thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ৬ মে 24, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ২৭ শাওয়াল 1445

আজ খুলনার কপিলমুনি রাজাকারমুক্ত দিবস

২০১৬ ডিসেম্বর ০৯ ০৯:৩৬:২৫
আজ খুলনার কপিলমুনি রাজাকারমুক্ত দিবস

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : আজ ৯ ডিসেম্বর খুলনার পাইকগাছার কপিলমুনি রাজাকারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এদিনে ৪৮ ঘণ্টা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৫৬ রাজাকারের আত্মসর্মপণের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ খুলনার সর্ববৃহৎ শত্রুঘাঁটির পতন ঘটে। ওই দিন উপস্থিত হাজারো জনতার রায়ে আত্মসমর্পণকৃত ১৫৬ জন রাজাকারকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে গুলি করে মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করা হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে পাইকগাছা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর দোসররা সারা দেশে সাধারণ নিরীহ মানুষের ওপর অবর্ণনীয় অত্যাচার ও নির্যাতন চালাতে থাকে। আর এ অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার মতো খুলনা জেলার

পাইকগাছার সর্বত্র প্রতিরোধ দুর্গ গড়ে ওঠে। এ সময় পাক দোসররা বিশাল অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘাঁটি করে কপিলমুনিতে। অত্যাচারী বহু পরিবার সে সময় ভারতে পাড়ি জমায়। কপিলমুনির পরিত্যক্ত স্বর্গীয় রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর বাড়িটি পাকিস্তানি দোসররা ঘাঁটি হিসেবে বেছে নেয়। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত রাজাকারদের দেওয়া কার্ফু থাকত। এ সময় তারা এলাকায় নিরীহ মানুষদের ধরে এনে কপোতাক্ষ নদের তীরে ফুলতলায় বিভিন্নভাবে নির্যাতন করত। এমনকি ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে সুড়ঙ্গপথ দিয়ে লাশ নদীতে ফেলে দিত। এখানেই শেষ নয়, এলাকার হিন্দুদের বসবাস বেশি থাকায় এখানকার হিন্দুদের ওপর চলত অমানুষিক অত্যাচার ও নির্যাতন। এসব অত্যাচারের বিরুদ্ধে পাইকগাছার রাড়ুলি, বাঁকা, বোয়ালিয়া ও গড়ুইখালিও কয়রায় মুক্তিযোদ্ধারা ক্যাম্প গড়ে তোলে। ১৯৭১ সালের ১১ নভেম্বর ক্যাপ্টেন আরেফিন ও সম বাবর আলীর নেতৃত্বে একদল মুক্তি বাহিনী প্রথমে কপিলমুনি রাজাকারদের ঘাঁটিতে আঘাত করে। দীর্ঘ যুদ্ধ শেষে ৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে অস্ত্র ফেলে সাদা পতাকা উড়িয়ে ১৫৬ জন রাজাকার পাকিস্তানি দোসর রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। সাথে সাথে তাদের পতন ঘটে খুলনাঞ্চলের বৃহত্তর শত্রু ঘাঁটির।

(দ্য রিপোর্ট/এম/ডিসেম্বর ৯, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর