thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

‘প্রেমের কারণেই আত্মহত্যা করেছে তন্ময়’

২০১৪ জানুয়ারি ০৩ ১৪:৪৩:৩০
‘প্রেমের কারণেই আত্মহত্যা করেছে তন্ময়’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : উদ্দেশ্য ছিল একসঙ্গেই আত্মহত্যা করবে। প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হওয়ার কারণে বেঁচে থাকার আর প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করল না প্রেমিক জুগল। পরিকল্পনা মতো তন্ময় ও সহপাঠী প্রেমিকা নীম বাসা থেকে পালিয়ে হাতির ঝিলে আসে। এক সঙ্গে পানিতে ঝাপও দেয় তারা। কিন্তু সহপাঠী প্রেমিকাকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও তন্ময়কে আর জীবিত উদ্ধার করা গেল না। প্রেমের কারণেই দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী এহসানুল হক তন্ময় (১৬) আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে প্রেমিকা মেহেরীন রহমান নীম (১৬)।

জানা গেছে, তন্ময় ও নীমের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা দুইজনই মগবাজারের প্রভাতী উচ্চ বিদ্যা নিকেতনের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর বলেন, অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলেও আমরা নীমের কাছ থেকে জানতে পারি ৬ মাস আগে তার বিয়ে ঠিক হয়। সে এ বিয়েতে রাজি ছিল না। পরিবারের পক্ষ থেকে নীমকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। এদিকে প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাবে বলে আত্মহত্যা করার চিন্তা করে তন্ময়। এ সিদ্ধান্তের পর নীমও জানায় সেও বেঁচে থাকবে না। তাই পরিকল্পনা মতো তারা বাসা থেকে পালিয়ে হাতিরঝিলের পুল থেকে ঝাপ দেয়।

তন্ময়ের মা শাহনাজ আক্তার রুনু বলেন, আমি জানতাম যে তন্ময়ের সঙ্গে ওর এক বান্ধবীর প্রেমের সম্পর্ক আছে। তবে সে এমনটা করে ফেলবে আমি ভাবতেই পারিনি।

তন্ময়ের বড় বোন সুমাইয়া হক অনিমা জানান, তার বাবা একরামুল হক কালাম ও মা শাহনাজ আক্তার রুনু ১২ বছর ধরে আলাদা থাকেন। মায়ের সঙ্গেই নিউ ইস্কাটন রোডের ১১৪ নম্বর বাসাতে থাকত তন্ময়। আর বাবার সঙ্গে অনিমা থাকে গোলাপবাগের কে এম দাশ লেনের ১১৩/১ নম্বর বাসায়। শুধু বাবা-মা নয়, ভাই বোনের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ ছিল না। কি কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে এ বিষয়েও সে কিছু বলতে পারেনি।

এদিকে বাড্ডা থানার উপ পরিদর্শক মোশারফ হোসেন জানান, ভোর পৌনে ৫টার দিকে তারা একইসঙ্গে হাতিরঝিল থেকে ঝাপ দেয়। ঝাপিয়ে পড়ার পর কয়েকজন ভ্যানচালক ও নিরাপত্তাকর্মীরা ছুটে আসে। তারা এসে দেখে মেয়েটিকে পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। এরমধ্যে ভ্যানচালক ভ্যানের দড়ি খুলে পানিতে ফেলেন। মেয়েটি সেটি ধরে ফেললে তাকে টেনে পাড়ে নিয়ে আসা হয়। তবে তারা তন্ময়কে দেখেননি। পরে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা এসে তন্ময়ের লাশ উদ্ধার করে।

তিনি জানান, তারা কেউ সাঁতার জানত না বলে নীম পুলিশকে জানিয়েছে।

নীমের মামা নাজিম মোল্লা জানান, নীমের বাবার নাম মিজানুর রহমান। বৃহস্পতিবার হাতিরঝিলের বাসা থেকে নীম পালিয়ে যায়। এরপর আমরা রমনা থানায় একটি ডায়েরী করি। সকালে বাড্ডা থানা থেকে আমাদের ফোন করা হয়। তারপর সেখানে গিয়ে জানতে পারি এই ঘটনা ঘটেছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তন্ময়ের লাশ ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এইচএ/এসবি/জানুয়ারি ০৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর