thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি 25, ২২ মাঘ ১৪৩১,  ৫ শাবান 1446

ইউএনও ওয়াহিদার স্বামীও ইউএনও; আছে সন্তান

২০২০ সেপ্টেম্বর ০৪ ১০:১৬:৫০
ইউএনও ওয়াহিদার স্বামীও ইউএনও; আছে সন্তান

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের বাবার বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুরে। বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখ মহাদেবপুর উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অফিসে চাকরি করতেন। আর সে সুবাদে সেখানে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন তারা। ওয়াহিদা খানম উপজেলার সর্বামঙ্গলা হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। তাদের আদিবাড়ি রাজশাহীর বাঘমারা উপজেলায়।

ওয়াহিদা খানমের স্বামী মেজবাউল হোসেন রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে কর্মরত। তাদের চার বছরের এক ছেলে রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখ প্রায়ই তার মেয়ের কর্মস্থল ঘোড়াঘাট বেড়াতে যেতেন। গত কয়েকদিন থেকে ধরে মেয়ের কাছেই ছিলেন তিনি।

জানা গেছে, দুদিন আগে রংপুরের পীরগঞ্জে স্বামীর কাছ থেকে কর্মস্থলে আসেন ওয়াহিদা খানম। বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সরকারি বাসভবনে একদল দুর্বৃত্ত ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এ সময় চিৎকারে তার সঙ্গে থাকা বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখ ছুটে এসে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাকেও কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে রংপুর ডক্টরস ক্লিনিকের আইসিইউতে ও তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওয়াহিদা খানমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওইদিন দুপুরে রংপুুুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নেয়া হয়।

মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখ বলেন, রাত ৩টা-সাড়ে ৩টার দিকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে ঘুমানোর কিছু পর মেয়ের চিৎকার শুনতে পাই। মেয়ে আমাকে ডাকছিল আর বলছিল, ঘরে কেউ ঢুকেছে বাবা, দ্রুত আসো। আমি ওপর তলায় গিয়ে দেখি মুখোশধারী এক ব্যক্তি মেয়ের কাছে চাবি চাচ্ছিল। টাকা-পয়সা ও গহনা কোথায় তা জানতে চাচ্ছিল বারবার। তথ্য না দিলে আমার নাতিকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছিল ওই ব্যক্তি। একপর্যায়ে আমি তাকে ধরে ফেলি। তার সঙ্গে আমার ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তখন হাতুড়ি দিয়ে আমার ঘাড়ে আঘাত করলে মেঝেতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যাই।

তিনি আরও বলেন, মুখোশধারী ব্যক্তি শুধু চাবি আর টাকা-পয়সা কোথায় তা জানতে চেয়েছিল। মুখোশ পরা ছিল বলে আমি তাকে চিনতে পারিনি। পরে শুনেছি আমার মেয়েকে কুপিয়ে জখম করা হয়। কেন এ হামলা হয়েছে তা আমি বলতে পারছি না। তবে বাথরুমের ভেন্টিলেটর ভেঙে বের হয়ে যায় ওই ব্যক্তি। তবে বাইরে কেউ দাঁড়িয়ে ছিল।

ওমর আলী চাকরির সুবাদে ১৫-১৬ বছর ধরে উপজেলা সদরে বুলবুল সিনেমা হল এলাকায় সপরিবারে ভাড়া থাকতেন। তিনি উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অফিস থেকে ২০১৭ সালে অবসর গ্রহণ করেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর