thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে 24, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ১১ জিলকদ  1445

বিভেদ সৃষ্টি করে ফল লাভ করতে চায় সরকার : মির্জা ফখরুল

২০১৭ মার্চ ০৮ ১৯:৪৯:০৩
বিভেদ সৃষ্টি করে ফল লাভ করতে চায় সরকার : মির্জা ফখরুল

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সুপরিকল্পিতভাবে দেশপ্রেমিক ও গণতন্ত্রকামী মানুষদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে ফল লাভ করতে চায় সরকার। এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আজকে ষড়যন্ত্র চলছে, সেই ষড়যন্ত্র হচ্ছে একে অপরের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা। তাই এদেরকে পরাজিত করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বুধবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ৭ মার্চ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১১তম কারাবরণ দিবস উপলক্ষে এ আলোচনার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

সরকারের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া এই দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে এবং সেটি হতে হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে।’

জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘সেই নেতা (তারেক রহমান) আমাদের মধ্যে ফিরে আসতে চায়। তাকে দেশে ফিরে আনতে হলে বিবেধ নয়, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

জিয়াউর রহমানকে হত্যা, এরশাদের ক্ষমতা দখল, এক এগারোকে আমি আলাদা করে দেখতে চাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এক এগারো সময় প্রথম আঘাত এনেছিল তারেক রহমানের ওপর। স্বমূলে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্যই এই আঘাত আনা হয়।’

আলোচনা সভা চলার সময় ছাত্রদল ধানমন্ডি থানার দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাতাতির ঘটনা ঘটে। পরে ছাত্রদল নেতাদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আবেগ ও অনুপ্রেরণা কাছে লাগিয়ে এই স্বৈরাচারী সরকারকে সরাতে যাতে পারি, এই জন্য কোনো বিভেদ নয় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আগামীদিনে নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে। বিএনপি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দুই তৃতীয়াংশ আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচন ও বিএনপির নিবন্ধন নিয়ে বিভিন্ন কথা বলে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি করছে সরকার। তাই আমরা না না বলতে চাই। বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনে যাবে এবং সেই নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।’

দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, ‘বিএনপি কোনো ভাগবাটোয়ারার নিবার্চন চায় না। জনগণের ভোটাধিকার চায়। আমরা চাই একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। খালেদা জিয়া ব্যতিত কোনো নির্বাচন বাংলাদেশে হবে না, হতে দেওয়া হবে না। ২০১৪ সালে আমরা নিবার্চন হতে দেইনি। রকিব উদ্দিন শুধু ফলাফল ঘোষণা করেছে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি কারো করুণায় ক্ষমতায় থাকতে পারেন। কিন্তু দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। এ দেশে রক্তের বিনিময়ে কেনা। কারও দান বা করুণায় নয়।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্বের শুন্যতার সম্ভবনা কম। কারণ তারেক রহমান আছে। আগামীদিনে তিনি দলের নেতৃত্ব দিবেন। তার নেতৃত্বই কাল, যা শেখ হাসিনার অযোগ্যতা।’

সংগঠনের সভাপতি রাজীব আহসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন এবং সাবেক ছাত্রনেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কামরুজ্জামান রতন, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম আলীম, আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল প্রমুখ।

আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচ/এপি/মার্চ ০৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর