thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল 24, ১২ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৬ শাওয়াল 1445

পুলিশ ‘পিটিয়ে’ কাউন্সিলরসহ আটজন কারাগারে

২০২০ ফেব্রুয়ারি ০৪ ২০:৩৪:৫৬
পুলিশ ‘পিটিয়ে’ কাউন্সিলরসহ আটজন কারাগারে

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) এক পুলিশ কর্মকর্তা পেটানোর মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত নবনির্বাচিত কাউন্সিলর মো. শাখাওয়াত হোসেন ওরফে শওকতসহ আটজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী আসামিদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন-মারুফুর রহমান ইমন (২৫), ওয়ালিদ হোসেন আহাদ (২২), জুনায়েদ হোসেন ফারহান (১৯), মো. মিন্টু গাজী (৩৪), মোখলেছুর রহমান ওরফে মনির (৪৫), মো. আলমগীর হোসেন সরদার (৩৭) এবং মো. মোস্তাফিজুর রহমান মন্টু (৫৫)।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার এসআই নাজমুল আলম আসামিদের আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, মামলার বাদী স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল মজিদ, এসআই কামাল, সিস্টেম এনালিস্ট আব্দুস সাত্তার গত ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা অনুমান ৭টা ৫৫ ঘটিকার সময় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহের জন্য খিলগাঁও থানাধীন পল্লীমা সংসদের পশ্চিম গেটের সামনে অবস্থানকালে গ্রেপ্তারকৃত আটজন আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৭ জন আসামিরা তাদের দেখে পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে পুলিশের পরিচয় দেন এবং সরকারি কর্তব্য পালনে সেখানে অবস্থান করছেন বলে জানান। কিন্তু আসামিরা তাদের কোনো কথায় কর্ণপাত না করে ওই স্থান থেকে চলে যেতে বাধ্য করতে চায়। বাদী তাদের কর্তব্য সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করলে আসামিরা অতর্কিতভাবে তাদের আক্রমণ করে এলোপাথারি মারপিট শুরু করে। এতে ফলে বাদী ও তার সঙ্গী এএসআই কামাল হোসেন গুরুতর রক্তাক্ত ও নীলাফুলা জখমপ্রাপ্ত হন। মারপিটের এক পর্যায়ে আশেপাশে লোকজন ও স্থানীয় লোকাল থানার পুলিশের সহায়তা বাদীসহ আহতরা উদ্ধার হয়ে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। আসামিরা ঢাকা মেট্টো গত-৪২-৭৩৭২ যোগে ঘটনাস্থলের এসেছিলেন। তারা বেআইনি জনতাবদ্ধে সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা প্রদান করে স্বেচ্ছাকৃতভাবে আক্রমণ করে, আঘাত করে, রক্তাক্ত জখম করে দণ্ডবিধির ১৪৩/১৮৬/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৩৪ ধারার অপরাধ করেছেন। তাই তাদের জামিন না দিয়ে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারা আটক রাখা প্রয়োজন।

রিমান্ড আবেদন না থাকায় মামলার শুনানিকালে আসামিদের আদালতের কাঠগড়ায় ওঠানো হয়নি। তারা সিএমএম আদালতের হাজতখানায় থাকাবস্থায় অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু কাউন্সিলর মো. শাখাওয়াত হোসেন ওরফে শওকত জামিন আবেদন করেন। অন্যান্য আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান জামিনের আবেদন করেন।

এর আগে গত সোমবার এসবির এসআই আব্দুল সজিদ কাউন্সিলর শাখাওয়াত হোসেনসহ আটজনের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করেন। পরে সোমবার রাতেই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি শাখাওয়াত হোসেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ফেব্রুয়ারি ০৪,২০২০)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর