এ ভূখণ্ডের সব প্রাপ্তি ও অর্জন আ’লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ ভূখণ্ডে প্রতিটি প্রাপ্তি ও অর্জন সবই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে। মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাঙালির অর্জন এবং বাংলাদেশের সব উন্নয়নের মূলেই রয়েছে আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২০২২ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় দিবসটি উপলক্ষে সংগঠনের সব নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীসহ দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এ দিনে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক সামসুল হকসহ অন্যান্য নেতাদের।
‘আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে আরও স্মরণ করছি হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী, জাতীয় চার নেতা, স্বাধিকার আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদরাসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহিদ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি এবং আওয়ামী লীগ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের গণমানুষের প্রাণের সুবৃহৎ সংগঠন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতির মুক্তি এবং ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকার রোজ গার্ডেনে ১৯৪৯ সালের ২৩-২৪ জুন এক সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। দলটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল অসাম্প্রদায়িকতা ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন, রাষ্ট্র পরিচালনায় জনমতের প্রতিফলন নিশ্চিত করা ও বিশ্বশান্তির পথকে প্রশস্ত করা।
‘কারাবন্দি অবস্থায় তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান নবগঠিত সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা এবং সাংগঠনিক তৎপরতার জন্য ১৯৫৩ সালের নভেম্বরে দ্বিতীয় সম্মেলনেই তাঁকে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এরপর শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর প্রজ্ঞা, শ্রম, নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও অবিচল আদর্শকে কাজে লাগিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের প্রশ্নে হয়ে ওঠেন একজন অবিসংবাদিত নেতা।’
‘হাজার বছরের শাসন-শোষণের ইতিহাস মুছে ফেলে বাঙালি জাতির চূড়ান্ত স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সংগঠনটিকে প্রস্তুত করতে শেখ মুজিবকে যেমন অসংখ্য চড়াই-উৎরাই পাড়ি দিতে হয়েছে, তেমনই তাঁর ব্যক্তি-জীবনকেও বিসর্জন দিতে হয়েছে। কিন্তু কালের পরিক্রমায় তিনি হয়ে উঠেছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বঙ্গবন্ধু এবং বাঙালি জাতির পিতা।’
শেখ হাসিনা বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। জন্মলগ্ন থেকেই সংগঠনটি ভাষা শিক্ষার অধিকার, বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’- দাবিতে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ সচিবালয়ের ১নং গেইট থেকে পিকেটিং করার সময় শেখ মুজিব গ্রেফতার হন। তাঁর পরামর্শে ’৫২ এর ২১ ফেব্রুয়ারি ‘ভাষা দিবস’ সমর্থনে ধর্মঘট আহ্বান ও ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত এবং কারান্তরীণ অবস্থায় অনশন ঘোষণা ভাষা আন্দোলনের লক্ষ্য অর্জনকে ত্বরান্বিত করে।
‘১৯৫৪ সালের ৮ মার্চ ২১-দফা ইশতেহারের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে এবং মন্ত্রিসভা গঠন করে। কিন্তু পাকিস্তানের গভর্নর ৯২(ক) ধারা জারি করে সে মন্ত্রিসভা ভেঙে দেন। ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় মন্ত্রিসভা গঠন করে। সে সময় শেখ মুজিব সারাদেশ ঘুরে মহকুমা ও থানা পর্যায়ে দলীয় কর্মীবাহিনীকে নিয়োজিত করে পূর্ব-বাংলায় বিরাজমান তীব্র খাদ্যসংকট ও দুর্ভিক্ষ মোকাবিলা করেন।’
‘মাত্র দুবছরের কম সময়েই সরকার জনকল্যাণকর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ করে, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়, পূর্ব-বাংলার স্বায়ত্বশাসন এবং যুক্ত-নির্বাচন আইন গণপরিষদে পাশ করাসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। ১৯৫৮ সালের অক্টোবরে সামরিক শাসন জারির ফলে বাংলার মুক্তিকামী মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ বাধাগ্রস্ত হয়।’
‘যদিও পাকিস্তানি সামরিক শাসকগোষ্ঠী নানাবিধ আইন প্রণয়ন করে এ অঞ্চলের রাজনীতিকে নাজেহাল করতে থাকে, তবুও আওয়ামী লীগ হাল ছেড়ে দেয়নি। সেই সময় দৃঢ়-প্রত্যয়ী নেতা শেখ মুজিব তৃণমূল পর্যন্ত দলের সাংগঠনিক ভিত্তি শক্তিশালী করতে মনোনিবেশ করেন।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের দল মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই ৬২ এর ছাত্র আন্দোলন, ৬৪ এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধ, ৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালির মুক্তির সনদ রচনা এবং ৬৯ এর গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরশাসন অবসানের প্রতিশ্রুতি অর্জন দলটিকে মুক্তিকামী মানুষের আশ্রয়স্থলে পরিণত করে।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বের জন্যই আওয়ামী লীগকে ’৭০ এর নির্বাচনে পূর্ব-বাংলার মানুষ তাদের মুক্তির ম্যান্ডেট দিয়েছিল। জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদে দলটি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। কিন্তু পাকিস্তানি সামরিক জান্তা জনগণের এ রায়কে উপেক্ষা করে শুরু করে প্রহসন। ১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সব সংসদ সদস্য ছয় দফার ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের শপথ নেন।’
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ঘোষণা করেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। এরপরই ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গণহত্যা শুরু করে।’
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এর পরপরই পশ্চিম পাকিস্তানি জান্তা সরকার জাতির পিতাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের নির্জন কারাগারে পাঠায়। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণশক্তি। তাঁর অবিচল নেতৃত্বে বাঙালি জাতি মরণপণ যুদ্ধ চালিয়ে যায়।’
‘১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গণপরিষদ গঠন করে বাংলাদেশের প্রথম সরকার স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করে। ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে এবং সেদিন এ স্থানটির নাম মুজিবনগর রাখা হয়।’
‘আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে পরিচালিত সফল মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্নের ফসল- স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। জাতির পিতা পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে এবং ১২ জানুয়ারি তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন।’
‘বঙ্গবন্ধু ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সংবিধানে আনুষ্ঠানিক সই করেন। জাতির পিতার আহ্বানে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বন্ধু দেশসমূহ দ্রুত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তাঁর নেতৃত্বে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় এবং স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।’
‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধী চক্র আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে ৭১ এর পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়। বিদেশে থাকায় আমি ও আমার বোন শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যাই। ২৬ সেপ্টেম্বর দায়মুক্তি অধ্যাদেশ জারি করে এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়। এরপর ৩ নভেম্বর কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়।’
‘মোশতাক-জিয়া চক্র খুনিদের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে ও রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করে। তারা মার্শাল ল’ জারির মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে। সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করে। বিদেশে থাকা অবস্থায় ’৮১ সালের ১৩-১৫ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনে আমাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।’
‘নানা বাধা উপেক্ষা করে ’৮১ সালের ১৭ মে আমি দেশে ফিরে এসে দলের দায়িত্বভার নেই এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত এবং স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ও অবৈধ সেনা শাসকদের নির্যাতন-নিপীড়নের মাধ্যমে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয় জনগণের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে। কিন্তু আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা জীবন দিয়ে সব প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দলকে টিকিয়ে রেখেছে, শক্তিশালী করেছে।’
‘গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সরকার একই বছর ১২ই নভেম্বর ‘দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল আইন-১৯৯৬’ সংসদে পাশ করে। এর মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু হয়।’
‘১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করে। উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ সরকারই খাদ্য ঘাটতির দেশ বাংলাদেশকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করে। আওয়ামী লীগ সরকারের আন্তরিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় মহান ‘২১শে ফেব্রুয়ারি’ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পায়।’
‘এরপর ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি চুক্তি সই করা হয়। কারো মধ্যস্থতা ছাড়াই সই করা হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি। আওয়ামী লীগের এই পাঁচ বছরের শাসনামল জাতীয় ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল সময় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।’
‘বিএনপি-জামাত জোট সরকারের অপশাসন, দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ‘দিন বদলের সনদ’ ঘোষণা দিয়ে ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে পুনরায় বিজয় অর্জন করে এবং সেই থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে।’
‘আমাদের সরকার জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর করেছে। ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে এবং রায়ও কার্যকর করা হচ্ছে। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে, ফলে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে।’
‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গত সাড়ে ১৩ বছরে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন করেছে। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ। আমরা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়নের সুফলপ্রাপ্তি নিশ্চিত করেছি। গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করেছি। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।’
‘গত ১৩ বছরে জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। কোভিডকালীন সময়েও ২০২০-২০২১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ ছিল। আমাদের জিডিপির আকার ৩৯ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার।’
‘আমরা দারিদ্র্যের হার ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ হতে কমিয়ে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে এবং অতি দারিদ্রের হার ১০ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। আমরা বাজেটের আকার ১৩ বছরে ১১ গুণের মতো বৃদ্ধি করেছি। সামাজিক নিরাপত্তা খাতের বরাদ্দ বাড়িয়ে প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকা করেছি।’
‘আমরা এখন দেশের শতভাগ জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিচ্ছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা বিশ্বের ৯ম দেশ হিসেবে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক যুগে প্রবেশ করেছি। প্রান্তিক অঞ্চলেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ফলে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া সহজ হয়েছে।’
‘আমরা ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি। বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলরাশিতে স্বার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করেছি। নিজেদের অর্থে নির্মিত বহুল আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু ২৫ জুন উদ্বোধন করা হবে। এ বছরই মেট্রোরেল ও কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল চালু করা হবে। সড়ক, রেল, বিমান ও নৌ বা সমুদ্র যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিক ও উন্নত করেছি।’
‘কেউ যাতে গৃহহীন না থাকে সেজন্য আমরা গৃহহীনদের জন্য বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছি। ১৯৯৬ থেকে এ পর্যন্ত ৮ লাখের বেশি পরিবারকে বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছি। ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছি। দেশ-বিদেশের অতিথিদের সরব উপস্থিতিতে সফলভাবে মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি।’
‘আমরা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছি। ২০৩০ সালের মধ্যে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট’ অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ গ্রহণ করেছি।’
‘করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় আমরা এ পর্যন্ত এক লক্ষ ৮৭ হাজার ৬৭ কোটি টাকার ২৮টি আর্থিক ও প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছি। ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের ফলে এ পর্যন্ত সরাসরি উপকারভোগী হয়েছেন প্রায় ৭ কোটি ২৯ লক্ষ ৯৭ হাজার জন ও প্রায় এক লক্ষ ৭২ হাজার প্রতিষ্ঠান। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও নগদ অর্থ সহায়তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণসহ নানাভাবে সহায়তা করা হয়েছে।’
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে আমাদের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা লড়াই-সংগ্রাম ও মানুষের আস্থা অর্জন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে জনমানুষের সংগঠনে পরিণত করে দলকে শক্তিশালী করেছে।’
‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের নেতাকর্মীদের মেধা, পরিশ্রম, ত্যাগ ও দক্ষতায় আওয়ামী লীগ আরও গতিশীল হবে এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাঙালি জাতির প্রতিটি মহৎ, শুভ ও কল্যাণকর অর্জনে আওয়ামী লীগের ভূমিকা রয়েছে। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ, উন্নত ও আধুনিক সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবে।’
এ সময় আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২৩জুন, ২০২২)
পাঠকের মতামত:
- আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
- "যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে, তাদের মুখোশ খুলে দেওয়ার সময় এসেছে"
- বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছেড়েছেন সাকিব-শান্তরা
- হামলা আরও জোরদার করেছে ইসরায়েল, রাফায় বাস্তুচ্যুত ৬ লাখ মানুষ
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আ.লীগের কর্মসূচি
- উপজেলা নির্বাচন: ৫২ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
- ৪৮ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি
- সৌদি পৌঁছেছেন ২১ হাজার ৬৩ জন হজযাত্রী
- ঢাকা ছাড়লেন ডোনাল্ড লু
- নর্থ সাউথ সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাবের আয়োজনে বৈশাখী মেলা ১৪৩১ অনুষ্ঠিত
- দেশের ৫৮ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে তাপপ্রবাহ
- প্রস্তুতি আমার মনে হয় ভালো হয়েছে: হাথুরুসিংহে
- কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি ব্যাংক রিপোর্টারদের
- "নিজস্ব গতিতে চলতে না দিলে পুঁজিবাজারের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সম্ভব নয়"
- নির্বাচন ইস্যু পেছনে ফেলে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে তাকাতে চায়: লু
- প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ
- বাংলাদেশ প্রসঙ্গে পশ্চিমা বিশ্ব তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি: মির্জা ফখরুল
- ডেঙ্গুতে দেশে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২১ জন
- "বাংলাদেশ ব্যাংকের থলের বিড়াল বের হতে শুরু করছে"
- বিশ্বে বাংলাদেশকে এগিতে নিতেই আলোচনা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বিমানের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার নামে চার্জশিট, অব্যাহতি ১৪
- মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- মিডল্যান্ড ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালকের শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত
- লাগাতার দরপতনে শেয়ারবাজার, প্রথম ঘণ্টাতেই নেই ৬৬ পয়েন্ট
- "বাংলাদেশের সাথে আস্থার সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র"
- সৌদি পৌঁছেছেন ১৮ হাজার ৬৫১ জন হজযাত্রী
- "সবার জন্য গ্রহণযোগ্য করতে শ্রম আইনের সংশোধন করা হচ্ছে"
- চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে নিপুণের রিট
- গাজায় নিহতের অর্ধেকের বেশি বেসামরিক নারী ও শিশু: জাতিসংঘ
- কোহলিকে অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান সাবেক তারকারা
- সাকিবের রেকর্ড, রিয়াদের আক্ষেপ
- আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- "জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে"
- নো হেলমেট, নো ফুয়েল: সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
- "বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়"
- পাঁচটি ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- মেট্রোরেল শুক্রবার চালানোর প্রস্তুতি
- নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ষড়যন্ত্র সফল হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বিশ্বকাপ দল ঘোষণা, সহ-অধিনায়ক তাসকিন
- সরকার স্যাংশন বা ভিসানীতির কেয়ার করে না: কাদের
- অস্বাভাবিক শেয়ারদর বৃদ্ধির কারণ জানে না এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ
- ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহত
- অপরিপক্ব লিচুতে বাজার সয়লাব
- মিরাজকে নিয়ে চমক দিতে পারে বিসিবি!
- কোচ ফাহিমকে নিয়ে সাকিবের একাকী অনুশীলন
- ঢাকার হোটেল-রেস্টুরেন্টে ডিসকাউন্ট পাবেন পুলিশ সদস্যরা
- আট জেলার ওপর দিয়ে দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে
- ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন ৫ জুন
- লুর বাংলাদেশ সফর গুরুত্বপূর্ণ নয়: বিএনপি
- সৌদি পৌঁছেছেন ১৫ হাজার ৫১৫ হজযাত্রী
- ঢাকায় এসেছেন ডোনাল্ড লু
- মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের কনডেম সেল নিয়ে রায়: আপিল করবে সরকার
- গাজায় রাতভর ইসরাইলের বিমান হামলায় নিহত ২০
- সূচকের পতনে লেনদেন শেষ
- মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ দল ঘোষণা
- বিভিন্ন অঞ্চলে ফের তাপপ্রবাহ শুরু হতে
- হজ যাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহবান প্রধানমন্ত্রীর
- এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ২২ শতাংশ
- "আমেরিকায় পোশাক রপ্তানি কমার পেছনে বিশ্বযুদ্ধ পরিস্থিতি দায়ী"
- রিজার্ভ কমে এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে
- দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে: মির্জা ফখরুল
- ডোনাল্ড লুর সফরে যেসব বিষয় আলোচনা হবে, জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- সূচকের পতনে চলছে লেনদেন
- ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ অধ্যাপক গ্রেফতার
- রাফা ছেড়ে পালিয়েছেন ৩ লাখ মানুষ: জাতিসংঘ
- প্যারিসে এমুবাপ্পের শেষ ম্যাচে পিএসজির হার
- ইসরায়েলিদের সামনেই ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ালেন বাংলাদেশীরা
- এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার চ্যালেঞ্জ শুরু
- কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন পুতিন
- সৈয়দপুরে বিমানবন্দরে ফ্লাইট চালু, আটকেপড়া যাত্রীদের স্বস্তি
- নাগরিকত্ব ত্যাগ করে অন্য কোনো দেশের নাগরিক হলে এনআইডি বাতিল
- হজ পালন করতে সৌদি পৌঁছেছেন ৯ হাজার ৪৮৪ জন হজযাত্রী
- ইতালির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান প্রধানমন্ত্রীর
- আজ কুতুবদিয়া পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ
- রাশিয়াকে ঠেকাতে আরও অস্ত্র প্রয়োজন: জেলেনস্কি
- ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত ডেভিড স্লেটন
- কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন পুতিন
- এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- দুই দিনে ৫ হাজার ৯২৬ হ্জ যাত্রী ঢাকা ছেড়েছেন
- সরকার স্যাংশন বা ভিসানীতির কেয়ার করে না: কাদের
- ইসরায়েল গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে: যুক্তরাষ্ট্র
- আইইবি ৬১তম কনভেনশনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- সীমান্তে হত্যা: ভারতের কাছে বাংলাদেশের উদ্বেগ
- বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
- ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের সাত কলেজের
- না ফেরার দেশে হায়দার আকবর খান রনো
- দীর্ঘ ছয় মাস পর আজ নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপি
- নিহত পাইলটের জানাজা সম্পন্ন, দাফন মানিকগঞ্জে
- ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- সিরিজ নিশ্চিতের পর টাইগারদের হোয়াইটওয়াশের মিশন শুরু
- বিশ্বকাপ দল ঘোষণা, সহ-অধিনায়ক তাসকিন
- জি এম কাদেরের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বে ফিরতে বাঁধা নেই
- নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে বাংলাদেশ
- সরকার পরিবর্তনে এখন জনগণের হাত নেই: জিএম কাদের
- শিক্ষায় ছেলেরা পিছিয়ে কেন, কারন খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
- নাগরিকত্ব ত্যাগ করে অন্য কোনো দেশের নাগরিক হলে এনআইডি বাতিল
- আবারও সিআইপি হলেন এম এ রাজ্জাক খান রাজ
- পাঁচটি ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- আজ কুতুবদিয়া পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ