পালিত হলো খুলনা জেলার ১৩৫তম বর্ষপূর্তির উৎসব
খুলনা ব্যুরো : বর্ণাঢ্য আয়োজনে মঙ্গলবার পালিত হলো খুলনা জেলার ১৩৫তম বর্ষপূর্তির উৎসব। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮৮২ সালের ২৫ এপ্রিল যশোর মহকুমা থেকে জন্ম হয় খুলনা জেলার। প্রতি বছরই এ দিনটিকে ‘খুলনা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে খুলনাবাসী। দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে খুলনা জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসন ও বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন।
এদিন সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নগরীর শিববাড়ী মোড় থেকে একটি বরণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। স্থানীয় (খুলনা-২) সংসদ সদস্য মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বেলুন উড়িয়ে এই র্যালির উদ্বোধন করেন। র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক মন্ত্রী তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি, বিএনপির মহানগর সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। র্যালিটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শিববাড়ি চত্বরে এসে শেষ হয়।
খুলনা নিয়ে ইতিহাসে যা পাওয়া যায়
যশোর–খুলনার ইতিহাস বইয়ে সতিষ চন্দ্র মিত্র লিখেছেন, খুলনার ইতিবৃত্ত খুব প্রাচীন নয়। ইংরেজ প্রশাসনের প্রথম মহকুমা ও মহকুমা সদর শহরের ভিত্তি স্থাপিত হয় ভৈরব ও রূপসা খালের মিলিত স্থানের কোণে। ওই একই স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয় কনিষ্ঠতম জেলা ও জেলা সদর শহরের। ১৯৮২ সালে পালিত হয় জেলার জন্মশত বার্ষিকী। সেদিনের প্রতিষ্ঠিত বাংলার প্রথম মহকুমা শহর আজকের বিভাগীয় সদর শিল্প ও বন্দর সমৃদ্ধ বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম নগরী। এছাড়া দেশের দ্বিতীয় বন্দর, শিল্প নগর ও পাট রফতানি কেন্দ্র হিসাবে বিশ্বে পরিচিত।
১৯৪৭ সালের ইংরেজ শাসনের শেষদিন পর্যন্ত খুলনা শহর ছিল প্রেসিডেন্সি বিভাগের অধীন ছোট জেলা শহর। খুলনা শহরের সাথে সড়ক ও রেল যোগাযোগ যুক্তবাংলার পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীবন্দর ও বৃহত্তর ব্যবসা কেন্দ্র কলিকাতার সাথে সম্পর্কিত পশ্চাৎভূমি হিসাবে কলিকাতা বন্দরের আমদানি রফতানিকৃত মালামাল রেলপথে এসে নদীপথে পূর্ববঙ্গের বরিশাল-ফরিদপুর প্রভৃতি জেলায় যাতায়াতেরও মাধ্যম ছিল এ শহর। ১৯৪৭ সালের পরে কলিকাতা বন্দরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিভাগউত্তর পূর্ববঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জন্য প্রয়োজন দেখা দেয় নতুন বন্দরের। তৎকালীন সরকার পঞ্চাশের দশকের গোড়ার দিকে শহরের অদূরে চালনা বন্দর নির্মাণ করে এ ঘাটতি পূরণ করেন। নিকটবর্তী বন্দর সুবিধায় শহরের পার্শ্ববর্তী খালিশপুর গ্রামে ভৈরব তীর ধরে দ্রুত গড়ে উঠতে থাকে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা। বন্দর ও শিল্প কারখানা কেন্দ্র করে শহরে নতুনভাবে জনবসতির চাপ সৃষ্টি হতে থাকে এবং ষাটের দশকের গোড়ার দিকে (অক্টোবর ১৯৬১) জেলাকে বিভাগে উত্তীর্ণ করে পূর্বের পৌরসভা এলাকা সংলগ্ন বয়রায় দ্রুত নির্মিত হয় বিভাগীয় সদর দফতর। এ সবের প্রয়োজনে দেখা দেয় শহর পৌর এলাকার সম্প্রসারণ। পূর্বতন পৌরসভা এলাকা উত্তরে জোড়াগেট থেকে দৌলতপুর-খালিশপুর এলাকাভুক্ত করে রেলীগেট পর্যন্ত সম্প্রসারিত করে বর্ধিত পৌর এলাকা হয় ১৪.৩০ বর্গমাইল এবং খালিশপুর শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিপরীত দিকে যশোর (পুরাতন) রাস্তার উত্তর পাশে নির্মিত হয় নতুন উপশহর। এ লক্ষ্যে নতুনভাবে নির্মিত হয় আধুনিক আইল্যান্ড, ফুটপাথ আর নিয়ন বাতিতে সজ্জিত সড়ক-মহাসড়ক, রাজপথ ও জনপথ। এভাবে শুরু হয় বর্তমান খুলনা শহরের নববেশে নগরীর দিকে অগ্রযাত্রা। চল্লিশ বছরের মহকুমা সদর ও সত্তর বছর ধরে গড়ে ওঠা জেলা শহর। আজকে শহরের আঙ্গিকে হারিয়ে গেছে তার কত কথা, কত স্মৃতি। বিলুপ্ত হয়ে গেছে তারও আগের গড়ে ওঠা জনপদগুলোর রেখা। রয়ে গেছে মুখ পরম্পরায় দু’একটি নামের স্বাক্ষর, যা আজও বিব্রত করে ইতিহাসের স্মৃতি সূত্রে। শত বছর শেষের আগ্রহী ও অনুসন্ধিৎসু শহরবাসী তার অতীত সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ঘটনাপঞ্জির কথা জানতে আগ্রহী, কিভাবে গ্রন্থিত হয়েছিল সামগ্রিক নাগরিক জীবন ব্যবস্থা।
জন্ম ইতিহাস
বাংলাদেশের অন্য অংশের মত গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের অন্তর্গত ভৈরব নদ তীরের এ অংশ তত প্রাচীন নয়। গঙ্গা নদী পলি প্রবাহে সমুদ্রস্থিত দ্বীপমালা ক্রমে একত্রিত হয়ে কয়েকটি বড় দ্বীপ ও বহু নদীর সৃষ্টি হয়েছে। গঙ্গার শাখা হলদি নদীর মোহনায় সৃষ্ট বুড়ন দ্বীপ বর্তমান খুলনার অধিকাংশ নিয়ে গঠিত ছিল এবং এ অংশের প্রাচীন নাম বুড়ন দ্বীপ। মেঘাস্থিনিস বর্ণিত গঙ্গার মোহনায় গঙ্গারিডি নামে একটা শক্তিশালী বিস্তৃত রাজ্য ছিল। আলেকজান্ডার ভারত আক্রমণ কালে (৩২৭ খৃঃ পূঃ অঃ) এই রাজ্যের হস্তিসেনা শক্তির কথা শুনে অগ্রসর হতে সাহসী হননি। ঐতিহাসিকগণ বুড়নদ্বীপ এ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে মনে করেন। গুপ্তযুগে বুড়নদ্বীপ গুপ্তসাম্রাজ্য ভুক্ত হলে এর প্রশাসনিক নাম হয় খাড়িস্থান। বৌদ্ধ যুগে সমগ্র ব-দ্বীপের নাম হয় বকদী বা বাগদী। পাল ও সেন রাজাদের সময় বুড়নদ্বীপ তাদের রাজ্যভুক্ত ছিল। ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী লক্ষণাবতি আক্রমণ করলে রাজা লক্ষণ সেন ভৈরব পথে বিক্রমপুর পালিয়ে যান এবং বুড়নদ্বীপে লক্ষণ সেনের উপশাসন কেন্দ্র (শঙ্খনূর বা শাঁখহাটী ) ছিল বলে জানা যায়। সেন রাজত্বকালে ভৈরবতীরে ব্রাহ্মণ ও কায়স্থগণ ভূমি প্রাপ্ত হয়ে বসতি স্থাপন করেন এবং এ অঞ্চলের সমৃদ্ধ ব্রাহ্মণ ও কায়স্থপূর্ণ গ্রামগুলি তৎসময়ে গড়ে ওঠে।
বঙ্গে মুসলিম বিজয়ের পর শতাধিক বছরের মধ্যে এ অঞ্চলে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে জানা যায় না। সম্ভবতঃ গৌড় সুলতান শামসুদ্দিন ফিরোজ শাহ (১৩১০-১৩২৫ খ্রীঃ) প্রথম খুলনা দখল করেন এবং শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের সময়ে (১৩৪২-১৩৫৮ খ্রীঃ ) খুলনায় মুসলিম বসতি শুরু ও বিস্তার লাভ করে। অবশ্য বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায় প্রাচীন বুড়নদ্বীপে আরও আগে মুসলিম আগমন ও বসতি হয়েছিল। সম্ভবতঃ ভৈরব তীরের এ অংশেও আলোচিত সময়ে মুসলিম বসতি গড়ে উঠেছিল। পাঠানযুগে এ অঞ্চল সরকার খলিফাতাবাদের অধীন ছিল এবং মোগল শাসন আমলে যশোরের ফৌজদার কর্তৃক শাসিত হতো। ১৭৮১ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যশোরে মুড়লীতে একটা শাসন কেন্দ্র স্থাপন করে মিঃ টিলম্যান হেঙ্কেলকে ম্যাজিষ্ট্রেট নিযুক্ত করেন এবং কোম্পানির লবণ ব্যবসায়ের সুন্দরবন অঞ্চলের প্রধান কেন্দ্র রায় মঙ্গল লবণ এজেন্সির সদর দফতর স্থানান্তর হয় খুলনায় (শহরের কয়লাঘাটায়)। খুলনা তখন রূপসা নদীর ( সরু খাল মাত্র ) অপর পারে নিকলাপুর গ্রামের উত্তর-পূর্ব দিকে ভৈরব নদের তীরে একটা ছোট গ্রাম। প্রাচীনকালে খুলনা বিস্তৃত গ্রাম ছিল। সুন্দরবনের কাঠ গোলপাতা মধু সংগ্রহকারী মাঝি ও ব্যবসা বাণিজ্যের বড় বড় নৌকা ও জাহাজ যাতয়াতের পথে ভৈরব নদীর আত্রাই থেকে রূপসা পর্যন্ত ভয়াবহতার জন্য এখানে অবস্থান করতো। ভৈরব রূপসার মিলিতস্থান থেকে উত্তর পশ্চিমে আত্রাই নদী যেখানে ভৈরবের সাথে মিলিত হয়েছে। পূর্বে আত্রাই আরও পশ্চিমে ভৈরবের সাথে মিলিত ছিল। এখান থেকে ভৈরব রূপসার মুখ পর্যন্ত সোজা একটা বাঁক ও রূপসার মুখ থেকে আলাইপুর পর্যন্ত অপর একটা সোজা বাঁক ছিল। ভৈরব ও আত্রাই নদীর প্রচণ্ড স্রোত মিলিত স্থানে প্রবল ঘূর্ণিস্রোতের সৃষ্টি করতো এবং এই ত্রিমোহনী থেকে রূপসা খালের মুখ পর্যন্ত কয়েকটা ঘূর্ণিস্রোত বছরের প্রায় সব সময় থাকতো। বিশেষ করে বর্ষাকালে এই বাঁকে নৌকা চলনা খুবই ভয়াবহ ছিল। মাঝিরা এই বাঁকে সতর্কতার সাথে যাতায়াত করতো এবং রাতে মাঝিরা দুই বাঁকের মিলিত স্থানের কিছু পূর্বে নৌকা ও জাহাজ বেঁধে অবস্থান করতো ও অবস্থা বুঝে নৌকা খুলতো। মাঝিদের এই অবস্থানের নদীর বিপরীত দিকে সেনের বাজার বেশ বড় মোকাম ছিল। অবস্থানরত মাঝিদের প্রয়োজনীয় হাট-বাজারের কাজ এখানে সেরে নিত। সেনের বাজার কালক্রমে খুব বড় ব্যবসা কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। উল্লেখ্য, বর্তমান সেনের বাজার যেখানে অবস্থিত সেখান থেকে প্রায় দেড় মাইল পূর্বে অবস্থিত ছিল। নদীর ভাঙ্গনে ক্রমাগত সরতে সরতে বর্তমান জায়গায় এসে পৌঁছেছে। সেনের বাজার বর্তমান খুলনার (শহর) ঠিক উত্তর পাশে অবস্থান নিয়ে তার প্রাচীন মিতালি অক্ষুণ্ণ রেখেছে।
নামের উৎপত্তি ও প্রবাদ
নদীর বাঁকে অবস্থানরত কোনো অজ্ঞাত মাঝি জোয়ার ভাটার (মাঝিদের ভাষায় গোণ) কারণে সন্ধ্যা বা রাতে নৌকা খুলতে উদ্যত হলে, তখন নদীর ভয়াবহতা সম্পর্কে জ্ঞাত মাঝিরা গমনোদ্যত মাঝিদের খুলনা-খুলনা বলে নৌকা খুলতে নিষেধ করতো। অনেক সময় নদীতীরের অধিবসীরাও গমনোদ্যত মাঝিদের অনুরূপভাবে সতর্ক করে দিত। এই ভাবে আত্রাই থেকে আলাইপুর পর্যন্ত ভৈরব নদীর দুই বাঁকের মধ্যবর্তী রূপসা খালের পুবে নদীর দক্ষিণ তীরের এ জায়গা খুলনার বাঁক নামে পরিচিত হয়। মাঝিরা নদীপথের দূরত্ব সাধারণত বাঁক দিয়ে নির্ণয় ও বাঁকের পরিচয় দিয়েই বাঁকের নামকরণ করতো। এ পরিচয়ে নিকটবর্তী জায়গা ও বসতি পরিচিত হয়ে খুলনা নামে গ্রামের নাম হয়। এভাবে গ্রামের নামকরণ উপবঙ্গে যথেষ্ট উপমা পাওয়া যায়।
বঙ্গে মুসলিম বিজয়ের পরবর্তী কালে ভৈরবতীর দিয়ে ক্রমাগত মুসলিম বসতি বিস্তার লাভ করতে থাকে। তখন খুলনা নামের বিস্তৃত এলাকার এক এক অংশ বিভিন্ন সময়ে তালিমপুর (তালিবপুর), নিকলাপুর, ইলাইপুর (এলাহীপুর) ও নয়াবাদ প্রভৃতি গ্রাম গড়ে উঠলে খুলনা নামের বিস্তৃত অঞ্চল সংকুচিত হয়ে পড়ে। পরবর্তী কালে খুলনার সাথে কিছমত যুক্ত হয়ে ছোট গ্রাম প্রাচীন নামের ধারায় কিসমত খুলনা মৌজা গঠন করে খুলনা নামের ঐতিহ্য কোন রকমে রক্ষা পায়। উল্লেখ্য, সুলতানী আমলে রাজস্ব সংগ্রহের সুবিধার্থে পরগনা, মহল, কিসমতে বিভক্ত হয়। প্রত্যেক কিসমত এলাকার কেন্দ্র যেখানে অবস্থিত ছিল সে গ্রামের নামের সাথে কিসমত যুক্ত হয়ে কিসমত খুলনা, কিসমত ফুলতলা, কিসমত ডুমুরিয়া ইত্যাদি নামে পরিচিত হয়।
খুলনা নামের উৎপত্তি নিয়ে কয়েকটি প্রবাদ প্রচলিত আছে। ‘‘পূর্বকালে সুন্দরবন নিকটবর্তী ছিল। লোকজন সুন্দরবন থেকে কাঠ, গোলপাতা, মধু সংগ্রহে এ পথে সুন্দরবন যেত এবং বোঝাই নৌকা নদীর ভয়াবহতার জন্যে রাতে এখানে অবস্থান করতো। কোন অজানা মাঝি রাতে নৌকা খুলতে গেলে জঙ্গল মধ্য থেকে বন দেবতা খুলোনা খুলোনা বলে মাঝিদের নিষেধ করতো। এই খুলোনা থেকে খুলনা নামের উৎপত্তি হয়েছে।’’
অপর প্রবাদ ‘‘কবি কঙ্কন বিরোচিত চন্ডিকাব্যের ধনপতি উপাখ্যান বর্ণিত ধনপতি সওদাগরের লহনা-খুলনা নামে দুই স্ত্রী ছিল। কনিষ্ঠা আদরিণী খুলনার স্মৃতি রক্ষার্থে এখানে একটা মন্দির নির্মাণ করে মন্দিরের নাম রাখেন খুল্লেনেশ্বরী মন্দির। এ মন্দির উলুবনের কালীবাড়ী নামে পরিচিত। খুল্লেনেশ্বরী মন্দির থেকে খুলনা নাম হয়েছে।
প্রথমোক্ত প্রবাদের অনুকরণে সৃষ্ট তৃতীয় প্রবাদ ‘‘সুন্দরবন থেকে কাঠ, গোলপাতা, মধু,বোঝাই নৌকাগুলি ময়ুর নদীতে অবস্থান করতো। রাতে চলাচলকারী মাঝিদের ঝড় বা কোনো বিপদাশঙ্কা থাকলে জলদেবতা খুলোনা খুলোনা বলে নিষেধ করতেন। এর থেকে খুলনা নামের সৃষ্টি হয়েছে।’’ উল্লেখ্য, ময়ুর নদী কোনদিন খুব দীর্ঘ ও প্রশস্ত ছিল না এবং খুলনা নামে পরিচিত গ্রাম থেকে অনেক দূরে।
সাম্প্রতিক আরও একটি প্রচলিত প্রবাদ ‘‘প্রাচীন কালে আরবীয় বণিকেরা বাণিজ্যার্থে এখানে এসে বলতো ‘আদ খালনা’। এই ‘আদ খালনা’ থেকে খুলনা হয়েছে।’’
সাম্প্রতিক প্রবাদ দুটি অনেক আগে থেকে প্রচলিত এবং অন্য প্রবাদগুলি বর্তমান কালের। ঐতিহাসিকরা প্রবাদগুলির যৌক্তিকতা স্বীকার করেন না।
সতের শতকের গোড়ার দিকে এ ধারা অব্যাহত ছিল। অর্থাৎ এ সময়েও নদীর এ পথে যাতায়াতকারী সব নৌকা ও জাহাজ এখানে অপেক্ষা করত। ইংরেজ আমলের প্রথম থেকে খুলনা ইংরেজদের ব্যবসা বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান ঘাঁটি বা বন্দর ছিল। পূর্ববঙ্গ, আসাম, কলিকাতা ইংরেজ বাণিজ্য কেন্দ্রের পণ্য চলাচলের সহজ পথ ছিল খুলনা হয়ে। ফলে খুলনা আগে থেকেই ছোটখাটো একটি বন্দর ছিল। এ ছাড়া যশোরের দেওয়ানী লাভের সাথে সাথে তাদের লবণ বিভাগের সদর দফতর রায় মঙ্গল লবণ এজেন্সি স্থানান্তর হয় খুলনার কয়লাঘাটায়। ফলে ইংরেজদের নৌবাণিজ্যে এ জায়গার গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পায়। ঐ বছর অর্থাৎ ১৭৮১ সালে বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক ব্যয় বৃদ্ধি ও নানা কারণে মিঃ টিলম্যান হেঙ্কেল প্রতিষ্ঠিত থানা ১৮৮২ সালে সরকার বন্ধ করে দেন। এ সময়ে মির্জানগর-ভুষনা-ধর্মপুর ও নয়াবাদে চারটি থানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/তাদেরএপ্রিল ২৫, ২০১৭)
পাঠকের মতামত:
- ইআরডিএফবির আয়োজনে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- ইসরাইলের সামরিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে হিজবুল্লাহর ড্রোন
- রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের মুরগির দাম কমেছে
- বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র
- রাফায় হামলা বন্ধে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিতে আইসিজের প্রতি আহবান
- বিএনপির সময় ঋণ খেলাপির তালিকা সবচেয়ে বড় ছিল: আইনমন্ত্রী
- "প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টার ফলে টেলিযোগাযোগ সেবা সবার হাতের মুঠোয়"
- বাজেট ৬ জুন দিবো ও বাস্তবায়নও করব: প্রধানমন্ত্রী
- ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫
- যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না: স্টেট ডিপার্টমেন্ট
- "আ.লীগ সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছে"
- আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
- "যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে, তাদের মুখোশ খুলে দেওয়ার সময় এসেছে"
- বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছেড়েছেন সাকিব-শান্তরা
- হামলা আরও জোরদার করেছে ইসরায়েল, রাফায় বাস্তুচ্যুত ৬ লাখ মানুষ
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আ.লীগের কর্মসূচি
- উপজেলা নির্বাচন: ৫২ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
- ৪৮ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি
- সৌদি পৌঁছেছেন ২১ হাজার ৬৩ জন হজযাত্রী
- ঢাকা ছাড়লেন ডোনাল্ড লু
- নর্থ সাউথ সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাবের আয়োজনে বৈশাখী মেলা ১৪৩১ অনুষ্ঠিত
- দেশের ৫৮ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে তাপপ্রবাহ
- প্রস্তুতি আমার মনে হয় ভালো হয়েছে: হাথুরুসিংহে
- কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি ব্যাংক রিপোর্টারদের
- "নিজস্ব গতিতে চলতে না দিলে পুঁজিবাজারের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সম্ভব নয়"
- নির্বাচন ইস্যু পেছনে ফেলে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে তাকাতে চায়: লু
- প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ
- বাংলাদেশ প্রসঙ্গে পশ্চিমা বিশ্ব তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি: মির্জা ফখরুল
- ডেঙ্গুতে দেশে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২১ জন
- "বাংলাদেশ ব্যাংকের থলের বিড়াল বের হতে শুরু করছে"
- বিশ্বে বাংলাদেশকে এগিতে নিতেই আলোচনা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বিমানের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার নামে চার্জশিট, অব্যাহতি ১৪
- মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- মিডল্যান্ড ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালকের শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত
- লাগাতার দরপতনে শেয়ারবাজার, প্রথম ঘণ্টাতেই নেই ৬৬ পয়েন্ট
- "বাংলাদেশের সাথে আস্থার সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র"
- সৌদি পৌঁছেছেন ১৮ হাজার ৬৫১ জন হজযাত্রী
- "সবার জন্য গ্রহণযোগ্য করতে শ্রম আইনের সংশোধন করা হচ্ছে"
- চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে নিপুণের রিট
- গাজায় নিহতের অর্ধেকের বেশি বেসামরিক নারী ও শিশু: জাতিসংঘ
- কোহলিকে অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান সাবেক তারকারা
- সাকিবের রেকর্ড, রিয়াদের আক্ষেপ
- আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- "জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে"
- নো হেলমেট, নো ফুয়েল: সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
- "বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়"
- পাঁচটি ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- মেট্রোরেল শুক্রবার চালানোর প্রস্তুতি
- নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ষড়যন্ত্র সফল হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বিশ্বকাপ দল ঘোষণা, সহ-অধিনায়ক তাসকিন
- সরকার স্যাংশন বা ভিসানীতির কেয়ার করে না: কাদের
- অস্বাভাবিক শেয়ারদর বৃদ্ধির কারণ জানে না এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ
- ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহত
- অপরিপক্ব লিচুতে বাজার সয়লাব
- মিরাজকে নিয়ে চমক দিতে পারে বিসিবি!
- কোচ ফাহিমকে নিয়ে সাকিবের একাকী অনুশীলন
- ঢাকার হোটেল-রেস্টুরেন্টে ডিসকাউন্ট পাবেন পুলিশ সদস্যরা
- আট জেলার ওপর দিয়ে দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে
- ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন ৫ জুন
- লুর বাংলাদেশ সফর গুরুত্বপূর্ণ নয়: বিএনপি
- সৌদি পৌঁছেছেন ১৫ হাজার ৫১৫ হজযাত্রী
- ঢাকায় এসেছেন ডোনাল্ড লু
- মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের কনডেম সেল নিয়ে রায়: আপিল করবে সরকার
- গাজায় রাতভর ইসরাইলের বিমান হামলায় নিহত ২০
- সূচকের পতনে লেনদেন শেষ
- মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ দল ঘোষণা
- বিভিন্ন অঞ্চলে ফের তাপপ্রবাহ শুরু হতে
- হজ যাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহবান প্রধানমন্ত্রীর
- এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ২২ শতাংশ
- "আমেরিকায় পোশাক রপ্তানি কমার পেছনে বিশ্বযুদ্ধ পরিস্থিতি দায়ী"
- রিজার্ভ কমে এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে
- দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে: মির্জা ফখরুল
- ডোনাল্ড লুর সফরে যেসব বিষয় আলোচনা হবে, জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- সূচকের পতনে চলছে লেনদেন
- কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন পুতিন
- এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- সরকার স্যাংশন বা ভিসানীতির কেয়ার করে না: কাদের
- দুই দিনে ৫ হাজার ৯২৬ হ্জ যাত্রী ঢাকা ছেড়েছেন
- ইসরায়েল গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে: যুক্তরাষ্ট্র
- আইইবি ৬১তম কনভেনশনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- না ফেরার দেশে হায়দার আকবর খান রনো
- বিশ্বকাপ দল ঘোষণা, সহ-অধিনায়ক তাসকিন
- ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- জি এম কাদেরের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বে ফিরতে বাঁধা নেই
- নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে বাংলাদেশ
- সরকার পরিবর্তনে এখন জনগণের হাত নেই: জিএম কাদের
- নাগরিকত্ব ত্যাগ করে অন্য কোনো দেশের নাগরিক হলে এনআইডি বাতিল
- শিক্ষায় ছেলেরা পিছিয়ে কেন, কারন খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
- আবারও সিআইপি হলেন এম এ রাজ্জাক খান রাজ
- পাঁচটি ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- আজ কুতুবদিয়া পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ
- সাকিবের রেকর্ড, রিয়াদের আক্ষেপ
- সহযোগী অধ্যাপক হলেন ৯০ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
- সৈয়দপুরে বিমানবন্দরে ফ্লাইট চালু, আটকেপড়া যাত্রীদের স্বস্তি
- বাগেরহাটে বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
- বিমানের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার নামে চার্জশিট, অব্যাহতি ১৪
- মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত
- ইউএস ট্রেড শো- ২০২৪ এ ইসলামী ব্যাংকের স্টল উদ্বোধন
- দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে: মির্জা ফখরুল