thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ১৮ মে 24, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ১০ জিলকদ  1445

মিটফোর্ডে ব্যাপক ভাঙচুর ও সংঘর্ষ, চিকিৎসাসেবা বন্ধ

২০১৩ ডিসেম্বর ১০ ১১:১৪:১৮
মিটফোর্ডে ব্যাপক ভাঙচুর ও সংঘর্ষ, চিকিৎসাসেবা বন্ধ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে কর্মচারীদের সঙ্গে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দফায় দফায় এই সংঘর্ষের সময় হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এতে চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়ে গেছে।

পুলিশের এসআই আবদুর রাজ্জাক জানান, সোমবার রাত দুইটার দিকে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে ব্লাড পরীক্ষা করাতে যান একজন শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ও শিক্ষার্থী। এ সময় শিক্ষানবিস চিকিৎসকের সঙ্গে অশোভন আচারণ করেন এক কর্মচারী।

তিনি জানান, এ ঘটনার জেরে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা হাসপাতালের কর্মচারীদের মারধর ও হাসপাতাল ভাঙচুর করেন। এতে অধিকাংশ কর্মচারী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।

কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, কয়েকজন কর্মচারীকে মারধর করা হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষ, সমিতির কার্যালয়ের আসবাবপত্র ও টেলিভিশন ভাঙচুর করেছেন চিকিৎসকরা।

তিনি জানান, রিপোর্টের খোঁজ নয়, রক্ত পরীক্ষায় কেন টাকা নেওয়া হয় এ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই ঝামেলা শুরু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল থেকেই শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা মিলে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবন, ইমারজেন্সি ভবন, স্টাফ কোয়ার্টার ও ব্যাংক ভবন ভাঙচুর করা হয়। এ সময় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন রোগীরা। এ কারণে সকাল থেকে মাত্র একজন রোগী আসেন চিকিৎসাসেবা নিতে। এ ঘটনার পর হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা পালিয়ে যান। এ সময় পুলিশ-র‌্যাবের উপস্থিতি থাকলেও তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নাসরিন জানান, ঘটনার মীমাংসার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মোহাম্মদ সেলিম আসেন। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়ে দুপুর একটার দিকে চলে যান।

হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, তিনি সকাল নয়টা থেকে বসে আছেন। কিন্তু চিকিৎসা দেওয়ার কোন পরিবেশ নেই।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল মোত্তাকিন। তিনি জানান, হাসপাতাল চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শিক্ষানবিস চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে তারা কাজে যোগ দেবেন না।

(দ্য রিপোর্ট/এমএম/এসবি/ডিসেম্বর ১০, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর