thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ৮ মে 24, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ২৯ শাওয়াল 1445

বাহুবলে চার শিশু হত্যা

মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ

২০১৭ মার্চ ১৪ ১৮:৪০:২১
মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের বাহুবলে আলোচিত চার শিশু হত্যা মামলা সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন জানান, গত বছরের নভেম্বর মাসে মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রশাসনিক আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কেন তা পাঠাতে বিলম্ব হয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়।

ওই আদেশের প্রেক্ষিতে মামলাটি আজ (মঙ্গলবার) সিলেট প্রেরণ করা হয়েছে। মামলায় মোট সাক্ষী ৫৭ জন। এর মধ্যে ৪৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছর ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া শুভ (৮), আবদাল মিয়ার ছেলে প্রথম শ্রেণির ছাত্র মনির মিয়া (৭), আব্দুল আজিজের ছেলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তাজেল মিয়া (১০) ও সুন্দ্রাটিকি আনোয়ারুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসার নুরানি প্রথম শ্রেণির ছাত্র আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল মিয়া (১০) পার্শ্ববর্তী তাকিয়া গ্রামে খেলা দেখতে গিয়ে নিঁখোজ হন। পর দিন বাহুবল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন জাকারিয়া শুভর বাবা ওয়াহিদ মিয়া। ১৬ ফেব্রুয়ারি বাহুবল থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন মনিরের বাবা আব্দাল মিয়া। পরে ১৭ ফেব্রুয়ারি গ্রামের পার্শ্ববর্তী বালুর ছাড়া থেকে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপরই অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়। ঘটনার দিনই গ্রেফতার করা হয় গ্রামের একটি পঞ্চায়েতের সর্দার আব্দুল আলী বাগালকে। এরপর একে একে আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশী তদন্তে বেরিয়ে আসে গ্রাম্য পঞ্চায়েত নিয়ে বিরোধের জের ধরে খুন হয় ওই ৪ শিশু। তদন্ত শেষে মামলায় মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

এর মধ্যে বাচ্চু মিয়া নামে এক সিএনজি অটোরিকশা চালক র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে। আর গ্রেফতারকৃত সালেহ আহমেদ ও তার ভাই বশির আহমেদের নাম তদন্তে না আসায় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কারাগারে আটক আছে মামলার প্রধান আসামি আব্দুল আলী বাগাল, তার ছেলে জুয়েল মিয়া ও রুবেল মিয়া, ভাতিজা সাহেদ ওরফে সায়েদ ও অন্যতম সহযোগী হাবিবুর রহমান আরজু। মামলায় পলাতক রয়েছে উস্তার মিয়া, বেলাল মিয়া ও বাবুল মিয়া।

নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। মামলাটি হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে বিচারাধীন ছিল।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এনআই/মার্চ ১৪, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর