thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে 24, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ১১ জিলকদ  1445

তবুও থামছে না পাহাড় কাটা

২০১৭ জুন ১৮ ১৭:৫৯:৪৫
তবুও থামছে না পাহাড় কাটা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড় ধসের কারণে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তারপরও থামছে না পাহাড় কাটা। দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে এ পাহাড় কাটা চলছে। অথচ প্রশাসন নীরব। আর প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় পাহাড় খেকোরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

রবিবার (১৮ জুন) সর্বশেষ পাহাড় ধসে খাগড়াছড়ির রামগড় ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ৩ জন নিহত ও ২ জন আহত হলেও সেদিন দুপুরে জেলা সদরের শিলাছড়া এলাকায় ঢাকা-খাগড়াছড়ি সড়কের পাশেই বুলডোজার ব্যবহার করে পাহাড় কাটতে দেখা গেছে। স্থানীয় একটি বৌদ্ধ বিহারের সড়ক নির্মাণের জন্য চট্টগ্রাম থেকে চালকসহ বুলডোজারটি ভাড়া করে আনা হয়েছে পাহাড় কাটার জন্য। গত দশদিন ধরে পাহাড়ের উপর অংশ থেকে মাটি কাটার কারণে সড়কের পাশে পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির মধ্যেও ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড় কাটার কাজ চলছে।

বুলডোজার চালক নজরুল ইসলাম জানান, পাহাড় কাটার জন্য চট্টগ্রাম থেকে বুলডোজারটি আনা হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে মাটি ধসের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও বিহার কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাজ করতে হচ্ছে। মাটি কাটার দায়িত্বে থাকা ভিক্ষুর কাছে পাহাড় কাটার অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, বিহারের কাজ করতে কারো অনুমতি লাগে না।

ঘনঘন পাহাড় ধসকে প্রকৃতির প্রতিশোধ হিসেবে মনে করছেন অনেকে। পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো হলেও কোন প্রতিকার মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।

খাগড়াছড়ি জেলা সদরের কদমতলী এলাকার বুলবুল আহমেদ জানান, শালবন হরিনাথপাড়া গ্যাপ এলাকার পাহাড় খেকো শহীদ মিয়া ও জয়নাল মিয়ার নাম উল্লেখ করে এলাকাবাসী গত ১৪ জুন জেলা প্রশাসককে অভিযোগ করি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। প্রতিনিয়ত তারা পাহাড় কেটেই চলেছে। এতে করে এলাকার ১০-১২ পরিবার পাহাড় ধসের ভয়ে শঙ্কিত।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) নেটওয়ার্ক সদস্য আবু দাউদ জানান, খাগড়াছড়ি জেলা সদরের শালবন, কুমিল্লাটিলা, সাতভাইয়াপাড়া, কলাবাগান, সবুজবাগসহ অন্যান্য উপজেলাগুলোতে ব্যাপকভাবে পাহাড় উজাড় ও মাটি কাটার অভিযোগ থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনের কোন ভূমি চোখে দেখা যায় না। বর্ষা মৌসুমে লোক দেখানো মাইকিং ও অভিযান করা হয়। রোদ উঠলে অভিযানও উধাও হয়ে যায়। প্রশাসনের কঠোর অবস্থানই পারে পাহাড় ধসের ঝুঁকি কমাতে।

এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, লোকজনকে পাহাড় কাটা থেকে বিরত রাখতে প্রশাসন কাজ করছে। তবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হওয়ায় শিলাছড়া এলাকার পাহাড় কাটার কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

(দ্য রিপোর্ট/এপি/জুন ১৮, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর