thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৮ শাওয়াল 1445

সুবহানের বিরুদ্ধে ৭ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

২০১৪ এপ্রিল ০২ ১৩:৩৪:৪২
সুবহানের বিরুদ্ধে ৭ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আব্দুস সুবহানের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য পেশ করেছে প্রসিকিউশন।

প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন সুবহানের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) উপস্থাপন করেন।

সূচনা বক্তব্য শেষে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৭ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে।

বুধবার চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করে এ আদেশ দেয়।

এ সময় আদালতে সুবহানের আইনজীবী শাহজাহান কবির ও অন্য প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন।

সূচনা বক্তব্যে সুলতান মাহমুদ সীমন আদালতকে বলেন, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল পর্যন্ত পাবনা পাকিস্তানি সেনাবাহিনী মুক্ত ছিল। ১১ এপ্রিল থেকে পাবনা এলাকায় জামায়াতের নেতা সুবহানের নেতৃত্বে ও সহযোগিতায় গণহত্যা চালানো হয়। একাত্তরের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পাবনায় শান্তি কমিটি গঠিত হয়। এতে সুবহান সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর কিছুদিন পরে আবার নতুন করে শান্তি কমিটি গঠিত হলে সুবহান এই কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন।

তিনি বলেন, একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সুবহানের নেতৃত্বে ও নির্দেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে পাবনার বিভিন্ন এলাকায় হত্যা, গণহত্যা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়। নিরীহ-নিরস্ত্র বাঙালি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও তাদের ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়।

পাবনার ভাড়ারা গ্রামে আওয়ামী লীগ ও মুক্তিকামী নেতাকর্মীদের তালিকা করেছিলেন সুবহান। পরে ওই তালিকা অনুসারে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও আলবদরসহ অন্যান্য বাহিনী মুক্তিকামী মানুষকে অপহরণ করে তাদের অনেককে হত্যা করে বলে সূচনা বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন।

সীমন বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন-১৯৭৩ এর অধীনে সুবহান নিজ কর্মকাণ্ডসহ তার অধীনস্থ কর্মীদের কর্মকাণ্ডের জন্য সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটিতে দায়ী হবেন।

তিনি বলেন, ১৯৫৪ সালে আব্দুস সুবহান জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন এবং ১৯৫৭ সালে তিনি রুকন হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পাবনা জেলা জামায়াতের আমির ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন প্রসিকিউটর।

আরেক প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা আব্দুস সুবহানের বিরুদ্ধে ৯টি অভিযোগের বিভিন্ন দিক ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেন।

২৭ মার্চ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল-১ স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-২ এ স্থানান্তর করে।

এর আগে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর আটক আবদুস সুবহানের বিরুদ্ধে একাত্তরে সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, আটক, নির্যাতন, লুণ্ঠনসহ ৯টি অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল-১।

গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর সুবহানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর সুবহানের বিরুদ্ধে ৮৬ পৃষ্ঠার ওই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা দেয় প্রসিকিউশন।

২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপার্শ্ব থেকে সুবহানকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এসবি/এজেড/এপ্রিল ০২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর