বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হলে সবারই বাতিল হবে

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপি আগামী নির্বাচনে না এলে নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে-সরকার সমর্থক দলের নেতা ও মন্ত্রীদের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘নিবন্ধন নিয়ে বিএনপি চিন্তিত নয়। এ দেশের মালিক মোকতার হলো দেশের জনগণ। সুতরাং যারা বলছেন বিএনপি নির্বাচনে না এলে নিবন্ধন বাতিল হবে এটা অবাস্তব। আমি বলব বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হলে সেদিন কোনো দলেরই নিবন্ধন থাকবে না।’

শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের’ শীর্ষক প্রতিবাদী সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল নামক এক সংগঠন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজকে দেশে কোথায়ও আইনের শাসন নেই। কোনো খাতেই সরকার আইনের শাসনকে তোয়াক্কা করছে না। নিজের দলের লোকদের দিয়ে সব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে সরকার। ফলে কোনো জবাবদিহিতা নেই।’

তিনি সরকাকে প্রতারক আখ্যা দিয়ে বলেন, ২০১৪ এর ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে শেখ হাসিনা বিদেশিদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে সময় নিয়ম রক্ষার নির্বাচনের কথা বলে আরেকটি দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত নির্বাচন দেয়নি সরকার। তারা আগামীতে ফের সে রকম করার চিন্তা করলে বোকার স্বর্গে বসবাস করছে। একতরফা প্রতারণা সরকার করতে পারবে না।

তিনি বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, বিএনপি একটি উদারপন্থী ও গণতান্ত্রিক দল। পরিবেশ পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচনে যেতে বিএনপি সব সময় প্রস্তুত।

নির্দলীয় সরকার প্রসঙ্গে মোশাররফ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমরা নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করেই নির্বাচনে যাব এবং সে নির্বাচনে খালেদা জিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সরকার গঠন করবেন।

তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখে কোনো নির্বাচন হবে না। সে চিন্তা করলে জনরোষ ঘরের বাইরে জনপ্রতিরোধ তৈরি হবে। গণবিস্ফোরণ ঘটবে। বোধোদয় হলে সহজ ও গণতন্ত্রের পথে আসুন। দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিলে সরকার ও শেখ হাসিনা দায়ী থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যে যেখানে আছি আসুন সবাই মিলে সরকারের অপকর্মের প্রতিরোধ তুলি। খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় এই সরকার সাজ দিতে পারবে না। কারণ মামলাগুলোর কোনো প্রমাণ নেই।

সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ মো. ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নিপুণ রায় চৌধুরী, খালেদা ইয়াসমিন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, কল্যাণ পার্টির সাহিদুর রহমান তামান্না, জিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, সাবেক ছাত্রনেতা সর্দার মো. নূরুজ্জামান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ইকবাল।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচ/এআরই/এনআই/এম/মার্চ ৪, ২০১৭)