১৫ ফেব্রুয়ারি নাকি ২২ জানুয়ারি?
কাওসার আজম, দ্য রিপোর্ট : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নির্বাচন বয়কট ও মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের ঘোষণার মধ্য দিয়ে আগামী ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধিত অধিকাংশ দলের অংশগ্রহণ ছাড়া এ নির্বাচন একতরফা হবে কি না, এ নিয়ে যেমন প্রশ্ন রয়েছে তেমনি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির আদলে নির্বাচন; নাকি ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির মতো শেষ পর্যন্ত কমিশন ঘোষিত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না, এ নিয়ে সর্বমহলে সংশয় ও প্রশ্ন রয়েছে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের আপত্তি সত্ত্বেও আগামী ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নিবন্ধিত ৪১টি দলের মধ্যে আওয়ামী লীগসহ তাদের রাজনৈতিক মিত্র ১০টি দল এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। ১৮ দল এ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবিতে টানা ৬দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। একইসঙ্গে আগামী শনিবার থেকে আবারও টানা ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে এ জোট।
নির্বাচন বর্জন করে বিরোধী জোটের অবরোধ কর্মসূচিতে রেল লাইন উপড়ে ফেলা হচ্ছে। মানুষ মরছে, গাড়ি পুড়ছে। দেশজুড়ে এক অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। দুই রাজনৈতিক জোটের পরস্পর বিরোধী অবস্থানে দেশজুড়ে অজানা আতঙ্ক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। দুই রাজনৈতিক জোটের অনড় অবস্থান রাজনীতিকে ক্রমেই উত্তপ্ত করে তুলেছে। শঙ্কা দেখা দিয়েছে দেশের আগামী দিনের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
সংকট সমাধানে দুই নেত্রীর মধ্যে আলোচনার তাগিদ দিতে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল, মার্কিন রাষ্ট্রদূত, যুক্তরাজ্য, চীন ও ভারতসহ বহির্বিশ্বের চাপ বাড়ছে। দুইপক্ষকে এক জায়গায় বসে তারা নির্বাচনকালীন সরকার ঠিক করার তাগিদ দিচ্ছেন। সংঘাত এড়িয়ে সমঝোতার কথা বলছেন। কিন্তু সমাধান হচ্ছে না সংকটের।
গত বুধবার আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী ও সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বদলীয় সরকারের অধীনে এবং নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী যথাসময়ে সংসদ নির্বাচনের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে। কমিশন ঘোষিত তফসিলের পরির্তন মানবে না আওয়ামী লীগ।’’
শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি জোট নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিলেও এতে তেমন পাত্তা দিচ্ছেন না আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা মনে করেন, নির্বাচন প্রতিহত বা প্রতিরোধের মতো সাংগঠনিক ক্ষমতা বিএনপি জোটের নেই। সম্প্রতি সর্বশেষ ১৪ দলের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, নির্বাচনে কতগুলো দল এলো, সেটা বড় বিষয় নয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলেই নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হয়।
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন যখন টালমাতাল তখন বাংলাদেশ সফরে আসেন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং। আলোচনা করেছেন সরকার ও বিরোধী পক্ষের সঙ্গে। অন্যদিকে শুক্রবার আসতে পারেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। তিনিও সরকার এবং বিরোধী পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। তাদের এ সফরকে গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে সবমহল থেকে। শেষ পর্যন্ত সংকট উত্তরণে তাদের সফর কতটুকু ভূমিকা রাখবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। এ অবস্থায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হবে কিনা। যদি হয় তাহলে সেটি আবার ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো হবে কিনা? নাকি ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির মতো নির্বাচন ভণ্ডুল হবে। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে সবমহলে।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন :
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বেশির ভাগ দল ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন বর্জন করেছিল। হরতালসহ টানা অবরোধ পালন করে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতসহ বিরোধী দলগুলো। কিন্তু, তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল বিএনপি ফ্রিডম পার্টিসহ কয়েকটি দল নিয়ে একতরফা নির্বাচন করে। তবে সেই বিএনপি সরকার মাত্র দেড় মাস স্থায়ী হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন পাস করে বিদায় নিতে হয় বিএনপিকে। ওই নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ছিল ২৪ হাজারের মতো। শেষ পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সংকট দেখা দিলে কেন্দ্রের সংখ্যা ২১ হাজারে নামিয়ে আনা হয়। নির্বাচনে মাঠ কর্মকর্তারা ভোট বর্জনকারীদের হাতে নাজেহাল হয় সারাদেশে। তখনকার বিরোধী দলের প্রতিরোধের মুখে সারাদেশের কয়েক হাজার ভোট কেন্দ্রে ঢুকতেই পারেননি কর্মকর্তারা। অনেক কেন্দ্র ভোটারহীন থাকলেও ভোটগ্রহণ হয়।
সেবার ৩০০ আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন। নির্বাচন হয় ২৫২টি আসনে। শেষপর্যন্ত কমিশন ২৪২ আসনের নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশ করে। বাকি ১০টি আসনের নির্বাচনী ফল কমিশনে পৌঁছায়নি।
১৫ ফেব্রুয়ারির সেই নির্বাচনে কমিশনের মোট ব্যয় হয় ৬৪ কোটি টাকা। তার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেছনেই ব্যয় হয় ৪৮ কোটি টাকা।
প্রেক্ষাপট ২২ জানুয়ারি ২০০৭ :
দেশ জুড়ে চরম রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দেয় বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট। অন্যদিকে এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট।
২০০৭ সালের ১০ জানুয়ারি রাজধানীর পল্টন ময়দানে মহাজোট এবং কুমিল্লায় চারদলীয় জোটের বড় জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মহাজোটের জনসভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২২ জানুয়ারি একপেশে নির্বাচন হবে না। যেকোনো মূল্যে এ নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। কোনো ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। প্রহসনের নির্বাচনে অংশ নেবেন না। যদি কেউ যান তবে গণদুশমনে পরিণত হবেন।’ জনসভা থেকে তিনি একতরফা নির্বাচন প্রতিরোধে মহাজোটের পক্ষ থেকে ১৪ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা বঙ্গভবন ঘেরাও, ১৪ ও ১৫ এবং ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি এবং ২১ ও ২২ জানুয়ারি সারাদেশে হরতাল কর্মসূচির ডাক দেন।
অন্যদিকে একইদিন চারদলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার স্বার্থে এ নির্বাচন থেকে পিছু হটার সুযোগ নেই। এ নির্বাচনে যারা বাধা দিতে আসবে, তাদের প্রতিহতের আহ্বান জানান তিনি।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সামরিক হস্তক্ষেপে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমদ দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন এবং ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ‘ওয়ান ইলেভেন’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ওই তারিখের মাত্র দুইদিন আগে ৮ ও ৯ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে দুটি বার্তা পাঠান ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া এ বিউটেনিস। বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী ওয়েবসাইট উইকিলিকসে এ গোপন বার্তায় সে সময়ের রাজনৈতিক পটভূমি উঠে আসে।
বার্তায় বিউটেনিস লেখেন, সেনাবাহিনী বিশ্বাসভঙ্গ করে অভ্যুত্থান করতে পারে, কিংবা দুই নেত্রীকে নির্বাসনে পাঠানো হতে পারে-এ ধরনের কোনো আশঙ্কা মনে ঠাঁই দিতে প্রস্তুত ছিলেন না সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। শেখ হাসিনাও এ দুটি গুজবকে উড়িয়ে দিয়ে রসিকতা করে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসন দিলে তার জন্য ভালোই হবে, তিনি নাতনির সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন।
বাংলাদেশে তখনকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া বিউটেনিস ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনা এবং ৭ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন।
উইকিলিকসে প্রকাশিত বার্তায় বলা হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সামরিক হস্তক্ষেপ কিংবা সামরিক আইন জারি এবং দুই নেত্রীকে দেশত্যাগে বাধ্য করার মতো সম্ভাবনা নিয়ে খালেদা ও হাসিনাকে সতর্ক করে রাজনৈতিক সমঝোতার প্রস্তাব দেন এ দুই কূটনীতিক। দুই নেত্রীকেই তারা বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের একটি অংশের অনুরোধে তারা সমঝোতার প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন এবং তাদের দেশ সামরিক অভ্যুত্থানের মতো কোনো অসাংবিধানিক ঘটনায় সমর্থন বা উৎসাহ দেবে না।
বিউটেনিস ও আনোয়ার চৌধুরী আরো বলেন, কেবল দুই নেত্রীর সাহসী পদক্ষেপের মাধ্যমেই এ রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান হতে পারে।
পরদিন ৭ জানুয়ারির একান্ত বৈঠকে কোনো ধরনের সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে খালেদা জিয়া এ দুই কূটনীতিকের কাছে দাবি করেন, তিনি সব সময়ই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত ছিলেন, কিন্তু শেখ হাসিনা কখনোই তাতে সাড়া দেননি। এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে মন্তব্য করে খালেদা জিয়া সমঝোতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং ২২ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেন।
তার বার্তায় বিউটেনিস আরো লিখেছেন, খালেদা জিয়ার ধারণা হয়েছিল, আওয়ামী লীগের পিঠ এবার সত্যিসত্যি দেওয়ালে ঠেকে গেছে এবং এ অবস্থা থেকে তারা আর ফিরে আসতে পারবে না।
এর আগে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে তৎকালীন বিএনপির মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভুইয়া ও আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মাঝে মধ্যে তারা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, বৈঠক ফলপ্রসু হয়েছে। সংকট সমাধান হবে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত আর সংকটের সমাধান হয়নি। তৎকালীন রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতসহ কূটনীতিক মহল তৎপর হয়ে ওঠেন। আলোচনায় বসেন দুই পক্ষের সঙ্গে। কিন্তু, তাদের তৎপরতার ফলও শুভ হয়নি। পরবর্তীতে অনাকাঙ্ক্ষিত বহুল আলোচিত ১/১১-এর ঘটনা ঘটে।
বিশিষ্টজনেরা যা বললেন :
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন দ্য রিপোর্টকে বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ১৯৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারি কিংবা ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির চাইতেও ভয়াবহ।
যেভাবে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে তাতে সামনের অবস্থা আরো ভয়াবহ মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংকট সমাধানের কোনো পথ দেখছি না।
বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম দ্য রিপোর্টকে জানান, যেখানে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধিত অধিকাংশ দল ঘোষিত নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না সেখানে শঙ্কা তো থাকবেই। প্রধান বিরোধী দলসহ অধিকাংশ নিবন্ধিত দলকে বাদ দিয়ে সরকার যে একতরফা নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এতে সংকট আরো ঘনীভূত হচ্ছে। দেশ ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ধারাবাহিকতা নাকি ২০০৭ সালের একতরফা নির্বাচনের সিদ্ধান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক মহলের প্রচেষ্টায় চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সমাধানের আশা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। সংকট সমাধানে সরকার পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে বিরোধী দল তাদের দাবি থেকে সরে আসছে না। এ অবস্থায় সংকট সমাধানের তেমন সম্ভাবনা দেখছি না। দেশ এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে যাচ্ছে।
(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এইচএসএম/ডিসেম্বর ০৫, ২০১৩)
পাঠকের মতামত:
- পাঁচটি ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- মেট্রোরেল শুক্রবার চালানোর প্রস্তুতি
- নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ষড়যন্ত্র সফল হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বিশ্বকাপ দল ঘোষণা, সহ-অধিনায়ক তাসকিন
- সরকার স্যাংশন বা ভিসানীতির কেয়ার করে না: কাদের
- অস্বাভাবিক শেয়ারদর বৃদ্ধির কারণ জানে না এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ
- ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহত
- অপরিপক্ব লিচুতে বাজার সয়লাব
- মিরাজকে নিয়ে চমক দিতে পারে বিসিবি!
- কোচ ফাহিমকে নিয়ে সাকিবের একাকী অনুশীলন
- ঢাকার হোটেল-রেস্টুরেন্টে ডিসকাউন্ট পাবেন পুলিশ সদস্যরা
- আট জেলার ওপর দিয়ে দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে
- ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন ৫ জুন
- লুর বাংলাদেশ সফর গুরুত্বপূর্ণ নয়: বিএনপি
- সৌদি পৌঁছেছেন ১৫ হাজার ৫১৫ হজযাত্রী
- ঢাকায় এসেছেন ডোনাল্ড লু
- মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের কনডেম সেল নিয়ে রায়: আপিল করবে সরকার
- গাজায় রাতভর ইসরাইলের বিমান হামলায় নিহত ২০
- সূচকের পতনে লেনদেন শেষ
- মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ দল ঘোষণা
- বিভিন্ন অঞ্চলে ফের তাপপ্রবাহ শুরু হতে
- হজ যাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহবান প্রধানমন্ত্রীর
- এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ২২ শতাংশ
- "আমেরিকায় পোশাক রপ্তানি কমার পেছনে বিশ্বযুদ্ধ পরিস্থিতি দায়ী"
- রিজার্ভ কমে এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে
- দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে: মির্জা ফখরুল
- ডোনাল্ড লুর সফরে যেসব বিষয় আলোচনা হবে, জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- সূচকের পতনে চলছে লেনদেন
- ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ অধ্যাপক গ্রেফতার
- রাফা ছেড়ে পালিয়েছেন ৩ লাখ মানুষ: জাতিসংঘ
- প্যারিসে এমুবাপ্পের শেষ ম্যাচে পিএসজির হার
- ইসরায়েলিদের সামনেই ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ালেন বাংলাদেশীরা
- এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার চ্যালেঞ্জ শুরু
- কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন পুতিন
- সৈয়দপুরে বিমানবন্দরে ফ্লাইট চালু, আটকেপড়া যাত্রীদের স্বস্তি
- নাগরিকত্ব ত্যাগ করে অন্য কোনো দেশের নাগরিক হলে এনআইডি বাতিল
- হজ পালন করতে সৌদি পৌঁছেছেন ৯ হাজার ৪৮৪ জন হজযাত্রী
- ইতালির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান প্রধানমন্ত্রীর
- আজ কুতুবদিয়া পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ
- আবারও সিআইপি হলেন এম এ রাজ্জাক খান রাজ
- সহযোগী অধ্যাপক হলেন ৯০ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
- পোশাক শিল্পে এখনই ৩ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা জরুরি
- সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে
- রোনালদোর স্বপ্ন ভেঙ্গে চ্যাম্পিয়ন নেইমারের আল হিলাল
- শুরুর বিপথ সামলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫৭
- আফগানিস্তানে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩০
- শিক্ষায় ছেলেরা পিছিয়ে কেন, কারন খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
- এসএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ
- আজ বিশ্ব মা দিবস, যেভাবে এলো
- এসএসসি ফলাফল জানা যাবে যেভাবে
- জি এম কাদেরের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বে ফিরতে বাঁধা নেই
- এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেলেন শিক্ষক এনামুল
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের হজ বুথ উদ্বোধন
- ইউএস ট্রেড শো- ২০২৪ এ ইসলামী ব্যাংকের স্টল উদ্বোধন
- "সীমান্তে গুলি করে দেশের মানুষকে হত্যা করা হলেও সরকার নিশ্চুপ"
- সরকার পরিবর্তনে এখন জনগণের হাত নেই: জিএম কাদের
- "সাংবাদিক ও দুদকের কর্মকর্তাকে টাকা দিয়েছেন শামসুজ্জামান"
- এমভি আবদুল্লাহ বাংলাদেশের জলসীমানায় পৌঁছেছে
- সড়কে মৃত্যুহার কমানো সরকারের উদ্দেশ্যে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে বাংলাদেশ
- ইসরায়েল গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে: যুক্তরাষ্ট্র
- ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশও
- মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত
- বাগেরহাটে বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
- না ফেরার দেশে হায়দার আকবর খান রনো
- আইইবি ৬১তম কনভেনশনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- দুই দিনে ৫ হাজার ৯২৬ হ্জ যাত্রী ঢাকা ছেড়েছেন
- "গুলশান লেকে দেখলাম অভিজাত এলাকায় অভিজাত ময়লা"
- একটি পরিবারও ভূমিহীন, গৃহহীন থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
- রাশিয়াকে ঠেকাতে আরও অস্ত্র প্রয়োজন: জেলেনস্কি
- সিরিজ নিশ্চিতের পর টাইগারদের হোয়াইটওয়াশের মিশন শুরু
- বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাকে অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে পুলিশের গুলি
- "আমরা পৃথিবীর কোনো নির্বাচনেই হস্তক্ষেপ করি না"
- যুবলীগ নেতা সারোয়ার বাবুর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- রাশিয়াকে ঠেকাতে আরও অস্ত্র প্রয়োজন: জেলেনস্কি
- ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত ডেভিড স্লেটন
- বিএসইসির কমিশনার পদে তিনজনকে নিয়োগ
- উপজেলা নির্বাচন: ভোটার শূন্য আসনে অলস সময় কাটাচ্ছে পুলিশ
- সীমান্তে বেসামরিক মানুষ হত্যা গ্রহণযোগ্য নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলন বয়কট করলেন সাংবাদিকরা
- ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
- সমুদ্রে তেল, গ্যাস উত্তোলনে দরপত্র কিনেছে ৭ কোম্পানি: নসরুল
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হচ্ছেন যেসব প্রার্থী
- ওমরাহ পালন শেষে সস্ত্রীক দেশে ফিরেছেন বিএনপি মহাসচিব
- মুসলমান ঐক্যবদ্ধ থাকলে মুসলমানরা অগ্রগামী থাকতো: প্রধানমন্ত্রী
- অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে দেশ থেকে অর্থ পাচার হচ্ছে: অর্থমন্ত্রী
- ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস
- এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- পাঁচ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ
- প্রথম ফ্লাইটে সৌদি গেলেন ৪১৩ জন হজযাত্রী
- ইসরায়েলের কাছে পাঠানো বোমার চালান স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র
- তিস্তা প্রকল্পে ভারত অর্থায়ন করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ডলারের দাম এক লাফে বাড়লো ৭ টাকা
- আইইবি ৬১তম কনভেনশনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- দুই দিনে ৫ হাজার ৯২৬ হ্জ যাত্রী ঢাকা ছেড়েছেন
- ইসরায়েল গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে: যুক্তরাষ্ট্র
- সীমান্তে হত্যা: ভারতের কাছে বাংলাদেশের উদ্বেগ