thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১,  ২৮ রবিউস সানি 1446

অবকাঠামো ও গবেষণা সুবিধা বাড়ছে বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে

২০১৬ ডিসেম্বর ০৪ ১৬:৩২:২১
অবকাঠামো ও গবেষণা সুবিধা বাড়ছে বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে

জোসনা জামান, দ্য রিপোর্ট : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো ও গবেষণা সক্ষমতা বাড়াতে ৩৭৫ কোটি ৭১ লাখ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী মঙ্গলবারের সভায় এটি অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। অনুমোদন পেলে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশে কৃষির উন্নয়ন তথা জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের সক্ষম প্রয়োজনীয় উচ্চশিক্ষিত, সৃজনশীল, সুদক্ষ ও আধুনিক কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কৃষিবিজ্ঞানী সম্প্রসারণ কর্মী তৈরি করার জন্য কৃষি বিজ্ঞানে এমএস ও পিএইচডি পর্যায়ে শিক্ষাদান ও ডিগ্রি প্রদান এবং কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ক মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণার জন্য গাজীপুর জেলার সালনায় ১৯৮৩ সালে ইনস্টিটিউট অব পোস্টগ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ ইন এগ্রিকালচার (ইপসা) প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে ইপসা অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানের এমএস ও পিএইচডি ডিগ্রি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ইনস্টিটিউটকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমমর্যাদাসম্পন্ন একটি পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্বশাসিত কৃষি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ইপসা আইন প্রবর্তন করে।

পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয় এবং ১৯৯৮ সালের ৮ জুলাই জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯৮ সালে অনুমোদিত হয়। অতঃপর ন্যূনতম অবকাঠামো তৈরি হলে ২০০৫ সাল হতে বিএস (কৃষি) প্রোগ্রামে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা শুরু হয়।

বিএসসি প্রোগ্রামে যে সকল ছাত্রছাত্রী ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে তাদের অর্ধেক ছাত্রী। এ বিদ্যালয়টি একটি সম্পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হলেও ছাত্র-ছাত্রীদের থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক হল নেই। বর্তমানে প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় তিন হাজার ছাত্র-ছাত্রীর জন্য পৃথকভাবে দুটি হল নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেবর বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষকদের অফিস, ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষ, আবাসিক হল, গবেষণাগার ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের অভাবে ন্যূনতম প্রয়োজনীয় ছাত্রছাত্রী ভর্তি, শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। এজন্য ৪০৫ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৬ সালের জুলাই হতে ২০২১ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়।

প্রস্তাবিত প্রকল্পটির উপর গত ৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর, একডেমিক, আবাসিক ও অন্যান্য সুবিধাদি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের বাস্তব চাহিদা সরেজমিনে যাচাই করে প্রকল্পের বিভিন্ন অঙ্গেও প্রয়োজনীয়তা, পরিমাণ ও ব্যয় যুক্তিযুক্তকরণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, আইএমইডি ও পরিকল্পনা কমিশনের প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত কমিটি সরেজমিন পরিদর্শনে প্রণীত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পুনর্গঠিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবের (ডিপিপি) উপর পুনরায় পিইসি সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী গত ৩১ আগস্ট প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে প্রণীত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংশোধিত ডিপিপির উপর ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিইসি সভার সিদ্ধান্তে প্রকল্পটির মোট ব্যয় ৩৭৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৬ সালের অক্টোবর হতে ২০২১ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়।

প্রকল্পের প্রধান প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে, ১০তলা বিশিষ্ট একটি ছাত্র হল ও একটি ছাত্রী হল নির্মাণ, ১০তলা বিশিষ্ট ২টি একাডেমিক ভবন নির্মাণ, একটি আন্তর্জাতিক কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য ২টি ১০তলা ইউটিলিটি ভবন নির্মাণ, যানবাহন গ্যারেজ নির্মাণ, সিকিউরিটি ব্যারাক নির্মাণ, তিনতলা বিশিষ্ট মাঠ গবেষণাগার কমপ্লেক্স নির্মাণ, পাম্প হাউজ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের গবেষণারের জন্য পুকুর খনন, শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য বৈজ্ঞানিক ও অফিস যন্ত্রপাতি, কেমিক্যালস এবং গ্লাসওয়ার ক্রয়, চারটি যানবাহন ক্রয় এবং আসবাবপত্র ক্রয়, বই ও জার্নাল ক্রয় করা হবে ইত্যাদি।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জিয়াউল হক পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে দেশে কৃষি শিক্ষার উন্নত ও উচ্চতর সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো ও গবেষণা সক্ষমতা শক্তিশালী করতে নতুন বিনিয়োগ প্রকল্পটি অনুমোদন সুপারিশ করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/জেজে/এস/ডিসেম্বর ০৪, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর