thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ৮ মে 24, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ২৯ শাওয়াল 1445

‘হাকালুকিতে মাছ মরা বন্ধ হয়েছে’

২০১৭ এপ্রিল ২২ ২১:৫৯:২৩
‘হাকালুকিতে মাছ মরা বন্ধ হয়েছে’

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওরে ধান পচে বিষক্রিয়ায় মৌলভীবাজারের তিনটি উপজেলার কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখায় মারা গেছে ২৫ মেট্রিক টন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। যার বাজার মূল্য প্রায় ২৫ লাখ টাকা। বর্তমানে মাছ মরা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। পানির গুণগত মান মাছের বসবাস উপযোগী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। হাওরে মাছের আবাসস্থল সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ আছে। কুলাউড়া উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে, শনিবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে মৌলভীবাজারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আ.ক.ম শফিকুজ্জামান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে হাকালুকি হাওর সংশ্লিষ্ট তিনটি উপজেলা বড়লেখা, জুড়ী ও কুলাউড়ায় এক লাখ করে তিন লাখ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে এবং ৫ মেট্রিকটন চুন ছিটানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রচুর বৃষ্টিপাতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে পানির গুণগত মান স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে এসেছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরো জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে তিনটি উপজেলায় ৮টি বিলে নার্সারির মাধ্যমে ১৮ লাখ রুই জাতীয় মাছের পোনা উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা আগামী জুনের মধ্যে অবমুক্ত করা হবে। এ ছাড়াও হাকালুকি হাওরের জন্য আরও পোনা অবমুক্তির চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ার সাথে সাথে তা অবমুক্ত করা হবে।

ইতোমধ্যে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের যুগ্মসচিব সৈয়দ মেহেদি হাসানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনধি দল হাকালুকি হাওর পরিদর্শন করেছে। অন্যদিকে জেলা প্রশাসকের সাথে পরামর্শক্রমে পরিচয়পত্রধারী ৪ হাজার জেলেকে খাদ্য সাহায্যের ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে। অকাল বন্যায় হাকালুকি হাওরের ধান পচে বিষক্রিয়ায় স্থানীয় জাতসহ প্রায় ২৫ মেট্রিকটন মাছ মারা গেছে। হাওরে প্রতিবছর মোট মাছের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১৮ হাজার মেট্রিকটন। জেলায় মোট মাছের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিকটন।

এদিকে হাকালুকি হাওর তীরের কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল, বরমচাল ও ভাটেরা ইউনিয়নে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও হাওরের কৃষক-মৎস্যজীবীদের সাথে শনিবার মতবিনিময় করেছেন মৌলভীবাজারের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান।

ভুকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে ভুকশিমইল ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনিরের সভাপতিত্বে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাড়াও মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন মো. আব্দুল মতিন এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান আ.স.ম কামরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী গোলাম রাব্বি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু, জেলা পরিষদ সদস্য সেলিম আহমদ, শিরিন আক্তার চৌধুরী মুন্নি, বরমচাল ইউপি চেয়ারম্যান আহবাব চৌধুরী শাহাজাহান, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমদ, কুলাউড়া প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি ময়নুল হক পবন, কুলাউড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ, দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি হোসাইন আহমদ, সকালের খবর প্রতিনিধি সাইদুল হক সিপন প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুরর রহমান বলেছেন, ‘হাকালুকি এশিয়ার বৃহত্তম হাওর। এখানে কৃষকের সকল ধান নষ্ট হয়ে গেছে। কোনো কিছুই বাকি নেই। তাই হাওরবাসীর পাশে আমি রয়েছি। সরকারের কাছ থেকে হাওরবাসীর দাবি আদায়ে প্রয়োজনে রাজপথে নামব।’

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/জেডটি/এপ্রিল ২২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর