thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল 24, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৮ শাওয়াল 1445

লড়াকুরা জিতবেই!

২০১৩ ডিসেম্বর ২৯ ০১:০৫:০৫

হরতাল-অবরোধ কেন্দ্রিক রাজনৈতিক কর্মসূচির পর খালেদা জিয়ার ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ নামে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণায় জনগণ একধরনের স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার অবকাশ পেয়েছিল। জনগণের সঙ্গে আমরাও আশা করেছিলাম আমাদের রাজনীতি জান-মালের ক্ষতিকর কর্মসূচির বাইরে শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগোতে পারে। কিন্তু গত দুই দিনে দেশে যে অঘোষিত অবরোধ শুরু হয়েছে তাতে সেই আশা উবে যেতে বসেছে।

খালেদা জিয়ার এই কর্মসূচি নিয়ে সরকার পক্ষের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে শান্তি তো দূরের কথা সংঘাত আরও ব্যাপক রূপ নিতে যাচ্ছে। বিশেষ করে, ক্ষমতাসীন দলের যুব সংগঠন এবং কোনো কোনো মন্ত্রীর ‘পাল্টা প্রতিরোধ’ কর্মসূচি ঘোষণার ফলে সাধারণ মানুষের আস্থার সর্বশেষ জায়গাটুকু নির্বাসিত হতে চলেছে। এখন সবারই প্রশ্ন- বিরোধী দলের ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ এবং সরকারি দলের গণতন্ত্র রক্ষার এই লড়াইয়ে গণতন্ত্র শেষ পর্যন্ত কোনো কানাগলিতে আটকে না যায়! অথবা আন্তর্জাতিক রাজনীতির মেরুকরণে এই লড়াই শেষ পর্যন্ত আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শক্তির প্রভাববলয় সৃষ্টির লড়াইয়ে পরিণত না হয়।

রাজধানীর একটি হোটেলে শনিবার দুর্নীতি প্রতিরোধ, গণতন্ত্র সুরক্ষা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা আন্দোলনে সক্রিয় কয়েকটি নামকরা সংগঠন এক নাগরিক সভার আয়োজন করে। যেখানে সরকারের মন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতাসহ বিভিন্ন স্তরের গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকবৃন্দ দেশের চলমান সংকট নিয়ে তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তাঁরা কোনো সুনির্দিষ্ট পন্থা হাজির করতে না পারলেও দেশ যে গভীর সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সে আশঙ্কার কথা বলেছেনঅকপটে। তবে সবাই মনে করছেন পাঁচ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেভাবে এগোচ্ছে তাতে খোদ গণতন্ত্রই স্থায়ী সংকটে পড়বে। তাঁরা রাজনীতিকদের ব্যর্থতার পাশাপাশি নাগরিক সমাজের দুর্বলতার কথাও স্বীকার করেন।

রাজনৈতিক নেতৃত্ব, বুদ্ধিজীবী শ্রেণী যেখানে নিজেরাই আলোর নিশানা খুঁজে পান না, সেখানে সাধারণ মানুষকে তাঁরা আশার আলো দেখাবে কী করে? তবে সব সংকটেরই সুরাহা আছে, সব অন্ধকারের পরেই থাকে আলো। চিরন্তন এই সত্যের ওপর আস্থা রেখেই আমরা বলতে পারি- রাজনৈতিক নেতৃত্ব, বুদ্ধিজীবী শ্রেণী পরাস্ত হলেও হিমালয় পাদদেশের লড়াকু মানুষ শেষ পর্যন্ত জিতবেই।

পাঠকের মতামত:

SMS Alert