‘সর্বদলীয় সরকারের পদস্খলনের ঝুঁকি আছে’

দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার একটি বড় চ্যালেঞ্জ্। এই সরকারের বিচ্যুতি ও পদস্খলনের প্রচুর ঝুঁকি রয়েছে। আমাদের নেত্রী এই চ্যালেঞ্জটাই গ্রহণ করেছেন।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় খাজা নাজিমউদ্দিন মিলনায়তনে বুধবার সকালে নৌকা সমর্থকগোষ্ঠী আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সুরঞ্জিত সেন বলেন, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতেই প্রধানমন্ত্রী সময় নিচ্ছেন। এখন শরিক দলগুলো যদি অংকের হিসেব করে আমরা কয়টা মন্ত্রী পেলাম আর কতটুকু অংশীদার হলাম তাহলে সরকারের লক্ষ্য ব্যাহত হবে।

তিনি বলেন, কেউ কেউ বলছেন সর্বদলীয় সরকার হয়নি। আমরা বলেছিলাম সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দল থেকে সর্বদলীয় মন্ত্রিপরিষদ গঠন করবো। এটা ঠিক একটি বড় দল এই মন্ত্রিসভায় যোগ দেয়নি। আমরা বলেছি তাদের জন্যে এখনও দরজা খোলা আছে। তারা চাইলে ১০-১২ জন মন্ত্রী এখনও দেওয়া সম্ভব।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, মঙ্গলবার তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতির কাছে এ প্রস্তাব ইতিবাচক দিক। কিন্তু পত্রিকা পড়ে তাদের বক্তব্যের কোনো সারবস্তু খুঁজে পেলাম না। জাতি প্রত্যাশা করেছিলো সংকট নিরসনে বেগম জিয়া রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচনকালীন সরকারের জন্যে একটি বিকল্প বা সাহায্যকারী প্রস্তাব দেবেন। কিন্তু তাদের প্রস্তাব জাতিকে হতাশ করেছে।

সর্বদলীয় সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি সাধারণ সরকার ও সর্বদলীয় নির্বাচনকালীন সরকার এক নয়। এর চরিত্র, আকার ও বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য আছে। এই সরকার নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করবে এবং তার দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সত্যিই প্রমাণ করবে যে তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চায়।

তিনি আরো বলেন, এই সরকার কোনো দলের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করবে না। সকল প্রার্থী, সকল দলের জন্যে একই আচরণ করবে।

চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাসদ নেতা মীর হোসেন আখতার, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী প্রমুখ।

(দিরিপোর্ট/এইউএ/এপি/জেএম/নভেম্বর ২০, ২০১৩)