thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল 24, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৯ শাওয়াল 1445

টিআইবির উদ্বেগে বিএসইসির প্রতিবাদ

২০১৮ ফেব্রুয়ারি ১৮ ১০:০৭:১১
টিআইবির উদ্বেগে বিএসইসির প্রতিবাদ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত মালিকানার অংশীদার বাছাইয়ে অবৈধ হস্তক্ষেপে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) উদ্বেগ প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিএসইসির নির্বাহী পরিচলক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

বিএসইসি জানিয়েছে, ‘ডিএসই’র কৌশলগত মালিকানার অংশীদার বাছাইয়ে অবৈধ হস্তক্ষেপে টিআইবি’র উদ্বেগ: জড়িতদের জবাবদিহি ও সংশ্লিষ্ট দরদাতাকে কালো তালিকাভুক্তির আহ্বান’ শিরোনামে ১৬ ফেব্রুয়ারি টিআইবি’র পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি বিএসইসির নজরে এসেছে।

এ ব্যাপারে বিএসইসির বক্তব্য প্রথমত- ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব বিএসইসি এখনও পায় নাই। যার ফলে প্রস্তাবগুলো কেমন, তার শর্ত কি কি এবং দরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয় কী, তা না জেনে বিএসইসি’র পক্ষে প্রস্তাবগুলোর সুবিধা-অসুবিধা বিশ্লেষণ করা এখনও সম্ভব হয় নাই।

তবে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এবং ডিএসইর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিএসইসি জানতে পেরেছে যে, উক্ত কৌশলগত বিনিয়োগকারী নির্বাচনে দু’টি কনসোর্টিয়াম আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ডিএসই এই দু’টি কনসোর্টিয়াম নিয়ে একাধিকবার বিএসইসির সঙ্গে বাজার ও সংশ্লিষ্ট আইনের বিষয়ে আলোচনা করেছে। বিএসইসি এ বিষয়ে অত্যন্ত আনন্দিত যে ডিএসইর শেয়ার ক্রয়ে দু’টি বড় প্রতিবেশি দেশের দুই কনসোর্টেয়ামের আগ্রহ বাংলাদেশ পুঁজিবাজরের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্দেশ করে। বিএসইসি বাংলাদেশ পুঁজিবাজারের ভবিষ্যৎ নিয়ে এতদিন যা বলে আসছিল এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনের ১২(খ) ধারা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশ আইনে বলা হয়ছে, ‘কোনো কৌশলগত বিনিয়োগকারী, কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে উহার মোট ইস্যুকৃত শেয়ারের শতকরা ২৫ ভাগ পর্যন্ত ধারণ করতে পারবে। তবে শর্ত থাকে যে, কমিশন জনস্বার্থে এই সীমার অধিক শেয়ার ধারণ করার জন্য কোনো কৌশলগত বিনিয়োগকারীকে অনুমোদন প্রদান করতে পারবে।’

অতএব এ বিষয়টি স্পষ্ট যে যখন বিএসইসি ডিএসই থেকে সব তথ্যসহ সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাবে, তখনই বিএসইসি’র পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হবে। কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগেই টিআইবি যেভাবে তার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএসইসি’র বিরুদ্ধে অবৈধ হস্তক্ষেপ ও অবৈধ চাপ প্রয়োগের অভিযোগ এনেছে তাতে বিএসইসি অত্যন্ত মর্মাহত। বিএসইসির সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ ব্যতিত টিআইবির মত প্রতিষ্ঠান যে ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছে তা অত্যন্ত আপত্তিকর- বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়ছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, টিআইবি কীভাবে জানলো বিএসইসি দরদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজসে বা প্রভাবান্বিত হয়ে অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করেছে। এ ধরনের প্রমাণ টিআইবির কাছে থাকলে তা জনসমক্ষে প্রকাশের জন্য বিএসইসি টিআইবিকে অনুরোধ করছে।

‘দর প্রস্তাব মূল্যায়নে প্রায় অর্ধেক পিছিয়ে থাকা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের তদবির ও চাপ প্রয়োগ যেমন নজিরবিহীন ও আইনবিরুদ্ধ, বিএসইসি কর্তৃক তাতে প্রভাবিত হয়ে বাছাই প্রক্রিয়াকে কলুষিত করে অযোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে ইন্ধন যোগানো তেমনি বেআইনি ও অগ্রহণযোগ্য।’ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি এ কথা বলেছে উল্লেখ করে বিএসসি জানিয়েছে, সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই না করে এ ধরনের চূড়ান্ত মন্তব্য টিআইটির গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যে প্রস্তাব বিএসইসি এখনও পায়নি এবং প্রস্তাব সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি, সে ক্ষেত্রে টিআইবি কি তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে এই মন্তব্য করেছে তা ব্যাখ্যা করলে বিএসইসির পক্ষে জবাব দেয়া সুবিধাজনক হতো।

বিএসইসির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বিএসইসি আশা করে টিআইবি ভবিষ্যতে এ ধরনের একতরফা ও ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ও সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যতিরেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রককারী প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও আস্থা ক্ষুণ্ন করে পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশিল করার প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকবে। বিএসইসি’র ওপর অর্পিত আইনানুগ দায়িত্বের আলোকে তার কর্মকাণ্ড স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিপালন করে এসেছে এবং ভবিষ্যতেও বিনিয়োগকারী, পুঁজিবাজার তথা জাতীয় স্বার্থকে সবসময় সমুন্নত রাখবে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর