্তির আবেদন শুরু ২৫শে মে
- সুমাত্রায় ভয়ঙ্কর বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭ জন
- ভারতের প্রধান কোচ হবার প্রস্তাব পেলেন গম্ভীর
- এবার মেজর লিগে খেলবেন সাকিব
- ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে
- "শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মানে গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন"
- ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে ১৩টি দেশ
- ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস, ২ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত
- গাজা থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার
- অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
- মদিনায় চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশী হজযাত্রীর মৃত্যু
- ইআরডিএফবির আয়োজনে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- ইসরাইলের সামরিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে হিজবুল্লাহর ড্রোন
- রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের মুরগির দাম কমেছে
- বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র
- রাফায় হামলা বন্ধে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিতে আইসিজের প্রতি আহবান
- বিএনপির সময় ঋণ খেলাপির তালিকা সবচেয়ে বড় ছিল: আইনমন্ত্রী
- "প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টার ফলে টেলিযোগাযোগ সেবা সবার হাতের মুঠোয়"
- বাজেট ৬ জুন দিবো ও বাস্তবায়নও করব: প্রধানমন্ত্রী
- ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫
- যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না: স্টেট ডিপার্টমেন্ট
- "আ.লীগ সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছে"
- আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
- ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে ১৩টি দেশ
- সরকার স্যাংশন বা ভিসানীতির কেয়ার করে না: কাদের
- সাকিবের রেকর্ড, রিয়াদের আক্ষেপ
- বিমানের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার নামে চার্জশিট, অব্যাহতি ১৪
- বিশ্বকাপ দল ঘোষণা, সহ-অধিনায়ক তাসকিন
- আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- পাঁচটি ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- কোহলিকে অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান সাবেক তারকারা
- চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে নিপুণের রিট
- এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালকের শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত
- নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ষড়যন্ত্র সফল হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- দেশের ৫৮ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে তাপপ্রবাহ
- গাজায় নিহতের অর্ধেকের বেশি বেসামরিক নারী ও শিশু: জাতিসংঘ
- লুর বাংলাদেশ সফর গুরুত্বপূর্ণ নয়: বিএনপি
- বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছেড়েছেন সাকিব-শান্তরা
- প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ
- ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন ৫ জুন
- ঢাকায় এসেছেন ডোনাল্ড লু
- মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- বিশ্বে বাংলাদেশকে এগিতে নিতেই আলোচনা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- মিরাজকে নিয়ে চমক দিতে পারে বিসিবি!
- সৌদি পৌঁছেছেন ১৮ হাজার ৬৫১ জন হজযাত্রী
- "বাংলাদেশ ব্যাংকের থলের বিড়াল বের হতে শুরু করছে"
- আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
- বাংলাদেশ প্রসঙ্গে পশ্চিমা বিশ্ব তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি: মির্জা ফখরুল