রিজার্ভ নিয়ে কতটা সংকটে বাংলাদেশ ?
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিপদজনক মাত্রায় চলে গেছে বলে মনে করছেন অনেক অর্থনীতিবিদ। তারা বলছেন, এখন রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নীচে নেমে আসায় তা দিয়ে তিন মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়।
তবে সরকার এই পরিস্থিতিকে এখনও আশঙ্কাজনক মনে করছে না। যদিও রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বিদ্যুতের লোডশেডিং করাসহ সাশ্রয়ী বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে যাতে জ্বলানি আমদানির খরচ নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়। এ নিয়ে বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত কাদির কল্লোলের প্রতিবেদনটি দ্য রিপোর্টের পাঠকদের জন্যও প্রচার করা হলো।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত ৪০ বিলিয়ন বা চার হাজার কোটি ডলারের নীচে নেমে এসেছে।
এক বছর আগেই অর্থ্যাৎ গত বছরের জুলাই মাসেই সব রেকর্ড ভেঙে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ হয়েছিল।
রপ্তানি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহের তুলনায় আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় কয়েক মাস ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলারের মজুদে চাপ বাড়ছিল।
সর্বশেষ কয়েকদিন আগে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের আমদানি দায় শোধ করতে হয়েছে এবং সেকারণে রিজার্ভ কমেছে।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, নেপাল, মিয়ানমার, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপ-এই নয়টি দেশ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন বা আকুর সদস্য।এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যে সব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পর পর এই আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেয়া তথ্যে এখন রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে। এই পরিমাণ নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, এই পরিমাণ আরও কম। অন্যতম একজন অর্থনীতিবিদ এবং বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য ড: দেবপ্রিয় ভট্টচার্য বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভের পরিমাণ যা বলা হচ্ছে, সেটাও দেশের অর্থনীতির জন্য বিপদ সংকেত।
"এমুহুর্তে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার যে মজুদ আছে, তা তিন মাসের আমদানি মূল্যেরও কম হয়ে যায়। নি:সন্দেহে অর্থনীতির জন্য এই পরিমাণ মজুদ একটা বিপদ সংকেত দেয়।"
কী পরিস্থিতি দাঁড়াতে পারে ?
এখনই বিপদের ঝুঁকিতে পড়ছে, এমন কয়েকটি খাতও উল্লেখ করেন ড: ভট্টাচার্য।
তিনি মনে করেন, রিজার্ভ কমে যাওয়ায় প্রয়োজন বা চাহিদা অনুযায়ী পণ্য আমদানি প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছে।
একইসাথে এটি টাকার বিনিময় মূল্যকেও দূর্বল করে দিচ্ছে। এর ফলে, অনেক ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি হবে।
ড: ভট্টাচার্য এটাও উল্লেখ করেন যে, এখনকার পরিস্থিতিতে রপ্তানি বাড়ানো এবং প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর উৎসাহ বাড়াতে কিছুটা সুযোগ সৃষ্টি করবে।
কিন্তু তার ধারণা, সামগ্রিক বিচারে এটি নি:সন্দেহে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা দূর্বল করবে। এছাড়া বাংলাদেশে চলমান উন্নয়নের ধারাকেও শ্লথ করে দেয়ার আশঙ্কা থাকে।
ইতিমধ্যেই নানামুখী প্রভাব পড়ছে আমদানির ক্ষেত্রে।
সরকার বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করছে। তবে কয়েকমাস ধরে ডলার সঙ্কটের কারণে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতেও সমস্যায় পড়ছেন আমদানিকারকরা।
এমনকি বেসরকারি খাতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি এবং সরকারিভাবে বিপিসির জ্বালানি তেল আমদানিতেও অনেক ব্যাংক ঋণপত্র বা এলসি খুলছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
ব্যাংকগুলো ডলারের অস্থির বাজারের কথা বলছে।
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে সেখানকার অন্যতম একজন আমদানিকারক ড: মুণাল মাহমুদ বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে না পারলে বাজারে অস্থিরতা কমবে না।
"আমদানি খাতে চাপ তৈরি হয়েছে এবং এর ফলে সবকিছুর দাম বাড়তি থাকবে।"
ড: মুণাল মাহমুদ তার অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, "আগে আমদানির এলসি খুলতে সমস্যা হতো না। এখন অনেক পণ্য আমদানির শুল্ক শতভাগ করে দিয়ে এলসি নিরুৎসাহিত করছে।"
"ফলে শতভাগ শুল্ক দিয়ে কোন পণ্য আনা সম্ভব নয়। প্রয়োজনীয় পন্যের ব্যাপারেও এখন ব্যাংকগুলো এলসি খুলছে না," বলেন তিনি।
'জীবনযাত্রার ব্যয় অসহনীয়'
ফলে, কয়েকমাস ধরে মূল্যস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে এবং এখন মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে সাত দশমিক ৫৬ শতাংশ।
ডলার সংকট এবং মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে বলে অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন।
সরকার কী বলছে
তবে এখন ডলারের রিজার্ভ যা আছে, তাতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী এ এইচ এম মোস্তফা কামাল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকও এখনকার রিজার্ভ নিয়ে অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর রিজার্ভ থাকলে সেটা কোন বিপদ সংকেত দেয় না।
"আমাদের কাছে এখন যে রিজার্ভ আছে, সেটা তিন মাসেরও বেশি আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে। এখন আমরা বিলাসী সব পণ্য আমদানির শুল্ক বাড়িয়েছি। আশা করি, তার সুফল আমরা পাব।"
দেশে বছরে আমদানি ব্যয় ৮০ বিলিয়ন বা আট হাজার কোটি ডলার।
গত অর্থ বছর গার্মেন্টস খাতে রপ্তানি আগের সব বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এরপরও রপ্তানি হয়েছে ৪৫ বিলিয়ন বা সাড়ে চার হাজার কোটি ডলার। আমদানি খরচ আরো বেশি হওয়ায় ঘাটতি ছিল সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলার।
আমদানি ও রপ্তানির ঘাটতি মেটানো হয় প্রবাসী শ্রমিকের পাঠানো রেমিট্যান্স দিয়ে।
করোনাভাইরাস মহামারীর দুই বছরে রেমিট্যান্স এসেছে রেকর্ড পরিমাণ। কিন্তু কয়েকমাস ধরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে।
বাংলাদেশে ব্যাংক তেমন গুরুত্ব না দিলেও সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান রিজার্ভের ওপর চাপের কথা স্বীকার করেন।
তবে তিনি বলেন, চাপ থাকলেও পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে আছে বলে সরকার মনে করছে।
"চাপতো অস্বীকার করার কোন বিষয় নেই। তবে চাপেরতো মাত্রা আছে। আমরা মনে করি, সহনীয় পর্যায়ে আছে।"
এই বক্তব্যের সমর্থনে যুক্তি দিতে গিয়ে তিনি বলেন, "এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে সর্বশেষ আমদানির যে পেমেন্ট, সেটা দেয়া হয়েছে। আগামী তিন মাস কোন দায় বা পেমেন্ট নাই।
"এছাড়া আমাদের রেমিট্যান্সও বাড়বে আশা করছি এবং এখন রপ্তানি খুবই ভাল আছে। তাছাড়া আমরা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি, আমরা ব্যয় সংকোচন করছি। ফলে আমরা সাসটেইন করবো," বলেন মন্ত্রী মি: মান্নান।
শিল্প মালিক এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে।
তবে তারা মনে করেন, সরকার সতর্ককতামূলক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে সঙ্কট সামলানো সম্ভব হতে পারে।
ব্যবসায়ীদের প্রধান সংগঠন এফবিসিসিআই এর একজন পরিচালক হাসিনা নেওয়াজ বলছিলেন, "আমরা ব্যবসায়ীরা সত্যিই শঙ্কিত হচ্ছি। শঙ্কার কারণ হলো, আমরা ১২ ঘন্টা একটা কারখানা চালাই, সেখানে যখন বিদ্যুতের ঘাটতি হবে, উৎপাদনের ক্ষতি হবে।"
"তার মানে এই নয় যে আমরা হতাশ হচ্ছি।"
শঙ্কা থাকলেও হতাশ না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হাসিনা নেওয়াজ বলেন, "আমাদের যে পদক্ষেপগুলো নেয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ বা ডলারের ব্যাপারে, সেগুলোর সাথে অ্যাডজাস্ট করে আমরা ব্যবসায়ীরা ঠিকই টিকে যাব। সেজন্য আমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই।"
জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এর ওপর সরাসরি প্রভাব
রিজার্ভ ধরে রাখতে আমদানিসহ সামগ্রিকভাবে ব্যয় কমানোর জন্য সরকার সাশ্রয়ী যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে, তার বড় প্রভাব পড়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে।
আন্তর্জাতিক বাজারে চড়া দামের কারণে ডিজেলসহ জ্বালানি তেল এবং তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে।
গ্যাস এবং ডিজেল ভিত্তিক সব বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে সারাদেশে লোডশেডিং করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বাড়লেও জ্বালানি তেলের অভাবে এখন উৎপাদন কমিয়ে দিতে হচ্ছে
ছবির ক্যাপশান,
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বাড়লেও জ্বালানি তেলের অভাবে এখন উৎপাদন কমিয়ে দিতে হচ্ছে
এই পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সরকার এখন শীত আসার অপেক্ষার কথা বলছে।
'এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার' নামের একটি সাময়িকীর সম্পাদক মোল্লা আমজাদ হোসেন বলেন, জ্বালানি খাত আমদানি নির্ভর হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
"জ্বালানি খাত নিয়ে আমরা যা ভাবছি, পরিস্থিতি তার চেয়েও ভয়াবহ।"
মি: হোসেন বলেন, ২০১৭ সালে যেখানে জ্বালানি আমদানির খরচ ছিল মোট আমদানির ২২শতাংশ গত বছর তা ৪৮শতাংশ হয়েছে।
"এখন যে বিদ্যুৎ সঙ্কট, আমার ধারণা, এটা আরও বাড়বে। যদি আন্তর্জাতিক বাজারে তেল এবং গ্যাসের দাম না কমে তাহলে সঙ্কট বাড়বে" বলেন মোল্লা আমজাদ হোসেন।
তিনি বলেন, একদিকে বিশ্ববাজার চড়া অন্যদিকে ডলার সঙ্কটের কারণে তেল এবং গ্যাস আমদানি করা যাচ্ছে না।
"এখন বিদ্যুতে সাশ্রয় করা না হলে বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের দাম অনেক বাড়াতে হবে এবং সরকারের ভর্তুকি তুলে নিতে হবে। যেটা সরকার এখন চাইছে না।
"ফলে সরকার মনে করছে লোডশেডিং করে আড়াই থেকে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যাবে। তাতে দাম বাড়াতে হবে না," বলেন মি: হোসেন।
সাশ্রয়ী কর্মসূচির পাশাপাশি সরকারকে বৈদেশিক এবং দেশের ভেতর থেকে ঋণ নিতে হবে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন।
অর্থ সহায়তার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ এর উচ্চ পর্যায়ে একটি দল এখন ঢাকায় আলোচনা করছে।
এখনকার পরিস্থিতিতে আইএমএফ এর সাথে আলোচনাকে ইতিবাচক হিসাবে দেখেন ড: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
"এ মুহুর্তে সরকার আইএমএফ এর সাথে যে আলোচনা শুরু করেছে, আমি এটাকে সঠিক মনে করি।"
ড: ভট্টাচার্যের বক্তব্য হচ্ছে, "শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতা থেকে যদি দেখি, একটু আগে থেকে আইএমএফ থেকে বৈদেশিক লেনদন কাঠামোটা ঠিক করা গুরুত্বপূর্ণ। দুর্যোগ বেশি ঘনীভূত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা ঠিক নয়।"
তিনি বলেন, "যেহেতু সরকার সঠিক সময়ে এই আলোচনা শুরু করেছে, তাই সাড়ে বিলিয়ন বা ন্যূনতম দুই বিলিয়ন হোক, যে পরিমাণ অর্থ আনতে পারবে, সেটা অর্থের দিক থেকে যতটা না গুরুত্বপূর্ণ হবে, তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে আমাদের বৈদেশিক সহযোগীদের একটা সঙ্কেত দেয়ার ক্ষেত্রে।"
"বিদেশী সহযোগীদের প্রতি এই সংকেতের অর্থ হচ্ছে, আমরা শৃঙ্খলার মধ্যে আছি," বলেন ড: ভট্টাচার্য।
বাংলাদেশে ডলারের বাজারে অস্থিরতা; উদ্বেগ কী নিয়ে?
আইএমএফ এর কাছ থেকে এমুহুর্তে ঋণ সহায়তা চাওয়ার বিষয়ে দেশে নানা রকম আলোচনা চলছে।
তবে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে আইএমএফ এর কাছে কিছু ঋণ সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এনিয়ে তিনি আতঙ্কের কিছু দেখেন না।
এই অর্থ সহায়তা চাওয়ার পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে মন্ত্রী মি: মান্নান বলেন, "আইএমএফ এর কাছে আমরা এই প্রথম চাইনি। ৯০ দশকেও ঋণ নিয়ে কাঠামোগত সংস্কার আমরা করেছিলাম, তখন অন্য সরকার ক্ষমতায় ছিল।"
"আমরা আইএমএফ এর সদস্য। এটা আমাদের অধিকার। এর মধ্যেতো আমি ভয়ভীতির কোন কিছু দেখছি না," বলেন মন্ত্রী মি: মান্নান।
একদিকে অর্থসহায়তার প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে আলোচনা এবং অন্যদিকে ব্যয় কমানোর সতর্কতামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে পরিস্থিতি বেশি খারাপ হবে না বলে সরকার মনে করছে।
সাময়িক সমস্যা মনে করছেন না বিশ্লেষকরা
কিন্তু অর্থনীতিবিদ ড: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের বক্তব্য হচ্ছে, এখন সমস্যাকে মৌসুমী সমস্যা হিসাবে দেখা ঠিক হবে না।
"যে সমস্যা হচ্ছে, এটা মৌসুমী কোন সমস্যা না। এটা অর্থনীতির কাঠামোগত সমস্যা।"
তিনি বলেন, "মৌসুমী সমস্যা হলে আমরা চলমান একটা পদক্ষেপ নিয়ে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করি এবং সুসময় আবার আসার জন্য অপেক্ষা করি। কিন্তু এখানে সমস্যা হচ্ছে, বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি। এছাড়া রেমিট্যান্স কম আসছে।"
ড: ভট্টাচার্য মনে করেন, এই কাঠামোগত সমস্যা এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন শুধু আন্তর্জাতিক বাজার বা ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপার না। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির অভ্যন্তরীন কাঠামোগত সমস্যা এবং এর ভেতরে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের দায় দেনা পরিশোধের বিষয়ও আসবে। দ্য রিপোর্ট/ টিআইএম/
পাঠকের মতামত:
- মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- মিডল্যান্ড ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালকের শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত
- লাগাতার দরপতনে শেয়ারবাজার, প্রথম ঘণ্টাতেই নেই ৬৬ পয়েন্ট
- "বাংলাদেশের সাথে আস্থার সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র"
- সৌদি পৌঁছেছেন ১৮ হাজার ৬৫১ জন হজযাত্রী
- "সবার জন্য গ্রহণযোগ্য করতে শ্রম আইনের সংশোধন করা হচ্ছে"
- চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে নিপুণের রিট
- গাজায় নিহতের অর্ধেকের বেশি বেসামরিক নারী ও শিশু: জাতিসংঘ
- কোহলিকে অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান সাবেক তারকারা
- সাকিবের রেকর্ড, রিয়াদের আক্ষেপ
- আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- "জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে"
- নো হেলমেট, নো ফুয়েল: সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
- "বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়"
- পাঁচটি ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- মেট্রোরেল শুক্রবার চালানোর প্রস্তুতি
- নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ষড়যন্ত্র সফল হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বিশ্বকাপ দল ঘোষণা, সহ-অধিনায়ক তাসকিন
- সরকার স্যাংশন বা ভিসানীতির কেয়ার করে না: কাদের
- অস্বাভাবিক শেয়ারদর বৃদ্ধির কারণ জানে না এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ
- ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহত
- অপরিপক্ব লিচুতে বাজার সয়লাব
- মিরাজকে নিয়ে চমক দিতে পারে বিসিবি!
- কোচ ফাহিমকে নিয়ে সাকিবের একাকী অনুশীলন
- ঢাকার হোটেল-রেস্টুরেন্টে ডিসকাউন্ট পাবেন পুলিশ সদস্যরা
- আট জেলার ওপর দিয়ে দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে
- ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন ৫ জুন
- লুর বাংলাদেশ সফর গুরুত্বপূর্ণ নয়: বিএনপি
- সৌদি পৌঁছেছেন ১৫ হাজার ৫১৫ হজযাত্রী
- ঢাকায় এসেছেন ডোনাল্ড লু
- মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের কনডেম সেল নিয়ে রায়: আপিল করবে সরকার
- গাজায় রাতভর ইসরাইলের বিমান হামলায় নিহত ২০
- সূচকের পতনে লেনদেন শেষ
- মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ দল ঘোষণা
- বিভিন্ন অঞ্চলে ফের তাপপ্রবাহ শুরু হতে
- হজ যাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহবান প্রধানমন্ত্রীর
- এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ২২ শতাংশ
- "আমেরিকায় পোশাক রপ্তানি কমার পেছনে বিশ্বযুদ্ধ পরিস্থিতি দায়ী"
- রিজার্ভ কমে এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে
- দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে: মির্জা ফখরুল
- ডোনাল্ড লুর সফরে যেসব বিষয় আলোচনা হবে, জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- সূচকের পতনে চলছে লেনদেন
- ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ অধ্যাপক গ্রেফতার
- রাফা ছেড়ে পালিয়েছেন ৩ লাখ মানুষ: জাতিসংঘ
- প্যারিসে এমুবাপ্পের শেষ ম্যাচে পিএসজির হার
- ইসরায়েলিদের সামনেই ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ালেন বাংলাদেশীরা
- এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার চ্যালেঞ্জ শুরু
- কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন পুতিন
- সৈয়দপুরে বিমানবন্দরে ফ্লাইট চালু, আটকেপড়া যাত্রীদের স্বস্তি
- নাগরিকত্ব ত্যাগ করে অন্য কোনো দেশের নাগরিক হলে এনআইডি বাতিল
- হজ পালন করতে সৌদি পৌঁছেছেন ৯ হাজার ৪৮৪ জন হজযাত্রী
- ইতালির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান প্রধানমন্ত্রীর
- আজ কুতুবদিয়া পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ
- আবারও সিআইপি হলেন এম এ রাজ্জাক খান রাজ
- সহযোগী অধ্যাপক হলেন ৯০ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
- পোশাক শিল্পে এখনই ৩ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা জরুরি
- সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে
- রোনালদোর স্বপ্ন ভেঙ্গে চ্যাম্পিয়ন নেইমারের আল হিলাল
- শুরুর বিপথ সামলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫৭
- আফগানিস্তানে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩০
- শিক্ষায় ছেলেরা পিছিয়ে কেন, কারন খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
- এসএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ
- আজ বিশ্ব মা দিবস, যেভাবে এলো
- এসএসসি ফলাফল জানা যাবে যেভাবে
- জি এম কাদেরের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বে ফিরতে বাঁধা নেই
- এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেলেন শিক্ষক এনামুল
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের হজ বুথ উদ্বোধন
- ইউএস ট্রেড শো- ২০২৪ এ ইসলামী ব্যাংকের স্টল উদ্বোধন
- "সীমান্তে গুলি করে দেশের মানুষকে হত্যা করা হলেও সরকার নিশ্চুপ"
- সরকার পরিবর্তনে এখন জনগণের হাত নেই: জিএম কাদের
- "সাংবাদিক ও দুদকের কর্মকর্তাকে টাকা দিয়েছেন শামসুজ্জামান"
- এমভি আবদুল্লাহ বাংলাদেশের জলসীমানায় পৌঁছেছে
- রাশিয়াকে ঠেকাতে আরও অস্ত্র প্রয়োজন: জেলেনস্কি
- ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত ডেভিড স্লেটন
- এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে দেশ থেকে অর্থ পাচার হচ্ছে: অর্থমন্ত্রী
- তিস্তা প্রকল্পে ভারত অর্থায়ন করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- পাঁচ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ
- কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন পুতিন
- প্রথম ফ্লাইটে সৌদি গেলেন ৪১৩ জন হজযাত্রী
- দুই দিনে ৫ হাজার ৯২৬ হ্জ যাত্রী ঢাকা ছেড়েছেন
- ইসরায়েল গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে: যুক্তরাষ্ট্র
- আইইবি ৬১তম কনভেনশনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- সীমান্তে হত্যা: ভারতের কাছে বাংলাদেশের উদ্বেগ
- বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
- ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের সাত কলেজের
- মিল্টন সমাদ্দারকে রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রেরণ
- সরকার স্যাংশন বা ভিসানীতির কেয়ার করে না: কাদের
- নিহত পাইলটের জানাজা সম্পন্ন, দাফন মানিকগঞ্জে
- দীর্ঘ ছয় মাস পর আজ নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপি
- না ফেরার দেশে হায়দার আকবর খান রনো
- সিরিজ নিশ্চিতের পর টাইগারদের হোয়াইটওয়াশের মিশন শুরু
- নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে বাংলাদেশ
- ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- সরকার পরিবর্তনে এখন জনগণের হাত নেই: জিএম কাদের
- জি এম কাদেরের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বে ফিরতে বাঁধা নেই
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর
- "বাংলাদেশের সাথে আস্থার সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র"
- "জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে"
- নো হেলমেট, নো ফুয়েল: সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের