thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল 24, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৭ শাওয়াল 1445

হুমায়ূনের সমাধিতে মানুষের ঢল

২০১৮ জুলাই ২০ ০১:৫৪:১৫
হুমায়ূনের সমাধিতে মানুষের ঢল

গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুর সদরের পিরুজালী গ্রামের নুহাশপল্লীর লিচুতলায় চিরনিদ্রায় শায়িত বাংলা সাহিত্যের বরপুত্র হুমায়ূন আহমেদের সমাধি ভরে ওঠে ফুলেল শ্রদ্ধায়।

বৃহস্পতিবার প্রিয় এই লেখকের ষষ্ঠ প্রয়াণ দিবসে সকাল থেকেই সমাধিস্থলে আসতে থাকেন হিমু, মিসির আলী, শুভ্র, রূপা, ভক্ত অনুরাগী, লেখক, প্রকাশক আর নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নুহাশপল্লীতে বাড়তে থাকে ভক্তকুলের ভিড়। সকাল থেকেই বৃষ্টি বিলাসে চলতে থাকে বিশেষ প্রার্থনা, কোরআনখানি।

হুমায়ূনের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন পুত্র নিষাদ ও নিনিতকে সঙ্গে নিয়ে সমাধিস্থলে গিয়ে স্বামীর জন্য হাত তুলে দোয়া করেন। নিষাদ ও নিনিত বাবার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

এ সময় শাওন সাংবাদিকদের বলেন, হুমায়ূন আহমেদ তার কর্ম, লেখা, নির্মাণ- সবকিছুর মধ্যে বেঁচে আছেন; তিনি বেঁচে আছেন তার ভক্তদের মধ্যে। সে জন্য ভক্তদের কাছে প্রত্যাশার কিছু নেই। ছয় বছর হয়ে গেল তিনি নেই। আমি খুব স্বপ্ন দেখতাম- একটি রাস্তা অথবা একটি চত্বর যদি হতো হুমায়ূন আহমেদের নামে। বাংলা একাডেমিতে একটা চত্বর হতে পারত তার নামে।

হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্ন ক্যান্সার হাসপাতাল প্রসঙ্গে শাওন বলেন, ক্যান্সার হাসপাতালের কথা হুমায়ূন আহমেদ তার লেখায় বলে গেছেন। এটা আমার পরিবারের একার পক্ষে কিছুতেই করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। সামগ্রিকভাবে এটা হওয়ার একটি চেষ্টা চালাতে হবে। সেই চেষ্টার জন্য আমাদের দেশের গুণীজন, বুদ্ধিজীবী ও নীতিনির্ধারক যারা আছেন, তাদের প্রত্যেককে আমি অনুরোধ করি। হুমায়ূন স্মৃতি জাদুঘর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নুহাশপল্লীর নিজস্ব অর্থেই আমরা এটা করতে চাই।

হুমায়ূন আহমেদের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসা অন্যপ্রকাশের কর্ণধার মাজহারুল ইসলাম বলেন, গত ছয় বছরে একমুহূর্তের জন্যও হুমায়ূন আহমেদকে ভুলে থাকতে পারিনি। স্মৃতিকাতর হয়ে যাই।

এর আগে সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান নুহাশপল্লীর কর্মকর্তা কর্মচারীরা। পরে হুমায়ূন আহমেদ সৃষ্ট চরিত্র হলুদ পাঞ্জাবি পরিহিত হিমু আর নীল শাড়ির রূপারা সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। হুমায়ূন আহমেদের প্রকাশকরা নুহাশপল্লীতে এসে প্রিয় লেখকের কবর জিয়ারত করেন।

নুহাশপল্লীর ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, আশপাশ এলাকার আটটি এতিমখানা ও মাদ্রাসার প্রায় তিনশ' শিক্ষার্থী সকাল থেকে জোহরের নামাজের আগ পর্যন্ত কোরআন তেলাওয়াত করেন। পরে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের পর খাবার পরিবেশন করা হয় ওই শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত মানুষের মাঝে।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুলাই ২০,২০১৮)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

ঢাকা এর সর্বশেষ খবর

ঢাকা - এর সব খবর