thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ১৫ মে 24, ৩১ চৈত্র ১৪৩১,  ৭ জিলকদ  1445

প্রাণের উৎসব ‘বৈসাবি’

২০১৭ এপ্রিল ১২ ১৪:৫৭:৩২
প্রাণের উৎসব ‘বৈসাবি’

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে চেঙ্গী, ফেনী ও মাইনী নদীতে বুধবার (১২ এপ্রিল) ভোরে ফুল ভাসিয়ে শুরু হয়েছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী সামাজিক ও প্রাণের উৎসব ‘বৈসাবি’।

ফুল বিজুকে কেন্দ্র করে নদীর পাড়গুলো হাজারো তরুণ-তরুণীর মিলনমেলায় পরিণত হয়। পাহাড়ি সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরী ও ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা হল্লা করে ফুল তুলে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশে নদী-খালে ভাসিয়ে দেয়। তারা পুরোনো বছরের গ্লানি মুছে নতুন বছরের শুভ কামনায় নিজেদের পবিত্রতা কামনা করে।

ফুল বিজু, মূল বিজু ও বিচিকাতাল নামে নিজস্ব বৈশিষ্ট্যতায় এ উৎসবে আনন্দের আমেজ ছড়ায় পাহাড়ি জনগোষ্ঠী। ত্রিপুরা ভাষায় এ উৎসবকে বৈসু, মারমা ভাষায় সাংগ্রাই এবং চাকমা ভাষায় বিজু বলা হয়। এ তিন সম্প্রদায়ের উৎসবের নাম একত্রে ‘বৈসাবি’ শব্দটির উৎপত্তি।

ত্রিপুরা ও চাকমা সম্প্রদায়ও বুধবার ফুল বিজু পালন করছে। রাতে উড়বে হাজারো ফানুস বাতি।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) মূল বিজু আর পহেলা বৈশাখ বা গজ্জাপয্যা পালন করবে। ওই দিন ঘরে ঘরে চলবে অতিথি আপ্যায়ন। ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের হারিবৈসু, বিজুমা, বিচিকাতাল। শুক্রবার মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাইং উৎসবে ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা পানি খেলা ও জেলা প্রশাসনে উদ্যোগে হবে বর্ষবরণের র‌্যালি।

পাশিপাশি তঞ্চঙ্গ্যা, বম, খিয়াং, লুসাই, পাংখোয়া, ম্রো, খুমি, আসাম, চাক ও রাখাইনসহ ১৩ ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্ঠী তাদের ভাষা-সংস্কৃতি ও অবস্থানকে বৈচিত্র্যময় করে করে তুলতে প্রতি বছর চৈত্রের শেষ দিন থেকে ‘বৈসাবি’ উৎসব পালন করে থাকে।

(দ্য রিপোর্ট/একেএ/এস/এপ্রিল ১২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর