thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ১৫ মে 24, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ৭ জিলকদ  1445

‘খালেদার অপরাধ প্রমাণিত হলে শাস্তি পেতেই হবে’

২০১৭ মার্চ ০১ ২২:১৫:৪৯
‘খালেদার অপরাধ প্রমাণিত হলে শাস্তি পেতেই হবে’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরা বলেছেন, আমাদের সংবিধানে সহায়ক সরকার বলে কোনো কমিশন নেই, কোনো কিছু নেই। নির্বাচনকালীন সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সরকার থাকবে। শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালনা করবে। আর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিচারাধীন অপরাধ আদালতে সত্য প্রমাণিত হলে তাকে শাস্তি ভোগ করতেই হবে। সেই শাস্তির জন্য যদি দেশের মানুষের উপর অবরোধ-হরতালের নামে জুলুম-নির্যাতন শুরু করেন, তাহলে বাংলার মানুষ তা মানবে না। বাংলাদেশের জনগণ আগামী দিনে আপনাদের নৈরাজ্যের পরিকল্পনা মোকাবেলা করে আবারো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার সংসদের চতুর্দশ ও শীতকালীন অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার দলীয় সদস্যরা এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বিএনপি নেত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘অজুহাত না তুলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেন। গত নির্বাচনের অংশগ্রহণ না করে যে ভুল করেছেন তার মাসুল আজ পর্যন্ত দিতে হচ্ছে। আপনার দলের নেতা-নেত্রীরা বলছে, মামলার রায়ে আপনার কারাদণ্ড হলে বাংলাদেশ অচল করে দেবে। বাংলাদেশে আবার হরতাল নৈরাজ্যের রাজনীতি চালাবে। তারা আবার নতুন বাহানা-অজুহাত তুলে নির্বাচনকে ভন্ডুল করবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা আবদার তুলেছে, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার করতে হবে এবং সেই সহায়ক সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হবে। তিনি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়েই বলতে চাই, আমাদের সংবিধানে সহায়ক সরকার বলে কোন কমিশন নেই এবং নির্বাচনকালীন সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সরকার থাকবে। শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালনা করবে।’

শামসুর রহমান শরীফ বলেন, দেশের কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবী আছে যারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌম ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। দেশের ইতিহাসের এই কলঙ্ক সৃষ্টিকারী মীরজাফর, গোলাম আযম, খুনী মোশতাক ও জিয়া এই চারজন বিশ্বাসঘাতক। মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা, ধ্বংসযজ্ঞের যে নৃশংসতা বিএনপি-জামায়াত জোট করেছে, দেশের মানুষ কোনদিন তা ভুলে যাবে না।

জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বলেন, আর্থিকখাতে দুর্নীতি ও হরিলুট ঘটলেও জড়িতদের কোন বিচার হচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরিও জনগণের গা সয়ে গেছে। খেলাপী ঋণও আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছেই। আমরা বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক আদর্শের প্রতি আস্থা রাখতে পারিনি। দেশ উন্নয়নের দিকে ধাবিত হলেও এসব নেতিবাচক দিকগুলোতে আরও সতর্ক করা প্রয়োজন রয়েছে।

জাসদের শিরীন আখতার বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে পাকিস্তান বই লিখে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তাই অবিলম্বে ২৫ মার্চকে জাতীয়ভাবে গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ঐক্য করে আগুন সন্ত্রাস করে দেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন খালেদা জিয়া।

রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আলোচনায় আরও অংশ নেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, আয়েন উদ্দিন, মোহাম্মদ হাছান ইমাম খাঁন, মোতাহার হোসেন, জাহানারা বেগম সুরমা, জাসদের শিরীন আখতার, বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এপি/এনআই/মার্চ ০১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর