গল্প
অতুল ও কাছারি ঘর
মারুফ কামরুল
তাহেরপুর। হেমন্তবাবু বিশেষ দরকারে এই আয়তাকার পল্লিতে এসেছেন। নিজের কাজ সেরে রাতে কবিতা লিখতে বসেন। মাঝেমাঝে গুনগুনিয়ে গান গাওয়ার অভ্যাস আছে। দোচালা কাছারি ঘরে থাকেন।
শীতের সকাল। কাছারির সামনে চেয়ারে বসে রোদে পোহাচ্ছেন হেমন্তবাবু। বই হাতে থাকলেও তিনি দূরের মাঠের দিকে তাকিয়ে আছেন। খুব ক্ষীণস্বরে মুখ আওড়াচ্ছেন। পেছন থেকে কেউ হেসে উঠলো। হেমন্তবাবু চমকে উঠলেন। একটি কিশোরী মেয়ে এমন ফিক করে হেসে ওঠার কোনো কারণ তিনি খুঁজে পাননি। আবার কিছু বলে যাচ্ছেন মুখে আর কৃষকদের কাজ করা দেখছেন হয়তো। মেয়েটি মুচকি হাসছে। আরো একটু কাছে এসে দাঁড়ায়।
আচ্ছা আপনি নিজে নিজে কথা বলেন!
হুম, মাঝে মাঝে বলি।
নিজে নিজে কথা বলা মানুষ আমার বেশ পছন্দ।
তুমি আমাকে চেনো?
নাহ, চিনি না। তবে বেশ সময় ধরে আপনাকে দেখছি।
আমি এখানে সরকারি হুকুম তামিল করতে এসেছি, এই কাছারিতেই থাকবো।
আমি যদি ভুল না করি, আপনিই কবি হেমন্তবাবু।
আমি হেমন্তবাবু, এ পর্যন্ত ঠিক আছে।
নিজেকে লুকোতে চাইলেই তো লুকোনো যায় না কবি!
তোমার, নিজে নিজে কথা বলা মানুষ ভালো লাগে কেনো?
এই প্রশ্ন করার আগে আপনি অন্য প্রশ্নও করতে পারতেন!
যেমন!
এই ধরুন, তোমার নাম কী; কী করো- এসব প্রশ্ন তো করতে পারতেন।
ও তাই তো! তোমার নামটাই জানা হলো না।
ঠিক সময়ে জেনে যাবেন।
আচ্ছা এখন বলো নিজে নিজে কথা বলা মানুষ ভালো লাগে কেনো?
এর একটা সহজ উত্তর আমার জানা আছে- এই ধরনের মানুষগুলো মনের সব কথা নিজেকে বলে দেয়। নিজের শ্রোতা নিজেই।
সুন্দর বিশ্লেষণ করলে।
হুম ধন্যবাদ! আপনি বরং নিজে নিজে কথা বলেন; মা ডাকছে- যেতে হবে।
কিন্তু নামটা বললে না!
মা, কী নামে ডাকছে শুনতে পাননি?
আবারো ডাক এলো ‘অতুল দ্রুত আয়!’
অতুল চলে গেলো। হেমন্তবাবু ঘরে গিয়ে চা হাতে টেবিলের সামনে বসলেন। গতরাতের কবিতাটা টেনে নিলেন। দুটো লাইন কেটে নতুন চার লাইন যুক্ত করলেন।
‘হেমন্তবাবুর স্নানের পানি লাগবে কিনা দেখতো অতুল’ বলে পুকুর পাড়ে চলে গেলেন ঋতু বেগম। হেমন্তবাবু কাপড় শুকাতে দিচ্ছেন। পেছন থেকে অতুল ‘কবি’ বলে ডাক দিলো। আপনার গরম জল লাগবে? -‘গরম জল হলে ভালোই হতো, তবে এখন তো স্নান সেরে ফেলেছি। তবুও তোমাকে ধন্যবাদ।’ অতুল চলে যায়।
হেমন্তবাবু কাজে বের হওয়ার প্রস্তুুতি নিচ্ছেন। কাগজপত্র গুছিয়েছেন। সুগন্ধি মেখে বেরুবেন এমন সময় বাইর থেকে আওয়াজ এলো ‘ভেতরে আসবো’। ভাবলেন মেয়েটি আবার কেনো এলো। ‘এসো’ বলে তিনি নিজের কাজে মন দিলেন। ‘এইনেন, চা খেয়ে বেরুবেন।’ হেমন্তবাবু চা'র কাপ নিয়ে চুমুক দেয়। ‘এই শীতে গোসলের পর একটু চা, মন্দ হয় না, কী বলো অতুল!’ সম্মতিসূচক ‘হু’ বলে টেবিলে রাখা বইগুলোর দিকে তাঁকিয়ে আছে। রবীন্দ্র, আল মাহমুদ, নির্মলেন্দুগুণ, শামসুর রাহমান, হেলাল হাফিজ। কবিতার বইগুলো চেয়ে আছে। শরৎও য্যান মুখ খুলে বলতে চাইছে ‘বিলাসী’ ভালো নেই। ‘এই নেও অতুল, কাপটা ধরো, আমাকে দ্রুত বেরুতে হবে’ হেমন্তবাবু কাপটা বাড়িয়ে দিলেন অতুলের দিকে। ‘ও হ্যাঁ, দেন। ঠিক আছে, ভালো থাকুন, সাবধানে যেয়েন’ বলে অতুল চলে যায়।
সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে কাছারিতে ফিরেন হেমন্তবাবু। খানিকটা জিরুইয়ে রাতের খাবার সারেন। হিসেবের খাতাটা রেখে কবিতা লিখতে বসেন। বাইরে ঘুটঘুটে আঁধার। পাখি ডাকার শব্দও নাই। শীতে চারপাশ প্রায় জমে গেছে। কুয়াশা ঝরছে। হেমন্তবাবু আবুল হাসানের কবিতার বইটা খুঁজছেন। লেখতে বসলে প্রায় আবুল হাসানকে পড়েন। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছেন না। একবার ভাবলেন ভুলে রেখে এলাম না তো! নাহ, আজ সকালেও তো মনে হয় দেখছি। আচ্ছা সকালে অতুলকে একবার জিজ্ঞেস করা যাবে।
কাছারি থেকে পুরোনো আঁসটে গন্ধ, শেওলা জমা গন্ধ নাকে আসে। ঘুমও আসছে না। হেমন্তবাবু হাঁটছেন এপাশ থেকে ওপাশ। বহু বছর অতীত জমে আছে ঘরটায়। কতকিছু লেখা রয়েছে। আড়ার একপাশে একটি কাগজ ঝুলছে। মাকড়শার বাসা আর ধুলোবালিতে ঢেকে গেছে। বাইরে বাতাস নেই তবুও মনেহয় কাগজটি নড়ছে। কিছু লেখাও রয়েছে। হেমন্তবাবু চেয়ার টেনে উপরে উঠে কাগজটা নামালেন। ঝাড়ামোছার পর কয়েকটি পঙক্তি ভেসে উঠলো। লাইনগুলো পড়ে হেমন্তবাবু কেমন উদাস হয়ে উঠলেন-
‘মানুষের ওজনে ভারি হচ্ছে মহাকাল
মানুষ নিয়ে ডুব দিবে মহাকাল জাহাজ
গভীর থেকে গভীরে
মনুষ্যজাতি নেশায় বিভোর হয়ে পার করবে বছরকে বছর
এরপর মানুষ হওয়ার ইচ্ছে হবে না করোর
এক সন্ধ্যার পর ফুটবে না আলো
আঁধারে আঁধারে খেলা শেষ হবে পৃথিবীর’
ক্লান্ত মহাকাল/৯৫
লেখকের নামের অংশটা পোকায় কেটেছে। হেমন্তবাবু আরো গভীর চিন্তায় পড়লেন- এতো গভীর থেকে কেউ লেখতে পারে! সত্যিই তো মানষু মহাকালে স্থান নিতে ব্যস্ত। মহাকাল কী একদিন সত্যি তলিয়ে যাবে? কিছু বিখ্যাত মানুষের ছবিও মলিন মুখে ঝুলছে। হেমন্তবাবু ভাবছেন, আমার আগে এই কাছারিতে কত গুণিজন হেঁটেছেন, থেকেছেন! এবং তাঁদের মাঝে একজন প্রতিভাবান কবি তো ছিলেনই, যার প্রমাণ এই কবিতা।
বিদ্যুৎ চলে গেলো। গ্রামে এটা স্বাভাবিক। হেমন্তবাবু চিন্তার সুযোগ পেলেন। বারবার পঙক্তিগুলো আওড়াচ্ছেন। কল্পনা দিয়ে নাম নাজানা কবি’র একটি চিত্রও এঁকে ফেলেন। আচমকা দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে চমকে উঠেন। বললেন, কে? কে আপনি?
মৃদুসুরে ভেসে এলো ‘আমি অতুল’। ‘তুমি এতো রাতে’ বলে হেমন্তবাবু দরজা খুলে দিলেন। অতুল হ্যারিক্যান হাতে প্রবেশ করে। ‘অন্ধকারে আপনার ভয় করে না’ বলে হ্যারিক্যানটা টেবিলে রাখে। চাদরের নিচ থেকে বুকের সাথে লেপ্টে থাকা বইটা বের করে হেমন্তবাবুর হাতে দেয়। আবুল হাসানের কবিতা সমগ্র। বইটা ঠিক জায়গায় রেখে বললেন, ‘তুমি এতো রাতে এখানে এলে যে।’ হুম বলছি কবি- কবিতা পড়ছিলাম। আপনাকে না বলেই বইটা নিয়েছি। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় পড়তে ভালো লাগেনি। ভাবলাম আপনি অন্ধকারে পড়ে আছেন, আলো নিয়ে যাই আড্ডা দেওয়া যাবে। তাছাড়া একটা প্রশ্নও জেগেছে মনে।
তো প্রশ্নটা কী?
কবি আবুল হাসান লিখলেন-
‘চেয়েছিলো আরো কিছু কম
জলের খনি
তাকে দিক তৃষ্ণা এখনি
চেয়েছিলো একটি পুরুষ
তাকে বলুক রমনী’
আপনি কাউকে রমণী বলেছেন, কবি?
রমণী বলতে হলে অধিকার লাগে। অধিকারটা অর্জন করতে পারিনি। আচ্ছা অতুল, তোমার কাছে জীবনবোধটা কেমন?
বসে বলি?
নিশ্চয়- এসো বসি।
একই প্রশ্ন যদি আপনাকে করি!
আসলে জীবনকেই তো বুঝে উঠতে পারিনি।
একটা গল্প আপনাকে বললে কিছুটা হলেও বোধের অস্তিত্ব টের পাবেন। বলি!
চমশা খুলে টেবিলে রেখে বললেন- হুম, শুরু করো।
‘এই গ্রামের ছেলে মামুন। সালমাকে বিয়ে করে। মাস দুয়েক ভালোই চলে সংসার। দিনেদিনে দ্বন্দ¦মুখর হতে থাকে সম্পর্ক। দেড় বছরের মাথায় একটি মেয়ে হয়। কথা কাটাকাটি আর ঝড়ঝাপটা নিয়ে আরো বছর দুয়েক পার হলো। সংসারে ইতি টানতে হয়। মেয়েকে নিয়ে সালমা যায় বাবার বাড়ি। সেখান থেকে কাজের খোঁজে ঢাকা। মা কাজ করে আর মেয়ে লেখাপড়া। সেখানে মেয়েটি পড়ার পাশাপাশি কবিতার প্রেমে পড়ে যায়। আধুনিক যুগের কবিতার সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়। সালমা নতুন একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মেয়েটি মাধ্যমিকে পড়ে। সালমা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। মেয়েটিকে তাঁর পিতৃ পরিচয়ের জন্য রেখে যায় বাবার কাছে। মেয়েটি বড্ড অগোছালো, সারাদিন বনে বাদাড়ে ঘুরে বেড়ায়। মেয়েটির বাবা এরই মাঝে দুখান বিয়ে করেছে। শেষের বউটি আছে। দুটি ছেলেও আছে। এতো বছরেও নেশাখোর বাবাটি বদলায়নি। প্রতিরাতেই নেশাগ্রস্থ হয়ে মেয়েটির ঘরে যাতায়াত করে। মুহূর্তেই মাংসাসী হয়ে ওঠে। হিংস্রতা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে মেয়েটির ওপর। মাংসের ওপর মানুষের এতো লোভ কী করে হয়। খামচির দাগ, অবশ দেহ নিয়ে আবার সকাল শুরু করে। পাড়ার ব্যাপক মানুষের গালি খায়। আবার কালো একটি রাত কাটে সূর্যের অপেক্ষায়। তবে কবি, আজ রাত মেয়েটির জন্য ভিন্ন রকম। জানতে চাইবেন না মেয়েটি কে! মেয়েটি অতুল। আপনার খুব নিকটে বসা বিষন্ন জীবনবোধ।’ উদাস হয়ে গল্প বলে গেলো অতুল। রাত গভীর। চাঁদের আলো আর কুয়াশা বাইরে জড়াজড়িরত। অতুলের চোঁখে পানি। হেমন্তবাবু পানি মুছে দিলেন। অতুল ধীরে ধীরে মুখ গুঁজে দিলো হেমন্তবাবুর বুকে। তিনি খুব আলতো করে জড়িয়ে আছেন। কান্নার মৃদুতা বুকে বিঁধে যাচ্ছে। অতুল এমন প্রশস্ত বুক আর পায়নি। খুব মনোযোগী হয়ে বুকের ভেতরে ভালোবাসার প্রতিধ্বনি শুনছে। বুকে বুক পিষ্টের ব্যথায় রাত কাটতো অতুলের। এই প্রথম কারোর বুকে মাথা রাখার নিরাপদ আশ্রয় পেলো।
মাথা তুলবে অতুল?
আপনার বুকের ধুকধুক শব্দটা একটু শুনি।
অতুল, তোমার নাকটা খুব চোকা, চুলগুলো খুব শীতল।
কবি!
হুম বলো।
গত পাঁচদিন আগে চেয়ারম্যান চাচা আপনার আসার কথা বলে গেলেন। আমার দায়িত্ব হলো আপনার দেখভাল করা। সে থেকেই অপেক্ষা করে কাটছে আমার দিন।
অপেক্ষা করছিলে কেনো, অতুল?
আপনার কবিতার একজন ভক্ত। ম্যাগাজিনে পড়েছি। যার কবিতা ভালোবাসি তাকে কাছে থেকে পাবার আশায়।
আর?
এমন প্রশস্ত বুকে মাথা রাখবার ইচ্ছে ছিলো।
পিঠে হাত বুলিয়ে বললেন- কাছ থেকে পেয়েছো?
চোখ মুছতে মুছতে বলে- এতোটা কাছে পাবো ভাবিনি।
শুনো অতুল আমার কাছে জীবনবোধ এটাই।
প্রশ্নাতুর চোখে হেমন্তবাবুর মুখে চেয়ে বলে, কোনটা?
এইযে, মানুষের খুব কাছে চলে যাওয়া। যতটা মানুষ ভাবতে চায় না। জীবন দিয়ে জীবনকে আলিঙ্গন করা।
হাতটা হেমন্তবাবুর দিকে বাড়িয়ে বলল- কবি হাতটা একটু শক্ত করে ধরবেন?
বিদ্যুৎ চলে এলো। অতুল ওঠে দাঁড়ায়। ‘কবি গেলাম’ বলে হ্যারিক্যান হাতে ধীরে ধীরে সামনের দিকে পা বাড়ায়। হেমন্তবাবু দরজা পর্যন্ত আসেন। পেছন থেকে হাত ধরে বলেন, ‘ভালো থেকো’।
২.
‘কবি, কবি ঘুম ভাঙেনি’- বাইরে অতুল ডাকছে। দরজা খুলে হেমন্তবাবু অতুলকে ‘শুভ সকাল’ জানালেন, ভেতরে এসো। অতুল বলল, না, আপনার নাস্তা দিয়ে যাচ্ছি। নাস্তা রেখে যাওয়ার সময় বলে গেলো, গোসলের জন্য গরম পানি আছে। শুধু ‘অতুল’ বলে ডাকলেই হাজির হবো। এখন তবে নাস্তা সারুন।
দুপুরের খাবার শেষে হেমন্তবাবু কবিতা পড়ছেন। জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছে অতুল চুল শুকাচ্ছে। একটু পরেই মৃদুস্বরে ‘কবি’ ডাকে বাইরে তাকালেন, দেখলেন অতুল দাঁড়িয়ে। হেমন্তবাবুর ডাকে ভেতরে এলো। ‘কবিতা শুনবো’ বলে চৌকিতে বসলো। হেমন্তবাবুর মোবাইল বেজে ওঠে-‘একটু বোসো অতুল, আসছি’ বলে ফোন কানে বাইরে গেলেন।
কে কল করেছে, কবি?- অতুলের প্রশ্ন।
মা।
ও, মা কেমন আছেন?
ভালো তবে আমাকে নিয়ে চিন্তা করছে, কী খাচ্ছি, কোথায় থাকছি!
কেনো? আপনি মাকে আমার কথা বলেননি!
বলেছি, তোমার জন্য মা দোয়া করছেন।
অতুল হেমন্তবাবুুর হাত ধরে বলল- আমি মাকে দেখবো।
ওপাশ থেকে অতুলের ডাক পড়লো। হেমন্তবাবুর হাত ছেড়ে ‘এখন যাই, রাতে লুডু খেলবো কবি’ বলে এক দৌড়ে চলে যায়। ঋতু বেগম অর্থাৎ অতুলের বাবার তৃতীয় স্ত্রী। যাকে অতুল মা ডাকে। অতুলের চুলের মুটি ধরে ধুমধুম কিল মারে পিঠে, ‘মাগি কোথাকার, ব্যাটা দেখলে তর সয় না। সারাদিন ঐ বেটার কাছে কী তোর? তোর বাপ আসুক, আজ খবর আছে।’
সন্ধ্যা গেলো, রাত হলো। অতুল আসেনি। হেমন্তবাবুু অপেক্ষা করছেন। রাতের খাবার ঋতু বেগম দিয়ে গেছেন। হেমন্তবাবু ভেবেছিলো অতুলের কথা জিগ্যেস করবেন, সাহস হয়নি।
মার খাওয়ার পর অতুল তার ঘরে সুয়ে আছে। ঋতু বেগমের কাছে বাজে কথা শুনে টলতে টলতে মেয়ে ঘরে ঢুকে মামুন। ‘ঐ মাগি- তোর আজ স্বাদ মিঠামু, ঐ কবি'র কাছে তোর কী এতো!’
‘বাবা! তোমার পায়ে ধরি, আমারে আর কষ্ট দিও না। কামড়ের ব্যথা এখনো ভালো হয়নি। বাবা- বাবাগো- মরে যাবো...’ ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে আসে অতুলের কণ্ঠ।
গভীর রাতে দরজা ধাক্কার শব্দে চমকে উঠলেন হেমন্তবাবু। ‘অতুল আপনার ঘরে? দরজা খোলেন!’ মামুন নেশাক্রান্ত গলায় বলছে। ‘না তো’ হেমন্তবাবু বলেন। ‘অতুলকে খুঁজে পাইতাছি না কবি’ বলে টলতে টলতে চলে গেলো মামুন।
পরদিন সকালে কাছারি ঘরে নতুন আরেকটি কবিতা ঝুলতে দেখা যায়।
‘একবার রমণী শুনতে চেয়ে
কবিতা হয়ে ঝুলছে
জারুলের ডালে
চাঁদ রাঙা রাতে
আমার সমন্ত সপেছি
অতুলের হাতে’
-হেমন্তবাবু
শূন্য কাছারিতে কবিতার কাগজে মাকড়শা হেঁটে যায়...
(দ্য রিপোর্ট/একেএম/মে ১৮, ২০১৮)
পাঠকের মতামত:
- সূচকের পতনে চলছে লেনদেন
- ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ অধ্যাপক গ্রেফতার
- রাফা ছেড়ে পালিয়েছেন ৩ লাখ মানুষ: জাতিসংঘ
- প্যারিসে এমুবাপ্পের শেষ ম্যাচে পিএসজির হার
- ইসরায়েলিদের সামনেই ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ালেন বাংলাদেশীরা
- এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার চ্যালেঞ্জ শুরু
- কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন পুতিন
- সৈয়দপুরে বিমানবন্দরে ফ্লাইট চালু, আটকেপড়া যাত্রীদের স্বস্তি
- নাগরিকত্ব ত্যাগ করে অন্য কোনো দেশের নাগরিক হলে এনআইডি বাতিল
- হজ পালন করতে সৌদি পৌঁছেছেন ৯ হাজার ৪৮৪ জন হজযাত্রী
- ইতালির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান প্রধানমন্ত্রীর
- আজ কুতুবদিয়া পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ
- আবারও সিআইপি হলেন এম এ রাজ্জাক খান রাজ
- সহযোগী অধ্যাপক হলেন ৯০ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
- পোশাক শিল্পে এখনই ৩ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা জরুরি
- সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে
- রোনালদোর স্বপ্ন ভেঙ্গে চ্যাম্পিয়ন নেইমারের আল হিলাল
- শুরুর বিপথ সামলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫৭
- আফগানিস্তানে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩০
- শিক্ষায় ছেলেরা পিছিয়ে কেন, কারন খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
- এসএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ
- আজ বিশ্ব মা দিবস, যেভাবে এলো
- এসএসসি ফলাফল জানা যাবে যেভাবে
- জি এম কাদেরের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বে ফিরতে বাঁধা নেই
- এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেলেন শিক্ষক এনামুল
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের হজ বুথ উদ্বোধন
- ইউএস ট্রেড শো- ২০২৪ এ ইসলামী ব্যাংকের স্টল উদ্বোধন
- "সীমান্তে গুলি করে দেশের মানুষকে হত্যা করা হলেও সরকার নিশ্চুপ"
- সরকার পরিবর্তনে এখন জনগণের হাত নেই: জিএম কাদের
- "সাংবাদিক ও দুদকের কর্মকর্তাকে টাকা দিয়েছেন শামসুজ্জামান"
- এমভি আবদুল্লাহ বাংলাদেশের জলসীমানায় পৌঁছেছে
- সড়কে মৃত্যুহার কমানো সরকারের উদ্দেশ্যে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে বাংলাদেশ
- ইসরায়েল গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে: যুক্তরাষ্ট্র
- ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশও
- মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত
- বাগেরহাটে বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
- না ফেরার দেশে হায়দার আকবর খান রনো
- আইইবি ৬১তম কনভেনশনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- দুই দিনে ৫ হাজার ৯২৬ হ্জ যাত্রী ঢাকা ছেড়েছেন
- "গুলশান লেকে দেখলাম অভিজাত এলাকায় অভিজাত ময়লা"
- একটি পরিবারও ভূমিহীন, গৃহহীন থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
- রাশিয়াকে ঠেকাতে আরও অস্ত্র প্রয়োজন: জেলেনস্কি
- সিরিজ নিশ্চিতের পর টাইগারদের হোয়াইটওয়াশের মিশন শুরু
- বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাকে অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে পুলিশের গুলি
- "আমরা পৃথিবীর কোনো নির্বাচনেই হস্তক্ষেপ করি না"
- দীর্ঘ ছয় মাস পর আজ নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপি
- সীমান্তে হত্যা: ভারতের কাছে বাংলাদেশের উদ্বেগ
- ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের সাত কলেজের
- নিহত পাইলটের জানাজা সম্পন্ন, দাফন মানিকগঞ্জে
- ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত ডেভিড স্লেটন
- বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
- বিধ্বস্ত হওয়া বিমানে এক পাইলট মারা গেছেন
- "সব ধরনের কানেকটিভিটি সংযোগগুলোর তার মাটির নিচ দিয়ে হবে"
- অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে দেশ থেকে অর্থ পাচার হচ্ছে: অর্থমন্ত্রী
- তিস্তা প্রকল্পে ভারত অর্থায়ন করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ
- মিল্টন সমাদ্দারকে রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রেরণ
- প্রথম ফ্লাইটে সৌদি গেলেন ৪১৩ জন হজযাত্রী
- জুলাইয়ে বেইজিং সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- পাঁচ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ
- বিএসইসির কমিশনার পদে তিনজনকে নিয়োগ
- ইসরায়েলের কাছে পাঠানো বোমার চালান স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র
- ওমরাহ পালন শেষে সস্ত্রীক দেশে ফিরেছেন বিএনপি মহাসচিব
- বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলন বয়কট করলেন সাংবাদিকরা
- ডলারের দাম এক লাফে বাড়লো ৭ টাকা
- সমুদ্রে তেল, গ্যাস উত্তোলনে দরপত্র কিনেছে ৭ কোম্পানি: নসরুল
- মুসলমান ঐক্যবদ্ধ থাকলে মুসলমানরা অগ্রগামী থাকতো: প্রধানমন্ত্রী
- সীমান্তে বেসামরিক মানুষ হত্যা গ্রহণযোগ্য নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ হয়েছে: সিইসি
- যুবলীগ নেতা সারোয়ার বাবুর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস
- বিদায় নিচ্ছে তাপপ্রবাহ, ৪ দিনে ৮ ডিগ্রির বেশি কমেছে তাপমাত্রা
- যুবলীগ নেতা সারোয়ার বাবুর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- রাশিয়াকে ঠেকাতে আরও অস্ত্র প্রয়োজন: জেলেনস্কি
- ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত ডেভিড স্লেটন
- নয়াপল্টনে বিএনপি সমাবেশ করবে ১০ মে
- দলীয় সিদ্ধান্ত না মানার বিষয়ে ইসি বেকায়দায় নেই: সিইসি
- সিরাজগঞ্জে গোপন বৈঠক, ৫ প্রিসাইডিং অফিসারসহ আটক ৬
- কারও একার পক্ষে ডেঙ্গু মোকাবেলা সম্ভব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- সিরিজ নিশ্চিতে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ
- এসএসসির ফলাফল জানা যাবে যেভাবে
- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ১৫টি অঞ্চলের সর্বোচ্চ ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস
- এবার ঢাকায় বসবে ২২টি পশুর হাট
- সীমান্তে বেসামরিক মানুষ হত্যা গ্রহণযোগ্য নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলন বয়কট করলেন সাংবাদিকরা
- উপজেলা নির্বাচন: ভোটার শূন্য আসনে অলস সময় কাটাচ্ছে পুলিশ
- ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
- সমুদ্রে তেল, গ্যাস উত্তোলনে দরপত্র কিনেছে ৭ কোম্পানি: নসরুল
- ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ১৭ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হচ্ছেন যেসব প্রার্থী
- বিএসইসির কমিশনার পদে তিনজনকে নিয়োগ
- ঢাকা আসছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
- অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ওমরাহ পালন শেষে সস্ত্রীক দেশে ফিরেছেন বিএনপি মহাসচিব
- এক কোটি কার্ডধারীকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য দিবে টিসিবি