thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি 25, ২১ মাঘ ১৪৩১,  ৫ শাবান 1446

রূপপুর প্রকল্প বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়িয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

২০২০ নভেম্বর ১৪ ১৯:৩৬:০৪
রূপপুর প্রকল্প বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়িয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের গর্বের একটি প্রকল্প। এ প্রকল্প বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। শনিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে রূপপুর থেকে ঢাকা ফেরার পথে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের ঢুলটিতে অবস্থিত বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) নিউএরা ফাউন্ডেশন পরিচালিত নূরজাহান হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে, শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৪৮ সদস্যের একটি দল ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যায় প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে মতবিনিময় করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখানে ডিপ্লোম্যাটদের নিয়ে এসে আমার খুব ভালো লাগলো। এ প্রকল্প থেকে মাত্র ৪ দশমিক ৫০ টাকা ইউনিটে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। কম দামে বিদ্যুৎ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিকে আরো বাড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে মোমেন আরও বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প আমাদের জন্য বিশাল একটি অর্জন। আমাদের মতো দেশের জন্য এ প্রকল্প বাস্তবায়ন কেবল প্রধানমন্ত্রীর দুঃসাহসিক সিদ্ধান্তের কারণেই সম্ভব হয়েছে। আমরা নিউক্লিয়ার মারণাস্ত্র ব্যবহারের বিপক্ষে সোচ্চার, কিন্তু মানুষের উপকারে ইতিবাচক কাজে নিউক্লিয়ার টেকনোলজি ব্যবহারের পক্ষে। এটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়িয়ে দেবে। আমরা ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে সারা পৃথিবীর স্বীকৃতিও পেয়েছি।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়কমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সারা পৃথিবী স্থবির হয়ে গেলেও রূপপুরে নিরবচ্ছিন্ন কাজ করেছেন রাশিয়ান ও দেশীয় কর্মীরা। তাদের কারণেই শিডিউল অনুযায়ী কাজ এগিয়ে চলেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

তিনি আরো বলেন, বাঙালির আর কিছু থাক আর না থাক হৃদয় আছে। আর হৃদয়ের ভালোবাসা ও এলাকার মানুষের আন্তরিকতার কারণেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের রূপপুর প্রকল্প আজ দৃশ্যমান।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, ইতোমধ্যেই রাশিয়া থেকে রিয়েকটর প্রেশার ভেসেলের ভারী যন্ত্রাংশ নদী পথে প্রকল্পের নবনির্মিত জেটিতে পৌঁছতে শুরু করেছে। যন্ত্রাংশগুলো নামাতে প্রয়োজনীয় কাজ চলছে। প্রয়োজনীয় কারিগরি কার্যক্রম শেষে আগামী ফেব্রুয়ারিতে তা মূল নিউক্লিয়ার বিল্ডিংয়ে সংযোজন শুরু হবে।

তিনি বলেন, এখানে বর্তমানে ১৪ হাজার দেশীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ১৭ হাজার জন প্রতিদিন কাজ করছেন। করোনা পরিস্থিতিতেও প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ড. ইয়াফেস ওসমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের স্ত্রী মিসেস সেলিনা মোমেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও তার স্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাব্বির আহমাদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক এফএম বোরহান উদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইতি রানী পোদ্দার, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্পের পরিচালক ড. শৌকত আকবর, পাবনার জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ, পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম নিউএরা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৪নভেম্বর, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর