thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মে 24, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১,  ২৩ শাওয়াল 1445

ফল যাই হোক, মেনে নেবেন দুই প্রার্থী

২০১৬ ডিসেম্বর ২২ ১১:৫২:৩৪
ফল যাই হোক, মেনে নেবেন দুই প্রার্থী

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ফল যাই হোক, তা মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপির ড. সাখাওয়াত হোসেন।

বৃহস্পতিবার সকালে দুই প্রার্থীই নিজ নিজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে নির্বাচনী ফল মেনে নেওয়ার কথা জানান।

সকাল সোয়া ৮টায় শহরের ১৩নং ওয়ার্ডের আদর্শ স্কুলকেন্দ্রে ভোট দেন বিএনপির প্রার্থী ড. সাখাওয়াত হোসেন। ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটে জনতা যে রায় দেবে সেটা আমি মেনে নেব। আমি চাই নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হোক। প্রশাসন নিরপেক্ষ হোক যাতে ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো খারাপ খবর আসেনি। তিনি বলেন, জনগণ ভোট দিতে পারলে আমি জয়ী হব ইনশাল্লাহ। ড. সাখাওয়াত আরো বলেন, আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে যাব না।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের শিশুবাগ স্কুল ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। ভোট দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, খুব সুন্দর পরিবেশে নারায়ণগঞ্জে ভোটগ্রহণ চলছে। আজকের দিনটি নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য একটি বিরল দিন। এত সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন নারায়ণগঞ্জবাসী এর আগে দেখেনি। তিনি বলেন, আমি আশা করি, বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই পরিবেশ বজায় থাকবে। আমি আগেও বলেছি, ফলাফল যা-ই হোক আমি জনতার রায় মেনে নেব।

সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

নাসিক নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপি সমর্থিত অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান । নির্বাচনে আইভী এবং সাখাওয়াত ছাড়াও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ইসলামী আন্দোলন ও ইসলামী ঐক্যজোট মনোনীত প্রার্থীও মেয়র পদে লড়াই করছেন।

ইতিমধ্যে বিএনপির মেয়র প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে গেছেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রার্থী।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। ভোট গ্রহণের জন্য ১৭৪টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৩০৪টি ভোটকক্ষ তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া ভোট গ্রহণের জন্য চার হাজারের বেশি নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ সিটিতে ৩৮ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও ১৫৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

(দ্য রিপোর্ট/এম/ডিসেম্বর ২২, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর