thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মে 24, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ২৮ শাওয়াল 1445

রণাঙ্গনের এক মুক্তিযোদ্ধার কথা

২০১৬ ডিসেম্বর ১৪ ১০:৪২:১৯
রণাঙ্গনের এক মুক্তিযোদ্ধার কথা

নওগাঁ প্রতিনিধি : মুক্তিযোদ্ধা এ বি এম রফিকুল ইসলাম, যিনি মাত্র ১৫ বছর বয়সে ঔপনিবেশিক সমাজব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে এবং অত্যাচার, নির্যাতনের এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা এক সাহসী সৈনিক রফিকুল ইসলাম।

মাত্র ১৫ বছর বয়সেই তিনি দেশের সার্বভৌম রক্ষায় লড়াই করেছিলেন হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেখতে পেয়ে যিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন।

তিনি বলেন, দেরিতে হলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে এটি জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার একটি বড় প্রয়াস।

মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম স্থানীয়দের কাছে একজন নাট্যকার, কথাসাহিত্যিক, সাংবাদিক ও কলাম লেখক হিসেবে পরিচিত। এই মুক্তিযোদ্ধা রণাঙ্গনের স্মৃতির টানে এখনো মাঝে মধ্যে ঘুরতে যান ভারতের সেসব অঞ্চলে, যেসব এলাকায় ১৯৭১ সালে ছুটে বেড়িয়েছেন।

রফিকুল ইসলাম বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নওগাঁ সদর উপজেলার পৌর এলাকার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছেন।

১৯৭১ সালের জুনের শেষ অথবা জুলাইয়ের প্রথম দিকে ভারতের বালুর ঘাট বাঙালিপুরে ট্রেনিং করেন রফিকুল ইসলাম। এরপর সহযোগীদের সঙ্গে চলে যান পশ্চিমবঙ্গের পতিরামে। সেখানে ২১ দিনে অস্ত্র চালানো প্রশিক্ষণ নিয়ে ফিরে আসেন দেশে। দেশের প্রতি ভালোবাসার টানে ৭নং সেক্টরে মেজর নজমুল হক এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী নূরুজামানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

তিনি বলেন, সম্মুখযুদ্ধের সময় চোখের সামনে তার বন্ধু দরিস উদ্দিনকে মারা যেতে দেখেছেন। বেশ কয়েকবার প্রাণে বেঁচে গেছেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংসতা থেকে।

১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে বিজয়ের আগে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক জালাল চৌধুরীর নেতৃত্বে রফিকুল ইসলাম নওগাঁর তৎকালীন কালেক্টরেট আক্রমণ করেন। জগৎসিংহপুর গ্রামে অবস্থান নেন তারা। মাঝখানে শাখা যমুনা নদী রেখে এক পাশে অবস্থান নিয়ে তাক করেন পাকিস্তানি বাহিনীকে। সকাল থেকে রাত প্রায় ৮টা পর্যন্ত চলে সম্মুখযুদ্ধ। এ লড়াইয়ে ৮ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

দেশ স্বাধীনের ৪৫ বছর পরও দেশের তথা দেশের মানুষের মঙ্গলে নিজেকে বিভিন্নভাবে নিয়োজিত রেখেছেন রফিকুল ইসলাম। তিনি কখনো নাট্যমঞ্চে, কখনো লেখনীতে তুলে ধরেছেন সমাজের অন্যায়-অবিচার।

এ মুক্তিযোদ্ধা আরও বলেন, আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর ডাকে এবং তার অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে যুদ্ধ করেছি তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতা অর্জন করা। যা আমরা করতে পেরেছি। জাতিকে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিতে পেরেছি।

(দ্য রিপোর্ট/এইচ/এআরই/এনআই/এম/ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর