thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মে 24, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ৯ জিলকদ  1445

দেশে ওয়াকফ এস্টেটের জমি ৪ লাখ ২৫ হাজার একর

২০১৭ মার্চ ০২ ১৮:৩৯:৩৩
দেশে ওয়াকফ এস্টেটের জমি ৪ লাখ ২৫ হাজার একর

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান জানিয়েছেন, সারাদেশে বর্তমানে ওয়াকফ এস্টেটের আওতায় তালিকাভুক্ত জমির পরিমাণ ৪ লখ ২৪ হাজার ৫৭১.৭৪ একর। নতুন ওয়াকফ এস্টেট তালিকাভূক্তি ও উন্নয়নমূলক কাজে ভূমি হস্তান্তর প্রভৃতির ফলে ভূমির পরিমাণ হ্রাস/বৃদ্ধি হয়। এইসব জমির অংশবিশেষ ধর্মীয় (মসজিদ, মাদ্রাসা) ও জনকল্যাণমূলক (স্কুল, ঈদগাহ, কবরস্থান) কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া কিছু ভূমি আয়বর্ধক কাজে (মার্কেট, বহুতল ভবন ও আবাসিক ভবন) এবং ওয়াকফ আল আওলাদ এস্টেটসমূহের ভূমি ওয়াকিফদের ওয়ারিশরা ব্যবহার করছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত এ কে এম রহমতুল্লাহর (ঢাকা-১১) এক প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে শুরু হয়।

মতিউর রহমান জানান, ওয়াকফ এস্টেটসমূহকে লাভজনক করার লক্ষ্যে ওয়াকফ (সম্পত্তি, হস্তান্তর ও উন্নয়ন) বিশেষ বিধান আইন, ২০১৩ এর আলোকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চলমান আছে। এসব উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণের ফলে অনেক ওয়াকফ এস্টেটের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এরূপ উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণের ফলে ওয়াকিফের ওয়ারিশদের মধ্যে আন্তঃকলহ নিরসনসহ মামলা মোকাদ্দমার সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে। ফলে উন্নয়ন কার্যক্রম যথেষ্ট সফল হয়েছে।

৩ বছরে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করেন ৯,০৫৮ জন

এসএম মোস্তফা রশিদীর (খুলনা-৪) প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান জানিয়েছেন, ২০১৪-১৬ সাল পর্যন্ত ৩ বছরে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিজ খরচে হজ করেছেন মোট ৯ হাজার ৫৮ জন। এর মধ্যে ২০১৪ সালে এক হাজার ৫০৬ জন, ২০১৫ সালে দুই হাজার ৭৩৯ জন এবং ২০১৬ সালে ৪ হাজার ৮১৩ জন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিজ অর্থ ব্যয়ে একই ব্যক্তি একাধিকবার পবিত্র হজব্রত না করার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের অবকাশ নাই। প্যাকেজের নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ ব্যাংকে জমাদানের মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধন সম্পন করে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যে কোনো ব্যক্তি (মুসলমান) হজে যেতে পারেন।

বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে মসজিদ উন্নয়নে অনুদান বৃদ্ধি

কাজী নাবিল আহমেদের (যশোর-৩) এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রতি অর্থবছরে মসজিদ উন্নয়নের লক্ষ্যে যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তা বৃদ্ধি করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নাই। তব চলতি অর্থবছরে অর্থ মন্ত্রণালয় হতে সংশোধিত বাজেটে অতিরিক্ত বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে অনুদানের পরিমাণ বৃদ্ধির বিষয় বিবেচনা করা হবে।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এপি/মার্চ ০২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর