thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মে 24, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ৯ জিলকদ  1445

সাঁওতালি ভাষায় পাঠ্যবই ছাপানোর দাবি

২০১৭ মার্চ ০৩ ১৭:২৮:১৪
সাঁওতালি ভাষায় পাঠ্যবই ছাপানোর দাবি

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সরকারের উদাসীনতায় সাঁওতাল শিশুরা মাতৃভাষায় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা নিতে পারছে না জানিয়ে অবিলম্বে সাঁওতালি লিপিতে পাঠ্যবই ছাপানোর দাবি করেছে আদিবাসী মুক্তি মোর্চা।

শুক্রবার (৩ মার্চ) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে মোর্চার সভাপতি যোগেন্দ্রনাথ সরেন এ দাবি করেন।

আদিবাসী সাঁওতাল শিশুদের নিজস্ব মাতৃভাষায় প্রাক প্রাথমিক স্তরে শিক্ষায় পাঠ্য-পুস্তক সাঁওতালি বর্ণমালা ব্যবহারের দাবিতে আদিবাসী মুক্তি মোর্চা এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। আরও কয়েকটি সংগঠন এ সংবাদ সম্মেলনে সংহতি জানায়।

মোর্চার সভাপতি বলেন, ‘এবারই দেশে সর্বপ্রথম পাঁচটি আদিবাসী বর্ণমালায় পাঠ্যপুস্তক ছেপে শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বঞ্চিত হয়েছে সাঁওতাল শিশুরা। অথচ বলা হয়েছিল বাংলাদেশ বসবাসরত আদিবাসীদের মধ্যে ছয়টি আদিবাসী জনগোষ্ঠির (সাঁওতাল, উরাও, গারো, চাকমা, ত্রিপুরা ও মণিপুরী) শিশুদের তাদের মাতৃভাষার পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হবে। কিন্তু স্বার্থান্বেষী বাঙালী বুদ্ধিজীবি এবং বাঙালী জনপ্রতিনিধিদের কারসাজি আর ষড়যন্ত্রে সাঁওতাল শিশুরা বাদ পড়ে বঞ্চিত হলো।’

মুন্ডা, মাহালী, খাসি এবং হো-সহ অনেক সম্প্রদায়ের মানুষ সান্তালী ভাষায় কথা বলে জানিয়ে যোগেন্দ্রনাথ সরেন বলেন, ‘অবিলম্বে সাঁওতাল শিশুদের সান্তাল লিপিতে পাঠ্য বই ছেপে দিতে হবে। তা না হলে তাদের কাছে বায়ান্নর একুশের ফেব্রুয়ারি চেতনা অর্থহীন হয়ে যাবে। একুশের ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গর্ব করারও কিছু থাকবে না তাদের।’

যোগেন্দ্রনাথ সরেন আরও বলেন, ‘বর্তমানের রাষ্ট্রীয় উদাসীনতায় এক ভয়াবহ রাজনৈতিক খেলার শিকার হয়ে সাঁওতাল শিশুরা তাদের মাতৃভাষায় প্রাক শিক্ষা নিতে পারছে না। এভাবে সাঁওতাল আদিবাসীদের ইতিহাস ঐতিহ্য মুছে ফেলার পায়তারা চলছে।’

কিছু স্বার্থান্বেষী বাঙালী বুদ্ধিজীবি এবং বাঙালী জনপ্রতিনিধি সান্তালী ভাষার বিশেষজ্ঞ না হয়ে মনগড়া কথা বলছেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘এরা বিভিন্ন মিডিয়ায় বাংলা বর্ণমালার পক্ষে সাক্ষাতকার দিয়ে সান্তাল জনগোষ্ঠির মধ্যে বিভেদ ও বিচ্ছেদ সৃষ্টি করছেন। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় আদিবাসী পরিষদও সাঁওতাল জনগোষ্ঠির স্বার্থ রক্ষার নামে তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছেন।’

‘একটি বাম দলের নেতা ও একশ্রেণির বাঙালী বুদ্ধিজীবীদের কারসাজি এবং সরকারের উদাসীনতায় সাঁওতাল জনগোষ্ঠীকে জ্বলন্ত আগুনে ফেলার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও বক্তব্য রাখেন।

দ্য রিপোর্ট/এমএম/কেআই/মার্চ ০৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর