thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে 24, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ১১ জিলকদ  1445

দেনা-পাওনা-ভবিষ্যতের কি হবে, প্রশ্ন শেভরন’র বাংলাদেশিদের

২০১৭ মার্চ ০৮ ১৯:১৭:৫৭
দেনা-পাওনা-ভবিষ্যতের কি হবে, প্রশ্ন শেভরন’র বাংলাদেশিদের

মতিনুজ্জামান মিটু, দ্য রিপোর্ট : বাংলাদেশ গ্যাস উত্তোলন কাজে নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের ‘শেভরন’ কোম্পানি তাদের ব্যবসা্ গুটিয়ে চলে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বাংলাদেশে তাদের যে ব্যবসায়িক স্বত্ত্ব বা মালিকানা রয়েছে তা তারা বিক্রি করে দিতে চাচ্ছে। এ ব্যাপারে তারা চীনের একটি রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংস্থা ‘জিনহুয়া’ কোম্পানির সঙ্গে আলাপ আলোচনা অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট একটি নির্ভরযোগ্য দাপ্তরিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিকে, এ সংবাদ একটি গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর শেভরন’র ৫৪০ জন বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন। এ তথ্য জানার পর ‘শেভরন বাংলাদেশ এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন’ নামের (শ্রম অধিপ্তরের নিবন্ধন নং-বি ২১৮৬) একটি সংগঠন গড়ে তুলেছে। এই সংগঠনের ব্যানারে তারা শেভরন ম্যানেজমেন্ট কমিটির সঙ্গে চলতি বছর ২৪ জানুয়ারি একটি বৈঠকও করেছে।

শেভরনের স্বত্ত্ব বা মালিকানা হস্তান্তরের ফলে সেখানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাওনা-দাওনা প্রাপ্তি, চাকুরির ভবিষ্যত কি হবে ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে শেভরন কর্তৃপক্ষ কোনো স্পষ্ট ধারণা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছে ‘শেভরন বাংলাদেশ এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন’। এ নিয়ে তারা ইতোমধ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলনও আয়োজন করে। সর্বশেষ বুধবার (০৮ মার্চ) তারা রাজধানীর গুলশানে শেভরন দপ্তরের সামনে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ নাসিম আজিম, সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আবেদিন, নির্বাহী সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ, তারেক আহমেদ রবিন প্রমুখ। নিজেদের চাকুরির ভবিষ্যত ও পাওনা দাওনার বিষয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে থেকে তারা আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচির মধ্যে কালোব্যাজ ধারণ, পর পর তিন দিন দুপরের খাবার বা লাঞ্চ না নিয়ে অনশন পালন এবং শেভরন বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অফিসের মাস্টার পয়েন্টে লাঞ্চ বিরোতিতে ৩০ মিনিট অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন।

শেভরন এবং পেট্রোবাংলার নির্ভরযোগ্য তথ্য মতে জানা গেছে, শেভরন তাদের মালিকানা দুই বিলিয়ন মার্কিন(ইউএস) ডলার বা ১৬ হাজার কোটি টাকায় বিক্রির কথাবার্তা এক রকম স্থির করেই ফেলেছে। অন্যদিকে, পেট্রোবাংলা শেভরনের আওতাধীন তিনটি গ্যাস ক্ষেত্রে (মৌলিভীবাজার, সিলেটের জালালাবাদ ও হবিগঞ্জের বিবিয়ানায়) তাদের মালিকানাধীন সম্পদের পরিমাণ কত তা নির্ধারণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রেরই একটি জরিপ কোম্পানিকে (উড ম্যাকেঞ্জি) পরামর্শক নিযুক্ত করেছে। এ কোম্পানি এখনোও পেট্রোবাংলার কাছে তাদের জরিপ প্রতিবেদন বা রিপোর্ট দেয়নি। অথচ চীনের উল্লেখিত (জিনহুয়া) কোম্পানির সঙ্গে বেচা-কেনার কারবার প্রায় শেষ করতে চলেছে শেভরন। এ ব্যাপারে শেভরনের সঙ্গে পেট্রোবাংলা তথা বাংলাদেশের কি ধরণের শর্তাদি নিয়ে চুক্তিপত্র ছিল সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি।

শেভরন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গত ২৪ জানুয়ারি তারিখে ‘শেভরন বাংলাদেশ এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন’ এর নেতাদের যে বৈঠক হয় তাতে শেভরন মালিকানা হস্তান্তর করছে, এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। এই বৈঠকে শেভরনের বাংলাদেশ প্রধান কেভিল লিওন, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক ট্রেসি রাত্রিসহ অন্যান্যা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএম/জেডটি/মার্চ ০৮, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর