১৫ ফেব্রুয়ারি নাকি ২২ জানুয়ারি?
কাওসার আজম, দ্য রিপোর্ট : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নির্বাচন বয়কট ও মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের ঘোষণার মধ্য দিয়ে আগামী ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধিত অধিকাংশ দলের অংশগ্রহণ ছাড়া এ নির্বাচন একতরফা হবে কি না, এ নিয়ে যেমন প্রশ্ন রয়েছে তেমনি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির আদলে নির্বাচন; নাকি ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির মতো শেষ পর্যন্ত কমিশন ঘোষিত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না, এ নিয়ে সর্বমহলে সংশয় ও প্রশ্ন রয়েছে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের আপত্তি সত্ত্বেও আগামী ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নিবন্ধিত ৪১টি দলের মধ্যে আওয়ামী লীগসহ তাদের রাজনৈতিক মিত্র ১০টি দল এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। ১৮ দল এ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবিতে টানা ৬দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। একইসঙ্গে আগামী শনিবার থেকে আবারও টানা ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে এ জোট।
নির্বাচন বর্জন করে বিরোধী জোটের অবরোধ কর্মসূচিতে রেল লাইন উপড়ে ফেলা হচ্ছে। মানুষ মরছে, গাড়ি পুড়ছে। দেশজুড়ে এক অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। দুই রাজনৈতিক জোটের পরস্পর বিরোধী অবস্থানে দেশজুড়ে অজানা আতঙ্ক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। দুই রাজনৈতিক জোটের অনড় অবস্থান রাজনীতিকে ক্রমেই উত্তপ্ত করে তুলেছে। শঙ্কা দেখা দিয়েছে দেশের আগামী দিনের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
সংকট সমাধানে দুই নেত্রীর মধ্যে আলোচনার তাগিদ দিতে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল, মার্কিন রাষ্ট্রদূত, যুক্তরাজ্য, চীন ও ভারতসহ বহির্বিশ্বের চাপ বাড়ছে। দুইপক্ষকে এক জায়গায় বসে তারা নির্বাচনকালীন সরকার ঠিক করার তাগিদ দিচ্ছেন। সংঘাত এড়িয়ে সমঝোতার কথা বলছেন। কিন্তু সমাধান হচ্ছে না সংকটের।
গত বুধবার আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী ও সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বদলীয় সরকারের অধীনে এবং নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী যথাসময়ে সংসদ নির্বাচনের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে। কমিশন ঘোষিত তফসিলের পরির্তন মানবে না আওয়ামী লীগ।’’
শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি জোট নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিলেও এতে তেমন পাত্তা দিচ্ছেন না আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা মনে করেন, নির্বাচন প্রতিহত বা প্রতিরোধের মতো সাংগঠনিক ক্ষমতা বিএনপি জোটের নেই। সম্প্রতি সর্বশেষ ১৪ দলের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, নির্বাচনে কতগুলো দল এলো, সেটা বড় বিষয় নয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলেই নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হয়।
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন যখন টালমাতাল তখন বাংলাদেশ সফরে আসেন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং। আলোচনা করেছেন সরকার ও বিরোধী পক্ষের সঙ্গে। অন্যদিকে শুক্রবার আসতে পারেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। তিনিও সরকার এবং বিরোধী পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। তাদের এ সফরকে গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে সবমহল থেকে। শেষ পর্যন্ত সংকট উত্তরণে তাদের সফর কতটুকু ভূমিকা রাখবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। এ অবস্থায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হবে কিনা। যদি হয় তাহলে সেটি আবার ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো হবে কিনা? নাকি ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির মতো নির্বাচন ভণ্ডুল হবে। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে সবমহলে।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন :
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বেশির ভাগ দল ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন বর্জন করেছিল। হরতালসহ টানা অবরোধ পালন করে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতসহ বিরোধী দলগুলো। কিন্তু, তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল বিএনপি ফ্রিডম পার্টিসহ কয়েকটি দল নিয়ে একতরফা নির্বাচন করে। তবে সেই বিএনপি সরকার মাত্র দেড় মাস স্থায়ী হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন পাস করে বিদায় নিতে হয় বিএনপিকে। ওই নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ছিল ২৪ হাজারের মতো। শেষ পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সংকট দেখা দিলে কেন্দ্রের সংখ্যা ২১ হাজারে নামিয়ে আনা হয়। নির্বাচনে মাঠ কর্মকর্তারা ভোট বর্জনকারীদের হাতে নাজেহাল হয় সারাদেশে। তখনকার বিরোধী দলের প্রতিরোধের মুখে সারাদেশের কয়েক হাজার ভোট কেন্দ্রে ঢুকতেই পারেননি কর্মকর্তারা। অনেক কেন্দ্র ভোটারহীন থাকলেও ভোটগ্রহণ হয়।
সেবার ৩০০ আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন। নির্বাচন হয় ২৫২টি আসনে। শেষপর্যন্ত কমিশন ২৪২ আসনের নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশ করে। বাকি ১০টি আসনের নির্বাচনী ফল কমিশনে পৌঁছায়নি।
১৫ ফেব্রুয়ারির সেই নির্বাচনে কমিশনের মোট ব্যয় হয় ৬৪ কোটি টাকা। তার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেছনেই ব্যয় হয় ৪৮ কোটি টাকা।
প্রেক্ষাপট ২২ জানুয়ারি ২০০৭ :
দেশ জুড়ে চরম রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দেয় বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট। অন্যদিকে এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট।
২০০৭ সালের ১০ জানুয়ারি রাজধানীর পল্টন ময়দানে মহাজোট এবং কুমিল্লায় চারদলীয় জোটের বড় জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মহাজোটের জনসভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২২ জানুয়ারি একপেশে নির্বাচন হবে না। যেকোনো মূল্যে এ নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। কোনো ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। প্রহসনের নির্বাচনে অংশ নেবেন না। যদি কেউ যান তবে গণদুশমনে পরিণত হবেন।’ জনসভা থেকে তিনি একতরফা নির্বাচন প্রতিরোধে মহাজোটের পক্ষ থেকে ১৪ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা বঙ্গভবন ঘেরাও, ১৪ ও ১৫ এবং ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি এবং ২১ ও ২২ জানুয়ারি সারাদেশে হরতাল কর্মসূচির ডাক দেন।
অন্যদিকে একইদিন চারদলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার স্বার্থে এ নির্বাচন থেকে পিছু হটার সুযোগ নেই। এ নির্বাচনে যারা বাধা দিতে আসবে, তাদের প্রতিহতের আহ্বান জানান তিনি।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সামরিক হস্তক্ষেপে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমদ দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন এবং ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ‘ওয়ান ইলেভেন’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ওই তারিখের মাত্র দুইদিন আগে ৮ ও ৯ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে দুটি বার্তা পাঠান ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া এ বিউটেনিস। বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী ওয়েবসাইট উইকিলিকসে এ গোপন বার্তায় সে সময়ের রাজনৈতিক পটভূমি উঠে আসে।
বার্তায় বিউটেনিস লেখেন, সেনাবাহিনী বিশ্বাসভঙ্গ করে অভ্যুত্থান করতে পারে, কিংবা দুই নেত্রীকে নির্বাসনে পাঠানো হতে পারে-এ ধরনের কোনো আশঙ্কা মনে ঠাঁই দিতে প্রস্তুত ছিলেন না সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। শেখ হাসিনাও এ দুটি গুজবকে উড়িয়ে দিয়ে রসিকতা করে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসন দিলে তার জন্য ভালোই হবে, তিনি নাতনির সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন।
বাংলাদেশে তখনকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া বিউটেনিস ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনা এবং ৭ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন।
উইকিলিকসে প্রকাশিত বার্তায় বলা হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সামরিক হস্তক্ষেপ কিংবা সামরিক আইন জারি এবং দুই নেত্রীকে দেশত্যাগে বাধ্য করার মতো সম্ভাবনা নিয়ে খালেদা ও হাসিনাকে সতর্ক করে রাজনৈতিক সমঝোতার প্রস্তাব দেন এ দুই কূটনীতিক। দুই নেত্রীকেই তারা বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের একটি অংশের অনুরোধে তারা সমঝোতার প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন এবং তাদের দেশ সামরিক অভ্যুত্থানের মতো কোনো অসাংবিধানিক ঘটনায় সমর্থন বা উৎসাহ দেবে না।
বিউটেনিস ও আনোয়ার চৌধুরী আরো বলেন, কেবল দুই নেত্রীর সাহসী পদক্ষেপের মাধ্যমেই এ রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান হতে পারে।
পরদিন ৭ জানুয়ারির একান্ত বৈঠকে কোনো ধরনের সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে খালেদা জিয়া এ দুই কূটনীতিকের কাছে দাবি করেন, তিনি সব সময়ই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত ছিলেন, কিন্তু শেখ হাসিনা কখনোই তাতে সাড়া দেননি। এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে মন্তব্য করে খালেদা জিয়া সমঝোতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং ২২ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেন।
তার বার্তায় বিউটেনিস আরো লিখেছেন, খালেদা জিয়ার ধারণা হয়েছিল, আওয়ামী লীগের পিঠ এবার সত্যিসত্যি দেওয়ালে ঠেকে গেছে এবং এ অবস্থা থেকে তারা আর ফিরে আসতে পারবে না।
এর আগে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে তৎকালীন বিএনপির মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভুইয়া ও আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মাঝে মধ্যে তারা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, বৈঠক ফলপ্রসু হয়েছে। সংকট সমাধান হবে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত আর সংকটের সমাধান হয়নি। তৎকালীন রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতসহ কূটনীতিক মহল তৎপর হয়ে ওঠেন। আলোচনায় বসেন দুই পক্ষের সঙ্গে। কিন্তু, তাদের তৎপরতার ফলও শুভ হয়নি। পরবর্তীতে অনাকাঙ্ক্ষিত বহুল আলোচিত ১/১১-এর ঘটনা ঘটে।
বিশিষ্টজনেরা যা বললেন :
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন দ্য রিপোর্টকে বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ১৯৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারি কিংবা ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির চাইতেও ভয়াবহ।
যেভাবে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে তাতে সামনের অবস্থা আরো ভয়াবহ মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংকট সমাধানের কোনো পথ দেখছি না।
বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম দ্য রিপোর্টকে জানান, যেখানে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধিত অধিকাংশ দল ঘোষিত নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না সেখানে শঙ্কা তো থাকবেই। প্রধান বিরোধী দলসহ অধিকাংশ নিবন্ধিত দলকে বাদ দিয়ে সরকার যে একতরফা নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এতে সংকট আরো ঘনীভূত হচ্ছে। দেশ ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ধারাবাহিকতা নাকি ২০০৭ সালের একতরফা নির্বাচনের সিদ্ধান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক মহলের প্রচেষ্টায় চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সমাধানের আশা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। সংকট সমাধানে সরকার পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে বিরোধী দল তাদের দাবি থেকে সরে আসছে না। এ অবস্থায় সংকট সমাধানের তেমন সম্ভাবনা দেখছি না। দেশ এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে যাচ্ছে।
(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এইচএসএম/ডিসেম্বর ০৫, ২০১৩)
পাঠকের মতামত:
- সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ
- শিকাগোতে ৬৮ ফিলিস্তিনিপন্থি বিক্ষোভকারী গ্রেফতার
- কেনিয়ায় বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৮
- নির্বাচন বর্জনে দেশের জনগণের প্রতি আহবান রিজভীর
- ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ঢাকা সফরে আসছেন
- "পুঁজিবাজারে ক্যাপিটাল গেইনের ওপর কর আরোপ করা হবে না"
- মিয়ানমারের ৮৮ সীমান্তরক্ষীর বাংলাদেশে প্রবেশ
- তাপপ্রবাহ এবারই শেষ হচ্ছে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- "গণতন্ত্র রক্ষায় করতে হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে"
- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সংঘাত নেই: কাদের
- টানা তৃতীয়বারের মতো লন্ডনের মেয়র সাদিক খান
- ৫ অ্যাসিস্ট ও এক গোলে মেসির জোড়া রেকর্ড
- ৩৯ বছর বয়সে রোনালদোর হ্যাটট্রিক, আল নাসেরের জয়
- "আত্রাই নদীতে বাংলাদেশের বাঁধ, পানি পাচ্ছেনা দক্ষিন দিনাজপুর"
- প্রবাসে এনআইডি করতে রঙিন ছবি দেয়া বাধ্যতামূলক
- হিট এলার্টের মধ্যে ঝড়ের পূর্বাভাস
- আজ থেলে স্কুল-কলেজ খোলা
- এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে আজ বন্ধ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ
- পরিধি বাড়িয়ে আগুনে জ্বলছে সুন্দরবন, তদন্ত কমিটি
- ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
- মুজিব কিল্লা নির্মাণের আড়াঁলে অনিয়ম, হরিলুট ও স্বেচ্ছাচারিতা
- ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু
- ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে
- বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেতে এই পারফরম্যান্সটার বিকল্প নেই: সাইফউদ্দিন
- নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় গ্রেপ্তার ৩
- ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিত করেছে তুরস্ক
- গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: ২৩ ঘণ্টায় শেষ হয়নি উদ্ধার অভিযান
- আজও অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস
- ঢাকাসহ পাঁচ বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
- ট্রেনের রেয়াত-সুবিধা প্রত্যাহার, আজ থেকে কার্যকর
- আজ ২৫ জেলায় স্কুল-কলেজ বন্ধ
- অস্থির মুরগির বাজার, বেড়েছে পেঁয়াজ ও মুরগির দাম
- "যারা আমাদেরকে চাপে রাখতে চেয়েছিল, তারাই এখন চাপে"
- শেয়ার ছাড়বে রুপালী ব্যাংক
- রবি ও এমটিবির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়
- ৫ ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা
- জিপির ২০ টাকা রিচার্জের মেয়াদ বাড়লো
- রাফাহ শহরে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী
- মধ্যরাতে কাকে অপরাধী বলে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন তিশা!
- ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিলো তুরস্ক
- ১০ বাংলাদেশিকে ছেড়ে দিলো আরাকান আর্মি
- কালবৈশাখী ঝড়ের খবর দিলো আবাহাওয়া অফিস
- আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস
- চার মাসে রেমিট্যান্স ৮৩১ কোটি ডলার, আগের থেকে ২১ শতাংশ বেশি
- জামিনে মুক্ত মামুনুল হক
- জাতিসংঘের বাংলাদেশে শান্তির সংস্কৃতি রেজ্যুলেশনটি গৃহীত
- গ্রামীণফোনের এজিএমে ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স গ্রহণ করে গাড়ী জিতল কাপাসিয়ার মুঞ্জিল
- ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- শনিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
- রাতের আঁধারে লাশ দাফন বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি মিল্টন: ডিবি
- ওমরাহ পালনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছেন মির্জা ফখরুল
- দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা মিললো কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির
- "যুদ্ধকে ‘না’ বলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি"
- ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের জামিন
- আওয়ামী লীগ মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি: প্রধানমন্ত্রী
- শেষ ম্যাচে উইকেট ছাড়াই থেকে আইপিএল মিশন শেষ করলেন মুস্তাফিজ
- ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ হামলায় নিহত ৫
- চুয়াডাঙ্গায় ৭০ বিঘা পানের বরজে অগ্নিকাণ্ড
- প্রচন্ড মহাসড়কে চীনে ২৪ জন নিহত
- ইসরায়লের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে কলম্বিয়া
- এশিয়ার সেরা ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেই বুয়েট- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে
- মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে রাতেই তিন মামলা
- "মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে"
- দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আজ
- এবার ঢাবির থেকে এগিয়ে এনএসইউ
- মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার
- ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে আরও ছয় দেশে
- নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি দেখতে আ.লীগকে বিজেপির আমন্ত্রণ
- এপ্রিল মাসে প্রবাসী আয় ১৯০ কোটি ৮০ মার্কিন ডলার
- শুক্রবার প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি
- "চিকিৎসকদের কোনো প্রকার অবহেলা সহ্য করা হবে না"
- বিএনপির হাতে শ্রমিকের রক্তের দাগ: ওবায়দুল কাদের
- বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠবেই: মির্জা ফখরুল
- জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এনএসইউ'ই সুনাম ধরে রেখেছে
- এবার ঢাবির থেকে এগিয়ে এনএসইউ
- হিট অফিসারের পরামর্শে রিকশাচালকদের আধা লিটার পানি দিচ্ছে ডিএনসিসি
- বিএনপি সিম্প্যাথি কার্ড খেলার অপচেষ্টা করছে: ওবায়দুল কাদের
- ইসরাইলকে থামাতে পারে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র: মাহমুদ আব্বাস
- চলমান হিট ওয়েভে স্বস্তি দিবে মিনিস্টার ফ্যান
- ৭ বছরে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা বেড়েছে মহাখালী ও গুলিস্তানে
- আওয়ামী লীগ মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি: প্রধানমন্ত্রী
- চলতি বছর বিশ্বে ৪০ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে মারা যেতে পারে
- যেসব জেলায় স্কুল- কলেজ বন্ধ আজ
- ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল ইসলামী ব্যাংক
- মুস্তাফিজের দুই উইকেট, জয় চেন্নাইয়ের
- টানা ছয় দফা কমলো স্বর্ণের দাম
- ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা
- ওয়ালটন এসি কিনে মিলিয়নিয়ার গাজীপুরের ব্যবসায়ী আব্দুল আলী
- নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশণা
- লেভানদোভস্কির গোলে বার্সার জয়
- ইসরায়েলের হামাসের রকেট হামলা, গাজায় সেনা পাঠাবে যুক্তরাষ্ট
- হাইকোর্টের আদেশ আপিল বিভাগে নিয়ে যাবো: শিক্ষামন্ত্রী
- স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ
- রাতের আঁধারে লাশ দাফন বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি মিল্টন: ডিবি
- হজের খরচ আগামী বছর কমে আসবে: ধর্মমন্ত্রী
- নাভানা ফার্মার মুনাফা বেড়েছে
- রাজধানীতে রাত ১১টার পর চায়ের দোকান বন্ধের নির্দেশ ডিএমপির