thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি 25, ২২ মাঘ ১৪৩১,  ৫ শাবান 1446

দেশে খাদ্যের কোনো সংকট নেই : খাদ্যমন্ত্রী

২০২০ সেপ্টেম্বর ১১ ১৯:১১:২৬
দেশে খাদ্যের কোনো সংকট নেই : খাদ্যমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। দেশে খাদ্যের কোনো সংকট নেই। এ বছর পর্যাপ্ত পরিমাণে ধান উৎপাদন হয়েছে। এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী ধান-চাল মজুদ ও কৃত্রিম সংকট করে মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, রাইস মিল মালিকরা করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে আরো গতি ও জবাবদিহিতা আনার লক্ষ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরসহ সকল দপ্তরসমূহ অটোমেশনের আওতায় আনা হবে।

তিনি আরো বলেন, ভর্তুকি দেয়াসহ নানামূখী পদক্ষেপের কারণে দেশ কৃষিতে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। খুলনা জেলায় শতভাগ ধান-চাল সংগৃহীত হওয়ায় তিনি খুলনা জেলার সকল মিল মালিক এবং জেলার সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান।

‘ডিজিটাল রাইস প্রকিউরমেন্ট অ্যাপস’-এর মাধ্যমে খুলনা জেলায় শতভাগ চাল প্রকিউরমেন্ট কার্যক্রমের সমাপনী অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এসব কথা বলেন। আজ শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে জুম অ্যাপের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী, অসহায়, দুঃস্থ ও হতদরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। করোনায় দেশের কোন জনগণ না খেয়ে মারা যায়নি। যার যার অবস্থান থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে দেশ আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন।

জুম অ্যাপে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ এবং খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। জুম অ্যাপে যুক্ত ছিলেন খুলনার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মাহবুবুর রহমান।

খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ তানভীর রহমান, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, জেলা রাইস মিলস মালিক সমিতির সভাপতি মুহা: মুস্তফা কামাল বক্তব্য রাখেন। জুম অ্যাপে আরও যুক্ত ছিলেন খুলনার সকল উপজেলার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা।

এই অ্যাপস ব্যবহারের সুবিধা হলো: চুক্তির নির্ধারিত শর্তাবলীর সাপেক্ষে উপযুক্ত মিলারদের নিকট থেকে স্বচ্ছতার সাথে চাল ক্রয় নিশ্চিত, আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ তৈরি, প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন, চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের গতি ত্বরান্বিত এবং সহজেই এই কার্যক্রম পরিচালনা, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য হ্রাস, নির্ভুল হিসাব সংরক্ষণ ও সকল প্রকার নথি চলাচল দুর্নীতিমুক্ত, চাল সরবরাহে মিলারদের ভোগান্তির অবসান এবং একই সাথে ব্যাংক সুদ হ্রাস ও সরকারের আর্থিক ক্ষতি হ্রাস পাওয়া, চাল সংগ্রহ কার্যক্রম যুগোপযোগী এবং কাজের ক্ষেত্রে অধিকতর সহজ পদ্ধতি আনয়ন, কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন প্রেরণ সহজতর ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে মনিটরিং কার্যকরী করা, জেলা পর্যায়ে সার্বিক রাইস প্রকিউরমেন্ট কার্যক্রম অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সহজতর করা।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১১সেপ্টেম্বর, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর