thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১,  ২৪ জিলহজ ১৪৪৫

"পুঁজিবাজারে প্লেসমেন্ট ইস্যুকে অনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে"

২০২৪ জুন ৩০ ১৯:০৮:৪০

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানির শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়া প্লেসমেন্ট ইস্যুকে গত ১০ থেকে ১২ বছরে অনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ব্যবহার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও।

শনিবার (২৯ জুন) পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) পল্টন কার্যালয়ে আয়োজিত ফল উৎসবে তিনি এ কথা বলেন।

রিচার্ড বলেন, প্লেসমেন্টটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু। এর মাধ্যমে কিছু মানুষকে ক্যাপিটাল মার্কেটে সম্পৃক্ত করা হয়। এই জায়গাটাকে সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। তবে সাংবাদিকেরা লেখনীর মাধ্যমে এই অনিয়মগুলো তুলে ধরলে এই অবস্থার কিছুটা উত্তরণ হতে পারে। তা না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

সিএমজেএফের সভাপতি এসএম গোলাম সামদানী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী, সিইও ফোরামের সভাপতি ছায়েদুর রহমান ও ডিএসইর সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিএমজেএফের সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।

শাকিল রিজভী বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারের সাইজ এখনো ছোট। আমরা মনেপ্রাণে চাই, বাজার পার্শ্ববর্তী দেশসহ অন্যান্য দেশের মতো বড় হোক। এ জন্য সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে পুঁজিবাজারকে অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। এর মধ্যে বড় একটি প্রতিবন্ধকতা ক্যাশ টাকা উত্তোলনের সুযোগ না থাকা। এত প্রতিবন্ধকতা থাকলে কে এখানে আসতে চাইবে? বিনিয়োগকারী লোকসানও করবে আবার নগদ টাকাও তুলতে পারবে না, তা হয় না।

ছায়েদুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের জন্য প্লেসমেন্ট খুবই ভালো একটি উদ্যোগ ছিলো বলে আমি মনে করি। তবে এটা কে, কীভাবে ব্যবহার করছে তার ওপর এর ভালোমন্দ নির্ভর করে। যদিও এর মন্দ ব্যবহারটা বেশি হয়েছে।

মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, পুঁজিবাজারের নানা অনিয়ম নিয়ে সাংবাদিকেরা বিভিন্ন সময় রিপোর্ট করেছেন, করছেন। এর মাধ্যমে অন্যায় বন্ধ হয়ে যাবে তা নয়, তবে কমবে বলে আমরা আশা করি।

তিনি বলেন, ৯ থেকে ১০ বছর আগে পুঁজিবাজারে এত বড় বড় প্রতিষ্ঠান না থাকলেও তখন ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা লেনদেন হতো। এত বছর পরও লেনদেন বাড়েনি। সময়ের পরিক্রমায় লেনদেন ৩০০ থেকে ৪০০ কোটিতে নেমেছে। গত ১০ থেকে ১২ বছরে আমাদের অর্জন শূন্য বললেও ভুল হবে না। আমরা আসলে ঋণাত্মক অবস্থায় আছি। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের ভূমিকা অস্বীকার করে কোনো অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তিনি।

ফল উৎসবে আরও উপস্থিত ছিলেন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলাল, সিএমজেএফের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনসহ অন্যরা।

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর