thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি 25, ২১ মাঘ ১৪৩১,  ৪ শাবান 1446

শরীয়তপুরে আলুক্ষেতে পচন রোগ

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ০৫ ০৪:২০:০৩
শরীয়তপুরে আলুক্ষেতে পচন রোগ

শরীয়তপুর সংবাদদাতা : শরীয়তপুরে আলুক্ষেতে মড়ক বা পচন রোগে আক্রান্ত হয়ে আলুগাছ শুকিয়ে ও পচন ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ রোগ ব্যাপক আকার ধারণ করলে ফলনে বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ওষুধ দিয়ে কোনো প্রতিকার না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কৃষি বিভাগ বলছে, কিছু কিছু এলাকায় মড়ক রোগ দেখা দিয়েছে। স্প্রে করলে শিগগিরই নিয়ন্ত্রণ হয়ে যাবে।

শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি, মডেরহাট এলাকার মালগাঁও সিধলকুড়া, সদর উপজেলার রুদ্রকর, সোনামুখী, চরলক্ষ্মীনারায়ণ, চররোসুন্দি, গোসাইরহাট উপজেলার আলাউলপুর, কোদালপুর, ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা, চরভাগা, নড়িয়া উপজেলার চরআত্রা ও নওয়াপাড়া এলাকায় প্রচুর আলু চাষ হয়। চলতি মৌসুমে শরীয়তপুর জেলায় ১ হাজার ৭৮২ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ২ হাজার হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের তুলনায় ১১০ হেক্টর বেশি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে প্রায় ৬০ হাজার ৪৮০ টন আলু উৎপাদন হবে।

গত দুই সপ্তাহ যাবৎ ডামুড্যা উপজেলার ছাতিয়ানী, মালগাঁও, সদর উপজেলার চরলক্ষ্মীনারায়ণ এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় মেঘলা আকাশ, ঘনকুয়াশা ও শীতের কারণে আলু ক্ষেতে পচন রোগ বা মড়ক রোগ আক্রমণ করেছে। এ কারণে অপরিপক্ব আলুগাছ শুকিয়ে পচন ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকেরা আলুক্ষেতে ৪-৫ বার ছত্রাকনাশক ডাইথেন, এক্রোবেট-৪৫ ও এনডোফিলোম-৪৫ ওষুধ স্প্রে করার পরও কোনো প্রতিকার পাননি বলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অভিযোগ করেছেন।কথা হয় ডামুড্যা উপজেলার ছাতিয়ানী গ্রামের কৃষক আব্দুস সালামের সঙ্গে। তিনি বলেন, এবার ৫ একর জমিতে হল্যান্ড, ডায়মন্ডসহ বিভিন্ন জাতের আলু রোপণ করেছি। ৪০-৪৫ দিন বয়স হওয়ার পরেই এ পচন রোগ দেখা দিয়েছে। ফলও ভালো হয়েছে। হঠাৎ এ রোগ দেখা দেওয়ায় আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি।

একই এলাকার আতাউর রহমান বলেন, আমি ৬ একর জমিতে আলু চাষ করেছি। এক মাস পরেই ক্ষেত থেকে আলু তোলা শুরু হবে। কিন্তু সব ক্ষেতেই পাতা ঝলসানো রোগ দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে একাধিকবার ওষুধ প্রয়োগ করেও কোনো প্রতিকার না পেলে লোকসান গুনতে হবে।

ডামুড্যা উপজেলার ছাতিয়ানী গ্রামের গৌরাঙ্গ দাস বলেন, আমরা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে ক্ষেতে ওষুধ দিয়ে স্প্রে করার পর মড়ক রোগ থেকে কোনো রক্ষা পাইনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. মনসুর রহমান বলেন, মড়ক রোগটি ডামুড্যা এলাকার কনেশ্বর ছাতিয়ানী এলাকায় দেখা দিয়েছে। আমরা কৃষকদের ছত্রাকনাশক ওষুধ দেওয়ার পরমর্শ দিয়েছি। আশা করছি মড়ক রোগটি খুব শিগগিরই নিয়ন্ত্রণ হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এএইচ/এএস/এএল/ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর